শুধু তোমার বাণী নয় গো, হে বন্ধু, হে প্রিয়,
মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো।
বন্ধুত্ত্বের স্পর্শ কেমন? তাও প্রাণের ভেতর! এ প্রশ্নের উত্তর খুবই কঠিন। আবার অত্যন্ত সহজও বটে। তা নইলে আজ এখানে কেন? গুগল কি কারো বন্ধু হতে পারে? জানা ছিলোনা। তবে গুগল উপকার কম করেনি। কতোকিছু পাইয়ে দিয়েছে। আমি লেখিকা নই। তবে খুব কড়া টাইপের পাঠিকা। কড়া বলতে কঠিন না কিন্তু। অনেক বাছ-বিচার করি পড়তেও। সহজে কারোও ভক্ত হতে পারিনা, আবার একেবারে এড়িয়েও যেতে পারিনা। তবে অনেক পড়ি। এইরে পরিচয়টুকু দিয়ে নেই আগে।
আমি রাত্রি। এই দেশের মেয়ে। খুব সাধারণ একজন। দেখতে কিংবা কথা বলায় আলাদা কোনো বিশেষত্ত্ব নেই। কিভাবে এখানে এলাম? গুগলে সার্চ দিচ্ছিলাম সোনালি-সোনালু শব্দদুটোর মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরীর লোভে। অমনি চলে এলো সোনেলা। সোনেলা- কখনো এমন শব্দ তো শুনিনি! অভিধান ঘেঁটে কিছুই পাইনি। হাল ছেড়ে দিয়ে অতঃপর ওপেন করলাম পাতাটা।
——সোনেলা দিগন্তে জলসিঁড়ির ধারে———
এক এক করে পড়া শুরু করলাম। প্রচুর ব্লগ দেখেছি। এখানে ঘরোয়া আসর দেখলাম। আড্ডা পছন্দ করি, তবে নিজে কম বলি তো, ওটাই একটা সমস্যা। তবুও প্রিয় রবীন্দ্রনাথ আছে, বিষ্ণু দে’র কবিতা “ত্রিপদী”, “উপোসীর চোখ মেলাও এখানে একটি সোনালী নদী।
——– জীবন দেখাও স্বচ্ছ আকাশ, মানুষেরা সব পাহাড় মুক্ত শহরে, কেউবা মুক্ত গায়ে।”
কি দারুণ সব পংক্তি! এসব ভাবি আর নিজেকেই প্রশ্ন করি কিভাবে সবাই লেখেন? কেন আমি পারিনা? জীবনের প্রথম লেখা এই আজ, এখন। সাহস পেয়েছি কোথা থেকে? এই ঘরোয়া আসরে এসে বেশ ভাব নিয়েই ফেললাম। না-চেনার ভীড়ে অনেকের লেখা অনেক পরিচিত লেগেছে। রিমি রুম্মানের “বাবাহীন বাবা দিবস আমার” বড়ো গভীর ক্ষতের ভেতর ক্ষত এই বুকের গহীনের নৈঃশব্দে। লীলাবতীর “আসুন প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেই”(জেনে গেলাম সোনেলার নিয়ম-কানুন), “জেগে ওঠা ঘুম” কিভাবে উনার নাম শুন্য হলো? ভেবেছি বহুবার, উত্তর পাইনি। অবাক হয়েছি পাখীকে এভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর লেখা এবং ছবি, তারপর জলের মাঝে যে মুগ্ধতা কি বলা যায় জিসান শা ইকরামকে? একজন মায়াবতী কন্যা নাকি রাজকন্যা? কি উনার পরিচয়? অরুনি মায়ার মায়ায় আবেশ ছড়ানো। কার নাম ছেড়ে কার কথা বলি? ছাইরাছ হেলাল উনার লেখা পড়ে আরোও বেশী অবাক কবিতার ভাঁজে ভাঁজে এতো কথা! হুম ভাবায়। মেহরী তাজের নিজের মুখোমুখি হওয়া, ব্লগার সজীবের বানান নাহ শিখতে হবে। আর নীতেশ বড়ুয়া আত্মদর্শনের সাথে প্রাণখোলা হাসি, কিভাবে আর আটকে রাখা যায়? সীমান্ত উন্মাদের লেখা রম্য থেকে রাজনীতি এমন প্রতিভা আমার যদি থাকতো! একটা নাম নীলাঞ্জনা। শুনেছি এ নাম যাদের, তারা নাকি অনেক অহঙ্কারী হয়! তাই কি? জানিনা কিছুই। আবার অরণ্যের আবৃত্তি শোনার পর থেকে জানার ইচ্ছে উনার কন্ঠ শুনে কতোজন এ পর্যন্ত প্রপোজ করেছে? অনেক অনেক প্রতিভাবানদের ভীড়ে নিজের পরিচয় দেয়ার মতো তেমন যোগ্যতা নেই। জানি।
তবে,
লেখিকা হিসেবে আমি আসিনি, আমাকে পাওয়া যাবেও না। আশা করি সোনেলার এই সিঁড়িতে বসে সবার গল্পের সাথে ছন্দ মেলাতে পারবো। আর আমাকে এই সুযোগটুকু দেয়া হবে। তারপরেও যদি প্রশ্ন আসে সবার থেকে, জয় গোস্বামীর কয়েকটি পংক্তি ছাড়া আমার কাছে আর কিছু নেই।
“আজ যদি আমাকে জিগ্যেস করো : ‘এই জীবন নিয়ে তুমি কি করেছো এতদিন ?’
— তাহলে আমি বলবো এর বেশি আর কিছুই আমি বলতে পারবো না।”
৩৭টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
স্বাগতম আপনাকে।
লেখিকা আপনি নয় কিন্তু যা লেখেছেন তা কিন্তু লেখার দক্ষতা না থাকলে সম্ভব হত না। লিখবে না কেন? অবশ্যই লিখবেন, সোনেলা আপনার লেখা ডায়রীর মত। শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা থাকল আপনার জন্য। -{@ -{@ -{@ -{@
রাত্রি রায়
কিছুই না লিখে এমন প্রেরণাদায়ক মন্তব্য পেয়ে ধন্য মনে করছি।
ধন্যবাদ আনিছ।
নীতেশ বড়ুয়া
লেখিকা বা লেখক তো সবাই হতেই পারে না কিন্তু পাঠক হওয়া কিন্তু এই লেখক/লেখিকার চাইতেও বড্ডো বেশী কঠিন… আমি নিজে পাঠক তবে সবই পড়ি বা পড়ার চেষ্টা করি। আপনার মতোই ‘পাঠে পাঠে আসে বেলা’, ‘কলম খুলে শব্দ খোঁজা’… আজকাল তো পাঠক তেমন নেই…
আপনার পাঠের অভ্যেস বা পাঠের রুচি যে খুবই কড়া তা আপনার বাক্য গঠন বা কবিতার কয়েক লাইন এনে প্রকাশ করা থেকেই পরিষ্কার।
সোনেলায় না লিখেও লেখা হয়ে যায় সবার। হয়তো বা মন্তব্যে, হয়তো বা নিজের খাতায় এখানে। এইযে শুরু করে দিলেন, পাঠে পাঠে আমি বুঝে নিয়েছি আমরা আরো পাবো আপনাকে এমন করে কখনো মন্তব্যে তো কখনো নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশে এখানে…
এও জেনে নিলাম আপনি বেশ আগে থেকেই সোনেলার পাঠক… খুবই ভাল লাগছে এই জেনে যে এখানে আমরা যারা নিয়মিত আছি তাঁদের বাইরেও অনেকেই নিয়মিত আছেন আমাদের সাথে, প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে। ধন্য হলাম আপনাকে এখানে পেয়ে।
আপনার উপস্থিতি সেই আগের মতই চাই তবে এখন হতে প্রকাশ্যে।
স্বাগতম সোনেলায়। -{@
নীতেশ বড়ুয়া
বেশ কজনের নাম নিলেন যাদের পোস্ত ভাল লেগেছে আপনার। আপনি চাইলে কৃন্তনিকা আপু লেখা পড়তে পারেন। একেবারেই ভিন্নধর্মী ফিউশন গল্প লিখেন উনি। প্রতিটাই আমার চোখে মাস্টারপিস…
আবারো শুভেচ্ছা। -{@
রাত্রি রায়
মনে হচ্ছে জমবে বেশ। কথার গাঁথুনিতে বেশ কিছু সামঞ্জস্যতা দোল খাচ্ছে। কলমের মুখ আজকাল খোলে আর ক’জনে বলুন! নোখের উল্টোপিঠের নরম মাংস টকাটক শব্দে অক্ষর ফুঁটিয়ে তোলে। চোখের সামনে কোনো কাটাকুটির দাগ কিংবা আহ্লাদী অক্ষরের মৃত্যু হয় না।
এসেছি পড়তে, পাঠক হয়েই থাকতে চাই। তাই সবার লেখাই পড়বো, এটুকু নিশ্চয়তা শতভাগ। আর এভাবে স্বাগত জানাবে কেউ আমায়, কখনোই ভাবিনি। ধন্যবাদ নীতেশ।
নীতেশ বড়ুয়া
এটা জরুরি নয় যে সকল লেখক মাত্রই ভাল পাঠক কিন্তু সকল পাঠক মাত্রই সমালোচক, তবে এটা জরুরি যে সকল লেখক মাত্রই সমালোচনা সইতে হবে আর কিছু পাঠক ভাল সমালোচনা করে যাবে। জরুরি হচ্ছে সবাইকেই পাঠক হতে হবে আর সমালোচনা করতে জানতে হবে আর সেই সাথে নিতেও…
উপরের কথাগুলো বলার কারণ আজকাল পাঠক কম লেখক বেশি… আপনি পাঠক পরিচয়ে নিজেকে সামনে নিয়ে এসেছেন, অতএব আপনার সমালোচনা চাইই চাই। কথার গাঁথুনির চাইতে সামঞ্জস্যতা এই যে আপনি যেমন পাঠক কড়া তেমনি শব্দের গাঁথুনিতেও বেশ কড়া। পড়বেন আর সেই সাথে সমালোচনায় আমাদের আনন্দিত করবেন এই আশার সাথে আপনার লেখার পাঠক হতে আমাকে বা আমাদেরকে বঞ্চিত করবেন না বিশ্বাস করছি।
ধন্যবাদ রাত্রি। সোনেলায় পাঠক-লেখক হিসেবে আপনাকে স্বাগতম। -{@
রাত্রি রায়
আপনি আমাকে অনেক বিশাল এক আসনে বসিয়ে দিচ্ছেন, এড়ানো যায় যদিও। কিন্তু ক্রসিং-এই দূর্ঘটনা ঘটে। তাই সেই ঝুঁকি নিতে চাইনা। পাঠক হবার যথেষ্ট সুবিধা। আর এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার লোভ সামলাতে পারছিনা কিছুতেই। দেখি সময় কি বলে! শুধু সময় নয়, আপনিও আছেন। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
হাহাহাহা… এগুতে হলে এমন ক্রসিং পার হতেই হবে… আপনি কেমন পাঠক তা তো জানিয়েই দিয়েছেন আর কেমন লেখন তা প্রতিটি মন্তব্যে শব্দের বিন্যাসেই বুঝা যাচ্ছে।
সময় শুধু সময়ের কথাই বলে… আমরা সবাই আছি আপনার লেখার অপেক্ষায় 😀
রাত্রি রায়
এই সেরেছে এরপর কি আর বলবো! ক্রসিং পার হবার চেষ্টাই করিনি। কে চায় দূর্ঘটনা ঘটুক?
নীতেশ বড়ুয়া
হাহাহা… ক্রসিং পার হতে হলে অবশ্যই দেখেশুনে পার হতে হয়… তা হলে আর কোন ঘটনাই আসবে না দূর হতে… :p
যা ইচ্ছে তাই বলে যান আর অন্তত আমি গোগ্রাসে তা শুনতে (গিলতে!) থাকি। 😀
রাত্রি রায়
যথেষ্ট বলে ফেলেছি।এতো কথা বলি আমি, নিজেই অবাক! আর এ বোধ করি সোনেলা ছাড়া আর কেউ জানেনা। যারা বলতে ভালোবাসেন, তাদের কাছে আপনি যত্ন পান সেটা নিশ্চিত।
নীতেশ বড়ুয়া
এট নিশ্চিত আমার অনেকেই জানে না আমি এতো বলি। যত্ন এবং তিরস্কার দুটই পাই বটে। এই মহুর্তে কোনটা পেলাম তাই ভাবছি বসে বসে ;? :p
রাত্রি রায়
না না তিরস্কার কখনো কাউকে করিনি। যে কথাই বলতে পারেনা, তার থেকে তিরস্কার পাওয়া কি সম্ভব!!! বলতে চেয়েছি আপনার এই আনন্দ পেতে অনেকেই হয়তো খোঁজে, তাই না?
ছাইরাছ হেলাল
এটা আপনার প্রথম লেখা!!
অসীম ভাগ্যবান আমারা যারা সোনেলায়।
স্বাগত আপনি এখানে।
রাত্রি রায়
যেভাবে দুটি আশ্চর্যবোধক চিহ্ন দিয়েছেন, তাতেই আমি কূপোকাৎ। আর ভাগ্যের কথা বলছেন, কপালের ভাঁজে ভাঁজে যদি ভাগ্যর বাস হয়ে থাকে, তাহলে “সু” তো আমারই। মনে হয় বেশ সুন্দর শুরু অক্ষর সহযোগে সাহিত্যিক লেখার পথ চলা। ধন্যবাদ ছাইরাছ হেলাল।
ছাইরাছ হেলাল
শুনেছি কুষ্ঠি বিচারের জন্য আর জ্যোতিষ হতে হয় না।
রাত্রি রায়
সে খবর তো জানিনা। কুষ্ঠি বিচার করা হয়নি, আর জ্যোতিষীর কাছে যাওয়াও হয়নি। ভাগ্য নিজেই তৈরী করি।
তানজির খান
রাত্রী রায়, আপনার নাম ও লেখা দুটিই ভাল লাগল।এখানে আপনাকে স্বাগতম। সোনেলা ভালবাসার মুক্ত মঞ্চ। একটা পারিবারিক আবহাওয়া সব সময় বিরাজ করে। অসীম ভালবাসা নিয়ে প্রতিটি ব্লগার লিখে যাই পাশাপাশি।খুব ভাল লাগছে যে ব্লগ একাউন্ট খুলেই আপনি নিয়ম কানুন জেনে নিয়েছেন, অনেকের লেখা পড়েছেন। আবারও স্বাগতম।
রাত্রি রায়
নামে কিবা এসে যায়! বলুন তানজির! এসেছি পড়তে এবং জানতে কিভাবে লেখেন আপনারা সকলে। ঘরোয়া আসর বলে আমার জন্য সুবিধা হবে শেখার এবং জানার। ভালোবেসে কেইবা লেখে আজকাল আর! নিয়ম-কানুন মেনে ভালোবাসা যেমন হয়না, তেমনি সৃষ্টি করা যায়না সাহিত্যও। তাইতো চলে এলাম ঘরোয়া ভূবনে। ধন্যবাদ তানজির।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
স্বাগতম
আসুন মুক্তমন নিয়ে
এখানে সবাই একাত্বা এক পরিবার -{@
রাত্রি রায়
একাত্ম হয়ে চলা অনেক কঠিন, কিন্তু কতো সহজে আপনি বললেন। তার মানে এখানে এসে আমি ঠিক কাজটিই করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে মনির।
নাসির সারওয়ার
আমিও নতূন এই সোনেলাতে।
সুযোগ হোলো কাউকে স্বাগতম জানাবার।
রাত্রি রায়
তাই বুঝি? তাহলে তো আমরা বন্ধু হয়েই গেলাম। নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজই হোক, কি বলেন নাসির? সাথে গানও থাকুক, “যদি বন্ধু হও, যদি বাড়াও হাত।”
নাসির স্বাগত আপনাকেও স্বাগতার পক্ষ থেকে।
জিসান শা ইকরাম
স্বাগতম সোনেলায় -{@
প্রথম লেখা এমন হলে পরের লেখা গুলো কি হবে ভাবছি।
সবার সম্পর্কে হালকা বিশ্লেষণ করলেন, প্রমান দিলেন অনেক দিন হতেই সোনেলায় চোখ আপনার।
লিখুন নিয়মিত
শুভ কামনা।
রাত্রি রায়
আমি আজ সত্যিই গর্বিত। যাঁর লেখায় জলের মাঝে মুগ্ধতা পাওয়া যায়, তাঁর থেকে স্বাগতবাণী পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। নিজেকে ভি.আই.পি লাগছে। অথচ সাধারণের চেয়েও সাধারণ আমি। লেখা কিভাবে লিখতে হয় সেটাই জানিনা। তারপরেও এভাবে স্বাগতম জানাচ্ছেন সকলে। ভুল করিনি এখানে এসে। কথা দিচ্ছি পাশে থাকবো প্রতিটি লেখার, সোনেলার এই ভূবনে। যদি অনুপস্থিতির মধ্যে পাওয়া যায় আমায়, বুঝে নেবেন,
“দ্বিধান্বিত সাহিত্যের ভাঁজে সু-সভ্যতার জঙ্গলে
পরাধীন নাগরিক ব্যস্ত, বাস্তবতার ক্ষুধা-তৃষ্ণা মেটাতে
জীবন্ত এক আগ্নেয়যুদ্ধে।” জিসান ধন্যবাদ আপনাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
স্বাগতম রাত্রি।
জানতে চেয়েছেন আমি অহঙ্কারী কিনা! মানুষকে ভালোই বোঝেন। আমি অহঙ্কারী নই।
তবে কোথাও থেকে সরিয়ে নিলে আর ফিরিনা। বোঝা যায়না প্রথমে।
যাক লিখেছেন পাঠক হতে এসেছেন। মনে হয়না পারবেন শুধু পাঠক হয়ে। কারণ এই ঘরের সদস্যরা মারাত্মক, ভালোবাসার জালে এমনভাবে আটকে ফেলবে, কখন যে লেখা শুরু করে দেবেন বুঝতেও পারবেন না। তাই আমি বলবোনা লিখতে। সময়ই লিখিয়ে নেবে, জানি আমি। -{@
রাত্রি রায়
অবশেষে একজন মানবীর মুখ দেখলাম। যদিও আমি রেসিষ্ট নই। নারী-পুরুষ সমাধিকারে বিশ্বাসী। কিন্তু ভাবছিলাম।
আপনার কথাই ঠিক। মারাত্মক ভালোবাসার জাল মেলা এখানে। যাক আপনিও সময়ে বিশ্বাসী? ভালো লাগলো। ধন্যবাদ নীলাঞ্জনা।
অরুনি মায়া
সোনেলায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি |
বাপরে রাজকন্যা টিও দেখি নজর এড়ায়নি আপনার
🙂 -{@
রাত্রি রায়
রাজকন্যার মন্তব্য পেয়ে ধন্য হলাম। এড়ানোর মতো কি আপনি? প্রশ্নটির উত্তর আশা করছি রাজকন্যা।
আর ধন্যবাদ রাজকন্যা অরুনি মায়া।
অরুনি মায়া
অনেক বেশি কঠিন প্রশ্ন ছিল যে!
উত্তর টি তৈরি হবার আগেই হারিয়ে গেল,,
তাই রাজকন্যা নিশ্চুপ ,,
রাত্রির বুঝি রাতেও ঘুম নেই 🙂
রাত্রি রায়
এই না! রাত এগারোটা পর্যন্ত জেগে থাকা আমার জন্য খুবই কঠিন। আমি ভোরের পাখী। ঠিক ওই কবিতার মতো আমার জীবন।
Early to bed & early to rise.
অনেকেই আমাকে একঘেঁয়ে বলে। সময়কে মেনে নিয়ে চলি কিনা। শুনুন রাজকন্যা উত্তর খুঁজে আনুন। 🙂
অরণ্য
রাত্রি! সোনেলায় স্বাগতম! -{@
রাত্রি ভাবনা আসতেই নানা গান ভিড় জমালো, যখন ভাবলাম আপনাকে একটা গান শেয়ার করি। একটা গান খুঁজে পেলাম না প্রমিথিউসের (সম্ভবত তাই হবে) গাওয়া “রাত্রি, রাত্রি, হৃদয়ে রাত্রি/ পাশে নেই মোর রাত্রি…”।
ক’জন প্রপোজ করেছে কন্ঠ শুনে এ জিজ্ঞাসায় খুশি হব নাকি বলে উঠব “আমারে মাইরালা” বুঝতে পারছি না। 😀 তবে সে সংখ্যা একাধিক হবে। দুইও একাধিক, তাই না! 🙂 আপনি বেশ হাসালেন।
অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য। (y)
রাত্রি রায়
অন্যরকমভাবে স্বাগত জানানো। সাথে গান।
একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে, কিভাবে হাসালাম! উত্তরটা খুঁজে যদি পান, জানতে দেবেন কিন্তু।
শুভকামনা জানাচ্ছি আপনাকেও অরণ্য।
শুন্য শুন্যালয়
এটি আপনার প্রথম লেখা বুঝি? 🙂 আমার কিন্তু একটা lie detector আছে। আর যদি সত্যি হয়, কি বলবো? হবে, আপনাকে দিয়েই হবে।
শুন্য নাম কিভাবে হলো, এতো ভাবছেন? শুন্য ছাড়া কিছু ভেবে দেখুন তো পারেন কিনা, এবার বুঝুন কেন এই নাম আমার।
আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি ভয়ে ভয়ে, শুরুতেই যা লিখেছেন, তাতে আশংকার কারন আছে বৈকি 🙂
স্বাগতম রাত্রি -{@ নাম রাত্রি হলেও দিনে রাতে সারাক্ষনই সোনেলায় থাকুন, শুভকামনা।
রাত্রি রায়
স্বাগত জানাচ্ছি শুন্য। শুন্য আজ পূর্ণ করে দিয়েছে। কিভাবে?সে তো শুন্যই জানেন। আচ্ছা আমায় ওই lie detectorটা কি ধার দেবেন please? মেশিনের উপর ভরসা নেই। আমায় ভয়! পাঠক হিসেবে ভয় পাইনা, কিন্তু যখন আঁকিবুঁকিও করি খাতায়, ভয়ে কুঁকড়ে যাই। তাই পাশে থাকুন, আপনাদের লেখার মন্তব্যকারিনী হতে যেনো পারি। ধন্যবাদ আপনাকে শুন্য।
অরণ্য
রাত্রি রায়!
কাল রাতে ঠিক লেখা ছিল একটি
আজ কেন তা নয়?
আমারও অনেক কথা ছিল তাতে
মিলেছিলাম আমি কিছু কিছু মতে
প্রকাশে ছিল ভয়।
হে রাত্রি!
মুছে তুমি মোটেও ঠিক করোনি তা
কেন করেছ যে আমি জানি না তা
এমনটি কেন হয়?
যা খুশি তুমি লিখতেই পার
জয়ের পাশে তুমিও হার
মেনে নিলেই তা হয়!
রাত্রি রায়
অরণ্য আমি লেখা সরিয়ে নেইনি। মুঁছিনি।
লেখাটিকে খেয়ালে রাখার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।