গত পর্বে(বিশ্ব রাজনীতি বনাম আলকায়দা থেকে আইএস-বিহাইন্ড দি সিন।পর্ব-২ ) আমি যে প্রশ্নটা রেখে শেষ করেছিলামঃ কে এই ফিলিপ মার্শাল? চলুন উত্তর খুঁজি পর্ব তিন এঃ
৮০’র দশক থেকে পরবর্তী দীর্ঘসময় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র হয়ে কাজ করেছেন এই ফিলিপ। ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের(বুশের বাবা জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ তখন ভাইস প্রসিডেন্ট) গোপন কন্ট্রা চুক্তি, যার আওতায় গোপনে ইরানকে আস্ত্র (যদিও ইরানের কাছে অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে তখন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ছিল) দেওয়ার বিনিময়ে তেহরানে জিম্মি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন কর্মকর্তাদের মুক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। একই দশকে নিকারাগুয়ার বিপ্লবী সান্দানিস্তা সরকারকে উৎখাতে কন্ট্রা বিদ্রোহীদের অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল সিআইএ। এমনকি কন্ট্রা বিদ্রোহীরা যাতে অবৈধ কোকেইন বিক্রি করে অস্ত্র কিনতে পারে সে জন্য মাদক চোরাচালানের রুটও গড়ে দিয়েছিল সিআইএ। ইরান ও নিকারাগুয়ায় সিআইএ’র এমনি অনেক বেআইনি কর্মকাণ্ডের নীরব সাক্ষী ছিলেন ফিলিপ মার্শাল।
(এখানে একটা তথ্য দিয়ে রাখতে চাই আপনাদের, নিকারাগুয়ার মত ১৯৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়, রাশিয়ার কারনে যেটা বাংলাদেশের সাথে করতে পারেনি রণতরী পাঠিয়েও , সেটা করেছে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যার ষড়যন্ত্রে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদেই পাকিস্থানের দোসররা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে সমর্থ হয়েছিল)।
বলছিলাম ফিলিপ মার্শাল প্রসঙ্গেঃ ইরান কিংবা নিকারুগুয়া নয়, ফিলিপ মার্শালকে নাড়িয়ে দিয়েছিল নাইন-ইলাভেন ট্রাজেডি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নাইন-ইলাভেনের নির্ভুল নিখুঁত আর চৌকষ ধংসযজ্ঞ কৌতুহলী করে তুলেছিল এই সিআইএ পাইলট ফিলিপ মার্শালকে। সিআইএ’র মতো দাপুটে একটি সংস্থার পাইলট বিশেষ করে বোয়িং চালানোয় অভিজ্ঞ মার্শালের মনেও জেগেছিল হাজারো প্রশ্ন।
ছবিঃ সিআইএ পাইলট ফিলিপ মার্শাল ও তাঁর নাইন-ইলাভেন ষড়যন্ত্র নিয়ে লিখা আলোচিত সেই বই।
সবার আগে তিনি যে প্রশ্নটি করেছিলেন সেটা হল “সরকারী ভাষ্য বলছে, বিশ্বের অন্যপ্রান্তের কোন এক গুহায় বাস করা কিছু ভূত (বিন লাদেন ও তার সহযোগী) আমাদের মাটিতে আমাদেরই পুরো সামরিক প্রতিষ্ঠানকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়ে দক্ষযজ্ঞ কাণ্ড ঘটিয়ে চলে গেল আর আমরা কিছুই জানলাম না কিছুই করলাম না। এটা নিছক ছেলে ভুলানো গল্প ছাড়া আর কিছুই না”। নাইন-ইলাভেন ট্রেজেডি নিয়ে দশ বছরের গবেষনার পর ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারীতে প্রকাশিত হয় ফিলিপ মার্শালের সাড়া জাগানো বই, The Big Bamboozle: 9/11 And The War On Terror । এই বইয়ে কংগ্রেসের যৌথ তদন্ত দলের অ-প্রকাশিত ২৮টি পৃষ্ঠার বেশকিছু অংশ ফাঁস করেছেন ফিলিপ। প্রসঙ্গতঃ মার্শালের সাথে সাবেক সিনেটর বব গ্রাহামের হৃদ্যতা ছিল(যার কথা আগের পর্বে জানিয়েছিলাম আপনাদের)।
বইটিতে মার্শাল বলেছেন, বিন লাদেন কিংবা আল কায়েদা’র লোকজন জুজু(জাদুকর) নয়। এক ইঞ্জিনের ছোট্ট বিমান নিয়ে প্রশিক্ষন চালানো কোন আনাড়ী কয়েকজন পাইলটও নয় তারা। বরং ১৯ জন হামলাকারীকে টানা ১৮ মাস ধরে ট্রেনিং দিয়ে দুনিয়া কাঁপানো এই হামলার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। লাস ভেগাস আর ফ্লোরিডারসহ যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি রাজ্যে চলেছে তাঁদের প্রশিক্ষন। বিন লাদেনের মূখোশ এর আড়ালে হামলার কৌশল প্রনয়ন, অর্থায়ন আর হামলাকারীদের প্রশিক্ষন দিয়েছে সৌদি আরব। হামলার আগেই সবদিক থেকে সেটি সফল করার মতো সমস্ত ডেমোনেস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়েছিল হামলার অনেক আগেই। আর হামলার আগে পরে নানাভাবে নিষ্ক্রীয় থেকে প্রকান্তরে হামলাকারীদের সাহায্য করেছে বুশ প্রশাসন। কংগ্রেসের যৌথ তদন্ত কমিটির প্রধান পোর্টার গশ(রিপাবলিকান দলের কংগ্রেসম্যান পরে ২০০৪ সালে সিআইএ’র ডিরেক্টর), ফিলিপ জেলিকো(নাইন-ইলাভেন কমিশনের প্রধান) এবং এফবিআই ডিরেক্টর রবার্ট মুলার(৪সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত) এই তিনজনের রহস্যজনক ভূমিকা ও সত্য আড়াল করার চেষ্টা নিয়েও বেশ কিছু তথ্য প্রমান তুলে ধরেছেন ফিলিপ মার্শাল তাঁর বইতে।
ছবিঃ এই ছবিই বলে দেয় কেবল সোদি রাষ্ট্রদূত নয় তারচেয়েও বেশি কিছু ছিলেন প্রিন্স সুলতান বিন বানদার আল ফয়সাল।
এই ষড়যন্ত্রের দৃশ্যমান সূচনটা ছিল ২০০০ সালের জানুয়ারী মাসে। ওয়াশিংটনের সৌদি দূতাবাসে। নাইন-ইলাভেনের ঘটনায় যে মানুষটির সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ পাওয়া যায় তিনি হলেন ওয়াশিংটনে দুই দশকের(১৯৮৩ থেকে ২০০৫) সৌদি রাষ্ট্রদূত এবং কূটনৈতিক কোরের ডিন প্রিন্স সুলতান বিন বানদার আল ফয়সাল। ঠোঁটের কোণে সিগার আর অনৈসলামিক পানীয়’র ভক্ত খোষমেজাজি এই মানুষটি একাধারে সিনিয়র বুশ, বিল ক্লিনটন এবং জর্জ বুশ অর্থাৎ ডেমোক্রেট রিপাবলিকান দুই দলের চার প্রসিডেন্টের শাসনামলেই দাপুটে রাষ্ট্রদূত ছিলেন। সম্ভবত সেটা এ কারনে যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল প্রতাপশালী রাজনৈতিক পরিবার অর্থাৎ বুশ পরিবারের দুই দশকের বন্ধু তিনি। এই বন্ধুত্ব এতটাই প্রগাড় ছিল যে টেক্সাসে বুশ পরিবারের খামার বাড়ী, প্রেসিডেন্টের ক্যাম্প ডেভিডের অবকাশ কেন্দ্র এমনকি হোয়াইট হাউসেও প্রিন্স বানদারের সপরিবারে যাতায়াতের জন্য কোন পূর্ব অনুমতির দরকার হত না। ২০০৪ সালে প্রিন্স বানদারের বিলাশবহুল ব্যাক্তিগত বিমান A-340-এ আয়োজন করা হয় জর্জ বুশের বাবা এইচ ডব্লিও বুশের ৮০তম জন্মদিন। সেখানে বুশ সিনিয়র মজা করে প্রিন্সকে, বানদার বুশ নামে আখ্যায়িত করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের অনুসন্ধানী সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড তাঁর State of Denial গ্রন্থে লিখেছেনঃ “বুশ তাঁর বাবা সিনিয়র বুশকে বললেন, আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার সিন্ধান্ত নিয়েছি। তখন জবাবে বুশের বাবা বিলেছিলেন, তুমি প্রিন্স বানদারের সাথে কথা বলো। বুশ তাই করলেন। প্রিন্সের সাথে দেখা করে তিনি বললেন, বাবা আমাকে বলেছেন আমি মনস্থির করার আগে যেন আপনার সাথে কথা বলি। সেই বুশ যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তখন প্রিন্স বানদার যেন রীতিমত ভাইস প্রসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউসের প্রেসিডেন্ট দপ্তর কিংবা ক্যাবিনেটে বিনা নোটিশে-বিনা এপয়েন্টমেন্টে বানদারের ছিল অবাধ যাতায়ত। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা মজা করে প্রিন্স বানদারকে “টপ গান” নামে ডাকতেন। বলা হয় ২০০৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর ইরাক যুদ্ধের পরিকল্পনাটা প্রথম যার কাছে প্রকাশ করেছিলেন, তিনি প্রিন্স বানদার। কেবল সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র নয়। তাঁর প্রভাব ছিল পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের সম্পর্কের যে কোন সংকটে, সেটা ৮৪ সালে ইরানের কন্ট্রা-অপারেশনে বিপুল অঙ্কের অর্থ দেওয়া থেকে শুরু করে ৯০ সালে ইরাকের কুয়েত দখল করা, প্যান আমেরিকান বিমানে লিবিয়ার হামলা, ১৯৯৩ সালে বৈরুতে বোমা হামলা এবং মেরিন সেনাদের প্রত্যাহার এমনি নানা সংকটে ছায়ার মত হোয়াইট হাউসের পাশে ছিলেন প্রিন্স বানদার। যেমনটা ছিলেন নাইন-ইলাভেনের দিন বিকেলবেলা জর্জ বুশের সাথেও। প্রিন্স বানদার আর প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশেকে তখন একসাথে হোয়াইট হাউসের বেলকনিতে সিগার টানতে দেখা গেছে। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ যখন নো ফ্লাই জোন, তখন প্রিন্স বানদারের অনুরোধে রীতিমত বিশেষ প্রহরায় বিন লাদেনের পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে থাকা শতাধিক সৌদি পরিবারকে গোপনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
তারপর কি ঘটেছিল কিংবা আর কি কি গোপন তথ্য ছিল ফিলিপ মার্শালের THE BIG BAMBOOZLE বইতে? প্রিন্স বানদারের আর জর্জ বুশের ষড়যন্ত্রের আর কি কি প্রমান ছিল মার্শালের বইতে? দিবালোকের মত এইসব সত্য প্রকাশের পর কিভাবে তাঁকে হত্যা করা হয় সপরিবারে? আমরা সবাই মিলে, মিলাবো তথ্য সুত্র, জানবো আগামী পর্ব-৪ এ।
সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, চোখ-কান খোলা রাখুন, নিরাপদে থাকুন।
।।শুভকামনা নিরন্তর।।
২৪টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
মুখোশ আর তার আড়ালের ছবি দেখে মজা পাইলাম। 🙂
ইন্টারেস্টিং অনেক কিছুই জানছি তোমার লেখা পড়ে। চলুক। শুভকামনা।
সীমান্ত উন্মাদ
আপনার ভাললাগছে যেনে আমারও ভালো লাগলো।
শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক কিছু জানছি আপনার লেখা থেকে নানা প্রশ্ন ও উঁকি দিচ্ছে
যেমন প্রকাশিত ২৮ পৃষ্ঠা তিনি পেলেন কিভাবে?
পড়ব নিয়মিত।
সীমান্ত উন্মাদ
২৮ পৃষ্ঠা কিভাবে পেলেন, তা কিন্তু পরিস্কার হয়ে গেছে, গত পর্বে আমি মার্কিন সিনেটর বব গ্রাহামের কথা বলেছিলাম, তিনি কংগ্রেসের দ্বি-দলীয় যৌথ তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন, আর ফিলিপ মার্শালের সাথে বব গ্রাহামের প্রগাড় বন্ধুত্ব ছিল।বব গ্রাহামঃ তাদের কনস্টিটিউশনের শপথ নিয়েছিলেন বলে ক্লাসিফায়েড ২৮ পৃষ্ঠা জানার পরও প্রকাশ করতে পারেননি, যদিও প্রতিবছর নাইন-ইলাভেন এলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের সাথে ২৮ পৃষ্ঠা প্রকাশের দাবি জানান, এবং কিছু কিছু অংশ ইনডাইরেক্টলি প্রকাশ করেন। অন্যদিকে ফিলিপ যখন এই বইটি লিখছিলেন তখনঃ বন্ধুত্বের কারনে তিনি ফিলিপ মার্শালের কাছে অনেক তথ্য প্রকাশ করেন। আগের পর্ব আবার একটু পড়ে এই পর্বটা পড়ুন সুত্র পেয়ে যাবেন।
আর নিয়মিত পড়ে আমাকে অনুপ্রেরনা দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নিরন্তর আপনার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
আগের লেখা পড়েছি, আমি বলতে চেয়েছি শুধু বন্ধু বলেই ক্লাসিফায়েড তথ্য
প্রকাশ করে দেয়া যায়?
সীমান্ত উন্মাদ
না তা না, বব গ্রাহাম নিজেই চাচ্ছিলেন প্রকাশ করতে, কিন্তু যেহেতু তিনি তাদের কনস্টিটিউশনের শপথ নিয়েছিলেন তাই তিনি ডাইরেক্টলি তা প্রকাশ করে দেননি, প্রতিবার নাইন-ইলাভেন দিবসে তিনি বক্তৃতায় অনেক কিছু আবছা ভাবে প্রকাশ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ফিলিপ যখন গবেষনা করছিলেন এবং বইটি লিখছিলেন হয়ত তিনি তখন বেশ কিছু শেয়ার করে ফেলেন। অন্যদিকে ভুলে গেলে চলবেনা যে ফিলিপ মার্শাল সাবেক সিআইএ পাইলট এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সিক্রেট মিশনেও সামিল ছিলেন, আর সিআইএ মত একটি শক্তিশালী সংস্থার পাইলট এসপিওনাজ ট্রেনিং পাওয়া হবে, যিনি নিজেই অনেক কিছু উদ্ধারে সফল। বব গ্রাহামের কথার সুত্রের সাথে সুত্র মিলিয়ে অনেক কিছুই তিনি পরিস্কার করে জেনে ফেলেছিলেন হয়ত। পরের পর্ব অনেক উত্তর পেয়ে যাবেন আশাকরি। তার মৃত্যুর ধরন এবং পরে তা অন্যভাবে প্রচারের চেষ্টা প্রমান করে দেয় যে তিনি সঠিক পথেই ছিলেন। কিন্তু আমরা কেউই আর জানতে পারবনা উনি সুত্রগুলোয় কোন গাঁথুনিতে মিলিয়েছেন, বেঁচে থাকলে তার পরের বইটিতে হয়ত আমরা পেতাম। এখানে তিনি কিভাবে পেয়েছেন সেটার চেয়ে অনুচ্চারিত ইতিহাসের সত্যগুলোই মূখ্য। তবে আর একটা তথ্য অগ্রীম দিতে পারি আপনার বর্তমান প্রশ্নের উত্তর খোঁজার সুবিধার্থে আর তা হল, বব গ্রাহামের মত অনেকের সাথেই ফিলিপ এর হৃদ্যতা ছিল কিন্তু আমি তার বইটি পড়ে এবং বব উডওয়ার্ড এর state of danial বইটি থেকে ফিলিপ প্রসঙ্গে পাওয়া কথা থেকে এইটা নিশ্চিত হয়েছি যে ফিলিপ অনেক তথ্য কিভাবে পেয়েছেন সেসব সুত্র বা তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি। কারন এতে তারা হুমকির মুখে পড়তে পারে, কারন ফিলিপ জানতেন বইটি প্রকাশের পর তিনি মৃত্যু হুমকিতে পড়বেন, আর একজন এসপিউনাজ পাইলট এজেন্ট কখনই তার তথ্য প্রাপ্তির সুত্র ছেড়ে যান না। আর একটা ব্যাপার হল ফিলিপ এই বইটি লিখার আরো একটি বই লিখছিলেন, কিন্তু তা শেষ করার আগেই তাকে শেষ করে দেওয়া হয়। সব উত্তরই জানতে পারবেন আশাকরি, সবই পরিস্কার হয়ে যাবে সামনের পর্বগুলোতে সাথে যদি পাই আপনাদের।
এখানে আরো একটা বিষয় আছে, এমন না যে ক্লাসিফায়েড ২৮ পৃষ্ঠার সব কিছুই প্রকাশ করতে পেরেছিলেন এই বইতে ফিলিপ, কিন্তু অনেকখানিই পেরেছিলেন। পরের বইটি যদি উনি বের করতে পারতেন তবে হয়ত আরো তথ্য বের হয়ে আসতো। কিন্তু তা এখন সম্ভব না। কারন ফিলিপই আর নেই।পরের পর্বএ আরো ক্লিয়ার হবে আশাকরি।
ছাইরাছ হেলাল
আলোচনার বিস্তারে আমার বুঝতে সুবিধাই হল।
যদিও আপনার অনেকখানি সময় দিয়ে লিখতে হয়েছে।
পড়ছি আগ্রহ নিয়ে নিয়মিত।
সীমান্ত উন্মাদ
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনারা পাশে আছেন বলেই আমিও সাহস পাচ্ছি লিখাটা এগিয়ে নিতে।
শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
খেয়ালী মেয়ে
অনেক যত্ন করে সময় নিয়ে লিখছেন, লেখা পড়ে অন্তত এটা বুঝা যাচ্ছে….আগের পর্বের কিছু ভুলে গেলেও দেখি সমস্যা নেই, খুব সুন্দর করে মনে করিয়ে দিচ্ছেন…অজানা অনেককিছুই জানা হচ্ছে এই লেখার মাধ্যমে….রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ বোঝা সত্যি কঠিন….অপেক্ষায় আছি পরের পর্বের…..
ভালো থাকুন, সর্তক থাকুন………..
সীমান্ত উন্মাদ
আপনার মন্তব্যে অনেক অনেক অনুপ্রানিত হইলাম। চেষ্টা করছি সহজ করে ইতিহাসের সত্যগুলোকে সামনে নিয়ে আসার।
সাথে এবং পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নিরন্তর।
জিসান শা ইকরাম
এমন হতে পারে, তা কল্পনায় আনাও কঠিন।
জানছি অনেক কিছু
একারণেই জঙ্গিরা টিকে থাকে
এক জংগি যায়, আর একটি জেগে ওঠে, এখন জেগেছে IS
লেখা চলুক।
সীমান্ত উন্মাদ
যুগ যুগ ধরে তাই চলছে মামা, যেন চলতে থাকা ট্রেন যার থামার কোন নাম নেই। বাকি পর্বগুলোতে আশাকরি আরো অনেক কিছু ক্লিয়ার করতে পারবো। সাথে আছেন তাই সাহস পাচ্ছি।
শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর মামা।
নীলাঞ্জনা নীলা
অবাক হয়ে যাচ্ছি। একটি নাইন/ইলেভেন কতোকিছু তুলে ধরছে! ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু, ১৯৯০ কুয়েত, তারপর ইরাক।
আগে জানতাম আমেরিকা সব কলকাঠি নাড়ায়। এখন তো দেখছি আমেরিকাই শুধু না, মধ্যপ্রাচ্যও কলকাঠি নাড়ায়!
ভাই ভালো লিখছো খুব। (y) তবে সাবধানে থেকো। -{@
সীমান্ত উন্মাদ
আমেরিকার দখলদারিত্বের রাজনীতি প্রকট আকার ধারন করে কিসিঞ্জারের সময় থেকে সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব-রাজনীতির খোলনচে পাল্টে দেবার ষড়যন্ত্র শুরু মূলত তার সময়কাল থেকে ঘৃন্য আকার ধারন করে আসছে। আমি তো কেবল জঙ্গীবাদ উত্থানের মূল শেকড়টার তথ্য সূত্র মেলাবার চেষ্টা করছি। যে আগাছা তারা সৃষ্টি করে চলেছে, তা একদিন তাদের ঘাড়েই পড়বে, দেখো। এখানে একটা ব্যাপার আছে, মধ্যপ্রাচ্য কলকাঠি নাড়ায় না, শুধু সৌদি আরব এর সাথে জড়িত, কারন পুরু মধ্যপ্রাচ্যে তাদের দৃঢ় অবস্থান ধরে রাখতে এবং নিজেদের নিরাপদ রাখতে এটা করে, আর এশিয়া, বিশেষ করে দক্ষিন এশিয়াকে দাবিয়ে রাখতে তারা পাকিস্তান নামক নীতিহীন রাষ্ট্রটিকে ব্যাবহার করছে। আশাকরি, সুত্রগুলো মিলাতে পারবেন একটু একটু করে প্রতিটি পর্বের পর।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নিরন্তর জানিবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া পত্রিকার পাতার উপর নির্ভর করেই ছোট থেকে এখন পর্যন্ত এভাবে পাইনি। তাই জানছি অনেক সহজ ভাবে।
নিজেকে যত্নে রেখো ভাইয়া। -{@
সীমান্ত উন্মাদ
অবশ্যই আপু, দোয়া করবেন, শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
সাবরিনা
লেখাটার শেষ পর্ব পর্যন্ত পড়তে চাই।
সীমান্ত উন্মাদ
আমি বেঁচে থাকলে আশাকরি পারবেন শেষ পর্ব পর্যন্ত পড়তে। লিখাটি পড়ার জন্য, অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
মোঃ মজিবর রহমান
এই জন্যই বিরোধী গ্রুপ রাখে
কারণ যুধ্ব করবে কার সঙ্গে।
হায়! রাজিতির সেলুকাস!।
আমাদের এখানেও হচ্ছে।
সীমান্ত উন্মাদ
ভাই বিষয়টা শুধু যুদ্ধ করার জন্যনা, এদের আসল উদ্দ্যেশ্য হল, দখলদারিত্বের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। পর্বগুলো সাথে থেকে পড়তে থাকুন। সঠিক উত্তর আশাকরি পেয়ে যাবেন।
পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নিরন্তর।
লীলাবতী
গতকালই লেখাটি পড়েছি।এখন আবার পড়লাম।পড়ছি আর অবাক হচ্ছি।
সীমান্ত উন্মাদ
বিশ্ব রাজনীতির ঘৃন্য দৃশ্যপটের মাত্রতো শুরু হল আপু। আরো আসছে। সাথে পাবো আশাকরি শেষ পর্যন্ত।
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নিরন্তর।
ব্লগার সজীব
সব কিছু জেনে টাসকি খেয়ে গেলাম।
সীমান্ত উন্মাদ
এই টুকুতেই। ৯০শতাংশ তো এখনো বাকি।
শুভকামনা নিরন্তর।