হাইকুর বৈশিষ্ট্য :
# এখানে অন্তমিল মুখ্য নয়।
# মোট তিন লাইনের হবে।
# কোনো দাড়ি, কমা থাকবে বা থাকবে না।
# প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ঋতু বৈচিত্রের উল্লেখ থাকবে।
# দুটি ভিন্ন চিত্রকল্পনা থাকবে।
# এ কবিতায় বিষয় ভাবনায় থাকবে গভীরতা।
# গঠন হবে ৫+৭+৫ মাত্রার অক্ষরের সিলেবলে গঠিত হবে।
এককথায়, বাক্য সংযম হাইকুর প্রাণ আর ভাষা সংহতি তার দেহ। গাছ, পাখি, ফুল, ফল হলো তার মুল উপাদান।
মাৎচুঅ বাসে ( ১৬৪৪—১৬৯৪) তানকা বা ওয়াকা কবিতা থেকে সম্পুর্ণ আলাদা করে ৫-৭-৫ অক্ষরের সিলেবলে নতুন ধরণের ক্ষুদ্র কবিতার প্রচলন করেন।
পরে মাসাওয়াকা ( ১৮৬৭—১৯০২) এবং বাশোর কবিতার নতুন নামকরণ করেন। যা হাইকু নামে পরিচিত লাভ করে।
ইনেনগু সাবুরো নামে জাপানের বিখ্যাত একজন “History of Japanese Cultural 1959″ বইটিতে লিখেন যে হাইকু লেখার নিয়ম বেশ সিম্পল। এখানে ১৭ টি অক্ষরের সিলেবল থাকে। এবং তিন ভাগে বিভক্ত থাকে। আমরা জানি যে, সিলেবল মানে জিহবার গতি না বদলিয়ে একেবারে উচ্চারণ সক্ষম শব্দ বা শব্দাংশ ; একস্তর বিশিষ্ট শব্দ বা শব্দাংশ। ছন্দ কবিতায় একস্তর বিশিষ্ট সিলেবল দেখা যায়। জাপানের বর্তমান জেনারেশন হিরাগানা অক্ষরে ৫-৭-৫ গুণেই লিখেন। আর এই হিরাগানা শব্দকেই ” অনজি ” বলে। তারা বলেন শব্দের rhythm মিলিয়ে লিখলেই চলবে।
নিচে কিছু উদাহরণ দেয়া হলো :
# বুসন
ছোট গ্রীষ্ম রাত
এক রোমশ শুঁয়া পোকার
পিঠে এক শিশির
# রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পুরানো ডোবা
দাদুরি লাফালো যে
জলেতে ধ্বনি।
# তারিক অনিকেত
বদন কই
ফোটালেই শুধু যে
কথার খই।
হাইকুর প্রাণপুরুষ, বিখ্যাত কবি বাশোর মত অনুযায়ী প্রতি হাইকু কবিতাতেই প্রকৃতির স্পর্শ থাকতে হবে। এমনকি যখন ব্যক্তিগত আবেগকে কেন্দ্র করে হাইকু লেখা হয়, সেখানেও ঋতুর ইঙ্গিত প্রত্যাশা করা হয় এজন্য যে যখনই আবেগটি হাইকুতে রূপান্তরিত হয় ব্যক্তিগত আবেগ আর প্রকৃতির নৈর্বক্তিক অভিব্যক্তির মধ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। ” তাঁর একটি বিখ্যাত হাইকু হলো :
অনেক অনেক বিষয়
মনে পরে যায়
চেরির ফুটন্ত ফুলে।
“Narrow Roads in Oku” যেখানে তার লিখা ৫০ টি হাইকু অধিকাংশই বিখ্যাত। এবং এটা জাপানি সাহিত্যে মূল্যবান সংযোজন বলে বিবেচিত। ১৬৯৪ সালে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে শিষ্যদের ডেকে শেষ হাইকু শোনান। তা ছিলো :
” ভ্রমণে বেরিয়ে আসুন
মাঠে মাঠে সবকিছু বিশুদ্ধ
স্বপ্ন তবুও হেঁটে যায়। ”
জাপানের পুরনো এবং আধুনিক সব কবিতার মধ্যে হাইকুই সবচেয়ে জনপ্রিয়। সপ্তদশ শতকে এর যে যাত্রা শুরু হয়েছে আজও তার যবনিকাপাত হয়নি। প্রতিটি শহরে হাইকু ক্লাব আছে। যেখানে, সদস্যরা নিয়মিত মিলিত হয়ে কবিতা পাঠ করে শোনান।
টোকিওতে হাইকু মিউজিয়াম আছে। যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত হাইকুর উপর বই ও পত্রিকা সংরক্ষিত আছে। আর কোনো সাহিত্যিক ফর্ম নিয়ে এমন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আন্দোলন ও চর্চা হয়নি।
হাইকুতে প্রকৃতিপ্রেম আধ্যাত্মিকতা এবং দার্শনিকতা একাকার হয়ে যায়। হাইকুর বিভিন্ন পরতে পরতে অর্থের যে বিভিন্নতা তার মধ্যে ঐক্যসুত্র থাকে। যার জন্য একটি পরতের অর্থ থেকে পরবর্তী পরতের অর্থের দিকে যাত্রা হয় সহজ ও স্বাভাবিক। এটা একটা ধ্যানের পর্যায়ে পরে। এই ধ্যান মানুষকে বিবাগি করেনা, জীবন ও জগৎ সম্পর্কে নতুন উপলব্ধির ভিত্তিতে মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। এই প্রশান্তিকেই বলা হয়েছে হাইকু অভিজ্ঞতা। যা হাইকু মানসিকতার সৃষ্টি।
ঠিক কবে, হাইকু কবিতা লেখা হয়েছে তার নির্ভরশীল তথ্য নেই। এক হিসেবে ত্রয়োদশ শতকের প্রথমদিকে হাইকু লেখা শুরু হয়।
ফুজিওয়ারানো সাদাই রচিত একটি হাইকু (১২৩৫) নীচে দেয়া হলো:
চেরি ফুলের পাপড়ি
বাতাসে নড়ছে ফুর্তিতে
ধেয়ে আসে ঝড়।
এরপর, ষষ্ঠদশ শতাব্দীর দুই খ্যাতনামা হাইকু কবি ছিলেন মরিটাকে (১৪৫২—১৫৪০) এবং সোকনে (১৪৬৫–১৫৪০)
মরিটাকির হাইকু :
পড়ে যাওয়া পাপড়ি আসে উড়ে
আগের ডালে ডালে
ওহ! প্রজাপতি সব।
Qubaishi Issa ( 1762—1826)
In my old home
which I forsooks, the cherries
are in bloom.
এটা বাংলায় লিখলে :
যে/ ঘ/ র/ ছে / ড়ে
এ / সে / ছি / সে / থা/ আ / জ
চে / রি / ফু / টে / ছে।
তিন লাইনের ১৭ মাত্রার কবিতা। মাত্রা ভাগ ৫-৭-৫।
বাংলা হাইকু রচনায় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন দুলাল বিশ্বাস, রহিমা আক্তার কল্পনা (৩০০ হাইকু) , বুদ্ধদেব চ্যাটার্জি, আসাদ চৌধুরী, হাসনাত আবদুল হাই, জগলুল হায়দার, আবিদ আনোয়ার, রইম মনরম, প্রমুখ। ২০ হাজার হাইকু লিখেছেন মহিউদ্দিন মোহাম্মদ।
কবি রইস মনরম তাঁর ” একমুঠো হাইকু ” কাব্যগ্রন্থে ৪০ টি হাইকু তে মাত্রা ছয় ঋতু বা প্রকৃতির ছবি উপমা রূপক চিত্রকল্পের সাহায্যে ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রাজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন। এমন মুন্সিয়ানা ভাবনা পাঠককে করবে আলোড়িত। কী সুন্দর ভাবে অসীমকে সসীমের মাঝে তুলে ধরেছেন! যেমন :
এক ফোটা শিশির
সকালের সূর্যটাকে
বুকে নিয়ে স্থির।
এই হাইকুটা স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
বাশোর উক্তি এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করার মতো। ” এক জীবনে যিনি ৩ থেকে ৫ টি প্রকৃত হাইকু লিখতে পাবেন তিনিই হাইকু কবি। আর ১০ টি লিখতে পারলেই হাইকু মাস্টার। ”
কবি রইস মনরম যে সফল হাইকু মাস্টার তাতে সন্দেহ নেই। তাঁর একটি হাইকু :
ঝিনুক বুক—৫
নিভৃতে বাড়ে মুক্তো—৭
বাড়ে অসুখ—-৫
মোট ১৭! এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে। এটিতে আছে গভীরতার ছাপ।
আমরা জানি, ঝিনুক থেকে মুক্তো আসে। এবং সেটি ঝিনুকের বুকেই সবার অলক্ষে আড়ালে আবডালে জন্মায়। আমরা ঝিনুক থেকে পাওয়া মুক্তো দেখে উল্লসিত হই। অথচ একবারও ভাবিনা যে ঝিনুকের বুকে মুক্তো হওয়া মানেই তার বুকের ভিতর সর্বদাই অনুভুত হচ্ছে তীব্র যন্ত্রণা। এখানে বৃহৎ একটি ভাবনাকে কবি ক্ষুদ্রতর কথামালার দ্বারা প্রকাশ করেছেন। আর সেই ভাবনাটিই হলো হাইকু।
আর একটি :
শীতার্ত ঘুম
ভেঙ্গে ভেঙ্গে উঠুক
সূর্য কুসুম।
এটা অক্ষর বৃত্ত। এক কথায় তাঁর হাইকু সমস্ত নিয়ম মেনে চলেছে। তাঁর ” এক মুঠো হাইকু” অপূর্ব সৃষ্টি।
হাইকু মানসিকতার হতে হলে, একজন কবি বা ব্যক্তিকে অভিজ্ঞতার জন্যই একটি অভিজ্ঞতা অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত থাকতে হয়। বিষয়ের সঙ্গে ব্যক্তিসত্তা মিশে অভিন্ন হয়ে গেলেই ব্যক্তিগত আবেগ বা অনুভূতি গঠন হয়ে যায় এবং প্রকৃতি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাকে আত্মস্থ করে বিশ্বজনীনতায় পৌঁছে দিতে পারে। হাইকুর সৌন্দর্য এবং আকর্ষণ ব্যক্তিক থেকে নৈর্ব্যক্তিককে রূপান্তরের এই ক্ষমতার জন্যই অনেকটা কেবল লেখা শেষে নয়, লেখার শুরু থেকে আত্মার শান্তির আর মনের প্রশান্তি অর্জনের এক নির্মল মাধ্যম হাইকু পড়া আর লেখা।
৪০টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনার স্কুলের ঠিকানা দেন, প্লিজ।
আরজু মুক্তা
স্কুল তো এখন সোনেলা ব্লগ।
তবে গিফট পাঠাতে চাইলে কোম্পানি বা বাড়ির ঠিকানা দিতে পারি।
ভালো থাকবেন
নিতাই বাবু
কোবায়িশি ইশার হাইকু: জোনাকি উড়ে যায়/এত দ্রুত এত নিঃশব্দে/আলোটুকু ফেলে যায়
মাৎসু বাসো’র হাইকু: প্রজাপতি আতর মাখছে/নিজের ডানায়/অর্কিডের সুবাস
হাইকু ইতিহাস থেকে।
সূত্র উইকিপিডিয়া।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই।
পড়ে ধন্য করলেন।
ফয়জুল মহী
নান্দনিক ও সুনিপুন প্রকাশ।
লেখা পড়ে মোহিত হলাম।
আরজু মুক্তা
শুভকামনা জানবেন
রোকসানা খন্দকার রুকু।
বাহ্॥জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ হল।আমরা লিখি নিয়মছাডা।
শুভ কামনা।এ সংগ্রহ করতে থাকুন।আমরা পড়ে পড়ে সমৃদধ হই। ভালো থাকবেন।
আরজু মুক্তা
আপু, ভালো লাগলো। পড়ে এতো সুন্দর কমেন্ট করলেন।
কামাল উদ্দিন
হাইকু মানে আমি ভেবেছিলাম হাইকোয়ালিটি। মানে কেউ ভালো মানের কবিতা লিখে ওটাকে হাইকু বলতে পারেন। তবে এতোই সহজ যখন তখন মাঝে মাঝে হাইকু হয়তো লিখতেও পারি……….শুভ সকাল।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
লিখেন ভাইয়া। আপনার দ্বারা এটাও সম্ভব। নো চিন্তা।
আরজু মুক্তা
হা হা।
আমি কিন্তু অপেক্ষায় থাকলাম আপনার হাইকুর।
শুভ সন্ধ্যা
কামাল উদ্দিন
কোন এক দিন অপেক্ষার অবসান হবে সেই অপেক্ষায় আমিও আছি আপু 😀
আরজু মুক্তা
চেষ্টা করেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপু আপনাকে কি বলবো ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। এমন সমৃদ্ধ, শিক্ষনীয়, গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট দিলেন কবিতা বিষয়ক খুব ভালো লাগলো।হাইকু সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
আরজু মুক্তা
আপনারা উপকৃত হলেন এটা জেনেই ভালো লাগলো। আমার লিখাটাও সার্থক হলো।
আলমগীর সরকার লিটন
বাহ সুন্দর তবে আপনি নতুন কিছু নিয়ম বলছেন ভাল
অনেক শুভেচ্ছা নিবেন কবি আপু———-
আরজু মুক্তা
পড়লেন এবং জানলেন। আমার লেখার সার্থকতা এখানেই।
ধন্যবাদ ভাই
সুপায়ন বড়ুয়া
মনের খেয়ালে কাগজে কলমে
স্বপ্ন সাজাই।
কবিতাটি শুধু তাই।
নিয়ম টা জানা নাই।
জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
জি দাদা। ছোট কবিতায় অনেক কিছু। এটাই হাইকু
অরুণিমা মন্ডল দাস
হাইকু প্রায় আমাদের পুনরাধুনিক কবিতা র মতো বাংলা সাহিত্যের বাক” নামক অনলাইন ম্যাগ অনুপম মুখোপাধ্যায় র দ্বারা পরিচালিত ঠিক এরকম ই পারফেক্ট ফিগার হওয়া উচিত কবিতার
বড়বড় করে গদ্য সেটাকে কবিতা বলা যায় না
বা ছন্দের গরুর গাড়িকে ও কবিতা বলা যায় না
ভাব রস থাকবে মূল্য থাকবে গভীর সেটাই কবিতা
আরজু মুক্তা
ঠিক বলেছেন। অল্প কথায়ও গভীরতা বোঝানো যায়।
শুভকামনা
শামীম চৌধুরী
আপনার লেখায় হাইকু সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। শব্দটা আগে কোনদিন শুনিনি। আজ শব্দটির সাথে পরিচিত হলাম ও জানলাম। লেখাটা পড়ছিলাম ার মাইকেল মধুসূদনের সনেটের কথা মনে হচ্ছিল। ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে। ভাল থাকবেন আপু।
আরজু মুক্তা
আপনারা জেনে উপকৃত হলেন বলেই লেখাটা সার্থক হলো।
ধন্যবাদ ভাই
তৌহিদ
হাইকু সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। ভীন্নধর্মী পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা আপু।
আরজু মুক্তা
আপনাকেও ধন্যবাদ।
লেখাটা সার্থক হলো।
মোঃ মজিবর রহমান
মন বুঝি আনচান
শরত কাশফুলের মুহুমুহু বাতাসে
ঠান্ডা প্রাণের আবেশে।
আরজু মুক্তা
ভালই হয়েছে হাইকু। চালিয়ে যান।
মোঃ মজিবর রহমান
কি হল জানিনা ইচ্ছে হল লিখে দিলাম সোনেলা পাতায়।
মোঃ মজিবর রহমান
হাইকু পড়েছিলাম বছরখানেক আগে।
এই ঠান্ডা বাতাস
শরতে মেঘলা আকাশে জ্বলমান তারা
প্রিয়া পাশে মেতে আবেশে।
হলনা বুঝলাম না।
ধুর
আরজু মুক্তা
চেষ্টা করেন। হয়ে যাবে
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার পরামর্শ মাথায় রাখলাম হইলে হইবে নইলে বুঝবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
হাইকুর প্রতি আপনার প্রবল আগ্রহ দেখে ভালো লাগলো। পোস্টের সাথে তথ্যসূত্র উল্লেখ করে দিলে ভালো হতো।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
আরজু মুক্তা
কোন তথ্য দিলে ভালো হতো? এটা উল্লেখ করলে ভালো হতো।
সাহিত্য নিয়ে লিখতে গেলে আমরা সাধারণত বিভিন্ন বই ঘেটে, ইতিহাস ঘেটে লিখি। এটা নিজের মতো করে লিখি বলেই, তথ্যসূত্র দেয়া হয়না। আপনি মাহবুব ভাই লেখা গুলো খেয়াল করলেই বুঝবেন।
শুভকামনা
সাবিনা ইয়াসমিন
এ ধরনের লেখার তথ্য সূত্র দেয়া ভালো। বিভিন্ন গ্রন্থ, অনলাইন পত্রিকা, উইকিপিডিয়া থেকে আমরা লেখার জন্য তথ্য নিতেই পারি। কেউ হুবহু তথ্য সূত্র থেকে লেখা কপি করেন। কেউবা কিছু অংশ কপি করেন। নিজস্ব মতামত সংযুক্ত করে একটি প্রবন্ধ লিখেন। এতে তথ্য সূত্র দিলে লেখাটি পূর্নতা পায়। যেমন হাসনাত আবদুল হাই হাইকু নিয়ে তার এই লেখাটিতে সূত্র উল্লেখ করেছেন।
https://www.kaliokalam.com/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%BE/
মাহবুবুল আলম সাহেবের দুটো লেখা হুবহু কপির জন্য মুছে ফেলা হয়েছে।
আপনার লেখাটি বিভিন্ন সাইট থেকে নেয়া হয়েছে।
** https://www.facebook.com/notes/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%A6bpsp/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A7%80/1836656296571527/
** https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1714807478815313&id=1680589658903762
** https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A7%81
এই সব সাইটের নাম সমূহ না লিখে আপনার লেখার শেষে উল্লেখ করা যেত:
তথ্য সমূহ অনলাইনের বিভিন্ন সাইট থকে নেয়া হয়েছে, যেমন উল্লেখ করেছেন হাসনাত আবদুল হাই সাহেব।
যাই হোক, কষ্ট করে সোনেলার পাঠকদের জন্য এমন লেখা লেখার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ ব্লগিং।
আরজু মুক্তা
আপু আমি তো মহাপণ্ডিত না! আমাকে সাহায্য নিতেই হয়। আমি বুঝিনি ওভাবে সাইট বা বই থেকে লিখলেও তথ্য দিতে হয়। তাই আপনাকে বলেছি। আমি কিন্তু রাগ করে বলিনি।
আপনার পরামর্শ মনে থাকবে। ধন্যবাদ।
নাসির সারওয়ার
আমি কবি হয়েও ৫+৭+৫ ১৭ হয় জানতাম না! আর হাওকু, সে তো কয়েক আলোক বছর দূরে।
আমার পরের কবিতা হবে এই ১৭ই নিয়ে।
অনেক শিক্ষনীয় পোষ্ট। ভালো থাকুন।
নাসির সারওয়ার
দুক্ষিতঃঃ হাইকু পড়তে হবে।
আরজু মুক্তা
ওরে বাবা! এ আমি কাকে দেখছি!
ভাইজান, আপনার মন্তব্য আপ্লুত করলো। আমার এ পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে, এটাই বড়।
নিশ্চয়, আমি, অপেক্ষায় আপনার হাইকু পড়ার জন্য।
শুভকামনা আপনার জন্য।
নাসির সারওয়ার
আমার প্রথম মন্তব্য দিয়ে আপনার ব্লগ ঘরে ঢু মারলাম পরিচিত পর্বের মত। এবার হাইকু নিয়ে একটু আলাপ করি।
হাইকুকে আমরা এক কথায় “প্রকৃতির ঘটনা” যা ৫+৭+৫ দিয়ে বলে থাকি। আপনি অনেক কষ্ট করে অনেক তথ্য সংগ্রহ করে পাঠকদের উপহার দিলেন আর তার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এবার একটু তথ্য কথা –
আমরা যখন একটা পোষ্টে ছবি সংযোগ করি এবং তা যদি নেট থেকে নেই, তাহলে তার তথ্য সুত্র দিয়ে দিয়ে সেই লেখাকে আরও উন্নত করি। দূটো কারন, ১) একজনের সৃষ্টিকে স্বীকৃতি দেয়া। ২) আইনগত ঝামেলা এড়িয়ে চলা। এটা তথ্যের জন্য এরকমই।
এক্ষেত্রে আপনি একটা পাদটীকা (তথ্য ইন্টারনেট থেকে নেয়া) রেখে দিলে আপনার এই লেখাটা আরও উন্নত হতো।
আশা করি আমার মতামত আপনার পরবর্তী লেখাকে আরও উন্নত করবে।
আরজু মুক্তা
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ