কর্মে আড্ডায় অভিজাত এলাকা গুলসান ছিলো রমরমা যেন কোন এক উন্নত রাষ্ট্রের জাকজমক এলাকা,তা এই মুহুর্তে এক ভূতুরে পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।চার দিক এক কেবল উদ্যেগ আর উৎকন্টায় মানুষের ফিস ফিস শব্দ,কি হচ্ছে কি ঘটতে যাচ্ছে জঙ্গিদের দ্বারা জিম্ভি জনতা বেকারি অর্টিজন হোটেলটিতে।
সমরের সমস্থ শরির ঘামে ভিজে একাকার সে বার বার মোবাইলের বাটন টিপে টিপে মোমাইলটি কানে ধরছেন সংযোগ না পেয়ে মেজাজ খারাপ করে নিজেকে অস্তিরতায় উপস্থাপন করছেন,অভি সূর্য্য সমরের দিকে এগিয়ে গেল।
-কি রে তুইতো ঘেমে একেকার,কোন সমস্যা?সূর্য্যের প্রশ্ন।
-আর বলিস না তোর ভাবি মানে স্বর্নার ফোনে জানতে পারলাম সে এখানে….।ভাবছি সে হোটেলের ভিতরে জঙ্গি দ্বারা জিম্মি না তো ?
-বলিস কি?ফোন দে
-ফোন দিয়েছি কয়েক বার কিন্তু অপর প্রান্ত হতে বার বার বলছে এই মুহুর্তে সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়।
রাত ক্রমশতঃ বেড়ে চলছে এ দিকে আইন শৃংখলা রক্ষাকারিদের হুশিয়ারি…হোটেলের সামনে থেকে সবাইকে সরে যাবার নির্দেশ দিল।ভারাক্রান্ত মনে ওরা ঘটনাস্থল থেকে বেশ দূরে চলে এসেছেন।মৃদু আলোকিত পথস্থলের এক কোনে আশ্রয় নিল ওরা।সমর স্বর্নাকে না নিয়ে সে আর কোথাও যাবেন না,বন্ধুদের প্রতিত্তোরে বললেন।
ঘটনাস্থল থেকে খবর আসতে থাকে অপারেসন থান্ডাবোল্ড চলছে।অস্ত্র সহ চারদিকে আইনি লোকদের ছুটাছুটি সবারই লক্ষ্য জিম্মি লোকজনের কোন সুখবর শুনাবেন।অবশেষে ফিরে এলো হোটেল থেকে বেশ কয়েকজন জীবিত মনুষ।
প্রতিক্ষার শেষ নেই স্বর্না কেবল নরক থেকে বের হয়ে আসা মানুষগুলোর মুখবয়ে নিজের পরম আত্মার ফুফাত বোন মমকে খুজে ফিরেন হঠাং তার মোবাইলে রিং টুনের হৃদয়ে কম্পন ধরে দেয়।
-হেলো,স্বন্না তুমি কোথা?
চারদিকে আইন শৃংখলা গাড়ীর হরর্ণ এর শব্দে কিছুই বুঝতে পারছিলেন না স্বর্না তাছাড়া তাড়া হুরায় কে ফোন করেছেন তাও লক্ষ্য করেননি।হেলো বলতে বলতে কোলাহুল থেকে কিছুটা নির্জনে গেলেন।এ দিকে সমর তাকে খুজতে খুজতে হয়রান হয়ে নিরবে এক নির্জন স্থানে বসে সিগারেট টানছেন।যদিও তার বন্ধুরা তাকে সঙ্গ দেবার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন কিন্তু সে রাগে তাদেরকে চলে যেতে বলাতে তারা তার মেজাজের অবস্থা দেখে আর কোন কথা না বাড়িয়ে প্রস্থান নিলেন।সিগারেটের একটি প্যাকেট শেষ আছে মাত্র আর একটি,সেই একটি সিগারেট হাতে নিয়ে বলিউড স্টাইলে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে সিগারিটটি ধরিয়ে গাজা খোরদের মতো বড় টান দিয়ে ধোয়াগুলোকে কুন্ডুলি পাকালেন।তার পাশেই দাড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন আলো আধারে অচেনা এক তরুনি না মহিলার নাসিকায় ধোয়াগুলো উড়ে গেল।তরুনি রাগে তার কাছে আসেন কিছু একটা উত্তম মধ্যম শুনাতে তাকে।তখনো সমর মাথা নিচু করে নেশাখোরের মতো সিগারেটে একটার পর একটা টান দিয়ে ধোয়াগুলোকে নিচের দিকেই ছাড়ছিলেন,ভাগ্যের বিড়ম্ভনায় বাতাসের গতি পথ ছিল ভালোর উল্টো পথে যা উড়ে গিয়ে তরুনি বা মহিলাটির নাক স্পর্শ করে।
-এই হেলো…..!!!!
সমর মাথা উচু করে তরুনির মুখের দিকে তাকিয়ে অবাক হন,চমকে যায় দুজনে মিনিট খানেক ভালবাসার রাগ-অনুরাগ….সমর!!! তুমি এখানে?
এবার সমরের মেজাজটা বিগড়ে যায় এত খুজছি অথচ সে এখানেই মোবাইলে কার সাথে কথা বলছিল!কেনোইবা মোবাইল বন্ধ ছিল।
-তোমার হয়েছেটা বলতো,ফোন দিয়ে বললে তুমি এখানে আছো আবার মোবাইলটা বন্ধ রাখলে,,,,ঘটনা কি?
-কৈ মোবাইলতো বন্ধ ছিল না এই যে এখনো সচল,তবে লাইন পেতে সমস্যা হচ্ছিল এখনো হচ্ছে…কে বা কারা যেন ফোন দিয়ে কথা বলছে না।এই দেখো…বলেই মোবাইলটি সমরের হাতে দিলেন।মোবাইল কানে দিয়ে দেখলেন অপর প্রান্ত হতে হেলো হেলো শব্দ আসছে,ফোনটি স্বর্নাকে দিলেন।
-নাও কে যেন লাইনে আছেন।
-হেলো কে?
-মম,
-ওরে হারামজাদি তোকেইতো খুজছি,তুই বললি গুলসানের হলি অর্টিজনে,,,,আমিতো জঙ্গি হামলার কথা শুনে পাগলের মতো এতো রাতে হলি অর্টিজনে এলাম…এসেই তোর ফোন বন্ধ পাচ্ছিলাম যাক,তুই এখন কোথায়?
-বাসায় টিভি দেখছি,,,,,টিভিতে তোকে দেখেইতো ফোন দিলাম।
-তোর না এখানে আসার কথা!
-ছিলো এবং গিয়েওছিলাম তোর আসতে দেরী দেখে ঐ ঘটনার আগেই চলে এসেছি তাছাড়া মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল তোকে আর ফোন দিতে পারিনি।_
-আচ্ছা ঠিক আছে,,,কালকে বুঝাবো এর খেশারত কি।
এর মধ্যে অভি সূর্য্যরা তাদের কাছে এসে ভাব নিলেন সূর্য্য।
-কি রে তোর টেনসন শেষ হইছে….এই বুঝি তোর টেনসন।
স্বর্নাকে লক্ষ্য করে কথাগুলো যখন সমরকে বলছিলেন,সমর অতি ভদ্রতায় এক প্রকার অভিমানে মানে স্বর্নার উপর রাগ গিয়ে পড়ল যেন সূর্য্যদের উপর।
-তোদের না চলে যেতে বললাম,
-এখন চলে যাবো
-তখন গেলিনা কেন?
-তুই স্বার্থপর হলেও আমরাতো তোকে স্বার্থপরের মতো বিপদে রেখে চলে যেতে পারি না।
-এ সব কিছুর জন্য আমিই দায়ী…সরি বন্ধুরা।স্বর্নার সরল উক্তি।
-ঠিক আছে অনেক রাত হয়ে গেছে যার যার বাসায় চলো দুএক দিনের মধ্যেই আমাদের ক্লাবে এ সম্পর্কে মিটিং করব সেখানে জঙ্গি দমনে আমাদের সামাজিক দায় বদ্ধতা এবং করণীয়ের আলোচনার হবে।
ব্যাপক সাড়া দিয়ে ক্লাবে এলাকার গণ্য মান্য প্রায় সকলেই মিটিংয়ে উপস্থিত হলেন।উদ্দ্যেশ্য একটাই ইসলামের নাম নিয়ে সারা বিশ্বে যে জঙ্গি হমলা হচ্ছে তার ছোয়া বাংলাদেশে গুলসানের হামলা এই প্রথম ।একে একে উঠে আসছে এর কুফল এবং ছেলে মেয়েদের উপর পিতা মাতার কর্তব্য কি?কেননা হামলায় যতগুলো অপরাধী চিহ্নিত বা নিহত হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই কিশোর পেরিয়ে সবে মাত্র যৌবনে পা দিয়ে এক একজন উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়ন রত।তাদের গুলসান হামলায় তাদের কৃতকর্মগুলো এতটা ভয়ানক ছিল যে বলার মতো নয়।তারা একদিকে হত্যাজ্ঞ চালাচ্ছেন তা আবার ভিডিও লাইভ দেখাচ্ছিলেন তাদের স্ব স্ব পরিবারকে।ওফফ্ কি যে অমানুষ তারা তা আর ভাষায় প্রকাশ করা যায় না…এ ভাবে সভায় একজন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।পুরো সভা জুড়ে নীরবতা।
সভায় আরেক জন বক্তিতা শুরু করেন,প্রায় সবাই দুই মাস তিন মাস করে নিখোজঁ ছিলেন।তাই নিজেদের অঞ্চলের কে কোথায় আছেন তার একটি তালিকা করতে বলা হয় সভায়।এরই মধ্যে প্রশাসন নিখোজ তালিকা করার উদ্দ্যেগ নিয়েছেন।সরকার এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে এরই মধ্যে সুখবর হলো শোলকিয়ায় জঙ্গি আস্তানা ভেঙ্গে বেশ কয়েজন জঙ্গিকে হত্যা করেন।তাদের কার্যক্রমও ছিল শুলসানের জঙ্গিদের এপিঠ ওপিঠ।যাক এখন থেকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।এলাকায় নতুন কোন লোক দেখলেই তার দিকে নজর রাখতে হবে।আর সবচেয়ে বড় কথা হলো যারা ঘর ভাড়া দেন তাদেরকে অবশ্যই ভাড়াটিয়ার সকল তথ্যাদি নিয়ে ঘর ভাড়া দিতে হবে নতুবা ঘর মালিকরাও আইনের আওতায় আসবেন।সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।
-আমরা এতক্ষণ আমাদের এলাকার গণ্যমান্যদের কথা শুনলাম যা আমাদের সামাজিক অবক্ষয়তার বাস্তবতা ফুটে উঠে।আমি আর সে দিকে যাবো না এমন কি বর্তমানে সুন্দবনে নিকট রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন ভারতকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সরকার।এ সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাল মন্দ নিয়ে ব্যাপক আলোচলা সমালোচনার ঝড় বইছে আমি সে দিকেও যাবো না কেননা এ গুলো দেখবার দায়ীত্ব সরকারের নিশ্চয় আমাদের মতো দেশ প্রেম নেতাদেরও আছে।
আমাদের এ দেশ অনেক প্রানের আত্মত্যাগে পেয়েছি সুতরাং আমাদের এ দেশের উপর দায় বদ্ধতা আছে আমরা চেষ্টা করব এ দয়বদ্ধতার কিছুটা হলেও কাধে নিতে….যেমন জঙ্গিদের প্রতি সজাগ থাকা আর বর্তমানে বর্তমানে গ্রামাঞ্চল ছেয়ে গেছে বন্যার জলে।বান ভাসিদের খাবার ঔষধ থাকার ব্যাবস্থা ইত্যাদি দিক দিয়ে বড় কষ্টে দিন যাপন করছেন।ওরা এদেশের সহজ সরল মানুষ ওরা আমাদেরই কারো না ভাই বোন আত্মীয় স্বজন।সুতরাং এই মুহুর্তে যার যা কিছু যে যেভাবে পারেন ঐ সব বান বাসিদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।ইতিমধ্যে অনেক স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন এগিয়ে এসেছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্যার্তদের সাহায্যের পেইজ খুলেছেন।
আমরা শহর বাসি আমরা তাদের দুঃখটা তাদের অভাবটা তাদের অভিযোগগুলো সেই ভাবে পুরোপুরি পুরণ করতে পরবনা তবুও সরকারের পাশা পাশি আমাদের এগিয়ে যেতে হবে তাদের পাশে যারা একটি রুটির জন্য সমান্য বিশুদ্ধ জলের,লজ্জা ঢাকার সামান্য বস্ত্রের জন্য চেয়ে রয়েছে আমাদের আসার পথপানে।টিভিতে হয়তো আপনারা দেখেছেন কি ভাবে অসংখ্য বানবাসি মানুষ ত্রানের খোজ পেলে ছুটে আসছেন কতটা অসহায় এভাবে হন্যে হয়ে ছুটে আসেন তা অবশ্যই আমাদের বোদগম্য হয়েছে।
নশ্বর পৃথিবীতে কেউ চিরদিন বেচে থাকবনা কিংবা বেচে থাকেনি।কোটি পতি যেমন শুণ্যপতিও তেমনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যাবেন একদিন।যাবার আগে ভেবেছেন কি কভু পৃথিবীতে আপনি কি রেখে গেলেন?যা দিয়ে আপনি পৃথিবীতে অনন্তকাল বেচে থাকবেন,প্রচুর ধন-সম্পদ?মোটেই না এসব ভাগ বাটোয়ার নিয়ে আপনাকে বদনামে ফেলবে।আর যদি একটি মানব কল্যাণকর কিছু একটা করতে পারেন তবে সেটি আপনাকে যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে।
উপরোক্ত কথাগুলো সূর্য্যের সভায় তার সভাপতিত্ব বক্তব্য।বক্তিতা শেষে নিজেদের মাঝে একটি লিষ্ট করেন কে কি ভাবে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে যাবেন।
সবারই জানা….
মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না
ও বন্ধু….
মানুষ মানুষকে পণ্য করে
মানুষ মানুষকে জীবিকা করে
পুরনো ইতিহাস ফিরে এলে লজ্জা কি তুমি পাবে না?
ও বন্ধু………..
বল কি তোমার ক্ষতি
জীবনের অথৈ নদী
পার হয় তোমাকে ধরে দূর্বল মানুষ যদি
মানুষ যদি সে না হয় মানুষ
দানব কখনো হয় না মানুষ
যদি দানব কখনো বা হয় মানুষ লজ্জা কি তুমি পাবে না?
ও বন্ধু……
চলবে…
পূর্বের পর্ব পড়ার জন্য ধন্যবাদ-৩০তম
১৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এ দুর্দিনে আমাদের সাধ্যানুযায়ী এগিয়ে আসতে হবে।
সময়োচিত লেখার জন্য ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদেরকেই দেশ গড়ে দিতে হবে আগামী প্রজন্মের নিকট। -{@
শুন্য শুন্যালয়
বন্যাকবলিত মানুষ গুলোর কষ্ট নির্মম। এই সময়ে দেশের সব সংগঠন গুলোর তাদের পাশে আসা উচিৎ। গল্পাকারে সময়োচিত সমস্যাগুলো তুলে ধরার আইকন আপনি ভাইয়া। এরকম আর কাওকে লিখতে দেখিনি। অনেক ধন্যবাদ চীর মানবিক গানটির জন্যে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আমি নই সব কৃতিত্ব এই সোনেলার বন্ধুদের।ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
হুম! বন্যাকবলিত মানুসদের জন্য ইচ্ছা আছে ফান্ড কম্বেশি কালেকশন হয়ে আর কিছু হলে আগামী শুক্রবার জাব ইন শাল্লাহ।
সকলের দোয়া কামনা করছি।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ মজিবর ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
(y)
আবু খায়ের আনিছ
ভাইয়া, আপনার লেখাগুলো সম সাময়িক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার পটভুমিতে লেখা। যখন পড়ি তখন সেই ঘটনাগুলোও চোখের সামনে চলে আসে।
প্রজন্মের ঋণ শোধ হবে কি কখনো?
আপনার এই ধারাবাহিক যদি দুইশো পর্বও ছাড়িয়ে যায় আমি অবাক হবো না, বরং খুশিই হবো।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
প্রজন্মের ঋণশোধ কেউ কখনো শোধ করতে পারে না এ এমন একটি ঋণ যেমন পিতা মাতার কাছে সন্তানের ঋণ তবে দেশ ও দশের ভাল কল্যায়ণকর কাজই ঋণ পরিশোধের কিছুটা লাগব হবে।ধন্যবাদ আপনাকে আপনি ভাল একজন লেখক তাই বুঝতে পেরেছেন এর পর্ব সংখ্যার অনুমান।হতে পারে এ আমার আজীবন পর্ব।
আবু খায়ের আনিছ
আমি তাতেই খুশি হবো, যখন আমি এই গল্পগুলো পড়ি তখন ভাবি, যদি কোনদিন আমি আমার পরবতী প্রজন্মের কাছে এই লেখাটা তুলে দিতে পারি তাহলে হয়ত আমি আমার দ্বায়ীত্বের একটা অংশ পালণ করতে পারব। এই লেখা চলুন আজীবন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা ভাইয়া।
অনিকেত নন্দিনী
সময়োপযোগী লেখা।
বলা বাহুল্য, জঙ্গী হয়ে কেউ জন্মায়না। ধর্ম সম্পর্কে সঠিক শিক্ষার অভাব, অভিভাবকের অমনোযোগিতা, সঙ্গদোষ, প্রেমে ব্যর্থতা আর প্রতিকূলতাপূর্ণ পারিপার্শ্বিকতা কতিপয় ব্যক্তিকে জঙ্গীবাদের পথে টেনে নিয়ে যায়। এটি যেহেতু জন্মগত সমস্যা নয়, আমাদের সম্মিলিত সচেতনতা আর চেষ্টা একে রুখে দিতে পারে।
বন্যায় ভাসছে দেশের বিশাল একটি অংশের লোকজন। সবার সাধ্যমতো এদের সাহায্য করা উচিত। আমরা আমরাই তো। 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সহমত।ধন্যবাদ -{@
জিসান শা ইকরাম
সমসাময়িক বিষয়ের উপর তথ্যভিত্তিক লেখায় আপনি অনন্য
ধন্যবাদ মনির ভাই এমন লেখার জন্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
গল্পের সাথে মিশিয়ে সমসাময়িক ঘটনাকে লেখার অসামান্য দক্ষতা আপনার মনির ভাই। (y)
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ দিদি এটি একটি ইতিহাস ।
মিষ্টি জিন
দেশের কিছু অংশ ব্ন্যায় ভাসছে.. আমাদের সবার উচিত এদের সাহায্যে এগিয়ে আসা।
সব মিলিয়ে খুব সুন্দর এবং সময়উপযোগি লেখা
শুভ কামনা ভাইঁয়া ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ ভাইয়া না আপু -{@
মৌনতা রিতু
মনির ভাইর সমসাময়িক লেখাগুলো বরাবরই আমার খুবই পছন্দের।
বন্যাকবলিত মানুষদের নিয়েও চলে ব্যবসা। ত্রাণ দিতেও তাদের একটি সেলফি না তুললেই যেন হয় না। চলে ফটোসেশন।
প্রতিটা মানুষ যদি তাদের পকেট মানির সামন্য কিছু দান করত তবেই কিন্তু সমস্যার সমাধান অনেক হয়ে যেত। সব থেকে আমি আশ্চার্য হই যখন যে ঙলক্ষমতায় থাকে সেই দলই নদী দখলে ব্যস্ত থাকে। আবার তারাই সরকারী অনুদান নিয়ে তাদের মাঝে হাজির হয়। চলে ফটোসেশন।
এই পোষ্টগুলো কিন্তু শেয়ার করা উচিৎ আমাদের ফেসবুকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ আপু হ্যা এখানেই সমস্যা যত দান পাওয়া যায় তত ডেলিভারি হলে কোন অভাব থাকার কথা নয়। -{@