ফিরে আসেনি তোমাতে আমাতে যে লুকোচুরি ছিলো একদিন। যে অপেক্ষা ছিলো দুপুরের, চোখ পালিয়ে সবার, তোমার চোখ বেঁধে দেয়া হাতে, বলতো আমি কে? ফিরে আসেনি সেই সে অপেক্ষা আর কোনদিন। ফেলে গেলে একদিন, যেদিন আমার হাতে ছিলো কলা পাতায় মুড়নো একটি বুলেট। সুমন, আমি গন্ধ পাচ্ছি বাতাসে, হারানোর গন্ধ। তুমি কেমন ভিরু হয়ে কিছুক্ষণ লেপ্টে থাকলে গায়ে। আমি যুদ্ধে যেতে চাইনা মিরু, যাবোনা আমি। দুজনই চুপচাপ ফিরে এসেছি, পেছন ফিরে দেখেছি কি দেখিনি আজ তো মনে পরেনা।
সুমন কে আর দেখা হয়নি। পারেনি সে, যা কেউ পারেনি। তাজা বারুদের গন্ধ সেঁটে গায়ে কেউ পায়নি বাতাসে ধুপের গন্ধ।
আমি মিরু, আজো বাঁচিয়ে রেখেছি সুমন কে। যে যা হারিয়েছে সেদিন পাথরের স্মৃতিসৌধে খোঁজেনা তারা ফেলে যাওয়া কান্না। রক্ত আর কান্নায় মিশে যাওয়া বুকে সুমনরা হারিয়ে যাবে কেমন করে? প্রতিরাত কেঁটেছে যে সম্ভ্রমহীনতার আতংকে, বুলেট আতংকে, তোমাকে ফিরে পাবার আকাংখা সেখানে নিতান্তই তুচ্ছ ছিলো। শুধু তারপর–আজও নিশ্চিন্ত ঘুমে সেই ঘুম পাড়িয়ে দেয়া তুমি আছো ঘুমপাড়ানি সৌধ হয়ে।
২৪টি মন্তব্য
মিথুন
ধন্যবাদ সজীব ভাইয়া।
শুন্য শুন্যালয়
আজও মিরু আছে, সুমনরা তাই বেঁচে আছে। যেদিন মিরুরা থাকবেনা সেদিন সুমনরা শুধুই থাকবে পাথরের সৌধ হয়ে। আমাদের জন্য নিশ্চিন্ত ঘুম এনে দেয়া সব সুমন, মিরুদের স্যালুট। সেই সময়ের প্রতিটা মানুষই যুদ্ধ করেছে।
মিথুন
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু———–
প্রহেলিকা
টাচি লেখা, ভালো লেগেছে। সাথে মনে হচ্ছে সেই বীরদের আত্মত্যাগের কথা, সময় বহমান তবে সেই মহানদের ভুলতে পারবে না কেউ যারা বিন্দুমাত্র হলেও দেশকে ভালবাসে। লেখাটিকে এ-বুকে নেয়ার জন্য সম্পাদকের নিকট আবেদন জানাচ্ছি।
লেখা ভালো লেগেছে অনেক, শুভকামনা মিথুন আপনার জন্য।
মিথুন
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। ই-বুকের জন্য সাজেস্ট করছেন, এজন্য আরো ধন্যবাদ। সম্পাদক কে, তাইতো জানিনা। লেখা যাক বা না যাক, ই-বুকের সাফল্য কামনা করছি———-
প্রহেলিকা
মিষ্টি খাওয়ানোর ভয়ে লুকানোর চেষ্টা করছেন কিছু বুঝতে পারছি! সম্পাদক সাহেব কে জানি না তবে উনি জলজ্যান্ত আপনার নাম তুলে দিয়েছেন তা কিন্তু দেখতে পাচ্ছি। এইবার মিষ্টি খাওয়ান।
মিথুন
সত্যি বলছি আমি ঘুষ দিইনি, নাম দেখে খুশি হলাম খুব। এতো মিস্টি খাওয়া ভালো না—————
অরণ্য
একটা নয় দুটো ইংরেজী শব্দের সাহায্য নিচ্ছি আপনার এই লেখাটির মন্তব্য করতে গিয়ে – Exceptional এবং Extraordinary। (y)
মিথুন
আমি একটাই ইংরেজী শব্দের সাহায্য নেবো, thanks 🙂
বনলতা সেন
আত্মত্যাগী বীরদের স্মরি সসম্মানে।কোথায় লুকিয়ে ছিল এ লেখা।
মিথুন
এতোদিন মিছেমিছি প্রশংসা করা হয়েছিল তাহলে ;?
ধন্যবাদ আপু———
মেহেরী তাজ
মিরু সুমনরা বেঁচে থাকবে অনন্ত কাল।মিরুরা বলে যাবে সুমনদের কথা আমাদের,আমরা বলে যাবো পরবর্তি প্রজন্মের কাছে। ভালো লিখেছেন আপু।
মিথুন
হ্যাঁ, খুব সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে———-
সীমান্ত উন্মাদ
বুলেট বিদ্ধ আত্মাগুলোর বেঁচে থাকার ভরসা হল স্মৃতি। শুভকামনা থাকল নিরন্তর।
মিথুন
আপনার জন্যও শুভেচ্ছা———-
ছাইরাছ হেলাল
আপনার লেখা ! না না ,আপনার হতেই পারে না।
নিয়মিত লিখতে শুরু করুণ। আর লিখে রেখে ভাগলে হবে না।
লুতুপুতু থেকে বেরিয়ে এসে এক লেখাতেই কিস্তি মাত অবস্থা।
দারুণ লিখেছেন আপনি।
মিথুন
ভেগে গেলেও ফিরে আসবো, নিশ্চয়তা দিচ্ছি। লুতুপুতু লেখা থেকে বেরিয়ে এসে, হুম বুঝে গেছি; যাক তবু এ লেখাটি ভালো লেগেছে 🙂
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া —————–
মরুভূমির জলদস্যু
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো -{@
মিথুন
আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা————-
মিথুন
আপু সত্যি বলতে লেখালেখির অভ্যাস আমার নেই, এই সোনেলাতেই যা লিখি, তাই হজবরল র বেশি কিছু হয়ে ওঠে না। লেখাটি ভালো লেগেছে বলে খুশি হলাম, ধন্যবাদ জানবেন———-
খেয়ালী মেয়ে
কতো কিছুর বিনিময়ে যে পেলাম এই দেশ তার হিসেব মিলানো সত্যিই কঠিন 🙁
মিথুন
হিসাব মেলানো যাবেনা কোনদিন আপু। শুধু যদি নুন্যতম শ্রদ্ধাটুকু তাদের দিতে পারতাম!!
স্বপ্ন
মিরুরা বেঁচে থাক,তাহলেই সুমনরা বেঁচে থাকবে আমাদের মাঝে।কত কিছু লিখতে পারেন আপনি 🙂
মিথুন
আপনি বুঝি বিশ্বভ্রমনে বের হয়েছিলেন? এতদিন পর!! সুমন, মিরুরা হারাবেনা কোনদিন, বেঁচে থাকবেই তারা আমাদের মাঝে। আপনিও যে অনেক কিছু লিখতে পারেন তা বের হচ্ছে ধিরে ধিরে। ধন্যবাদ আপনাকে স্যার। (3