বুড়িগঙ্গা আজ মৃত। তাই হয়ত ঢাকাও এখন মৃতপ্রায় নগরী। আমি দু’মাস আগে ছেলেদের নিয়ে আহসান মঞ্জিল গিয়েছিলাম। নদীর কোলঘেঁষে যে রাস্তাটা গেছে ঐ রাস্তা দিয়ে রিক্সা করে যেতে যেতে নাকে কাপড় দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না। নদীর পাড়ে যতদূর চোখ যায় সে এক বীভৎস দৃশ্য! রাস্তার একপাশে বস্তি আর নদীর পাড়গুলোতে যতো ময়লা আবর্জনার স্তুপ। দেখে মনে হলো বাংলাদেশের যতো ভাংড়ি, ভাঙ্গা পুরানো বোতল, প্লাস্টিক, যতো পুরাতন জুতা স্যান্ডেল, কলকারখানার বর্জ্য, কেমিক্যাল বড় বড় ড্রেনের মাধ্যমে এসে পড়ছে নদীতে। এ যেন এক মহা নোংরার পরিবেশ।
অবশেষে এসব দেখতে দেখতে আহসান মঞ্জিল ভবনটিতে পৌঁছলাম। ভবনটি দেখে আমার নয়ন মন দুটোই ভরে গেলো। দেখা শেষ করে এর প্রাঙ্গনে এসে বসলাম। আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম এর অতীত চিত্র। আর ভাবছিলাম নবাব লোকটি সৌখিন ছিলো বটে!
আসলে মোঘলরা এই নদীর জোয়ার ভাটার রূপ দেখে বিস্ময়াভিভূত হয়ে গিয়েছিল। তাই হয়ত এর কোল ঘেসে তৈরী করেছিল এই ভবন। বুড়িগঙ্গা ঢাকা শহরের দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিক দিয়ে প্রবাহিত জোয়ার ভাটা প্রভাবিত একটি নদী। নদীটির নামকরণ নিয়ে সনাতন একটি কাহিনী আছে। “প্রাচীনকালে গঙ্গা নদীর একটি প্রবাহ ধলেশ্বরীর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। তাই আমরা এই প্রবাহটি অর্থাৎ বুড়িগঙ্গাকে ধলেশ্বরীর শাখাও বলি। ধীরে ধীরে এই প্রবাহটি ভৌগলিক ও মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অর্থাৎ এক কথায় সহজভাবে যদি বলি মানুষের অবচেতন মনেও প্রকৃতির খেয়ালে নদীটি শাসন হয়ে এর প্রবাহ দিক পরিবর্তন করে। যার ফলে গঙ্গার সাথে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর এই বিচ্ছিন্ন প্রবাহটিই আজকের বুড়িগঙ্গা। এই বুড়িগঙ্গার স্বাভাবিক প্রবাহটি ঢাকা শহরে খুবই সুস্থিত। যা এখন শুধুই কল্পনা। ঢাকা শহরের জন্য বুড়িগঙ্গা নদী অর্থনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা নতুন কথা নয়।
যাই হোক আমি যে বিষয় নিয়ে লিখতে বসেছি তা হলো, ঢাকা দূষণমুক্ত, বুড়িগঙ্গা যেন তার প্রাণ ফিরে পায় তাই নিয়ে।
প্রথমে আসি,বাংলাদেশের অন্যতম একটি শিল্প চামড়া শিল্প ও তার প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি ও স্থান নিয়ে, যাকে আমরা বলি ট্যানারি। প্রথমে এই ট্যানারি স্থাপন করেন রণদাপ্রসাদ সাহা ১৯৪০ সালে নারায়ণগঞ্জে। পরে দেশ বিভাগের পরে পাকিস্তান সরকার ঢাকা ও বুড়িগঙ্গার বারোটা বাজাতে এই ট্যানারি ঢাকার হাজারীবাগে স্থানান্তর করে। কাঁচা চামড়ার প্রাথমিক পর্যায়টি তারা ঢাকাতেই সেরে ফেলত, অর্থাৎ চামড়াকে ওয়েট ব্লুতে রুপান্তর করে তা পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিত পরবর্তী প্রসেসের জন্য। যেখানে কোনো ময়লা বা দুর্গন্ধ ছড়ানোর সুযোগ থাকতো না। ময়লা,বর্জ্য দুর্গন্ধ তা এই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানেই থাকত। কারণ ক্ষমতার জোরে বেশিরভাগ ট্যানারি অবাঙ্গালীদের হাতেই সীমাবদ্ধ ছিলো। বাঙ্গালীদের মালিকানায় ছিলো যা তা অতি ক্ষুদ্র পরিসরে। ১৯৭১ সালের পর অবঙ্গালীদের ছেড়ে যাওয়া ৩০টি ট্যানারি পরে বাংলাদেশ সরকার এর দায়িত্ব দেন পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ট্যানারি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য তারা এর সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনা করতে পারেননি।
বর্তমানে বাংলাদেশে ২০৬টি ট্যানারি ইউনিট রয়েছে। যার কর্মী সংখ্যা ৬০ হাজার। বর্তমানে সরকার এর অবকাঠামোগত সকল সুযোগ সুবিধা দেবার জন্য সাভারে ৪০০একর জমির উপর গড়ে তোলা হচ্ছে চামড়া শিল্প। কিন্তু তা ঐ উজানমুখী সাভারে। এটি কি আদৌ পরিবেশ বান্ধব হবে? কারণ বাংলাদেশ বৃষ্টি প্রবণ এলাকা। আর পানির ধর্ম হলো উঁচু থেকে নিচে গড়িয়ে নামা। তাছাড়া যখন বৃষ্টি হবে তখন পানির সাথে দূষণকারী আবর্জনাও নিন্ম মুখি হবে। আর গাজিপুর, সাভার, টঙ্গি থেকে ঢাকা শহর নিন্মাঞ্চল। ঐ অঞ্চল গুলি যেহেতু ঢাকার উজানে তাই ঐ এলাকার পরিবেশ দূষণকারী যে কোনো স্থাপনা স্থাপিত হলে সেই সকল স্থাপনার বর্জ্য প্রাকৃতিক ভাবেই নিন্ম মুখি হবে। তখন এসব এলাকা বা শহরে ট্যানারিসহ মানুষের স্বাস্থ্য হানিকর বর্জ্য উৎপাদন কারী স্থাপনা স্থাপন করলে স্বাভাবিক ভাবেই বর্জ্য গুলি বৃষ্টির কারণে নদীনালা ও মাটির উপর দিয়ে পানির ধর্ম আনুযায়ী নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত ঢাকা শহরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই বিশাল জনবহুল ঢাকা দূষিত হবে। যার ফলে ঢাকা শহরে বসবাসকারী সর্বস্তরের নাগরিকের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে।
এবার আসি যতো ময়লার স্তুপ নিয়ে। আমরা জানি প্লাস্টিক মাটিতে সহজে পঁচে না। যত্রতত্র এর ব্যবহারের ফলে নষ্ট হচ্ছে আজ পরিবেশ। আইন আছে, নেই কোনো প্রয়োগ। ডিজিটাল হলে কি হবে অবুঝ মূর্খতায় ভরা এক দেশ আমার। যার যেখানে ইচ্ছা সিগারেট খাচ্ছে, মল মূত্র ত্যাগ করছে, ময়লা ফেলছে। সব আবর্জনা এই বুড়িগঙ্গার বুকে কেন? বড় বড় কাভার্ড ভ্যানে করে এই আবর্জনা ঢাকার বাইরে নিয়ে ফেলা যায়। এই আবর্জনা দিয়ে কিভাবে নতুন কিছু করা যায় সেই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া যায়। নদীর নাব্যতা ফিরে আনতে ড্রেজিং করে এর ময়লা কাঁদা মাটি মোটা মোটা পাইপের মাধ্যমে ঢাকার থেকে দূরে ফেলা যায়। মাটি ভরাট কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে। আমার মনে হয় এই ট্যানারি যতোটা না বুড়িগঙ্গা ও ঢাকার সর্বনাশ করছে তার থেকে কয়েকগুণ নষ্ট করছে এই বস্তির বর্জ্যগুলো। অথচ ঢাকাকে বাড়াতে গাজীপুরে মধুপুর বন ধ্বংস হচ্ছে। যেখানে যে কোন ব্যাক্তি মালিকানায় দুই কাঠা কিনলে সাথে আরো দুই কাঠা দখল করছে। আর বুড়িগঙ্গার পাশে যে বস্তি গড়ে উঠেছে এই পলিথিন তথা ভাংড়ি গুলোর কারণে তা কেউ দেখছে না। অথচ এখান থেকে বর্জ্যের এই ব্যবসা বন্ধ হলে বস্তিও উঠে যাবে অটোমেটিক্যালি। তাই আইন করে তা বাস্তবায়ন করে এখানে ভাংড়ি বর্জ্য জমা করা বন্ধ করতে হবে।
ঢাকাকে বাঁচাতে হলে ঢাকা মুখি লোক অর্থাৎ নিম্ন শ্রেণীর লোকের ঢাকা যাওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে। সবারই ধারনা ঢাকা গেলে অনেক টাকা আয় করতে পারবো। কিন্তু তা কি আদৌ সত্যি? নিজ নিজ গ্রাম বা শহরে কতো কাজ। শুধু দরকার মানসিকতা ও পরিকল্পনা। আমার প্রশ্ন নিজ নিজ গ্রামে বা শহরে নারীরা কাজ করছে না কেন? নারী তার নিজ নিজ এলাকাতে কাজ করছে না? আমি একটা জরিপ করেছিলাম, পাবনাতে, কুড়িগ্রাম ও আমার এলাকা মোংলাতে। যারা ঢাকা গিয়ে বিভিন্ন কাজ করে তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন এসব নারীরা ঢাকায় কাজ করছে। তাদের ভাষ্যমতে নিজ এলাকায় কাজ করলে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। অনেক বিড়ম্বনা। যেমন অমুকের বউ এই এ কাজ করছে, ওমুকের বোন, মা এই কাজ করছে, তাদের অবস্থা খুব খারাপ। এমনি ভাবনা হয় এলাকার মানুষের। কিন্তু কেউ সাহায্য তেমন এগিয়ে আসে না। অথচ প্রশ্ন করে অনেক। তা যতো ভালো কাজই হোক না কেনো। কিন্তু ঢাকা গেলে তো কেউ দেখবে না, কি কাজ করছে কোথায় কি করছে? ঢাকার মানুষের এতো সব অযথা সময় নেই। তাই অনেকেই স্বামি স্ত্রী ছোট ছোট বাচ্চা গ্রামে রেখে চলে যায় ঢাকা শহরে। তারা হিসাব করে একজনের টাকা দিয়ে সংসারের খরচ চলবে অন্যজনের টাকা জমবে ভবিষ্যতের একটা আশ্রয়ের জন্য। পরিকল্পনা মতো এই লোকগুলো কাজও করে। যখন টাকা জমিয়ে স্ত্রীটি স্বামীর ভিটায় একখানা ঘর তোলে গরু কেনে কেউ সেলাই মেশিন কেনে। কিছুদিন অনেকেই সুন্দর জীবন চলে। কিন্তু হঠাৎ ই স্ত্রীটি শোনে তার স্বামীটি নগর জীবনের নিঃসঙ্গতায় আর একটি বিয়ে করেছে কোনো এক গার্মেন্টস কর্মী অথবা গৃহকর্মীকে। স্ত্রীটি হয় আবারো গৃহহারা। সে পুনরায় চলে যায় মোটামুটি বড় হয়ে যাওয়া কোলের সন্তান নিয়ে ঢাকা। এভাবে বেড়ে চলেছে ঢাকামুখী নিম্নশ্রেণীর লোক।
আমার বাসার বানু, দুই সন্তানের মা। যথেষ্ট পরিশ্রমী। একটা ঘর নেই। লোন তুলে একটা ঘর করেছে। কিন্তু এই লোন শোধ করা হলো এখন ওর দায়। তাই লোন শোধ করতে ওর স্বামী ছুটল ঢাকা রিক্সা চালাতে। বানুর এদিকে কান্না শুরু, সেও যাবে ঢাকা। ভাবলাম ঢাকামুখী একটি পরিবার তো আমি থামাতে পারি। ওর স্বামীকে একটা রিক্সা কিনে দেওয়া হলো। ও ফিরে এলো কুড়িগ্রাম।
ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় সবুজ ঢাকার আন্দোলন জোরদার করতে হবে। সরকারী প্রচারনার পাশাপাশি জনগনকে সচেতন হতে হবে অবশ্যই। প্রতিটি বাড়ির ছাদে বাগান করা যেতে পারে।
বহুতল ভবন এর ডিজাইন এমন হলে তো সোনায় সোহাগা 🙂 এই ভবনটি ঢাকারই একটি সবুজ ভবন (গ্রিন বিল্ডিং)
আমার পরিকল্পনা হয়ে গেলো কিছুটা তুঘলকি কাণ্ডের মতো। মুহাম্মদ বিন তুঘলক প্রথমে কাগজের টাকার প্রচলন করেছিলো। লোকে তাকে পাগলের প্রলাপ ও কর্মকাণ্ড বলে তিরস্কার করেছিলো। একসময় তিনি তা বন্ধ করতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে সে কাগজের টাকাই মানুষ ব্যবহার করছে, উনি মারা যাবার অনেক বছর পরে।
যাই হোক আমি ধারাবাহিক তুঘলকি চিন্তা করতে থাকি। আর লিখে সোনেলার মাথা নষ্ট করি।
২৯টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
চমৎকার একটি শিরোনাম দিয়েছেন। এমন শিরোনাম আমার মাথায় আসেনা কেন? পোষ্ট এর বিষয়বস্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগি। এমন পোষ্টের জন্য আপনি ধন্যবাদ পেতেই পারেন। ঢাকাকে বাঁচাতে হবে, আর ঢাকাকে বাঁচাতে হলে ঢাকা মুখি হওয়া চলবে না। ঢাকার বর্তমান যে অবস্থা, তাতে এটি একসময় মৃত নগরীতে পরিনত হবে।
ট্যানারী শিল্প প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানীদের স্বার্থ বুঝতে পারলাম আপনার এই পোষ্ট পড়ে। দেশ ও পরিবেশ নিয়ে ভাবেন আপনি, যা অনেকেই ভাবেন না। এমন লেখা আরো চাই আপু।
মৌনতা রিতু
তাই তো আমার মাথার চুল সব পেঁকে গেছে।তাই চিন্তা করিয়েন না।
এতো বড় পোষ্ট ধর্য্য নিয়ে পড়েছেন!ধন্যবাদ।
এমন উৎসাহ দিলে কলম চলবে।
তা এই অধম যাই লেখুক,সোনেলা মাথা পেতে নিচ্ছে।কি যে ধর্য্য সোনেলার!
ব্লগার সজীব
আপনার কলম চলুক আপু, যত লিখবেন ততই পড়তে পারবো আমি 🙂 আপনার লেখার বিষয়বস্তু ভালো, একারনেই সোনেলা মেনে নিচ্ছে -{@
মৌনতা রিতু
লিখতে হবে মানতে হবে।করতে হবে।
খসড়া
বাপরে, এতো কঠিন ভাবনা বহুল পোস্ট।
জটিল হইছে লেখা টা
মৌনতা রিতু
তোমার সাহস,উৎসাহ,প্রশংসা এর কারণ।
জিসান শা ইকরাম
এমন একটি পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
চিন্তা ভাবনায় আপনি যে একজন পরিনত ব্লগার তা এই লেখা প্রমাণ করে।
সমাজ, দেশ, পরিবেশ নিয়ে আপনার ভাবনা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার
ঢাকাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে এবং বুড়িগঙ্গাকে বহমান রাখতে আপনার তুঘলকি চিন্তায় সমর্থন জানাচ্ছি।
মৌনতা রিতু
পরিবেশ নিয়ে এখনই ভাবতে হবে নইলে, নইলে আমাদের আগামি প্রজনম্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।
তাই সবাই আওয়াজ তুলুন,হাত তুলুন।আপনার সামনে কেউ নোংড়ামি করলে তাকে থামান।
আমি তো একবার মোংলাতে সাম্পান পার হবার সময়,এক লোকের মুখ থেকে সিগারেট নিয়ে নদিতে ফেলে দিছিলাম।আরো বলেছিলাম,”ব্যাটা বেশি কথা বললে তোকেও নদীতে ফেলে দিব।এমন এখন সবাইকে হতে হবে।
জিসান শা ইকরাম
,”ব্যাটা বেশি কথা বললে তোকেও নদীতে ফেলে দিব” —- বাপরে, আপনাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ 🙂
মৌনতা রিতু
হ্যাঁ,সত্যি ভাইয়া।এমন কাহিনী আরো আছে।কয়েকজনকে ময়লা ও তুলাইছি।তাও প্রশাষনের।
জিসান শা ইকরাম
একটি পরিবারকে ঢাকা মুখি না করার জন্য নিজে রিক্সা কিনে দিলেন,
নিজের বিশ্বাসে কতটা দৃঢ় হলে বাস্তবের কাজের সাথে মিলানো যায়, তা আপনার এই রিক্সা প্রদানেই প্রমান করে।
আপনি তো দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন এ বিষয়ে।
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই আপনাকে।
মৌনতা রিতু
তাইতো বোললাম,সবাইকে যার যার সামর্থ অনুযায়ি কাজ করতে হবে।এবং এটা বোলতে হবে প্রকাশ করতে হবে।অন্যকে উৎসাহি করতে হবে।
মৌনতা রিতু
আমি মসজিদে,এতিমখানায়,এবং মেয়ের বিয়ে,ভিক্ষা দেওয়া ছেড়ে দিয়েছি।অন্তত বছরে দু একটা কর্মমুখি ব্যবস্থা করতে পারলেই মন শান্তি।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সচেতনতাকে তুঘলকি বলি না, এর আগেও আপনি তামাকের চাষ
নিয়ে দারুণ কিছু লিখেছেন। বুড়িগঙ্গা বাঁচলে ঢাকা বাঁচবে আমরা মুকজে বলি, সভা সমাবেশ সেমিনারে গলা মোটা করি,
ব্যস, এ পর্যন্তই। কাজের কাজ কিছুই না। কাজীর গরু খাতা কলমেই থাকে,
গোয়ালে নয়,
আশাবাদী হতে চাই, একটু পারছি কৈ!!
মৌনতা রিতু
ভাইয়া,প্রথমেই ক্ষমা চাই,কারণ আমার অনেক বানান ভুল হয়।তবে এটা অনিচ্ছাকৃত।এই লুমিয়া টাচ্ ফোনটাই দ্বায়ী।পরে পড়ার সময় দেখতে পাই ঠিকই কিন্তু ঠিক কিছুতেই করতে পারি না।
আপনি আর জিসান ভাইয়া এগুলো ঠিক করে দেন পরে।এজন্য সরি ভাইয়া কষ্ট করার জন্য।
তবে এটা আমার বাপের বাড়ি তো সমস্যা নাই।
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না ভাই, চলুক।
বাপের বাড়ী বলে কথা।
মৌনতা রিতু
মুখে বললে হবে না।ব্যাক্তি পর্যায়ে কাজ করতে হবে।
শুন্য শুন্যালয়
অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজ নিজ জায়গায় সফলতা আনাই লক্ষ্য হোক সবার। আমাদের দেশেও একদিন সব ধরনের কাজকেই সম্মানের চোখে দেখবে সবাই, এই কামনাই করি।
কি করে এমন ভাবনাযুক্ত পোস্ট দিলেন আপু? অনেক যুক্তিপূর্ন একটি পোস্ট, শুধু যে সমস্যা দেখিয়েছেন তা নয়, সমাধানের পথও দেখিয়েছেন।, এটাই এই পোস্টের মূল গুরুত্ব বহন করছে।
চমৎকার তুঘলকি চিন্তায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্লাস প্লাস পোস্টে।
মৌনতা রিতু
বাহ!বুড়া বয়সে খাতায় প্লাস পাইতে তো মজাই লাগে!
ধন্যবাদ।ধর্য্য নিয়ে যে পড়েছেন এজন্য আপনাকে প্লাসে প্লাস।
পাশে থাকার জন্য,উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ।
আবু খায়ের আনিছ
সব কথা জমিয়ে রাখতে হচ্ছে, কারণ পূর্ণ বক্তব্য পাওয়ার আগে এই ধরণের লেখা মন্তব্য করা কঠিন।
আইন দিয়ে সব কিছু সম্ভব নয়।
আপনার একটা বক্তব্য খুব ভালো লাগছে, বিগত অনেক লেখায় বলেছি, ঢাকার উন্নয়ন করার জন্য যে ব্যয় করা হচ্ছে তা ঢাকার বাইরে ব্যয় করে ঢাকা বিমুখী করা হোক মানুষকে তারপর ঢাকার উন্নয়ন।
আরো অনেক বিষয় আসবে আশা করি।
মৌনতা রিতু
আমরক যদি পদ্মা সেতু করতে পারি,ঢাকাও বাঁচাতে পারব।
ওইটা নিয়ে আরো লেখার ইচ্ছা আছে,যদি সোনেলার ধর্য্য হয়!
আবু খায়ের আনিছ
অবশ্যই পারব, অসম্ভব বলে কিছু নাই।
অবশ্যই হবে আশা করি। সোনেলা লেখার জন্যই উন্মুখ হয়ে থাকে।
মৌনতা রিতু
ব্যক্তি পর্যায়ে করতে হবে।
ধন্যবাদ।
অরুনি মায়া
খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। এই ট্যানারি শিল্প হাজারিবাগকে মনুষ্য বসবাসের অনুপযোগী করে তুলেছে।সেই লেদার টেকনোলজি কলেজ থেজে শুরু হয় গন্ধ জিগাতলা পর্যন্ত। উফ কি বিভৎস্য। খুব কষ্ট হয় ঐ রাস্তা গুলো পার হতে।
আর বেড়িবাঁধের উপর গেলে তো নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। প্রচণ্ড বায়ু দূষণ। ওখানকার বাড়ির দেয়াল গুলো পর্যন্ত কালো হয়ে গেছে বিষাক্ত ক্যামিকেলের ধোঁয়ায়। আপু আলমারিতে রাখা আমার সোনার গহনা গুলো পর্যন্ত কালো হয়ে গেছে। গাছের পাতা গুলো কুঁকড়ে যাচ্ছে বেড়ি বাঁধের কাছের এক সীসা কারখানার জন্য। যদিও ট্যানারি গন্ধ আমি পাইনা বাসা থেকে তবে বায়ু দুষণের স্বীকার হই। খুব অবাক হই যখন দেখি এলাকাবাসী খুব সহজভাবেই মেনে নিয়েছে এই পরিণতি। যেন এটাই নিয়তির লিখন।
উফ ছাদ বাগানের স্বপ্ন আমার চিরদিনের। কবে যে আল্লাহ্ পূরণ করবেন। সাধ্যে থাকলে আমার দেশ টিকে আমি সবুজে ভরে তুলতাম।
ধন্যবাদ আপু -{@
মৌনতা রিতু
আওয়াজ তুলতে হবে।ঢাকা অর্থাৎ এক কথায় পরিবেশ বাঁচাতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ,ধর্য্য নিয়ে এতো বড় পোষ্ট পড়ার জন্য।
অনিকেত নন্দিনী
পোস্ট এবং প্রস্তাবনা দুইটাতেই +++
মৌনতা রিতু
প্লাস পেতে কার না ভাল লাগে।ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
জাপানে ছিলাম প্রায় ৫ বছর। এতো পরিষ্কার পথ-ঘাট আমি কোথাও দেখিনি। কারণ ওরা যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলে দিতো না। এমনও দেখেছি ডাষ্টবিন না পেলে খুঁজে হাতের ময়লা নিয়ে হেঁটেছে লোকজন। এখানে এই হ্যামিল্টনে দেখি যেখানে-সেখানে ফেলে দিচ্ছে ময়লা।
দেশে থাকতে আমার স্টুডেন্ট লাইফে এমনও হয়েছে বন্ধুদের দিয়ে ময়লা তুলিয়েছি যা ওরা ফেলেছে। আমি খুবই অপছন্দ করি তাদের, যারা জেনে-বুঝেও এমন করে।
মৌনতা রিতু
সত্যি এ এক অদ্ভুদ মানুষ জাতি।আশপাশে নোংড়া করতে পারলেই যেন বাঁচে।
অতচ সবাই সচেতন হলে কতো সুন্দর হত আমাদের এই পৃথিবী,এই দেশ।
আর আপু ট্রেনে তো বাদামের খোসার জালায় হাটাই যায় না।বাসে ট্রেনে বিড়ির গন্ধে উঠতেই পারবেন না।
কতজনের সাথে যে ঝগড়া হয় এটা নিয়ে,কি বলব।