বছরখানেক আগে একটা মিশরীয় মুভি দেখেছিলাম। ১লা বৈশাখের ঘটনার জন্য মুভিটির কথা মনে পড়ল আবার। মিশরীয় মুভিটির নাম 678 (film) ( Les Femmes du Bus 678 নামেও পরিচিত)। মুভিটি আমার পছন্দের মুভিগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিল। The Association for Human rights and Social Justiceএর Mahmoud Hanfy Mahmoud মুভিটিকে নিষিদ্ধ করার অনুরোধ করেছিল (জানি না, আন্তর্জাতিক মানবতাবাদীদের সমস্যা কি???!!! অমানুষদের জন্যই তাদের সব মায়া!!!)
পরিচালক Mohamed Diab মুভিটিতে মিশরের রাস্তাঘাট, বাসে মেয়েদের যৌনহয়রানিকে তুলে ধরেছেন। ২০১০সালের এই মুভি অনেক বিতর্কের শিকার হলেও Dubai International Film Festivalএ সেরা ছবির পুরস্কার জিতেছিল।
সমাজের উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত- এই তিন শ্রেণীর প্রতিনিধি হিসেবে তিনটি প্রধান নারীচরিত্র। তিনটি চরিত্র হল ফায়জা, নেলী ও সেবাহ। ফায়জা চরিত্রে অভিনয় করেই বুশরা Dubai International Film Festivalএ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার যেতেন। সেবাহ চরিত্রে অভিনয় করে নেলি করিম Arab Film Festivalএ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারলাভ করেন। নেলী চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাহেদ এল সেবাই। তিনজনে মিলে গ্রুপ হিসেবে Asia Pacific Screen Awardsএ জুরি গ্র্যান্ড প্রাইজ পান।
ফায়জা নিম্নবিত্ত রক্ষণশীল গৃহিণী ও অল্পবেতনের চাকরী করে। প্রতিদিন বাসে করে যায় অফিসে। বাসে নিয়মিত হয়রানির শিকার সে। কিন্তু বাস ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নেই। প্রতিদিন বের হবার আগে সবচেয়ে কম আকর্ষণীয় ঢিলেঢালা পোশাক খোঁজে, হিজাব পড়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখে নিজেকে। তার এই পোশাক-আশাক কাউকে প্রলুব্ধ করবে কি গতদিনের মত? লাভ হয় না। দিন দিন আতংক বাড়ে মনে। স্বামী কাছে আসলেও আতংকে কুঁকড়ে যেত ফায়জা। নারীদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সেমিনারে যায়, টিভিতে প্রোগ্রাম দেখে। আবার একদিন নির্জন রাস্তায় একজন ফলো করে। ফায়জা পিছে ঘুরেই স্কার্ফের সেফটি পিন ঢুকিয়ে দেয় পুরুষাঙ্গ বরাবর এবং পালিয়ে যায়। ফায়জা ধরা না পড়লেও ঘটনা পুলিশের কানে যায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে ফায়জাকে খুঁজে বের করার জন্য।(আমাদের দেশেও বাসে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটে। অনেক পুরুষের দাবি, নারীপুরুষ সম অধিকার হলে বাসে মহিলা সিট কেন? মহিলা সিটের মাধ্যমে মহিলাদের প্রিভিলেজ দেয়া হচ্ছে কেন? আচ্ছা দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৮-১০% কি মহিলা যে বাসের ৪০-৪৫টি সিটের মধ্যে ৪-৬টি মহিলা সিট বরাদ্দ? নির্দিষ্ট করে দেয়ার আরেকটি মানে অনেকে ধরে নেয় বাকি সব সিট পুরুষদের। মহিলা সিট পূর্ণ হলেই বাসে মহিলা উঠাতে মানা করে কিছু পুরুষ যদিও মহিলা সিট অনেকসময় পুরুষ দখল করে থাকে। কিছু স্নেহবান পুরুষ মহিলাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জায়গা ছেড়ে দেন এবং পরক্ষণেই কন্ডাক্টারকে বলে, ‘মহিলা সিট নাই? মহিলা উঠাও কেন?’ এসব সময় সেই পুরুষকেও উত্তর দিতে পারি না আমরা কারণ তার সিটে বসে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতাবোধ কাজ করে। রাত হয়ে গেলেও মহিলা সিট ভরা হয়ে গেলে নারীদের বাসে উঠতে দেয় না কন্ডাক্টরা পুরুষযাত্রীদের ভয়ে। নারীরা দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তায়। বখাটেদের উৎপাতের শিকার হয়। অনেকসময় অনেক খারাপ ঘটনাও ঘটে। মহিলা সিট আসলে প্রিভিলেজ দেয়? মহিলা সিট কি উঠিয়ে নেয়া উচিৎ? মহিলা সিটের কোন দরকারই হত না যদি পুরুষগুলোর মন পরিশুদ্ধ হত। যেহেতু বিষাক্ত মনের পুরুষে ভর্তি সমাজ, মহিলা সিটের প্রয়োজন, তবে তা মাত্র ৪-৬টি নয়, বাসের অর্ধেক। এটাও হলফ করে বলতে পারি, সিটের সংখ্যা বাড়লেও থেমে থাকবে না এসব কারণ সমস্যা সিটসংখ্যায় না, সমস্যা চিন্তা-চেতনায়…)
নেলী মধ্যবিত্ত পরিবারের অতি সাধারণ মেয়ে, যে কল সেন্টারে জব করে এবং কিছুদিনের মধ্যেই ভালবাসার মানুষের সাথে ঘর বাঁধবে। রাস্তা ক্রস করার সময় চলন্ত গাড়ির ভেতর থেকে এক লোক বাজেভাবে স্পর্শ করে। নেলী ও নেলীর হবু বর তৎক্ষণাৎ লোকটিকে লোকাল পুলিশের কাছে নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ কেস ফাইল করতে চায় না এবং নেলীকে বোঝায় যে, এতে নেলীর নামই খারাপ হবে। কিন্তু নেলী রাজি হয় না। মিশরে এর আগে কখনো সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের কেস হয় নি। নেলীর কেসকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয় মিডিয়াতে। লাইভ টক শোতে নেলীকে মানুষের তির্যক বাক্য শুনতে হয়। একজন নেলীকে বলে, “তোমার জন্য মনে হচ্ছে আমি যে দেশটাতে আছি, সেটা মিশর নয়। আমাদেরও মা-বোন আছে। কৈ? তারা তো যৌনহয়রানির শিকার হয় না। নিশ্চয় তুমি প্রলুব্ধকর পোশাক পরেছিলে”। নেলী উত্তর দিয়েছিল, “আমি জানতাম, এই প্রশ্নের সম্মুখীন আমাকে হতে হবে। তাই আমি আজ ঐদিনের পোশাক পরে এসেছি শুধুমাত্র এই জ্যাকেটটি বাদে। কারণ রাস্তায় পড়ে গিয়ে ঐদিনের জ্যাকেটটি ছিঁড়ে গেছে। আপনার মা-বোনের সাথে এমন কেন হয় না জানেন? যদি তাদের সাথে এমন হয় তারা আপনাকে জানাবে না কারণ আপনি তাদেরকে তা বলবেন যা আজ বললেন”। নেলীর হবু শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেস উঠিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দেয় কারণ নেলীর এই সংগ্রাম লজ্জা ছাড়া আর কিছু বয়ে আনছিল না তাদের জন্য। (মধ্যবিত্ত মানুষজনের মধ্যবিত্ত চিন্তা। না পারে নামতে, না পারে উঠতে…)
উচ্চবিত্ত সেবাহ নারীদের আত্মরক্ষা বিষয়ক প্রোগ্রাম করে এবং মেয়েদের সচেতন করার জন্য কাজ করে। একটি ঘটনা সেবাহর জীবনকে উলট-পালট করে দিয়েছিল। স্বামীর সাথে সেবাহ গিয়েছিল স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে। হঠাৎ এক দল ছেলে সেবাহকে ঘিরে ধরে… ঠিক যেমন ঘটনা ১ল বৈশাখে ঘটেছে… সেবাহকে ছেড়ে না দিলেও সেবাহকে ভালভাবে গ্রহণ করতে পারেনি তার স্বামী(অন্য পুরুষ ছুঁলেই তো নষ্টা…)।
সিনেমার এক চূড়ান্ত পর্যায়ে ফায়জা সেবাহকে বলে, “তোমার মত মেয়েরা খোলা চুল বাতাসে উড়িয়ে পুরুষদের প্রলুব্ধ করে, কামনা জাগিয়ে তোলে। আর সেই কামনার শিকার হয় আমার মত ভদ্র মেয়েরা”। পরিচালক Mohamed Diab দেখান, ফায়জার সেক্স-ডিপ্রাইভড স্বামীও রাস্তা-ঘাটে মেয়েদের শরীর হাতানো শুরু করে এবং ফায়জা তা জানতে পারে। ফায়জা ভাবে, সেবাহর জন্য ফায়জারা শিকার না, বরং ফায়জার জন্যই সেবাহরা শিকার। পরিচালক দেখান, আসলে ফায়জার জন্যও সেবাহ শিকার না। সমস্যা পোষাকে না, চিন্তা-চেতনায়…
মেয়েদের শরীরকে স্পর্শ করতে পারাও গর্বের বিষয়, দুঃসাহসের বিষয়, বাজি ধরার মত বিষয় অনেকের কাছে। অনেক কিছুই তুলে ধরেছেন তিনি। জায়গাটা যদিও মিশর, কিন্তু সারা বিশ্বের চিত্র উঠে এসেছে। কিন্তু এসব মুভি মানুষ দেখে না। সেবাহর একটা ডায়লগ ছিল, “Being harassed is not shameful. The one who should be ashamed is the animal who did that to you, not you” এটাকে মানতে সমাজের কয়েক যুগ লাগবে জানি না, আদৌ মানবে কিনা জানি না।
Mahmoud Hanfy Mahmoud দাবি করেছিলেন, এই মুভি মেয়েদের উৎসাহিত করবে পুরুষাঙ্গে আঘাত করতে। তাই তিনি নিষিদ্ধ করার অনুরোধ করেছিলেন সরকারকে। নপুংশকদের আবার পুরুষাঙ্গ কিরে???
সাবটাইটেল ফাইল নিচেঃ
৩৫টি মন্তব্য
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনেক ধন্যবাদ সময়োপযোগী লেখা উপহার দেয়ার জন্য।
“সেবাহর একটা ডায়লগ ছিল, “Being harassed is not shameful. The one who should be ashamed is the animal who did that to you, not you” এটাকে মানতে সমাজের কয়েক যুগ লাগবে জানি না, আদৌ মানবে কিনা জানি না।”
নাহ! কখনোই মানবে না, কারন সমাজব্যবস্থাটা যে পুরুষতান্ত্রিক!! তাইতো এই মুভি নিষিদ্ধের অনুরোধ আসে, যদি মেয়েরা মুভি দেখে পুরুষাঙ্গে আঘাত করতে উৎসাহিত হয়।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
Man মানে একইসাথে মানুষ ও পুরুষ বোঝায়। এখন মনে হয়, Manএর মানে বদলানো উচিৎ। পুরুষদের মধ্যে মানুষ খুঁজে পাওয়া এখন দুঃসাধ্য। টিএসসি এতো ভিড়ের মধ্যে মানুষ ছিল মাত্র কয়েকজন।
পারলে মুভিটি দেখবেন।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমি আপনার পোষ্টটি একটু ছোট আকারে ফেবুতে দিয়েছি।
দেখবো মুভিটি।
কৃন্তনিকা
আমিও ফেসবুকে স্ট্যাটাস হিসেবে দিয়েছিলাম
পরে মনে হল রিভিউ লিখে ফেলি। এরকম পোস্ট দেওয়ার উদ্দেশ্য মানুষকে জানানো। আপনি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে আরো অনেককে জানাচ্ছেন- সেটা তো আরো ভালো…
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সমাজ সচেতন মূলক ছবিটি পোষ্ট পড়ে দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল।
কৃন্তনিকা
অবশ্যই দেখুন।
দেখার পর ভালো মনে হলে, অন্যদেরকেও দেখতে বলবেন… 🙂
জিসান শা ইকরাম
কোন মুভি রিভিউ পড়ে এতটা লজ্জিত আর বিমর্ষ হবো ভাবিনি কোনদিন
ধীরে ধীরে একদিন পুরুষকে আর কোন নারী বিশ্বাস করবে হয়ত
বাসা থেকে বাইরে বের হওয়া কোন পুরুষ হায়না নয়,তা কে জানে?
অনেক মুসলিম দেশে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্ট নারীর জন্য অপমান বয়ে আনে।
একারনে এসব প্রকাশ হয়না।যেন নারীই এসবের জন্য দায়ী।
ধর্ম আমাদের মানুষ বানাতে পারছে না
সচেতন করতে পারছে না
অপ্রিয় সত্যি হলেও এটি বাস্তব।
কৃন্তনিকা
মুভিটি দেখুন। মুভিটিতে অনেকগুলো দিক তুলে ধরা হয়েছে…
দেখার পর জানাবেন অনুভূতি।
সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী কবে পরিবর্তিত হবে জানি না… তবে এমন মুভি আমাদের দেশেও হওয়া উচিৎ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
খেয়ালী মেয়ে
মুভি রিভিউ পড়ে এটা স্পষ্ট যে এটা শুধু মিশরের না পুরো বিশ্বের চিত্রই ফুটিয়ে তুলেছে…ঘর থেকে বাইরে পা রাখলে নারীরা এভাবে অনেক ধরনের হয়রানির শিকার হয়-যা কিনা সমাজ তথা লোকলজ্জার ভয়ে অনেকেই চেপে যায়..এমনকি অনেকে তো নিজ ঘরেই হয়রানির শিকার হয়ে থাকে..অনেকে আবার প্রতিবাদ করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায় সেই প্রতিবাদের ফলাফল শুণ্য…
যতদিন না পুরুষের মন পরিশুদ্ধ হবে, সমাজ পরিচ্ছন্ন হবে, আমাদের চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন আসবে-ততদিন অব্দি নারীরা এই হয়রানিগুলো থেকে মুক্ত হয়ে সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবে বলে মনে হয় না..
কৃন্তনিকা
হুম… জানি না কবে সুদিন আসবে… আদৌই আসবে কিনা…
এখন “মানুষ” শব্দটাই গালিতে পরিণত হয়েছে কারণ পশু-পাখিও মানুষের থেকে ভালো হয়…
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সময় পেলে মুভিটি দেখবেন…
খেয়ালী মেয়ে
হুমমমম সময় করে অবশ্যই দেখবো..
সঞ্জয় কুমার
অবশ্যই মুভিটি দেখব । । পুরুষাঙ্গ থাকলেই পুরুষ হয় না । যে শিশ্নের নিয়ন্ত্রিত ব্যাবহার করতে পারে সেই আসল পুরুষ
কৃন্তনিকা
দেখুন। অন্যদেরকেও দেখতে বলুন…
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইমন
” করেছিলেন সরকারকে। নপুংশকদের আবার পুরুষাঙ্গ কিরে??? ”
ছবিটা দেখতে হবে, জানাতে হবে সবাইকে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর প্রাসঙ্গিক একটা জিনিস শেয়ার করার জন্য।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
দেখুন… জানান সবাইকে… যদি কিছু সচেতনতা ছড়ায়…
ইমন
অবশ্যই 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আমাদের দেশের নাম,অভিনেতা/অভিনেত্রী দিয়ে এই মুভি তৈরী হলে,এটি ১০০ ভাগ আমাদের দেশের ঘটনার মুভি মনে হত।
কৃন্তনিকা
একদম ঠিক বলেছেন।
আমাদের দেশ এরকম মুভি হওয়া খুব দরকার।
সময় হলে মুভিটি দেখবেন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
নুসরাত মৌরিন
মুভি রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমাদের সমাজের প্রতিদিনের ঘটনাই পড়ছি,সাথে সাথে যেন দেখছিও…।
পুরুষদের এই নোংরা মানসিকতা কবে পরিবর্তন হবে জানি না।ঘেন্না লাগে আপু এই সব নপংসুকদের কথা ভাবলে,ভীড়ের মাঝে একটা মেয়েকে ছুঁয়ে দিয়ে এরা কি আনন্দ পায় জানি না।এরা একধরনের বিকারগ্রস্ত মানুষ।ঘৃনায় মুখ ভরে আসে।এরা নর্দমার কীটের চেয়েও নোংরা।
কৃন্তনিকা
হুম… আর এসব বিকারগ্রস্ত মানুষেই সমাজটা ভরে গেছে…
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
সময় পেলে মুভিটা দেখবেন…
জিসান শা ইকরাম
কোন ডাউনলোড লিংক থেকে নামানো যায় না।
আপনি কিভাবে দেখেন, লিংক দিয়েন তো।
কৃন্তনিকা
যে লিঙ্কটা পেলাম দিয়ে দিয়েছি।
বছরখানেক আগে দেখেছিলাম। আসলে কোথা থেকে নামানো যাবে- খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সাবটাইটেল ফাইল সাথে আপলোড করে দিয়েছি।
জিসান শা ইকরাম
সাব টাইটেল কাজ করছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্লগার সজীব
গতকাল পড়েছি আপনার এই রিভিউ।এ যেন আমাদেরই সমাজের কাহিনী।আপু ইংরেজী ডাব করা লিংক দিন প্লিজ।
কৃন্তনিকা
হুম… বাস্তবতাকেই তুলে ধরা হয়েছে মুভিটিতে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মুভিটি অনেক ভালো হলেও পরিচিতি কম পেয়েছে। ইংলিশে ডাব করা পেলাম না। তবে টরেন্টের ডাউনলোডের লিঙ্কের সাথে সাব টাইটেল ফাইল আপলোড করে দিয়েছি।
ফাতেমা জোহরা
চমৎকার সময় উপযোগী লেখা। মুভিটির ডাউনলোড লিংকটা দেয়া যাবে আপু?
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক আগে দেখেছিলাম। কোথা থেকে নামিয়েছিলাম মনে নেই। টরেন্টের লিঙ্কটি পেলাম, ওটার লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি। সাথে সাব টাইটেল ফাইলও আপলোড করে দিয়েছি।
শুন্য শুন্যালয়
রিভিউ টা পড়িনি। পড়ে ফেললে মুভি দেখে মজা পাইনা। দুই তিনদিন ধরে সাবটাইটেল সহ খুঁজে বেড়াচ্ছি। দেখেই তবে জানাবো। ভাল যে লাগবে এটা নিশ্চিত।
কৃন্তনিকা
হুম, দেখুন অবশ্যই… রিভিউ পড়াটা জরুরী না, জরুরী মুভিটা দেখা 🙂
ব্লগার সজীব
আপনি এখন নিয়মিত কোরিয়ান মুভি রিভিউ দিতে পারেন।সাব-টাইটেল কিভাবে সংযুক্ত করতে হয় শিখে গিয়েছি 🙂 সাব-টাইটেল নিয়ে একটি পোষ্ট দেব ভাবছি।
কৃন্তনিকা
সাবটাইটেলের পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম…
হুম… কোরিয়ান মুভি সিরিয়াল নিয়ে লিখবো নিয়মিত…
তবে তাড়াতাড়িতেই আরেকটি গল্প পোস্ট করবো সোনেলায়…
মেহেরী তাজ
জানি না কতদিনে দেখা হবে। তবে দেখবোই।
যদিও রিভিউ তেই অনেক কিছু জেনে ফেলেছি। অনেক ধন্যবাদ এত্তো সুন্দর করে রিভিউ দেওয়ার জন্য।
কৃন্তনিকা
হুম… দেখুন, অন্যদের দেখতে বলুন।
দেখার পর মতামত জানাতে ভুলবেন না। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
কএকদিন আগে দেখেছি মুভিটা। সোনেলায় আসতে পারিনি। আপনার মতো আমারও সবচাইতে প্রিয় একটি মুভির জায়গা করে নিয়েছে এটি।
চমৎকার করে লিখেছেন রিভিউ। এই মুভির প্রত্যেকটি সিকোয়েন্স অসাধারন, লেখা সম্ভব নয়।
একটা জায়গায় চোখ পড়েছিল। ফায়জার কলিগ এক ক্লায়েন্টকে বলছিল, তুমি এতো তাড়াহুড়ো করছো কেন? জবাবে নারী ক্লায়েন্ট টিপ্পনি কেটে বললো, তুমি বিবাহিত নও, তোমার বাচ্চকাচ্চাও নেই। শুনে ফায়জার কলিগ বললো, হ্যাঁ আমি এই পৃথিবীতে এসেছিই শুধু একজন হাজব্যান্ড খোঁজার জন্য। ভালো লেগেছে উত্তরটা। এমনি অনেক ডায়লগ আছে পুরো মিভি জুড়েই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কৃন্তনিকা মুভিটির জন্য।
কৃন্তনিকা
দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো। 🙂
মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ। 😀