ঐশী রহমান আর ফারদিন হুদা মুগ্ধ, দুটো বাচ্চাই প্রায় একই টাইপ কাজ করেছে। বয়সও তাদের প্রায় একইরকম। খুব সম্ভবত ঐশীরও ছিলো সতেরো আবার মুগ্ধরও সতেরো।
ছেলেমেয়ে যখন কৈশোর ক্রস করে, তখন তাদের মন থাকে স্পর্শকাতর! স্পর্শকাতর মন তখন আচমকা অনেক ঘটনারই জন্ম দিয়ে ফেলে। ঐশী, মুগ্ধও আচমকা এমন কাজ করেছে, যা সমাজ সংসারকে নাড়িয়ে গেছে।
কিন্তু তাদের এই অবস্থার পেছনে আসলে দায়ী কারা???
খুব অবাক হওয়ার তো আসলে কিছু নেই আমাদের! যেমন করে চাড়াগাছকে আমরা লালন করেছি, দিনে দিনে বাড়িয়ে তুলেছি তেমনই তো ফল দিবে। এজন্য অবাক হওয়ার তো কিছু নেই! দুঃখ করারও কিছু নেই! বরং প্রস্তুতি নেয়া দরকার আরও ভয়ঙ্কর রূপে আমাদের সামনে আসছে আগামীর দিনগুলো।
সামাজিক অবক্ষয়ের শুরুটা কিন্তু ঘর হতেই শুরু হয়। ঘরেই মানব শিশু বেড়ে উঠাকালীন সময়ে নৈতিকতার শিক্ষা পায়, মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হয়। কিন্তু সেখানে যদি এসবের অনুশীলন না করে প্রতিবেশির সাথে বা আত্মীয়ার সাথে পাল্লা দিতে সন্তানকে সোনায় সোহাগা করে রাখা হয় বা সন্তানটির সামনে অন্য সন্তানটিকে হীনচোখে দেখা হয় অথবা অন্যের নায্য অধিকারে অন্যায়ভাবে জবরদখল করে নিজের সন্তানের সুখ আনার নেশা তৈরি হয়, তো কোমলমনে বাচ্চার মানসিক গঠন প্রক্রিয়ায় তা মারাত্মক রেখাপাত করবেই। ফলে সন্তানটি ভীষণরকম আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠে। একসময় দেখা যায় সে নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই অনুভব করে না এবং স্বার্থ আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠে। তখন সন্তান ‘বখে’ গেছে বলে বিলাপ করেও কিছু হয় না। নিজে যেমন তৈরি করেছেন তেমনই হয়ে উঠেছে।
ঐশী এবং মুগ্ধর মা-বাবা অঢেল টাকা ঢেলে সন্তানকে সুখ দিতে চেয়েছিল কিন্তু সুখ কি আদৌ দিতে পেরেছিলো? টাকা দিয়ে আনন্দ কেনা যায় কিন্তু সুখ কি কেনা যায়?
সন্তানকে আমরা নিজেরাই ভোগবাদী করে গড়ে তুলছি। একটা সন্তানের সামনে মা-বাবাই থাকে তার আদর্শ। এমনভাবে তাদের পরিচালিত করছি যেনো কেবল টাকা উপার্জনের মেশিন হওয়ার জন্যই তাদের পড়াশুনা করতে হবে! রেজাল্ট ভালো করতে হবে! তাইতো ফাঁস হওয়া প্রশ্ন কিনে এনে বাচ্চার হাতে তুলে দেই! ক’জন পিতামাতা চাই সন্তানটি মানুষের মতো করে মানুষ হোক? যদি চাইতাম, তো নিজেরাও সচেতন থাকতাম আর তাদেরও আচরণবিধি ঠিকঠাক গড়ে উঠছে কী না সেদিকে মনোযোগী হতাম। জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনে তাদেরকে পাঠ্যবই ছাড়াও অন্য বই পড়াতে উৎসাহী করে তুলতাম। মনের বিকাশ ঘটে এমন প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতাম।
এখানে আরেকটা বিষয়ও উল্লেখ না করলেই নয়। আগে প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রমে প্রতিযোগিতা হতো প্রতিযোগীদের মধ্যে, এখন তা হয় অভিভাবকদের মধ্যে। এটা এখন ভাইরাস আকার ধারন করেছে। এতে অভিভাবক শ্রেনি থেকে অন্য বাচ্চাটিকে হীন করে দেখা হয়, যা নিজ বাচ্চাটির মাঝে হিংসা এবং পরশ্রীকাতরতার জন্ম দেয়।
অন্যদিকে আমরা টাকা উপার্জনের ইঁদুর দৌড়ে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে সন্তানকে সময় দিচ্ছি না। সুখ কিনতে অঢেল টাকা উপার্জনে অনৈতিকতার আশ্রয় নিচ্ছি। যে বাচ্চাটি ছোটবেলা থেকে এটা দেখেই বড় হয় যে টাকা উপার্জনই জীবনের প্রধান লক্ষ্য, তার পরিবার এটাকেই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে, তার মানসিক গড়ন আসলে কেমন হবে? সে দেখছে এবং অনুভব করছে বাবা কী করে এই অর্থ আয় করেন। মা কিভাবে দেদারসে তা কেনাকাটায় খরচ করেন। বাবাটি ব্যস্ত থাকেন বিত্তবৈভব অর্জনে আর মা ব্যস্ত থাকেন তা আত্মীয় পরিজনকে প্রদর্শনীতে।
সন্তানটিকে ভরসা দেয়ার জন্য বাবার সময় কই? আর ওম দেয়ার জন্য মায়ের ই-বা সময় কই?
এভাবেই আমাদের বিত্তবৈভবের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, অবহেলা, উদাসিনতা, অসততা আর ব্যস্ততার ফাঁক গলে আমাদের সন্তানটি বখাটে হয়ে যায় আমরা তা বুঝতেই পারিনা।
আবার সমাজেও এখন অঢেল টাকাকেই যোগ্যতার মাপকাঠি ধরা হয়।
চাকুরীতে ঢুকে কয়েক বছর না যেতেই বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়ানো মানুষটার প্রতি আমাদের ঘৃণা নেই, কিন্তু আছে একধরণের ঈর্ষা।
সমাজে মান-মর্যাদার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে বিত্ত। জন্মদিনে বাচ্চাকে দামী আইফোন (যা কিশোর বয়সে দেয়াটাই অনুচিত।) দামী রেস্টুরেন্টে পার্টি না হলেও অন্ততপক্ষে খাওয়ানো আজকাল ফ্যাশন হয়ে উঠেছে, বৈধ সঙ্গতি থাকুক বা না থাকুক। বাবা না দিতে চাইলেও মায়ের চাপাচাপিতে দিতে বাধ্য।
এদিকে পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে কিশোররা যখন দেখছে কোনোভাবে ক্ষমতাসীন দলের ছোটখাটো পর্যায়ে যেতে পারলেই হলো, টাকা আর টাকা। পড়াশোনা তাই লাটে উঠে। সে জানে টাকা থাকলে সবই হবে।
এই সুযোগ সবাই না পেলেও ভোগবাদী হয়ে গড়ে উঠা বাচ্চাটির সামনে মা-বাবা তো আছেই। তাদের অন্ধ স্নেহকে পুঁজি করে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করা হয়। আর তাতেও যদি কাজ না হয় তখন হাতে উঠে আসে ছুরি বা আগুন। কেউ অন্ধ ভালোবাসার খেসারত দিতে রক্তাক্ত হয়ে মারা পড়ে, কেউ বা আগুনে পুড়ে কয়লা হয়!!!
১৮টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়। যেমন বৃক্ষ তার তেমন ফল।
আপনার কথায় সহমত, বাবা – মা হচ্ছে সন্তানের এমন এক শিক্ষক যার শিক্ষা শিশু চিরকাল ধারণ করে। সেই শিক্ষক যদি ভুল শিক্ষা দেয় তাহলে দুনিয়ায় এমন কার সাধ্য আছে তাকে সঠিক শিক্ষা দেয়।
নিজেকে বড় করতে গিয়ে, নিজের সন্তান কে অন্যদের চেয়ে বড় বানাতে গিয়ে এমন কিছু যদি তাদের দেওয়া হয় যাতে তার নিজের ভিতরে আত্ম-অহংকার চলে আসে, অন্যদের সাথে ভালো কিছুর প্রতিযোগিতা না করে নিজের বিত্ত বৈভব নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করে তাহলে পতন হবে অনিবার্য।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমার এক স্যার বলতেন সবকিছুরই একটা জের আছে। তো, আমরা তাই ভোগ করছি। যে অন্যায়পথে আমরা অন্যের হক নান ছলচাতুরী করে কামড়ে এনে নিজের সন্তানের মুখে তুলে দিতে চাই বা চেয়েছি, এর খেসারত তো ভোগ করতেই হবে।
আমাদের সন্তানেরা চোখের সামনেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, ধ্বংস করে যাচ্ছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
বেশ কিছুদিন আগে কথা হচ্ছিলো যৌথ পরিবার নিয়ে। আজকাল এই যৌথ পরিবার আর দেখা যায়না। আর বেশীরভাগ একক পরিবার আত্মকেন্দ্রিকতার শিক্ষাই দেয়। কারণ বাবা-মা, ভাই-বোন এই চারজনের পরিবারে তিনটি রুম, কেউ কারো সাথে সেভাবে যোগাযোগ রাখেনা। বাবা-মা শুধু উঁকি দিয়ে দেখে সন্তানরা পড়ার টেবিলে। আর প্রাইভেট টিউটরদের হাতে ছেড়ে দিচ্ছে। সন্তান শিক্ষিত হবে, আয় করবে শুধু এটাই চাওয়া আমাদের সমাজের বাবা-মায়েদের। এই পড়ালেখা করার জন্য হাতখরচের টাকা দিচ্ছে যথেষ্ট পরিমাণে, আর সন্তানদের আব্দার দিন কে দিন বেড়েই চলছে। যখনই তা পূরণ করছে না, আত্মকেন্দ্রিক মন তখন বিদ্রোহ করছে অন্যভাবে। একসময় সন্তানরা বাসা থেকে বেড়িয়ে গিয়ে বন্ধুর বাসায় বা অন্য কোথাও চুপচাপ বসে থাকতো, এখন তারা সেটা না করে বাবা-মাকেই চেষ্টা করে জীবন থেকে সরিয়ে দিতে।
যা বলছিলাম একক পরিবারে বাবা-মায়ের সঙ্গ বেশী দরকার সন্তানদের। তাদেরকে টাকা দিয়ে সুশিক্ষিত হবার পথ না দেখিয়ে, স্বশিক্ষা কাকে বলে সেটা শেখানো বাবা-মায়ের একমাত্র কর্তব্য। প্রতিটি বাবা-মা যদি বন্ধুর মতো সন্তানের পাশে থাকে, কোনোদিনই সন্তান বখে যায়না। অন্যায় করলে সেটাকে ধরিয়ে দিতে হবে, টাকা হাতে ধরিয়ে বলা নয়, “এমন যদি আর না করো, তাহলে টাকা দেবো।” বরং বলা উচিৎ “এমন যদি আর করো তাহলে আর কখনো আমাকে বাবা/মা ডাকতে পারবেনা। ডাকলেও সাড়া দেবোনা।”
অনেক লিখে ফেললাম। আমি বলতে গেলে অনেকটা সময় যৌথ পরিবারেই বড়ো হয়েছি। কিন্তু আমার ছেলে একক পরিবারে। তাও ওর বাবা থাকে দূরে। আমি একাই সামলে নিচ্ছি, আর এই কিশোর কাল ভয়ঙ্কর। কিশোরী মেয়েদের সাথে মায়েদের খুব সহজেই বন্ধুত্ত্ব হয়ে যায়। কিন্তু কিশোর ছেলে একেবারে অন্যভাবে ট্রিট করতে হয়। তারপরেও সন্তান তো সন্তানই। সেই সন্তানের প্রথম বন্ধু যদি বাবা-মা না হতে পারে, তাহলে সেই সন্তান কোনোদিনই মানুষ হবে না। আরেক মুগ্ধ কিংবা ঐশী হবে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমাদের ভোগবাদী মানসিকতাই সন্তানকে রোবটের মতো করে তুলছে। যৌথ পরিবার ভেঙে শুধু একক পরিবারই হচ্ছে যে, কেবল তা নয়। চরম আত্মকেন্দ্রিকতায় পেয়ে বসেছে আমাদের। আমরা নিজেরা সন্তানকে শুধু নিতে শিখিয়েছি। দিতেও যে হয়, সে শিক্ষা দিচ্ছি না। এতে সন্তানের মাঝেও আত্মকেন্দ্রিক মনোভাবের জন্ম নিচ্ছে।
আমার দেবরের মেয়েটা একটু একটু করে বড় হওয়াকালীন সময়ে দেখতে পাই সে বেশ নিজেরটা আকড়ে ধরতে শিখেছে। কিছু তো বলতে পারি না, পাছে জা’য়ের মন খারাপ হয়।
পরেরবার যখন বাড়ি গেলাম, ছিলো ঈদ। প্রথমে তাকে তার জামাটা দিলাম। তারপর তার হাত দিয়ে তার মায়েরটা, তার অন্য চাচীরটা, তার ফুফী, ফূফাতো বোন সবগুলোই তাকে দিয়ে দেয়ালাম। আর বলে দিলাম, বলো তুমি দিয়েছো। তার চোখেমুখে দেয়ার আনন্দ দেখেই বুঝেছি, আমি যা চাইছি ঠিক সে প্রতিক্রিয়াই তার মধ্যে দেখা দিয়েছে।
হ্যাঁ, মা-বাবাকেই সন্তানের বেড়ে উঠাকালীন সময়ে তার মনের একান্ত কাছে থেকে তাকে মনস্তাত্ত্বিক সাপোর্ট দিতে হয়। কৈশোরে যে মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়ন তৈরি হয়, সেইমতো সাপোর্ট দেয়াটা তখন খুব জরুরী, তা না হলে তার জানার বা বুঝার নেশা তাকে বিভ্রান্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক বলেছেন আপু। সন্তান তো সেসবই শিখবে, যা আমরা শেখাবো।
আপনার প্রতিটি লেখা থেকে অনেক কিছু শিখি আমি। আমারও টিনএজার ছেলে, একা নিয়ে থাকি। কিছুতেই যাতে আত্মকেন্দ্রিক না হয়, তেমনই চেষ্টা করি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এরপর থেকে আড়ি চলবে যদি ‘আপনি’ থেকে ‘তুমি’ তে না আসা হয়, হুম্ম।
নীলাঞ্জনা নীলা
তুমি, তুমি, তুমি…না না তুমি বড়ো ভাগ্যবতী…না না তুমি, না তুমি। 😀 \|/
মারজানা ফেরদৌস রুবা
\|/ \|/
ইঞ্জা
বেশ লিখেছেন আপু, সব বাবা মার উচিত নিজেদের আগে সামলানো, শুধু স্নেহ মমতা দিলে হবেনা সাথে তার আচার আচরণ খেয়াল করতে হবে আর দরকার মতো ব্যবস্থা নিতে হবে, শাসনের দরকার হলে তাও করতে হবে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সোহাগ এবং শাসন পাশাপাশি থাকতে হবে। আচরণে সন্তানটিকে জানাতে হবে, বুঝাতে হবে আদর যেমন ওকে করা হয়, তেমনি অন্যায় করলে মা-বাবার কাছে অপরাধীর কাঠগড়ায়ও দাঁড়াতে হবে।
অন্ধ স্নেহে একবার অন্যায়ের প্রশ্রয় দিলেই হলো। সেখান থেকেই তার বখে যাওয়া শুরু। আবার শাসন করার মতো সৎ সাহস অর্জন করতে গেলে মা-বাবাকেও তেমন আদর্শই ধারণ করতে হবে। আর আমাদের সমস্যা সেখানেই।
ইঞ্জা
একদম ঠিক বলেছেন আপু।
মোঃ মজিবর রহমান
সহমত।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
(y)
অপার্থিব
ভাল লেখা। যান্ত্রিক নগরায়নে অভ্যস্ত মানূষের মধ্যে মুল্যবোধের চর্চা কমে যাচ্ছে। বাবা মা বৈধ অবৈধ নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনে ব্যস্ত। সন্তানের হাতে টাকা পয়সা ধরিয়ে দিয়েই নিজের দায়িত্ব শেষ বলে মনে করছে । সুস্থ মুল্যবোধ না শেখায় এরাই এক সময় বাবা মায়ের জন্য ফ্রাংকেনষ্টাইনের দানব হিসেবে দাঁড়াচ্ছে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এক্কেবারে সঠিক পয়েন্টটিতে আলোকপাত করেছেন।
ধন্যবাদ।
মৌনতা রিতু
ঠিক বলেছো আপু। আমি জানি না আমি ঠিক পথে এগোচ্ছি কিনা ! আমিও দুই ছেলের মা। ও সারাবছর থানায় চাকরি করেছে। এতোটুকু সময় সে ইচ্ছে করলেও দিতে পারেনি। মেমন যখন ক্লাস ফাইভে আপু, তখন কোর্টে পোষ্টিং নিলাম। দুই ছেলেকেও আমাদের মতো বই পড়তে শিখিয়েছি। জাফর ইকবাল স্যার তাদের আদর্শ। বঙ্গবন্ধু চিনেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা প্রতিটা বই কিনে দিয়েছি। আমার টিভি সিরিয়াল দেখার নেশা কোনো কালেই ছিল না। তবে গোপাল ভাঁড় দেখি আপু :p মজা লাগে।
বাচ্চাদের দিয়ে দান দেওয়ার অভ্যাস করতে হয়। এতে এদের বুঝতে সুবিধা হয়, অল্পতে অন্যরা কেমন খুশি হয়।
ম্যানার্স অনেক বড় কথা। বাচ্চাদের মিশতে দিতে হয়, ধনি গরীব উভয়ের সাথে। নীচের দিকে তকানো শিখানো উচিৎ। আমি সাধারন চলতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করি। লোকাল বাস, ভ্যান রিক্স। কিন্তু এ নিয়ে কথা ও যে শুনিনা তা না। অনেকে আপু অল্প বেতনের চাকরি খরে এমন ভাব করে যেন মুই কি হনিরে বা ! এদের ছেলেমেয়েই নষ্ট হয়। তুমি দেখ আপু, আমি কলেজেও আমার ছেলের সাথে যাব। আমার ছেলেরা ফুটানি দেখালেই মাইর লাগাবো।
তবে এমনও আছে আপু, পরিবার ভালমতো মানিষ করলেও বাইরের পরিবুশে নষ্ট হয়ে যায়। একি পরিবারের এক ভাই হয় অনেক ভাল তো আর এখজন চোর।
তোমার লেখা তো আমি সব সময়ই দেখি সমাজ সচেতন লেখা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
তোমার ছেলেরা কখনোই অন্যদিকে যাবে না। যে মায়ের মানসিকতা এতো সুন্দর সে মায়ের সন্তান মায়ের মতোই সমাজ সচেতন একজন আদর্শ নাগরিক হয়েই গড়ে উঠবে। আবার পড়ুয়া মা বলে কথা।
শুভকামনা রইলো সোনামণিদের জন্য। (3
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এ সব সামাজিক অবক্ষয় আমরা যে রকম সমাজ রেখে যাবো তার প্রতিক্রয়াও তেমনি হবে।সমসায়িক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট। -{@