ফুরিয়ে গিয়ে তারপরে কি এসেছিলো আবার অঘ্রাণ? নতূন ধানে, ভেঁজা ঘাসে
কেন এতো ফুরফুরে হাওয়া? আবার বুঝি চলে যাবার আগে ঘুরে যেতে এসেছে?
এতো এতো কোলাহলে নির্জনতা প্রয়োজন; শীতের ঝাঁপি খুলে গেছে সেই কবেই, তবু কি চাই তার আবার!
এই উত্তরও জানা আছে সকলেরই, বেশ ভালো করেই। চাওয়া-পাওয়ার সমীকরণে কতো ঋতু গিয়েছে চলে।
আমি বসে আছি ওখানেই মেঘের দরোজা খোলা, উঁকি দিচ্ছে শীতের নক্ষত্র ওই দূরের ভোরের আকাশে।
মাঝরাতের ঘুম চোখে নিয়ে ঠাঁয় চেয়ে থাকা—
উত্তর জানা নেই এই অপেক্ষার। চেয়ে থাকা মানে কি অপেক্ষা?
সন্ধ্যে থেকে রাত, রাত থেকে ভোর; নক্ষত্র কার অপেক্ষায় থাকে তবে?
ওই তো এলোমেলোভাবে সেজে থাকা আকাশ,
ঠিক তার নীচে উচ্ছৃঙ্খল জলসমুদ্র, নাহ আমার নীল সাগর এবং আমি অপেক্ষায় থাকি
একদিন সব শুরু হবে, আবার নতূন আরেক জীবন{কি জানি হয়তো শুরুও হয়ে গেছে!}
সেদিন কেউ না কেউ, আমি-তুমি কিংবা আমি-সে নয়তো তুমি-সে…
**বহু নক্ষত্রর মৃত্যু হয়, হিসেবে যোগ হয় শুধুই মানুষ।**
হ্যামিল্টন, কানাডা
৩০ নভেম্বর, ২০১৫ ইং।
৩০টি মন্তব্য
লীলাবতী
অপেক্ষার শেষ হয়না নীলাপু।অসীম আশারা কখনোই সম্পুর্ন ভাবে আসেনা আমাদের মাঝে(আমার মাঝে আসেনি সব)।তবু আমরা চাই আমাদের প্রত্যাশা মত সব হোক।শুরু হোক আবার…………
ভালো লাগে আপনাকে,মনে হয় যেন আপনার লেখা আমারই লেখা।নিয়মিত পাচ্ছি না কেন আপু আপনাকে?আপনার লেখা পড়তে ভালো লাগে।এই ভালোলাগা থেকে বঞ্চিত করা কি ঠিক হচ্ছে?
নীলাঞ্জনা নীলা
আসি তো! তবে একটু কম আসি। যখন আসি, তখন একাই আসি, থাকিও, আবার চলেও যাই।
এই লেখাটা আমার বন্ধুর জন্যে লেখা। যে বন্ধুটা আজ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। লীলাবতীদি প্রার্থনা করবেন সুস্থ হয়ে ওঠে যেনো।
ভালো থাকুন আপনি। আসবো একটু সুখবর পেয়ে নেই।
লীলাবতী
আপনার বন্ধুর জন্য আন্তরিক দোয়া করছি আপু,বন্ধু যেন দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠেন।সুখবর আমাদের সাথেও শেয়ার করবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
অবশ্যই জানাবো। 🙂
লীলাবতী
ভালো থাকবেন আপু।সোনেলায় আপনি আর আমি একই দিনে নিবন্ধন করেছি।সোনেলায় আমরা দুজন সম বয়সী 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার কয়েকজন প্রিয় বন্ধু আছে, যাদের বয়স হিসেব করলে মাতব্বরি করার মতো অবস্থানে আমি।
লীলাবতীদি আমার বন্ধুটি এখন সুস্থ, তবে ওর চোখের উপর প্রেসার দিতে না করেছে। ফোনে কথা বলতেও মানা। আমি জানি সুস্থ হবেই, আমার কাছে সেরা সম্পর্ক বন্ধুত্ত্ব। যারা বন্ধু, তারা তাদের জীবন দেয়, কিন্তু কখনো প্রতারণা করেনা। প্রার্থনা করবেন আমার বন্ধুটির জন্যে।
আর ভালো থাকবেন আপনিও। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
কবিতাটি সুন্দর লেগেছে দিদি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ নীতেশদা।
অরুনি মায়া
হুম হারিয়ে যাবার আগে নতুন করে সব কিছুই একবার জেগে উঠে শেষ বারের মত
নীলাঞ্জনা নীলা
এমনও হয়, শেষবারের মতো ডোবার আগে সব পরিষ্কার করে ধুয়ে দিয়েও যায়।
ধন্যবাদ অরুনি আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। -{@
নাসির সারওয়ার
অপেক্ষা ভালো না। এতো তোষামোদ কিসের হ্যাঁ! থাকলে থাকো না থাকলে যাও।
কঠিন কথাবার্তা বুঝি কম। তাই মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো রাগ কেন?
ভাইয়ূ এ জীবনে তোষামোদ করিনি, নিইওনি। আমি আমার মনের রানী। যখন আসতে মন চায় আসি
যেতে মন চাইলে যাই।
আর লেখাটা প্রকৃতি নিয়ে। শীতের শুরু, পাতা ঝরা দেখে লিখেছিলাম। প্রকৃতির বদল হয়, মানুষের চরিত্র বদলায় না। সেই একই।
শুধু উপরের আবরণে আলাদা।
ভালো থাকুন। রাগ-অভিমান সকলকে দিতে নেই।
নাসির সারওয়ার
না লিখতে জানলে যা হয়। আমার অভিমানতো প্রকৃতির উপরে। শীত আসছে আসছে করি আর এখনো আমি চাঁদর জড়াতে পারছিনা। শহরের কোথায় পাবো শিশির ভেজা ঘাস। সবুজ রঙ তো দেখাই যায়না আজকাল। গ্লোবাল ওয়ার্মিং কি একেই বলে?
আমি আন্তরিক ভাবেই লজ্জিত এবং দুঃখিত। কাউকে কষ্ট দেবার সাধ্য আমার নেই। আমি আপনার লেখার একজন ভক্ত। আনপার কিছু লেখা না বুঝেও হাসি আবার মন ভার করি। এই আমি রাগ-অভিমান করবো কেমন করে।
মনের ভুলে কষ্ট দিয়ে থাকলে, ক্ষমা করে দিন প্লিজ।
নীলাঞ্জনা নীলা
এ মা! ছিঃ!! ছিঃ!!! এসব কি বলছেন ভাইয়ূ? কষ্ট কোথায় দিলেন? ক্ষমা চাইছেন। আমায় এভাবে ছোট করে দিলেন?
অনেক সম্মানীয় আপনি একজন, ক্ষমা করবেন আপনাকে বোঝাতে পারিনি আমার মন্তব্য দিয়েও।
নাসির সারওয়ার
না পারি লিখতে, না বুঝি পড়তে।
দিনে দিনে আরো বেশী দক্ষিনে যাচ্ছি। কিযে করি বলুনতো?
আরে আমরা আমরাই তো।
নীলাঞ্জনা নীলা
আহা লিখতেও পারেন না, আবার পড়াও বোঝেন না?
এ তো দেখছি আমার অবস্থা! এক কাজ করি চলুন, শিক্ষক রাখি শেখার জন্যে।
সেইতো আমরা তো আমড়া(বরিশালি আমড়া :p 😀 :D) )
রিমি রুম্মান
যে যায়, সে কি আসলেই যায় ?
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়, আপু
ফিরে ফিরে আসা…
শুভকামনা -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপু কি সুন্দর বুঝে নিলে! হুম ফিরে ফিরে আসা।
ভালোবাসা তোমায়। -{@
দীপংকর চন্দ
অনন্য!!
অনেক ভালো লাগলো।
মুগ্ধতা ছবি সংযোজনে।
শুভকামনা। শুভকামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
ছবি দুটো অনেক আগের তোলা।
আর অনন্যা! লেখায় অনন্য তো আপনি নিজেই গল্পকার!
জিসান শা ইকরাম
অপেক্ষায় থাকিই আমরা
উত্তর জানা থাকলেও অপেক্ষায় ক্লান্তি নেই আমাদের
অনি দৃষ্ট আনমনে নিজেকে বলা কথার মত লাগলো কবিতা
অবশ্য সব লেখাই আমরা প্রথমে নিজেকে বলি।
নক্ষত্রের মৃত্যু স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
অনেক অনেক ভালো লেগেছে কবিতা
ছবি নির্বাচনে তুমি সবসময়ে দক্ষতা দেখাও।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
সুন্দর মন্তব্য। আপনি সবসময়ই সুন্দর মন্তব্য করেন।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ছবি দুটো আপনাকে মনে হয় ট্যাগ করেছিলাম ফেসবুকে, আপনি চেয়েছিলেন। তখন সোনেলা ছিলোনা।
ভালো থাকুন।
তানজির খান
কবি গুরু বলেছেন অপেক্ষাই জীবন। আমিও বলি অপেক্ষাই জীবন। অপেক্ষাই শেষের শুরু আবার শুরুর শেষ। দারুণ লেগেছে আপি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া এমন লেখাকে দারুণ লাগতে দিওনা।
তবে এটি সত্যি তোমার মৃত্তিকা সিরিজটা ভালো হচ্ছে। ওটাকে আরেকটু অন্যভাবে আনো।
শুন্য শুন্যালয়
চেয়ে থাকা মানেই অপেক্ষা নয়। চেয়ে থেকে আমি ভাবছি একটা কথাই—কেউ আমার অপেক্ষা করছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম আপু প্রতিটি মানুষের জন্যে কেউ না কেউ অপেক্ষায় থাকেই। আমরা কেউ সেটা বুঝি, কেউবা না।
আর অপেক্ষা যখন পূর্ণতা পায়(যেমন আমি পেয়েছি) তখন বোঝা যায় এ পাওয়ার জন্যেই বুঝি সময় পাল্টেছে এবং ভাবনার বদলও হয়েছে।
আবু খায়ের আনিছ
**বহু নক্ষত্রর মৃত্যু হয়, হিসেবে যোগ হয় শুধুই মানুষ।** আমি আর কিছু বলব না।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়া এই নক্ষত্র হলো প্রতিভা, আমরা মরে গেলে লাশের হিসেব করি।
কিন্তু কতো কতো প্রতিভা রোজ মরে, তার হিসেব ক’জন রাখি?
আবু খায়ের আনিছ
একজনও না।
নীলাঞ্জনা নীলা
🙂 -{@