কবে কখন কারো সাথে আবার
হবে কি দেখা!
হবে কি এমনি আনন্দগণ দিনগুলির পূর্ণরাবৃত্তি
হবে হয়তো-হয়তো বা হবে না,
কেউ বেচে থাকবো
হয়তো বা
কেউ বেচে থাকবো না.
দিন মাস বছর শেষে
যুগের পর যুগও ক্ষয়ে যাবে
পৃথিবীর শ্রেষ্ট জাতি মানবও পর পর হবে গত
শেষ বিদায়ে কিছুই যাবে না সঙ্গে,
ধন সম্পদ নিয়ে চিড় ধরবে আত্বীয়তার সম্পর্কের
ভুলে যাবে আমায়,তোমাকে স্বার্থপর এ দুনিয়া
শুধু ক্ষয়হীন,
অম্লান হয়ে বেচে থাকবে ভালো কিছু কাজের স্মৃতি
যুগ যুগে পৃথিবীর বুকে।

sonelablog
শুন্য শুন্যালয়,বন্দনা কবীর,খসড়া,রুবা আপুরা

-হ্যালো মনির ভাই কোথায়?
-এইতো আসছি গুলিস্থানে এলে ফোন দিবো।
-ঠিক আছে,
-অতপরঃ
শ্রদ্ধেয় আস্থা বাজন ভালোবাসার মানুষ সকলের প্রিয় মুখ জিসান ভাইয়ার ফোন
-হ্যালো জি ভাইয়া,
-আপনি এখন কোথায়?
-গুলিস্থান রিক্সায় আসছি….মজিবর ভাইকে নিয়ে আসবো।
-সে চলে এসেছেন,আপনি চলে আসুন।
জিসান হেলাল ভাইয়ার কাছে আবেদন দু বার সোনেলা মিলন মেলায় উপস্থিত থাকার পরও কি বলবো আমাকে আপনি,আপনি” বলে সম্ভোধন করতে হবে।এখন থেকে আমাকে তুমি করে বলতে হবে৴৴৴৴এই হলো আমার বদ অভ্যাস৴৴ হাজার চিন্তা করেও নদী পাড়ি আর হয় না তাতে জোড় খাটাতেই হয়।কোন কথা হতে কোন কথায় চলে যাই তা আমার দোষ না দোষ সব নন্দ ধোষের।
আবাবারো মজিবর ভাইয়ের ফোন
=হ্যালো মনির ভাই এখন কোথায়
-এই মাত্র গুলিস্থান রিক্সায় শান্তি নগর মোড়ে যাচ্ছি।
আমি শান্তি নগর মোড়ে আপনার জন্য দাড়িয়ে আছি৴৴৴৴
-ঠিক আছে।
14720546_10211151671971108_7038349940698062340_n
“এই যে বন্ধন
এখানে কোন ধর্ম অধর্ম লেখা আছে?
নেই”
-{@ আছে সোনেলা পরিবারের সদস্যেদের মাঝে একে অন্যের প্রতি আন্তরিকতার গভীরতা।আর এ ভালবাসাই হলো সোনেলার সোনার অলংকার।
শান্তি নগর মোড়ে এসে ভাবছিলাম কোন মোড়ে খোজবঁ তাকে,মোড়ের তো অভাব নেই ৴৴৴৴
তবে এতোটা সহজে একত্র হবো ভাবতেও পারিনি .একে বাড়ে বলা চলে এতো ভীড়ের মাঝে কি ভাবে যেনো অন্য সব দৃশ্য আবছা করে প্রথম চোখের দৃষ্টিই পড়ল মজিবর ভাইয়ের চোখে৴এখানেও এক ধরনের ভালবাসার টানই ছিলো বলা চলে।কথায় আছে গরীব বুঝে গরীবে ব্যাথা।

যদিও আড্ডায় আমি তেমন কোন কথা বলিনি অবশ্য কিছুটা মন খারাপও ছিলো ইঞ্জা ভাইয়ার স্বাদ নাহি মিটিল ৴কন্যা গো তোর লম্বা মাথার কালো চুল৴ সে দেখতে পেলেন না।(সেই লীলাবতীর মা/আম্মা সম্ভবতঃ অসুস্থ,আমরা তার রোগ মুক্তির জন্য স্রষ্টার কাছে প্রার্থণা করি যেনো দ্রুত সে অরোগ্য লাভ করেন)।
মন খারাপের আরো কিছু কিছু কারন ছিলো ননদী ঢাকায় ভাবী কি দূরে থাকতে পারেন উপায় কি বিধি বাম তাই বলে কি রিতু আপুটা কাদা মাটিতে নামবেন!!! আর তা  দেখে তার তাজঁ ননদীও কান্না শুরু করে দিলেন (সেই সময়কার তাদের ফেবুক পোষ্ট)।
মজিবর ভাইয়ের সাথে কয়েকটি ফুল নিয়ে চলে এলাম আড্ডার নির্ধারিত স্থান বেইলী রোডে “হেলভেশিয়া হোটেলে” নিকটে দেখা হলো আরেক প্রিয় মুখ।আমি অবাক তার লেখায় যে ভাব দেখি তাতে মনে করে ছিলাম আনিস ভাইয়া হয়তো একটু বয়স্ক টাইপের হবেন।কিন্তু না এমন ইয়াং ম্যান আমি খুব কমই দেখেছি।নাইস অল দা বেষ্ট আনিস ভাইয়া।তিন জনে প্রবেশ করলাম আড্ডা স্থলে,জিসান ভাইয়াকে কথা দিয়ে কথা রখতে পারিনি,কথা দিয়েছিলাম অনুষ্ঠানে একটু আগেই আসবো।কিন্তু হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ জ্যামে বারোটা বাজিয়ে দিলো।
আমার বহু আগেই জিসান-হেলাল ভাইয়া সোনেলায় সোনাদের মিলন মেলার শিরোমণি সকলের প্রিয় মুখ শুন্য শুন্যালয় এবং এক সময়কার ভাইয়া খড়সা নামে পরিচিত যা সোনেলার প্রথম মিলন মেলায় মোড়ক উম্নোচিত হয় খড়সা ভাইয়া রুনা আপু খড়সা আপু হিসেবে তারা অপেক্ষায় গে্ষ্ট স্বাগতমে।এর পর এলেন আমাদের প্রিয় মুখ সোলেনায় ধারাবাহিক প্রকাশ করছেন বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্ম জীবনী।এবং যে কোন অন্যায়ে প্রতিবাদে অগ্রগামী মারজানা ফেরদৌসি রুবা।এরই মধ্যে টুকটাক আপ্যায়ন শুরু হয়ে গিয়েছিলো তার আগমনে শুন্য শুন্যালয় আনন্দে লাফিয়ে যেনো img_20161026_172948তাকে স্বাগত জানালেন।শুরু হলো হালকা খাবারের সাথে হালকা আড্ডা জিসান ভাই তার সাথে উপস্থিত সবাইকে পরিচিত করিয়ে দেন।তারপর আবারো অপেক্ষা অতিথীদের আগমনে।কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের অত্যান্ত প্রিয় মুখ পরোপকারী জনপ্রিয় কবি সাহিত্যিক বন্দনা কবীর সম্ভব সুমন ভাইকে সাথে নিয়ে এলেন।সম্ভবতঃ তার কিছুক্ষণ পরই ম্যাডাম অনিকেত নন্দিনীর আগমন….এ ভাবেই একের পর এক জন করে ভার্চুয়াল চেনা প্রিয় মুখ গুলো আসতে থাকেন।এক সময় প্রিয় মুখ নাসির সারোয়ার  আসেন।অনুষ্ঠানের প্রায় শেষ পর্যায় আসেন পাগলা জাঈদ।প্রতি বারই তারাদের আগমনে উৎফুল্লহ যতটা না আমরা ছিলাম তার চেয়ে বেশী আনন্দময় চঞ্চলতায় অনুষ্টানটি ভরে দেন প্রিয় উপক্ষ্য ওমেন শুন্য শুন্যালয়

বন্দনা কবীর আপু এক কঠিন অসুস্থতার মাঝেও আমাদের সোনেলাকে ভাল বেসে তার মুল্যবান সময় ব্যায় করে বিভিন্ন আলোচনায় আমাদের মাতিয়ে রাখেন।এই বন্দনা আপুকে দেখার খুব সখ ছিল যদিও ফেবুকে তার প্রতিটি পোষ্টেই টোকটাক কমেন্টস লাইক দিতাম কিন্তু কখনো তার সাথে এই প্রথম দেখা।অসম্ভব ভাল মনের একজন মানুষ সে।তার আলোচনায় উঠে আসে যুদ্ধপরাধী বিষয়টি।আমরা কৃতজ্ঞ তার কাছে অনুষ্টানে যোগ দিয়ে অনুষ্টানটিকে স্বরণীয় করে রাখতে।আমরা তার আশু রোগ মুক্তির কামনা করছি।
বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে মনে হয়েছে তা হলো সৈয়দ পুরের মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস।যুদ্ধ শুরু হওয়ার দুই মাস আগেই নাপাকিদের ঘৃণ্য বর্বর 14886195_10211151648570523_1210071228_nহামলা শুরু হয় সেই সৈয়দপুরের ইতিহাসের কিছু জানা অজানা ঘটনা বললেন আসরের খড়সা আপু। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনেলা ব্লগ বিশ্বাসী একটি সোনার মঁহল যার প্রতিটি সন্তানের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কাজ করে।
সেই মুক্তি যুদ্ধের একটি ভাস্ককর্য ২০১৩ সালে আমাদের সোনেলার প্রিয় মুখ খড়সা বা রুনা আপুর স্বামীর সহযোগিতায় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার অভ্যন্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মরণে নির্মিত করেন রেলের লোহায় তৈরী ‘অদম্য স্বাধীনতা’ নামে একটি স্মৃতিসৌধ।৭১-এর ১২ এপ্রিল শহীদ সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ডা. জিকরুল হককে তৎকালীণ আওয়ামী লীগ সরকার ২০০২ সালে স্বাধীনতা পদক (মরণোত্তর) প্রদান করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বরতা ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের স্মারক চিহ্নগুলো হারিয়ে যেতে বসেছিল।বর্তমানে এসব বধ্য ভূমি বলে না দিলে বোঝারই উপায় নেই যে,এ স্থানে প্রাণ দিয়েছেন শত শত লোক।উত্তরাঞ্চলের অবাঙালি (উর্দুভাষী) অধ্যুষিত সৈয়দপুর শহরে ৭১-এর মহান মুক্তি যুদ্ধের দৃশ্য পট ছিল দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় একেবারে ভিন্ন। ৪৭’এর দেশ বিভাগের পর থেকে এই সৈয়দপুর শহরে বিপুল সংখ্যক অবাঙালি এসে আস্তানা গাড়ে। মুক্তিযুদ্ধকালে শহরের বাঙালিরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সৈয়দপুর শহরের পার্শ্ববর্তী চিরির বন্দর থানার আলোক ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান মাহতাব বেগ বন্দুক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাঙ্গালীদের উদ্ধারে।কিন্তু শহরে ঢোকার প্রাক্কালেই হানাদার বাহিনী মিস্ত্রি পাড়ায় তাকে গুলি করে নির্মম ভাবে হত্যা করে।সে মূলত এই অঞ্চলের প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা।৭১’ এর ২৩ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী হিন্দু ও মাড়োয়ারী পরিবারের ৩৫০ জনকে হত্যা করে। মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাসে সৈয়দ পুরে এটি ছিল সব চেয়ে বড় গণ হত্যা।এ শহরে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যাদের কোনও সদস্যকে বাঁচতে দেওয়া হয়নি নাপাকিরা।
এমন সব খড়সার আলোচনায় আমরা মুগ্ধতার সাথে শুনে গেলাম।সমসাময়িক সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা্য় ছিলেন রুবা নন্দিনী আপু এরই ফাকে সুদূর বিদেশ 14671095_889957657806078_8013326363803172139_nথেকে অনলাইন ভিডিও আড্ডা জমান আমাদের প্রিয় মুখ সোনেলায় প্রবাসী লেখক কবি গল্পকার  নীলাঞ্জনা নীলা।এবং বাংলাদেশে থেকেও আসতে না পারায় অনলাইন ভিডিও আড্ডা দেন বন্দুকওয়ালী তাজঁ।যে কোন সৃষ্টিতে তার ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকেন কিছু বিল গেটসের মতো মাথাওয়ালা যাদের শ্রমে বুদ্ধিমত্তায় সৃষ্টিটি হয়ে উঠে পরিপূর্ণ ।আমাদের সোনেলা পরিবারেও এর ব্যাতিক্রম নয়৴৴৴ এই সোনেলার লেখক গুলোকে যিনি কারিগরি ঠিক দিয়ে একত্রে রাখেন যিনি আমাদের নারী ভুড়ি সবই চিনেন সে হলেন  নাজমুল আহসান অনুষ্ঠানে তার মুখে সব সময় হাসি লেগেই থকতো।আমরা আরো খুশি হয়েছি অনুষ্ঠনে শুন্য আপুর বোনের উপস্থিতি।
এর মাঝেই আমাদের আরেক প্রিয় মুখ নাসির সারোয়ার ভাইয়ের সে দিন ছিলো তার জন্ম দিন নিঃসন্দেহে এ স্মৃতি তার জীবনে এক স্বরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।জন্ম দিনের কেট কেটে সবাইকে খাওয়ালেন নিজেও খেলেন।অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময় চলে ক্ষণে ক্ষণে।খাবারে ছিলো ভরপুর সব শেষে চা কফির আড্ডা।

ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞ
শুন্য শুন্যালয় এবং সোনেলা কর্তৃপক্ষ।
img_20161026_231521

 -{@ লেখায় অনেক ভুলত্রুটি পছন্দ অপছন্দ থাকতে পারে হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর ভাবতে শিখি আমরা মানুষ৴মানুষই আমার পরিচয়।
14666260_10211151668051010_6906878149546144324_n14570254_10211151668891031_298723119045886614_nimg_20161026_171234img_20161026_17151814729388_253444248391596_1375776500839896475_n14724542_889957587806085_7511951848231950082_n

img_20161026_152101img_20161026_171158img_20161026_163636

৯৩৭জন ৯৩৭জন
0 Shares

৩৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ