ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে নিষিদ্ধের ঘটনায় দেশ এবং দেশের বাইরে তোলপাড় । দেশ বিদেশের প্রচার মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ পাচ্ছে এই ঘটনা । এই ঘটনার পক্ষে বিপক্ষে ভোটের আয়োজন করেছে জনপ্রিয় ক্রিকেট সাইট ক্রিক ইনফো । খেলা থেকে সাকিবকে নিষিদ্ধের ঘটনা সাকিবকে হয়রানি করা হচ্ছে এমন মতামত দিয়েছেন এখন পর্যন্ত ৪৮.২৫% , নিষিদ্ধের পক্ষে ৪৭.২৫% এবং কোন মতামত দেননি ৪.৫০% ভোটার , আপনিও এই ভোটে অংশ নিন ।

দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় চলে আসছে ঘটনার পিছনের ঘটনা । কেনো একজন বিচারক এত ক্রুদ্ধ হয়ে সাকিবকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন , তাতেই বুঝতে পারা গিয়েছে , আসল কাহিনী অন্য , এবং এর পিছনে আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান এর ব্যাক্তিগত ক্ষোভ , হিংসা রয়েছে ।

সাকিব ব্যতীত দুজনকে এই পোষ্টে পরিচয় করিয়ে দিতেই হয় ।

নাজমুল হাসান পাপন । বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান সভাপতি। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের বর্তমান সংসদ সদস্য । তাঁর অন্যতম পরিচয় হচ্ছে তিনি বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ আইভি রহমানের একমাত্র সন্তান।

ফারাজ করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম রাউজানের আওয়ামীলীগ মনোনীত সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী পুত্র । দেখতে সুদর্শন হলেও তার কীর্তিকলাপ মোটেও সুবিধার নয় । এ সেই বখাটে ছেলে, যে কিনা কিছুদিন আগে বাংলাদেশ-ভারত বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচ চলাকালে মিরপুর স্টেডিয়ামের ভিআইপি বক্সে সাকিব আল হাসানের স্ত্রী শিশিরকে উত্ত্যক্ত করেছিলো। স্ত্রীকে উত্ত্যক্তের খবর পেয়েই সেদিন সাকিব ড্রেসিংরুম থেকে চলে আসেন এবং স্বভাবতই উত্ত্যক্তকারী এই ছেলেটিকে ব্যাপক মারধর করেন ।বিস্তারিত পড়ুন এখানে ।

পাঠক , আশাকরি এবার বুঝতে পেরেছেন কি হয়েছে । পাপন সাহেব আবার ফজলে করিম চৌধুরী সাহেবের বন্ধু । দুয়ে দুয়ে চার মিলে যাবে আশাকরি ।
বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার তাঁর স্ত্রীকে ইভ টিজ করার প্রতিবাদ কেনো করবেন ? তিনি মুখ বুজে সহ্য করবেন এইসব বখাটেদের অত্যাচার । আপনি একজন স্ত্রীর স্বামী হয়ে পারবেন আপনার স্ত্রীর প্রতি ইভ টিজিং নিরবে সহ্য করতে ?

সাকিবের স্ত্রীকে নিপীড়ন করার সাথে জড়িত চার তরুণই কথিত অভিজাত পরিবারের সদস্য। তাদের একজন রাহিদ রহমানকে (২৩) গত ১৮ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর ১০ নম্বর রোডের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া তরুণ ইভটিজিংয়ের মত ফৌজদারি অপরাধে জড়িত হলেও তিনি অভিজাত পরিবারের সন্তান। তার বাবা দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বজলুর রহমান।

এছাড়া অন্য তিন জন ইভটিজারও অভিজাত পরিবারেরই সন্তান। তাদের একজন হলেন চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত সরকারদলীয় এক সাংসদের ছেলে।

ঘটনাচক্রে এই অভিজাত টিজারদের একজনের বাবা বিসিবি প্রধান পাপনের বন্ধু। পাপন যেই ক্লাবের হয়ে ক্রীড়া সংগঠক পরিচয়ে বিসিবির সভাপতি হয়েছেন, ইভটিজারের বাবা আবার সেই ক্লাবের একজন পরিচালক।

ফলে এটিই হয়তো অভিজাত ন্যায় নীতি যে সাকিব তার স্ত্রীকে নিপীড়নের প্রতিকার চেয়ে মামলা করলেও তাকে সেই মামলা তুলে আপোষ করতে হবে। এজন্য সাকিবকে প্রচণ্ড চাপের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আরো বিস্তারিত পড়ুন এখানে । 

সাকিকবে নিষিদ্ধের জন্য ব্যক্তিগত রাগ অনুরাগ প্রভাব বিস্তার করেছে । সাকিবের উচিৎ সব কিছু প্রকাশ করে দেয়া । আমরা সাকিবের শাস্তি চাই যতটুকু সে অপরাধ করেছে তার ভিত্তিতে । পাপন সাহেব ক্রুদ্ধ হয়ে সাকিবকে তুই তুকারি ‘ ও ‘ ও সম্মোধন করার তীব্র প্রতিবাদ জানাই । পাপন সাহেব বলেছেন সাকিবের বিরুদ্ধে নাকি অনেক অভিযোগ , কিন্তু তিনি তা প্রকাশ করছেন না , নিজের স্ত্রীকে ইভটিজিংয়ের স্বীকার হওয়া থেকে বাঁচাতে মাঠ থেকে ভিআইপি লাউঞ্জে এসে ওনার বন্ধুর ছেলেকে পিটিয়েছেন , এটা তো একটি বড় অভিযোগই হবে। বিস্তারিত পড়ুন ।

আমরা চাই,বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে যতদ্রুত সম্ভব আবার খেলার মাঠে দেখতে।

 


 

১৮৮০১জন ১৯৬৪০জন
0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ