এখানে, এই দুর মফস্বলে এই রাস্তার পাশে একের পর এক ধুম্রশলাকায় ডুবে যাচ্ছি। পেয়ালায় এগিয়ে দিচ্ছি নতজানু চুম্বন। এখানে আমি থাকবোনা। হয়ত একটা দোচালা ঘরে ভালোবাসা ভালোবাসা খেলা করবে, উঠোনজুড়ে ছড়ায়ে থাকবে তারা থেকে খসে পড়া চুন। হয়তবা মেট্রোর জ্যামে কেউ জীবনানন্দ পড়বে। অথবা ভয়ানক কোন জেনোসাইডের পর কোন এক নেক্রোপলিস ইতিহাসে জায়গা করে নেবে। হয়তো এখানেই কোন অন্ধকার সিগন্যালে একজন বেশ্যা খদ্দের ইশারা দেবে। শুধুমাত্র আমি থাকবোনা। প্রকৃতির একটা ভয়াবহ ব্যাপার হল আমি নামক বস্তুর আধিপত্য পছন্দ করেনা। নতুন কোন আমিকে এখানে নিয়ে আসবে। সেই আমি কি এখানে বসে বাঁশি আর করতাল শুনবে? কানে মুঠোফোন ঠেকিয়ে কারো উইন্ডচাইম শুনতে চাইবে? প্রচণ্ড কোন বৈদ্যুতিক ছুতারে দগ্ধ করবে নিজেকে?
নাকি এইখানে, একদিন হাইওয়ে হবে… সাঁই করে ছুটে আসা কোন কালো টয়টার মধ্য থেকে ছুড়ে ফেলা হবে একজন তরুণীর মৃতদেহ। ঐ তরুনীর এপিটাফ হোক আমার পাশে। দুই কবরের মাখখানে একটা জানালা রাখার জন্য ইশ্বরকে অনুরোধ জানাবো
৬টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো বিষণ্ণতা ভালো লাগেনা আমার।
আর আপনার লেখার মধ্যে এতো মৃত্যুভাব, আমি ঠিক মেনে নিতে পারিনা।
মৃত্যু চিরন্তন, আসবেই। তাকে নিয়ে ভাবিনা কখনো তাই।
তেলাপোকা রোমেন
আমার মনে হয় আমি হুট করে মরে যাব। বন্ধুবান্ধব, জুনিয়র সিনিয়র , বান্ধবী আর আমার অগণিত প্রেমিকাকে ছেড়ে আমার চলে যাওয়া লাগবে ভাবলেই আমার মধ্যে বিষণ্ণতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
বিষণ্ণতায় ক্ষতি কি?
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি আপনার লেখাগুলো এখানে দিচ্ছেন সবাই যেনো পড়ে, তাই না?
তো পাঠক হিসেবে আপনার লেখা সম্পর্কে আমার অনুভূতির কথা বললাম।
নীহারিকা
আমরা কেউই একসময় থাকবো না। এটাই চরম সত্য।
তেলাপোকা রোমেন
এই চরম সত্যকে অগ্রাহ্য করার পথ খুজি 🙂
তেলাপোকা রোমেন
এই চরম সত্যকে অগ্রাহ্য করার পথ খুজি 🙂