চোখের পরে আগুন জড়ো হলে পরে –
পথের পাশে হঠাৎ পেয়ে যাওয়া পাতাহীন বৃক্ষকে বলি আমার অভিজ্ঞতার কথা।
বেচে থাকার এবং মৃত্যুর অভিজ্ঞতা, রং বদলের এবং দুঃখ দিনের গাথা।
এবং একটি পাখি এসে বসে পাতাহীন ডালে –
পাখিটি জানেনা, বেচে থাকাই শেষ কথা অভিযোগ করাটাই বোকামি,
একা পাখি, বোকা পাখি শিস দেয় বেখেয়ালে।
এবং বৃক্ষের গায়ে বসা কাঠঠোকরাটিও –
দিনমান স্মৃতির গায়ে ঠুক ঠুক, ঠুক ঠুক
একই পৃথিবীর হাজার রকমের স্বপ্নের গায়,
চেনা পৃথিবীর চেনা মুখ সব আড়াল, আড়াল।
কাঠঠোকরা বিরামহীন ঠুকরে চলেছে, নির্দয় স্বপ্নভুক।
চোখের পরে আগুন জড়ো হলে পরে –
হঠাৎ পলাতক বৃষ্টি এসে ধুয়ে দিয়ে যায়, অলখঝোরায়।
২৮টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
চোখের পরে আগুন জড়ো হলে পরে –
হঠাৎ পলাতক বৃষ্টি এসে ধুয়ে দিয়ে যায়, অলখঝোরায়।
সুন্দর অভিব্যাক্তি -{@
সাইদ মিলটন
থ্যাংকস ভাইজান , আসলেই নোনাজলধারা এসে আগুন ধুয়ে নিয়া যায় – না হইলে অনর্থ হইয়া যাইত 🙂
বন্য
কাঠঠোকরা শুধু ঠুকরে যায় সবটুকু খায় না, **পাখিটি জানেনা, বেচে থাকাই শেষ কথা অভিযোগ করাটাই বোকামি,**
despondency বলবো তাকে? সেটি আপনি ভালো বুঝবেন। ***চোখের পরে আগুন জড়ো হলে** এটাকে কি Enthusiasm বলবো ? আমার মনে হলো ব্যথাবোধ কারণ তারপরইতো বৃষ্টি এসে ধুয়ে দিয়ে যায়, মেঘহীন আকাশে বৃষ্টি হতে দেখিনি কখনো। তারপরও বলছি ভালো থাকুন প্রিয় সাইদ ভাই।
সাইদ মিলটন
বলাই যায় , তবে এক্সট্রিম নাহ 🙂 অবশিষ্ট রয়ে যায় বলেই না বৃক্ষ বেঁচে থাকে।হ্যা বেঁচে থাকে 🙂
আর Enthusiasm -“Some of us get dipped in flat, some in satin, some in gloss….” হাহহাহাহা তারপর বৃষ্টি এসে ধুয়ে দিয়ে না গেলে অনর্থ হয়ে যায় যে, সৃষ্টি টিকবে না। আর টিকে থাকাটাই মুল কথা । ডিয়ার বন্য, সাইদ ভাই ভালোই থাকবে আপনাদের ভালোবাসা তাকে বাঁচিয়ে রাখে 🙂
বন্য
হা হা হা টিকে থাকার রসদ রয়েছে আপনার কাছে তা বুঝতে পারি, এই না হলে সাইদ ভাই! তারপরও কেন জানি গল্প শুনতে মন্দ লাগে না যদি না গল্পের পিছনে না থাকে আরেক গল্প, পিছনের গল্প একটু বেরসিক হয় বটে!! তবে যে ভাঙ্গতে জানে তার কাছে তো সব কিছুই ভাঙ্গা সম্ভব যেমন আজ এক কবি লিখলো ***চেনা পৃথিবীর চেনা মুখ সব আড়াল*** তারপরও তাকে দেখা যায় উদ্দীপনার চিত্রায়ণে !!!
সাইদ মিলটন
চেনা পৃথিবীর চেনা মুখেরা আসলেই আড়াল, কবি মাটির সাথে সম্পর্ক রহিত টবের জীবন কাটায় 🙂
আবিদ রোজীনা
কেমন এক দমবদ্ধ কষ্ট, বুকের মাঝে আটকে থাকা কষ্টের বাস্পের মত অনুভুতিতে ছেয়ে গেলো মন। কি বুঝেছি কে জানে।
সাইদ মিলটন
বৃষ্টি নামুক বৃষ্টি
বাষ্পেরা জল হয়ে বয়ে যাক, দমবন্ধের বড় কষ্ট 🙁
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছু ধুয়ে গেলেও ঠুক ঠুক চালু থাকে। বৃষ্টি এলেও।
সাইদ মিলটন
নিরন্তর ঠুক ঠুক ঠুক ঠুক
চলুক, এই নিয়েই বেঁচে থাকি 🙂
মামুন
সুন্দর অনুভূতির নির্যাসে মুগ্ধ হলাম!
ভালো লাগা রেখে যাচ্ছি।
শুভসকাল। -{@
সাইদ মিলটন
থ্যাংকস মামুন ভাই 🙂 শুভ সন্ধ্যা
মোঃ মজিবর রহমান
চোখের পরে আগুন জড়ো হলে পরে –
হঠাৎ পলাতক বৃষ্টি এসে ধুয়ে দিয়ে যায়, অলখঝোরায়।
সুন্দর ভালো লাগলো সাইদ ভাই।
শুভেচ্ছা।
সাইদ মিলটন
ধন্যবাদ ভাই
আপনাকেও শুভেচ্ছা 🙂
মরুভূমির জলদস্যু
-{@ দিনমান স্মৃতির গায়ে ঠুক ঠুক, ঠুক ঠুক -{@
এভাবেই দিন চলে যায়।
সাইদ মিলটন
হ্যাঁ
দিন যায়, পাতা ঝরার দিন
শুভেচ্ছা ভাই
নুসরাত মৌরিন
“পাখিটি জানেনা, বেচে থাকাই শেষ কথা অভিযোগ করাটাই বোকামি,
একা পাখি, বোকা পাখি শিস দেয় বেখেয়ালে।”
ভাইয়া আপনার কবিতাগুলো সবসময়ই দারুন।আর কিইবা বলবো!! 🙂
সাইদ মিলটন
অসংখ্য ধন্যবাদ নুসরাত 🙂
জিসান শা ইকরাম
ভালোবাসা নিয়ে ভালো থাকুক আমাদের সাঈদ ভাই।
ভালো লেগেছে অনেক অনেক।
মায়া সব কিছু এলোমেলো করে দেয়।
সাইদ মিলটন
হ দাদা 🙂
মায়া কাটানর উপায় খুইজা পাইলে বইলেন ,প্লিজ 🙂
সায়ন্তনু
স্মৃতিচারণ বলে মনে হচ্ছে।
সাইদ মিলটন
🙂
শুন্য শুন্যালয়
লেখার প্রশংসায় আর যাবোনা।
বেঁচে থাকাই আসলে শেষ কথা। আপনার লেখার সাথে মিল নেই, তবু একটা পছন্দের ডায়লগ মনে পরলো, মনপুরা মুভির। বুড়ি নানী বলছে, তোদের মতো বয়স আমারও ছিল, যখন প্রেমে পরেছিলাম দুনিয়াটা কতো সুন্দর লাগতো। নাত্নী প্রশ্ন করলো, এখন সুন্দর লাগেনা নানী? নানী বলে, লাগে, যখন পেটটা ভইরা ভাত খাই তখন।
কাঠঠোকরার স্মৃতির গায়ে ঠুকঠুক করা, পলাতক বৃস্টি, এই দুটোই গেঁথে গেলো মনে। অদ্ভূত সুন্দর লেখা শিমূল থুক্কু সাঈদ ভাই।
সাইদ মিলটন
দেখেছি মুভিটা আমার অনেক প্রিয় 🙂
জ্ঞান হবার পর স্বেচ্ছায় হলে গিয়ে দেখা প্রথম বাংলা মুভি এইটা 🙂
রাত পেরুলেই আকাশ আমার
রাত পেরুলেই ভোর 🙂
শুভ কামনা
খসড়া
উপরে সবাই সব কথা বলে দিয়েছে , নতুন করে আমি আর কি বলব। ভাল থাকুন, আমাদের ভাল রাখুন।
সাইদ মিলটন
ভালো আছি ভালো আছি 🙂
শুভকামনা
খেয়ালী মেয়ে
কষ্টের কথা পড়তে এতো ভালো লাগে কেনো? ;?
সাইদ মিলটন
;? চিন্তার বিষয়
btw ইটের নীচে ঘাস চাঁপা পরে আছে নাকি ? 🙂