যাক না গোল্লায় দেশটা
মরে মরুক আমজনতা
খোজেঁও পাবে নাকো আমার লেশটা
আমিই চালাই আমার স্বাধীন দেশটা।
আমি চিনি আমি সব জানি
আমজনতার হাড় হাড্ডির সব খবর রাখি
একটা সমস্যার আড়ালে টেনে আনি আরেকটা
বে মালুম আম জনতা ভূলে যাবে আগেরটা।
সাগরের জল শুকিয়ে রুনিকে দিলাম বিসর্জন
কালো বিড়ালের রহস্যাটা গেলো সব চুকে
তারেককে মেরে মিল্কীকে দিলাম কোরবানী
ডিজিটালের জোয়ারে আমিই রাণী মহারাণী।
হোসেনের সেভেন মার্ডারে ছিল ডিজিটালের যাদু
মিছিল মিটিং আর নিন্দায় যতই উঠুক ঝড়
বারকোডের পাসওয়ার্ড সূত্রে গেথেছিঁ নজর
পাসওয়ার্ড বিহীন খুলিবে ঝট আছে কোন মহাজন।
ক্ষমতার বিসমিল্লাহয় আগাছা ছেটে
বিডিআর কে বিজিবি তে হলো রূপান্তর
দশ মিনিটে শাপলা চত্ত্বর হলো পরিস্কার
মিরপুর নীলফামারী রক্ত ক্ষয়ী জনতা ভাসছে
রক্তের বন্যায়।
বেকারের অভিশাপে দিশেহরা যখন শিক্ষিত যুবক
রপ্তানী পণ্য গার্মেন্টেসে যখন পেল একটু শীতল ছায়াঁ
এখানেও হায়নার দল করে নিঃস্ব হাজরো পরিবার
সেই রানা ক্ষমতার বলে আজও জেলে
দিব্যি তার জীবন চলে।
প্রতি পাচঁ বছর অন্তর অন্তর আমাদের দেশে জাতীয় নির্বাচন আসে আমরা দল বেধে ভোট দেই পাশ করাই নিজের পছন্দ মতন নেতাদের।নেতারা ভোট পেয়ে সংসদে যান সরকার গঠন করেন দেশ চালান তার বিনিময়ে নেতারা বেতন ভাতা পান।রাষ্ট্রীয় কোষাগারে আমাদের মতন গরীব খেটে খাওয়া দুঃখীদের ট্যাক্স,খাজনাএবং পরিশ্রমের রক্তে ভেজাঁ দিয়ে প্রবাসী রেমিটেন্টস থেকে আয় করে সরকারী কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেয়া হয়।সে অর্থে তারা জনগণের চাকর আরো একটু ভাল করে বললে জনতার অধিনস্ত কর্মচারী।বরই দুঃখের বিষয় এই অধিনস্তরাই আমাদের উপর হামলা করে আমাদের পদে পদে উন্নয়ণে বাধা দেয়, কিছু একটা অধিকার চাইতেই বুলেটের গুলিতে বুক ঝাঝড়া করে,অত্যাধুনিক অস্ত্র ক্রয় করে আমাদের মৃত্যুকে সহজ করতে,মাকে করে সন্তান হারা বোনকে করে বিধবা আর শিশুদের করে এতিম। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নজির বিহীন ত্রাস সাধারন জনগণের উপর দিয়ে চলে।মিরপুরে বিহারী পল্লীতে আগুন কিংবা নীলফামারীর বর্বরতা মধ্যো যুগের বর্বরতাকেও হার মানায়।
নূর হোসেন বললেন “নেতাই তাকে ভারতে যেতে বলেছেন” সেই নেতা কে বুঝতে মনে হয় আর কারো অসুবিদার কথা নয় আলোচিত নূর হোসেন এবং সাংসদ শামীম ওসমানের টেলি আলাপ ।আলোচিত এই ফোনালাপই বলে দেয় তার নেতা কে।নূর হোসেন সীমান্ত পাড় প্রশাসনের ব্যার্থতা নয় সীমা বদ্ধতা প্রশাসনের এমন বক্তব্য কি বলে,রাজনিতী করো সাত খুন মাফ তাহলে আমরা সাধারন জনগণ কাদের ভোট দিয়ে নিরাপদে থাকব। সেভেন মার্ডারে rab এর সম্পৃক্ততা একটা সময় নজরুলের শশুড়ের বক্তব্যের জের ধরে বেরিয়ে আসে এমন চানচল্যকর তথ্য এবং Rab এর কয়েক জন ডাক সাঈডের উচ্চ পর্যস্ত কর্মকর্তা গ্রেফতার এবং রিমান্ডে লোমহস্যকর স্বীরুক্তি পাওয়া যায়।যা থেকে প্রতীয়মান হয় যে এরকম বহু ঘটনার জম্ম দাতা তারাই ।Rab ১১ কার্যালয়ে এর শীতলক্ষ্যা নদী ঘেষে গড়ে তুলেছেন Rabটর্চার সেল সেখানেই তাদের প্রথম অত্যাচার করা হয়।বর্তমান আওয়ামী সরকারের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর আত্ত্বীয় ছিল rabএ যার কারনে এর দায় সরকারও এড়াতে পারেন না। সেভেন মার্ডার নিয়ে রাজনিতীর নোংরামী আমাদের রাজনিতী আর রাজনিতীবিদদের প্রতি ঘৃণা জাগিয়ে তুলে যদিও বি এন পির চেয়ারপরসনস লোক হারানো স্বজনদের কাছে গিয়েছিলেন কিন্তু বড় দুঃখের বিষয় এত বড় একটা ঘটনার খোজঁও নিতে এলেন না ক্ষমতাসীন পার্টির উচ্চ পর্যস্ত কেউ।এ এক আজব স্বাধীন দেশ যাদের ভাল থাকার জন্য দেশ স্বাধীন করলো ত্রিশ লক্ষ্য প্রানের রক্তে সেই তারাই আজ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির কাছে অবহেলিত অত্যাচরিত। সেভেন মার্ডার লাশ শীতলক্ষ্যায় ভেসে উঠা লাশগুলো যেন কেদেঁ কয় মরেও তারা শান্তিতে নেই।বিচারের বাণী অন্ধকারে নিভৃতে কাদেঁ আজও। সেভেন মার্ডারের ব্যাপারে শ্রদ্ধেয় সাংসদ শামীম ওসমানের বক্তব্য শুনলে মনে হয় সে দুধে তুলসীপাতা তবে অপরাধ প্রুভ না হওয়া পর্যন্ত তাকেও আমরা দায়ী করতে পারি না কিন্তু তাহার কথা বার্তায় মাঝে মাঝে সে নিজেও জানেন না সে কি বলছেন। নূর হোসেন কলকাতায় গ্রেফতার এ আরেক সরকার দলীয় লোকের কৌশল মনে হচ্ছে।হোসেন সহি সালামতে ইন্ডিয়া পাড় হতে পারল কিংবা তাকে কেউ একজন তার কথা মতে পাড় করাল অথচ যখন তাকে ফিরিয়ে আনতে জনগণ ক্ষেপে গেল সরকারের উপর তখনই হোসেন সহ তিনজন অস্ত্রসহ মধ্যপতাবস্হায় গ্রেফতার।সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এরই মধ্যে হোসেনের বান্ধবী নীলা সহ আরো কত কি লোক দেখানো কাজ সেরে ফেলেন সেখানেও ছিল প্রশাসনের এক প্রকার ব্যাবসা।এখন হোসেনকে ফেরত না এনে তাকে ইন্ডিয়ায় গ্রেফতার দেখানোর কারন কি?ইন্ডিয়ায় বাংলাদেশী আরো সন্ত্রাসী লুকায়িত আছে তাদেরকে তো ধরছে না ভারত সরকার।কৌশল একটাই হোসেন যদি কোন মতে বাংলাদেশে আসতে পারেন তবে সরকার এবং অন্যান্য রাজনিতীবিদের অনেক রাগব বোয়াল ফেসে যেতে পারেন যা সরকারের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের নোংরা রাজনিতী প্রশ্নের সম্মুখিন হতে পারে।সেই অপরাধে জন্য হোসেন সেখানে হয়তো সাজা প্রাপ্ত হবেন এবং সাজা খাটা পর হোসেনকে দেশে পাঠাবে ততক্ষনে সরকারের মেয়াদও শেষ হবে।এটা আমার ধারনা এমনটি নাও হতে পারে।কিংবা আপনার মতের অমিলও হতে পারে।যেখানে সারা নারায়ণগঞ্জ এমন কি নিহত প্যানেল মেয়র নজরুলের স্ত্রী সরাসরি নিদিষ্ট একজনকে গড ফাদার বলে হত্যার অভিযোগ এনেছেন যা আমরা টিভি এবং পত্রপত্রিকায় দেখেছি।ঘটনার চক্রাকারে বার বার সে আলোচনায় আসছেন সেখানে আমাদের সম্মানীত প্রধান মন্ত্রীর একটি বক্তব্য বড়ই হতাশ করেছেন আমাদের।আওয়ামিলীগের জম্মস্হান কিংবা জম্মদাতা হিসাবে সেই পরিবারকে পাহাড়া দেবার যুক্তিকতা এবং প্রতিষ্টিত করার অধিকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আছে কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় যদি সেই পরিবারে কোন অপরাধী থাকে তাকে বাচানো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কত খানি অধিকার রাখেন সেটাই এখন প্রশ্ন আর যেই মুহুর্তে সাতটি তাজাঁ লাশের গন্ধ যখনও শুখায়নি সেই মুহুর্তে এমন বক্তব্য বড়ই হতাশার জম্ম দেয় জনতার মাঝে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে কিংবা যুদ্ধের পরবর্তী শাসন আমাদের বাংলার স্হপতি যার জম্ম না হলে বাংলাদেশের জম্ম হত না সেই মহান সর্ব কালের সেরা পুরুষ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শাসন কালও দেখিনি তবে স্বচোক্ষে দেখা মুরুব্বিদের কাছে শুনেছি…..কতটা কষ্ট পেলে,কতটা তিক্ততা এলে কতটা অত্যাচারিত হলে এক জন বাঙ্গালী আরেক জন প্রান প্রিয় বাঙ্গালী জাতির জনককে পরিবার সহ হত্যা করতে পারে তাই লক্ষ্যনীয় শুনেছি তখনকার শাসন ব্যাবস্হার দূর্বলতা ছিল বঙ্গবন্ধুর সরলতাকে পুজিঁ করে এক শ্রেনী ক্ষমতাবান কিংবা মন্ত্রীপরিষদের ব্যক্তি বর্গরা সমাজে লুটতরাজঁ,গরীবের উপর অত্যাচার,ক্ষমতার দাপট দেখাত,যার পরিপেক্ষিতে নাকি রক্ষি বাহিনীর জম্ম দিতে হয়েছিল।রক্ষি বাহিনীর জম্মের উদ্দ্যেশ্য ছিল সৎ এক শ্রেনীর স্বার্থবাদী গোষ্টি শান্ত শিষ্ট সঠিক পথে চলা রক্ষি বাহিনকেও বদনামে ফেলে দেন।যার করুন পরিনতীতে বঙ্গবন্ধুকে হয়তো দিতে হয়েছিল পরিবার সহ কোরবানী।এ সব শুনা কথা সত্য নাও হতে পারে ……এত গুলো অনর্থক কথা বলার কারন একটাই বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যান্ত সাহসিকতার সহিত যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু করেছেন তাহার পিতার ন্যায় কন্যার এমন উদারতায় কিংবা এমন শাসন ব্যাবস্হা যাতে না সৃষ্টি করেন যার কারনে আমাদের কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়ে জাগ্রত যুদ্ধাপরাধীর বিচার এবং এর কার্যকরিতা যেন ভেস্তে না যায়।অপরাধী যেই হউক যে দলেরই হউক সে অপরাধী তার শাস্তি পাবেই এটাই যেন হয় উদ্যেশ্য।
#####আমার এই পোষ্ট সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা থেকে দেয়া তাতে কারো মনে আঘাত লাগলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ###
” গাহি সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু
নহে কিছু মহিয়ান”
“সাত খুনের রহস্য উদ্ধার করতে হলে আপনি ধাঁধাঁর ভাঙা অংশগুলো জোড়া লাগান, তাহলেই পুরো দৃশ্যটি আপনার সামনে স্পষ্ট ফুটে উঠবে।”…গোলাম মুস্তফা(ফেবুকার)
সিদ্ধিরগঞ্জ যেথায় সেভেন মার্ডার০১
৯টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
এটাই সত্যি। অনেক আজব একটা দেশ আমাদের। এবং কিছুই শেষ পর্যন্ত হবেনা। লেখার কাজ লিখে যেতে হবে আর কি?
মা মাটি দেশ
ধন্যবাদ আপনার সাথে সহ মত তবে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ব্লগে আর লেখা হবে না।অনেকে হয়তো এটাকে ভাল চোখে দেখে না। -{@ (y)
জিসান শা ইকরাম
অনেক কষ্ট করেছেন পোষ্ট দিতে গিয়ে ।
প্রচুর লিংক পোষ্টকে সমৃদ্ধ করেছে ।
নুর হোসেনকে ফিরিয়ে আনার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেই হবে সরকারকে ।
মা মাটি দেশ
আশা করি তাই করবেন আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী।ধন্যবাদ ভাইয়া।
স্বপ্ন নীলা
পোস্টটিতে আপনার কষ্টের ছাপ বোঝা যাচ্ছে——— অনেক বিষয় জানা হলো———আমি জিসান ভাইয়ের সাথে একমত
মা মাটি দেশ
ধন্যবাদ আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
জানলাম অনেক কিছু । ধন্যবাদ এমন পোষ্টের জন্য ।
মা মাটি দেশ
ধন্যবাদ আপু। -{@ (y)
ছাইরাছ হেলাল
বেশ তথ্য সমৃদ্ধ লেখা । দেখুন লেখা লেখার জায়গায়ই থাকে । আমাদের যন্ত্রণা যেমন তেমন ই থাকে ।
শুধু আশায় থাকি সকল যন্ত্রণা অবসানের ।