
জয় ওয়াস রুম থেকে ফ্রেস হয়ে এখন ড্রয়িং রুমে । ডাইনিং রুমে দুপুরের খাবার রেডি ।
ভাইয়া খেতে এস ভাবি ডাকছে , আপনিও আসেন ।
মেয়েটা র বয়স ষোল সতের হতে পারে । কন্ঠটাও বেশ সুন্দর এই মেয়ে গান করলে ভাল নাম করতে পারবে । সম্ভবত সে এই লোকটার বোন সম্পর্কের কেউ ।
রাতুল:
শাহিন ভাই আসেন আমরা একসাথে বসি ।
দাঁড়ান দাঁড়ান আপনি আমার নাম জানলেন কিভাবে ?
এটা কোন ব্যাপার নয় টেবিলে আপনার অফিসের আইডেন্টি কার্ডটা পেয়েছিলাম ওখান থেকে দেখেছি ।
ঐশি তুমিও আমাদের সাথে বস ।
তোমার নাম জেনেছি ভাবির কাছ থেকে । ভাবি কিচেন থেকে বেশ কয়েক বার তোমাকে ডেকেছে ।
শাহিন:
আপনি তো সবই জেনে গেলেন । কিন্তু আপনার নামটা তো জানতে পারলাম না ।
আমি জয় ।
ঠিক আছে জয় আপনি ড্রয়িং রুমে রেষ্ট নিন আমি একটু বাইরে বের হব । একবার অফিস থেকে ঘুরে আসা দরকার । এই ঐশি দেখিস তোর ভাইয়ার কোন কিছু প্রয়োজন হয় কিনা ।
ঐশি বারবার আড় চোখে জয়কে দেখছে । জয় এতক্ষণ খেয়াল করেনি এবার চোখে চোখ পড়ায় দেখতে পেয়েছে ।
ঐশি:
আপনি কি করেন ?
চাকুরি
কি চাকুরী ?
এই তো ছোট খাট চাকুরী ।
চা খাবেন ?
না
তোমাদের টিভির রিমোট টা কই ?
এই তো
হাত থেকে রিমোট টা নেয়ার সময় পড়ে গেল । তুলতে গিয়ে দুজনের মাথায় ঠোকাঠুকি ।
এটা আপনি কি করলেন ?
আমি আবার কি করলাম ?
মাথায় মাথায় একবার লাগলো কি হয় জানেন ?
না
মাথায় শিং গজায় ।
সত্যি !!! বল কি !!
তাহলে এখন উপায় ?
উপায় একটা আছে দুইবার লাগলে ঠিক হয়ে যায় ।
না আমি এসব বিশ্বাস করি না পারব ও না ।
না বললে হবে না । আমার মাথায় শিং উঠলে আমাকে বিশ্রী দেখাবে । কেউ আমাকে বিয়ে করবে না ।
জয় বেশ মজা পেয়েছে । ।
ঠিক আছে তবে তোমার মাথায় শিং উঠুক । আমি জীবনে শিং ওয়ালা মেয়ে দেখিনি ।
মাথায় শিং উঠলে আমাকে কে বিয়ে করবে । আমার কোনদিন বিয়ে হবে না ।
ঠিক আছে যাও কেউ বিয়ে না করলে আমি করব ।
মেয়েটা দ্রুত মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল ।
জয় ভাবছি একটু বেশী হয়ে গেল বোধহয় । মেয়েটার মনে হয় মেন্টাল প্রবলেম আছে । না হলে এত বড় মেয়ে বাচ্চাদের মত বায়না ধরবে কেন ?
চলবে…………….
৯টি মন্তব্য
সঞ্জয় কুমার
আগের পর্বটি এখানে https://sonelablog.com/archives/18387
শুন্য শুন্যালয়
আপনার আগের লেখাটি কোথায় গেলো? 🙁
সঞ্জয় কুমার
অর্পিতার জন্য ওটা সরিয়ে দিয়েছি । এক পেজে একই লেখকের দুইটা লেখা থাকা দৃষ্টিকটু ।
শুন্য শুন্যালয়
খুঁটি নিয়ে খুঁটিনাটি লেখাটি সত্যি ভালো হয়েছিল। জানিনা কেনো মুছে দিলেন।
অর্পিতা তে নতুন টার্ন আসছে মনে হচ্ছে। পড়ছি নিয়মিত।
সঞ্জয় কুমার
হুম নতুন টার্ন মাঝে মাঝে আসবে । কিন্তু জয় আর অর্পিতা র সবসময় একই রকম থাকবে ।
জিসান শা ইকরাম
একটা লেখা লেখক লিখে তা প্রকাশ করলে তা আর লেখকের সম্পুর্ন নিজের থাকেনা। সে লেখায় বিভিন্ন পাঠকের মন্তব্য থাকে। যারা মন্তব্য করেছেন , তাঁরা ভালো লেগেছে বলেই মন্তব্য করেছেন। তাঁদের সেই ভালোলাগা বা পরিশ্রমের অসন্মান করার অধীকার লেখকের নেই — এটি আমার ধারনা। খুটি লেখাটি ভিন্ন ধরনের লেখা ছিলো । আমার কাছে সেটাই আপনার সেরা লেখা মনে হয়েছে।
সঞ্জয় কুমার
বুঝেছি কিন্তু এক পেজে দুই লেখার সীমাবদ্ধতার কারণে লেখাটি মুছে দিয়েছি । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । ।
সঞ্জয় কুমার
আন্তরিক ভাবে দুঃখিত । এখানে লেখা কেউ পড়ছে বা দেখছে কি না তার কোন অপশন নেই । একটাই অপশন মন্তব্য দেখা । সেই বিচারে খুঁটি নিতান্তই নড়বড়ে অবস্থানে ছিল ।
জিসান শা ইকরাম
লেখাটি কতবার পড়া হয়েছে, তার অপশনটি থাকলে আপনি এই মুহুর্তে খুব হতাশ হতেন। ব্লগীয় যোগাযোগ টা কমে গিয়েছে আপনার। যার কারনে মন্তব্য কমে গিয়েছে।
এক পেইজে দু লেখা নয়।
আপনি ভাবুন ২৪ ঘন্টায় এক পোষ্ট।
এক পোষ্ট দেয়ার ২৪ ঘন্টা ১ মিনিট পরে আপনি আর একটি পোষ্ট দিতে পারেন।
শুভ কামনা ।