
পেছনের গল্পঃ সর্বপ্রথম ২০১২ সালে একটি কবিতা লিখেছিলাম। প্রথম কবিতাটি খুব বেশি ভালো ছিলো বলে আমার মনে হয় না। তবুও কেন যেন সেই ভুলে ভরা কবিতাটি ‘মুসফিকা স্মৃতি পাঠাগার’ আয়োজিত মেঠোপথ ম্যাগাজিনে প্রকাশ পায়। তখন অবশ্য প্রকাশ পাওয়ার আনন্দ কেমন হয় সে বিষয়েও বোধগম্য ছিলো না।
২০১২ সালের পর থেকে উপন্যাস জগতে ঢুঁ মা-রা। তখন থেকেই উপন্যাস, গল্পের বইয়ের প্রতি আলাদা একটা টান, সম্পর্ক এসে মনের অলিগলির চিপায় চাপায় বীজ বুনতে শুরু করে।
শুরু থেকেই হুমায়ূন আহমেদ স্যারের উপন্যাস দেহ জগতের ভিটেমাটিতে বসবাস করতে শুরু করে। যতই পড়তে থাকি ততই প্রেমে পড়ে যায়। আসলে, হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখায় আলাদা একটি আত্মা আছে। যে আত্মার পিঠে ভর করে নিমিষেই উপন্যাসের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো সম্ভব।
২০১৭ সালে কর্মজীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর সাথে সাথে কবিতা, অণুগল্প, গল্প লিখতে শুরু করি। দুই একটি কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ম্যাগাজিনসহ পত্রিকার পাতায়ও জায়গা করে নেয়।
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখায় ভক্ত এবং আমার লেখা প্রকাশ পাওয়ার আনন্দে উৎসাহ পাই। এবং বারবার মনে হতো, ইস্! আমার নামে যদি একটি বই থাকতো।
অবশেষে ২০১৯ সালের শেষের দিকে বই প্রকাশের উদ্যোগটা নিজে থেকেই নিয়েই ফেলি। যেহেতু আমি হুমায়ূন আহমেদ স্যারের চরম ভক্ত। সেহেতু তাঁর রচিত, জনপ্রিয় চরিত্র ‘হিমু’ নামটি নিয়েই গল্প লিখতে শুরু করা।
তারপর…। অবশেষে হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে “হুমায়ূন হিমু” গল্পগ্রন্থ আমার স্বনামে।
বইয়ের গল্পঃ প্রত্যেকটি মানুষের মনের চিলেকোঠায় লুকানো কিছু জানা অজানা গল্প থাকে। সে গল্পে নায়ক থাকে নায়িকা থাকে। থাকে কিছু হৃদয় পোড়া আর্তনাদ কিংবা হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার গপ্পো।
আবার প্রত্যেকটি মানুষের মন পাড়ায় চলনবিলে কিছু চরিত্র থাকে। যাকে ভেবে ভেবে মিষ্টি মিষ্টি হেসে দিনরাত পার করা যায়। আবার ভেবে ভেবে ক্লান্ত পথিকের বেশে চোখ বেয়ে বেয়ে অশ্রু ভ্রমর ভিজিয়ে দিয়ে যায়। তবুও মানুষ গল্প আর চরিত্রের দীর্ঘশ্বাসে দীর্ঘকাল রাজপুত্রের মতো বাঁচতে চায়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আমি নিজেও ‘হিমু’ নামের সাথে যুক্ত হয়ে বাঁচতে চাই।
হুমায়ূন হিমু
ধরনঃ গল্পগ্রন্থ
লেখকঃ নৃ মাসুদ রানা
প্রচ্ছদঃ নবী হোসেন
প্রকাশনীঃ এক রঙ্গা এক ঘুড়ি
স্টল নং – ৫৮৭
একুশে বইমেলা ২০২০।
আশাকরি বইটি সকলেই সংগ্রহ করবেন।
২০টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
“আমি নিজেও ‘হিমু’ নামের সাথে যুক্ত হয়ে বাঁচতে চাই।”
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ কবিবর
অনন্য অর্ণব
শুভ কামনা রইলো দাদাভাই।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয়..
তৌহিদ
এটা ঠিক বুক রিভিউ কিনা জানিনা, এটি বইটি লেখার পেছনের গল্প। বুক রিভিউ পাঠক পড়ে তারপরে লিখবেন। তাই বুক রিভিউ বিভাগে এটি না দিয়ে একান্ত অনুভূতিতে দিতে পারতেন।
শুভকামনা রইলো।
নৃ মাসুদ রানা
আমি একান্ত অনুভুতি অপশনটি বেশ কয়েকবার খুঁজেছি কিন্তু পায়নি। আবার বেশ কয়েকবার চেষ্টা কর লেখাগুলো যোগ করতে সক্ষম হয়েছি।
ইসিয়াক
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয়
কামাল উদ্দিন
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল
নৃ মাসুদ রানা
tnx alot
সঞ্জয় মালাকার
অনেক অনেক শুভ কামনা ভাইজান।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
সাফল্য কামনা করছি
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অনেক সাফল্য কামনা করছি। ভালো থাকুন
নৃ মাসুদ রানা
Tnx a lot
পর্তুলিকা
অভিনন্দন। হিমুরা ভালো থাকুক গল্পের বইয়ে।
নৃ মাসুদ রানা
ভালো থাকুক
রেহানা বীথি
পাঠকপ্রিয় হোক।
শুভকামনা রইল।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ লেখক বন্ধু