হার্টের ইমো দেন নি বা বুঝেননি এর অর্থ এমন মানুষের সংখ্যা কম ইন্টারনেট জগতে। হার্ট দেয়া মানেই হৃদয় ঘটিত কিছু ব্যাপার স্যাপার।কত ধরনের যে হার্টের ইমো ব্যবহার করি আমরা!
ভাঙ্গা কোন হার্টের ইমো কেহ ব্যবহার করলেই বুঝা যাবে,তাহার হৃদয় ভাঙ্গিয়া দুই টুকরা হইয়া গেছে।আহারে কত কষ্ট 🙁 তখনই আগানে বাগানে এক হৃদয় হীনার কাছে হৃদয়ের গান কি আছে? গান গেয়ে থাকে অনেকেই। কেহ গায় ফাইট্টা যায় বুকটা ফাইট্টা যায় (-3 ;(
আবার তীরবিদ্ধ হার্টের ইমো হচ্ছে হৃদয় অবিরাম তীরের খোঁচা।চলছে চলবে এই খোঁচা খুঁচি। যার হার্টে তীর বিদ্ধ হয় সেই বুঝবে কর কষ্ট এই অবস্থায়, আর যিনি তীর বিদ্ধ করেন,সে মহা উল্লাসে এই কর্মটি সম্পাদন করেন।এই অবস্থায় ব্লগার সজীবের মত এমন অবস্থাও হতে পারে কারো কারো 🙁
ভাঙা আর তীর বিদ্ধ হার্ট নিয়ে আর কথা না বলি।দেখা যাক আমরা একে অপরকে বিভিন্ন সময়ে হার্ট এর ইমো দিয়ে থাকি।আমরা কি বুঝে হার্ট এর ইমো দিচ্ছি? হার্টের ইমোতে কিছু কিছু সময় আমরা রঙিন হার্ট দেই।সচেতন না হলে চরম ভুল বুঝতে পারার একটা সম্ভাবনা কিছু আছে এক্ষেত্রে।
রঙিন হার্টের অর্থঃ
কালো হার্ট
কিছুই না,এখনো কেউ কাউকে তেমন চেনা হয়নি তবে আগ্রহ আছে, এমন ক্ষেত্রে এই রঙের হার্ট প্রদান করা হয়।অন্য রঙের হার্ট প্রদানে অভ্যস্থ হবার পরে কালো হার্ট প্রদানের অর্থ হচ্ছে ‘ আমি তোমাকে ঘৃণা করি, রাস্তা মাপ বেটা/বেটি’।
নীল হার্ট
ভালোবাসার পত্তন হয়েছে।এটি প্রেমে পরিনত হবে কিনা,তার পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে, ভালোবাসা স্থির হয়নি এমন অবস্থায় এই রঙের হার্ট প্রদান করা হয়।
সবুজ হার্ট
একে অন্যকে বেশ ভালোভাবেই জানছে,বুঝছে, হৃদয়ে এক ধরনের সজীবতা অনুভুত হচ্ছে দুজন দুজনকে ভাবলে,এই পর্যায়ে সবুজ হার্ট দেয়া হয়।
হলুদ হার্ট
দুজন দুজনের কথা ভাবলেই উষ্ণ হয়ে ওঠে। দুজন ভালোবাসার উষ্ণতার মাঝে আছে। সহজ ভাষায় যাকে বলে একে অন্যের কথা ভাবলে গা গরম হয়ে যায় 🙂 গরমা গরম ভালোবাসার সময় এই হার্ট।
কমলা হার্ট
জানু তোকে ছাড়া আমি বাচুমনা,আমরা কবে বিয়ে করবো? সংক্ষেপে- বিয়ের জন্য উত্তপ্ত হয়ে যাবার সময় এই রঙের হার্ট।
লাল হার্ট
ভালোবাসার সমস্ত পর্যায় সমাপ্ত।এখন বিয়ের প্রস্তাব।’আমি তোমাকে বিবাহ করিতে ইচ্ছুক,তুমি কি রাজি?’ এই অবস্থায় লাল রঙের হার্ট।
ফেইসবুক বা বিভিন্ন সামাজিক ব্লগে দেখা যায়,একে অন্যকে হুট হাট করে লাল হার্ট দিয়ে দেন।বিবাহের প্রস্তাব হিসেবে দেন না নিশ্চয়ই।যদি তারা জেনে এবং বুঝে লাল হার্ট দিতেন তবে ছেলে ছেলেকে লাল হার্ট, মেয়ে মেয়েকে লাল হার্ট প্রদান হয়ত করতেন না :p
কালো,নীল,সবুজ,হলুদ পর্যন্ত হার্টের ইমো ভালোলাগা জনদের দেয়া যায়,কিন্তু কমলা এবং লাল হার্ট দেয়ার পূর্বে ভাবুন শতবার :p
৩৮টি মন্তব্য
তানজির খান
বাব্বা এক হার্টেই এত হাটাহাটি? অনেককিছুই বুঝতে পারলাম সজীব ভাই। শুভ কামনা রইল
ব্লগার সজীব
বুঝে শুনে হার্ট দিন 🙂
অনিকেত নন্দিনী
খাইছেরে! আমি তো এই ব্লগে বরাবরই ভালোবাসা বুঝাইতে (3 ইহা প্রদান করি। 😮
এখন আমার কী হপে কালিয়া থুক্কু, সজীব?
;( ;( ;( ;( ;(
;( ;( ;( ;( ;(
;( ;( ;( ;( ;(
ব্লগার সজীব
আপু না জেনে দিলে সমস্যা নেই,কিন্তু এখন তো জানলেন। এখন লাল হার্ট দিলে তো চুড়ান্ত অবস্থা 🙂 সমস্যা একটি আছে সোনেলায়।লাল হার্ট ব্যাতিত অন্য কোন রঙের হার্ট নেই। লিখে দিতে হবে আর কি? সবুজ হার্ট দিলাম, এমন।
অরুনি মায়া
বাপরে হার্টের এত্ত কাহিনী | আমি ব্লগে সবচেয়ে বেশি হার্ট দেই শুন্যাপুরে | 🙁
আপু বিশ্বাস কর আমি তোমারে একবারও বিয়ের প্রস্তাব দেইনি ;(
সজিব ভাইয়া তুমি এই কথার সাক্ষী আজ থেকে :p
ব্লগার সজীব
আপু আমি ছোট বলে এতদিন বুঝিনি লাল হার্টের মর্ম। এখন কিন্তু বুঝি :p আপনি শুন্য আপুকে লাল হার্ট দিয়েছেন এই কথার সাক্ষী আমি 😀
শুন্য শুন্যালয়
মায়াপু এই ছিল তোমার মনে? :p
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, নূতন জুটি বুঝি!!
তলে তলে এত্ত কিছু!!
ব্লগার সজীব
:p :p
শুন্য শুন্যালয়
পিচ্চি থেকে এত দেখি একবারে ইঁচড়ে পাকা হয়ে গেছে। বাব্বাহ, একেবারে হার্ট নিয়ে পুরো পিএইচডি?
হলুদ আর কমলা হার্টের বিবরণ শুইনা তো মাথায় গোলমাল দেখা দিল, এখনো যদিও চোখে পড়ে নাই। 🙂
কিন্তু ঘটনা হইলো, সোনেলা দেখি সবাইরে বিয়েতে উৎসাহী করে তুলতেছে, তাই অন্য সব সিম্বল রাখেনাই। আবার সোনেলা বুঝতে পারে নাই, সজু পন্ডিত এসে সব গুমোর ফাঁশ করে দেবে, এইটাও হইতে পারে।
তা ভাভু বাইয়া, তোমার হার্টে তীর মারলো কিডা? মানে কিডা কিডা? এখনো আগানে বাগানে এক হৃদয়হীনার কাছে গান গাও? আহারে আর কেউ আইলোনা?
তুমি কিন্তু গুপন একটা ষড়যন্ত্র শুরু করেছ বলে মনে হচ্ছে, এখন হার্ট সিম্বল দিমু ক্যাম্নে? 🙁 ♥
ভোরের শিশির
পিএইচডি= পিউর হার্ট ডায়োগনসিস্ট
:D) :D)
ব্লগার সজীব
আগানে বাগানে এখনও যাই আপু,সজনির দেখা পেলাম না যে এখনো,কত দূরে সে আছে কে জানে 🙁 হলুদ আর কমলা হার্টের বিবরন পড়ে আমিও টাস্কি খেয়েছি।ভাগ্য ভালো যে ঐ রঙের হার্ট এখন পর্যন্ত দেইনি কাউকে :p হার্টে তীর নিয়ে আছি আপু 🙁 কালো হার্ট দিলেন? এরচেয়ে না দেয়াই ভালো ছিলো 🙁 আমি আপনার সদ্য পরিচিত? পুর্বে এত আদর করে এখন দিলেন কালো হার্ট? 🙁
ভোরের শিশির
পিএইচডি= পিউর হার্ট ডায়োগনসিস্ট
:D)
শুন্য শুন্যালয়
😮 তাই? এইজন্যেই তো সজু বাইয়া হার্টের পিছনে লাগছে, আবার কেউ তারে হার্ট দিছে সম্প্রতি এইটাও হইতারে।
ভোরের শিশির
সজু বাইয়াকে তো কত্তজনে হাট দেওয়ার জন্য লাফাচ্ছে, কিন্তু পিচ্চি বলে সাহস করছে না মনে হয় :p
শুন্য শুন্যালয়
পিচ্চি বলেই তো হার্ট দেয়া যাবে যত্তখুশি। বড় হয়ে গেলেই সমস্যা, ঠিক বলছিনা ভাভু বাইয়া?
এই নাও ভাভু (3
ভোরের শিশির
হিহিহি… আমিও দিলাম সজু বাইয়াকে (3 (3 (3 😀
ব্লগার সজীব
আমি শুন্য আপুর লাল হার্ট নেবো, শিশির ভাইয়ারটা কিভাবে নেই? রঙ ভাববেনা আমাকে সবাই? :p
ব্লগার সজীব
পিএইচডি= পিউর হার্ট ডায়োগনসিস্ট !! ^:^ বাহ বাহ 🙂 ,ভোরের শিশির ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
ভোরের শিশির
যার যা ইচ্ছে ভাবুক, আপনি সজু বাইয়া এটাও জানুক 😀
পিএইচডি সজু বাইয়া 😀 :D)
ব্লগার সজীব
পিএইচডি সজু 😀 নিজেরেই নিজে কতগুলো হার্ট দেই এই খুশীতে (3 (3 (3 (3
ভোরের শিশির
সজু বাইয়াআআআআআআআআআর কত্ত হাট… :p
মোঃ মজিবর রহমান
ডক্টর কাম পি এইচ ডি
কবে থেকেইকা সজিব বাইয়া।
আপনার আন্ডারে করন জাইব?
নাসির সারওয়ার
হায় হায়, কই কি!
আমি হইলাম ইমো মাস্টার আর আমি এর কিছুই জানিনা! ঘটনা সত্যিতো!
ভুলেও কোনোদিন আর ইমোই দিমুনা…।
জিসান শা ইকরাম
বাহ বাহ এ দেখি হৃদয় এর ব্যাপারে বিশাল পণ্ডিত এখন সোনেলায় 🙂
গরমা গরম ভালোবাসার সময় হলুদ হার্ট !!! জানা থাকলো
তা এই সব কালারের হার্ট কিভাবে দেবে সবাই? উপরে শুন্য শুন্যালয় তো কিভাবে জানি কালো হার্ট দিয়ে দিলেন।
সোনেলায় তাহলে অনেক বিবাহের প্রপোজ জমা হয়ে আছে
যে হাড়ে অনেকে হার্ট আদান প্রদান করেছে,
কবে যে এসব বিয়ের খাবার খাবো ভাবছি।
নিয়মিত থাকুন এখানে।
অপার্থিব
বিশাল জ্ঞান অর্জন করলাম। হার্ট নিয়ে এত রিসার্চ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে আর কেউ করেছে কিনা সন্দেহ আছে। 😀
অভিনন্দন…
মিথুন
আমি আপনাকে চুপি চুপি একটা হার্ট দিতে চাই ভাইয়া, প্লিজ কাউকে বলবেন না। ২ নাম্বার টা :p
সোনেলায় এমন এক হৃদ বিশেষজ্ঞ থাকতে কিনা আমি পালপিটিশনে ভুগছি। আমিতো আপনাকেই খুঁজছি। :p
ব্লগার সজীব
আপনার হার্ট নিতে ভয় করে আপু। আপনি আর স্বপ্ন ভাইয়া নিজেরা নিজেরা মারামারি করে যেভাবে রক্তারক্তি করেন, কখন এসে স্বপ্ন ভাইয়া আমাকে এসে খপ করে ধরে ফেলেন। আমার হার্ট দরকার নাই আপু, আমি বাঁচতে চাই 🙁 কোন পালপিটিশন এর চিন্তা নাই, আমি আছি না? 😀
ছাইরাছ হেলাল
হৃদ বিশেষজ্ঞ আছে তা এই জানলাম, কোথায় যেন ‘রং’ এর ছোয়া ও যেন ভেঙচি দিচ্ছে,
তবে ইমো জানি না, কেউ শেখায়নি তাই রক্ষে,
কোথায় কী দিয়ে বসতাম কে জানে।
আপানার এবারে হিল্লে হবে বলেই মনে হচ্ছে।
ব্লগার সজীব
ইমো জানেন না বেঁচেছেন ভাইয়া। ভুল ইমো দিলে তো সব শেষ। মান ইজ্জত নিয়ে টানাটানি হয়ে যেতো :p দোয়া করবেন ভাইয়া।
আবু খায়ের আনিছ
ভাইরে, দীর্ঘকাল ধরে অনলাইনে বসবাস করেও আমি এই হার্ট বা ইমো প্রদর্শন সম্পর্কে আজো অবগত হইতে পারলাম না। ইমোর ব্যবহার আমি জানি না, আর করতেও সাচ্ছন্দ বোধ করি না। তবে জেনে রাখলাম সেই সাথে এটাও জানলাম, সজু ভাই প্রেম বিশেষজ্ঞ ও।
ব্লগার সজীব
ইমো না শিখে খুবই ভালো করেছেন ভাইয়া। ভুল ইমো দিলে ঝামেলা হয় খুব 🙂 প্রেম বিশেষজ্ঞ হয়ে কোনই লাভ হয়নি ভাইয়া 🙁
মেহেরী তাজ
নতুন বছরের শুভেচ্ছা শিষ্য!
লাল হার্ট এর ব্যাপার টা নিয়ে একটু টেনশন এই আছি! ;?
আমার যদ্দুর মনে পরে আমি শুন্য, অরুনি, লীলা আর নীলা আপুকেই সবচেয়ে বেশি লাল হার্ট দিছি।
এবার তুমি আমাকে বল শুধু ” ভালোবাসা “, সার্বজনীন “ভালোবাসা প্রকাশের জন্য কি কোন রঙ এর ইমো আছে!
ব্লগার সজীব
ওস্তাদ, কত যে মিস করি আপনাকে সোনেলায়,তা বুঝিয়ে বলতে পারবো না। আপনার জন্য সাত খুন মাফ। যেমন ইচ্ছে তেমন রঙের হার্ট আপনি দিন 🙂
শুধু ” ভালোবাসা “, সার্বজনীন “ভালোবাসা প্রকাশের জন্য সবুজ রঙের হার্ট দেয়া যায়।
ড্রথি চৌধুরী
এসব দেখি হার্ট এর হাটবাজার ;?
হুম এখন দেখছি হার্ট নিয়ে একটু হার্ডলি ঘাটাঘাটি করতে হবে 😀
ব্লগার সজীব
হার্ট নিয়ে হার্ডলি ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে :D) :D)
ড্রথি চৌধুরী
এত খুশি ক্যানো ?? ঘাটাঘাটি করে কি কিছু পেলেন? :p
ব্লগার সজীব
পেয়েছি পেয়েছি আপু :p