
বিষয় – একটি জরুরি খবর
(নিজে পড়ুন ও অন্যকে পড়ে শুনীয়ে ছিরে ফেলুন )
একে তো শেষ জবানা তার উপর হাজারো লাখ ভণ্ডের লাফালাফি তার উপর সবাই আরবের খুরমা খাজুর সাজতে চায়,
মাজার ,ফাজার,বুলদজার, ইত্যাদির মহামারীতে চারিদিকে ভণ্ডামির রোগ ছড়িয়ে আছে
মানুস নিজের আত্ম বিশ্বাস নিয়ে আজ দুই নৌকায় পা দিয়ে থাকার অবস্থা।
তার মাঝে আবার এমন কিছু মেসেজ কাগজের লিফলেট এর মাধ্যমে আমাদের মাঝে আসে যা পড়ে অনেকেই বে-আক্কেল এর মতো ছুটাছুটি শুরু করে দেই যদিও এটা আমাদের অল্পশিক্ষার ফল তবুও আমরা একটু ভাবলেই এই বিসাল ভুল থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারি।
এভার কাগজের লিফলেট এর বিষয় টা বর্ণনা —
বিষয় – সত্য ঘটনা মদিনা শরীফ থেকে কোণ এক সেখ আহম্মদ অছিয়ত খানা পাঠিয়েছেন-। তিনি জুমার রাতে কোরআন পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গেলে স্বপ্নে দেখেন
হযরত মুহাম্মদ সঃ তার সামনে দাড়িয়ে দুনিয়ার বর্তমান খারাপ অবস্থার কথা বলেন এবং এর সাথে কেয়ামত এর আলামত এর কথা বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন তার এই সব কথা সবাই কে জানানোর জন্য এবং যে এইসব বলবে কেয়ামত এর দিন তিনি তাকে জান্নাতের জায়গা দিবেন,
আর যে জানাবে না সে নাকি খোদার রহমত পাবে না ।
এই হল কাগজের লিফলেট বার্তার প্রথম অংশ তার পরের অংশ হল ভয়ভীতি দেখানো এমন ভাবে যার ফলে আমাদের টুকরা ঈমান আরও খান খান হয়ে যায়,
অনেক টা ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাচি !
কাগজের লিফলেট এর পরের অংশে আছে ছেলে মারা যাওয়া,কিংবা নিজে মারা যাওয়ার, আরও কত ক্ষতি হবার আশঙ্কা লক্ষণ ।
মাঝের অংশে আছে লোভনীয় অফার – যারা এই ভণ্ডামির কাগজের লিফলেট অন্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দিবে তাদের জন্য রয়েছে- লাখ এ লাখ অফার, লটারির ভাগ্য ফল,বেকার এর চাকরি প্রাপ্তি, মাটি খুড়ে সোনার কলসি পাওয়ার সম্ববনা,
শেষ পর্যন্ত এই সপ্নের বাতাস এসে থেমেছে আমাদের দেশের জলপাই গুরির জেলার মালিক গুপ্ত শহরের কোণ এক বুক্কা বাবার দরবারে এক এক বুক্কা খাদেম স্বপ্নে নাকি
সেই সেখ এর মত একই সপ্ন দেখেন এবং তিনি জাগ্রত হয়ে তিনি বলেন।
আমি স্বপ্নে দেখছি হজরত মুহাম্মদ সঃ মানুষের রুপ ধারন করেন বললেন ,ভঁয় পেয় না আমি যা বলি মন দিয়ে শুনো!এখন কলি যুগ খুব পাপ বেড়ে গেছে এই পাপ ধ্বংস করার জন্য আমি পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছি, ( যার কথার কোণ মানে নেই )
যে লোক আমার নামে ১০০ কপি এই কাগজ বিলি করবে আমি তাকে সাহায্য করব,
সম্পদ দেব,ইচ্ছা পুরন করবো আর যে আজকাল করে কাঁটিয়ে দেবে তার খুব হবে বলেছেন ।
এভাবে আমাদের মহা নবীকে নিয়ে মিথ্যাচার আর কত কাল করবে মুখসধারী শয়তান রা আমরাও বা কতকাল তাদের নেক সুরতের ধোঁকার মাঝে থাকবো?
নিজেরা যদি সোচ্চার থাকি তবে এই ধরণের ভণ্ডামি অপকর্মের থেকে আমরা নিজেদের বিরত রাখতে পারব ।
প্রয়োজন আমাদের ধর্মের বিষয়ে অবগত হওয়া এবং আমাদের আসপাশের সঠিক কোরআন তফসির জানা বিজ্ঞ জ্ঞান বিসারথ এর কাছে যাওয়া ।
মানব জাতির ঈমান হল কচু পাতার রাখা পানির মতো তার উপর আমরা যদি এতো টলমল থাকি তবে কি আর ছিটেফোঁটা ঈমান নিয়ে কবরে যাওয়ার আশা করতে পারি ……
আমাদের এই বাংলাদেশে জাতি দুই ভাগে বিবক্ত এক বাঙ্গালী দুই ধর্মের জাতি ,
সেই হিসাবে অন্য ধর্মের অনুসারীরা আমাদের ইসলাম ধর্মের অনেক সম্মান করে
যার ফলে এ জাতীয় কাজকমের অনেকটা অংশ তাদের মধ্য কিছুটা প্রভাব ফেলে,
তাই আমাদের সচেতনত বেশি হওয়া উচিত এই জন্য যে নিজেদের ধোঁকা থেকে রক্ষা
অপরকে ধোঁকা থেকে রক্ষা করা যায় ।
আমারাই পারি আমাদের সুফলতা বয়ে আনতে –
কুলসিত থেকে সমাজ ও দেশ কে রক্ষা করতে ।
আমীন—————————
সচেতনতায়—– সকাল সপ্ন !
৬টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
বিশ্বাস নিয়ে নাড়াচাড়া দিলে শিক্ষিত আর অশিক্ষিত সবাই কাঁপে। অনেক শিক্ষিত মানুষও এগুলো করে। কয়েকবছর আগেও এই সব লিফলেট আসত, এখন অবশ্য দেখি না। তবে ইদানিং দেখি মোবাইলে/ফেইজবুকে ম্যাসেজ আসে আর শিক্ষিত মানুষেরাই এগুলো পাঠায়। যদি কখনো প্রশ্ন করি,তুমি/আপনি এগুলো বিশ্বাস করেন, পাল্টা উত্তর আসে, বিশ্বাস অবিশ্বাস এর কথা নয়, আমাকে দিয়েছে কেউ আমিও দিলাম। আসলে ভীতিটা কাজ করে সবার মাঝে। আর বিশেষত মেয়েদের ত আরো বেশি, স্বামী/বাবা, সন্তান/ভাই এদের যদি (এই যদি ই খাইছে) কিছু হয়ে যায়।
সচেতনমূলক পোষ্ট, ধন্যবাদ লেখককে।
ইকবাল কবীর
ব্যাপারটা আসলে আমাদের প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষার অভাব। ছোটবেলা যখন মক্তবে যেতাম তখনও জানতাম আল কোরআন বাংলায় পাওয়া যায়। তখন আমাদের শিক্ষা দেওয়া হত অর্থ ছাড়া আরবিতে। যার অর্থ জানিনা, বুঝিনা তার ব্যাপারে স্বাভাবিক ভীতি কাজ করে আর সেখান থেকেই কিছু ভন্ড এই সু্যোগ ব্যাবহার করে। আমাদের উচিত প্রকৃত শিক্ষা গ্রহন করা, জেনে শুনে, বুঝে শিক্ষা গ্রহন করা তাহলে এইসব ভন্ডদের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে।
মৌনতা রিতু
ফেসবুকেও এমন অনেক পোষ্ট দেয়, ” প্লিজ শেয়ার করুন, শেয়ির করলে এ হবে ও হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। ইনবস্কেও দেয়।
ইশ এসব মানুষের মগজে ঢুকে যদি সব ঠিক করা যেত!
সুন্দর বলেছেন, ভালথাকুন।
জিসান শা ইকরাম
দেশ অন্ধকারের দিকে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।
অবস্থা আর সহনশীল পর্যায়ে নেই।
সকাল স্বপ্ন
ধন্যবাদ সকল কে …।।
সচেতন হবার ইচ্ছায়—
অনুপ্রেরনা ও সচেতন করার অংশ—-
ধন্যবাদ—
নীলাঞ্জনা নীলা
ফেসবুকে এসব নিত্য চলছে। অসহ্যকর। এতো বিরক্তি লাগে।