
স্রষ্টা তোমার দেয়া মহাগ্রন্থ আল-কুরআনুল কারীমের একটা আয়াতের বঙ্গ অনুবাদ আজ খুব করে মনে পড়ছে। সেখানে তুমি বলেছ “তোমরা কতটুকু মক্কর জানো আমি তার চাইতে বেশি মক্কর ওয়ালা”
আজ নির্দ্বিধায় এই আয়াতের অর্থ টুকু আমরা সবাই অনুধাবন করতে পারছি।
তুমি চাইলে অনেক কিছু অনেক ভাবেই করতে পারো আমরা এই ব্যাপারটি একদম ভুলে গিয়েছিলাম। আর সেই ভুল ভাঙ্গাতে তুমি তোমার বিরাট একটা মক্কর আমাদের সামনে উপস্থিত করলে। আল্লাহ সত্যিই তুমি পারো; সব পারো।
আমরা পৃথিবীর মানুষ মনে করেছিলাম, আমরা অনেক কিছু পারি; কিন্তু আসলে আমরা কিছুই পারিনা। পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা পৃথিবীটাকে একেবারে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করে ফেলতে চেয়েছিল । মানুষ তার জ্ঞান দ্বারা পৃথিবীর সবকিছু আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছিল। মানুষ সবকিছু পারে না তুমিতো খুব অনায়াসেই বুঝিয়ে দিলে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে মানুষ মনে করেছিল, তারা উন্নতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলেগেছে। এখন মানুষ চিকিৎসা করে কতকিছুই সারিয়ে তুলতে পারছে। মানুষের হার্ট থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে আজ সহজলভ্য হয়ে গিয়েছিল। মানুষ মনে করেছিল এখন টাকা থাকলে জীবনের হায়াতটাকে অনেকটা বাড়ানো যায়। মানুষ মনে করেছিল মানুষের সাধারণ কোন রোগে মৃত্যু হবে না। অথচ তুমি মহান আল্লাহ সামান্য একটা অসুখের উৎপত্তি করলে তা সারানোর সাধ্য আজ চিকিৎসাবিজ্ঞানে নেই ।
মানুষ তার চিকিৎসা বিজ্ঞানের সব কিছু সারিয়ে তুলতে পারছে অথচ সামান্যতম জ্বর সর্দি কাশি গলাব্যথা আজ মানুষের মৃত্যুর কারণ। গোটা পৃথিবী আজ হিমশিম খাচ্ছে এই সামান্য অসুখ সারিয়ে তুলতে।
পৃথিবীবাসী অনেকটা বেখেয়ালি হয়ে পড়েছিল স্রষ্টার প্রতি। অনেকটা পাপাকার্জে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল ।সকল কিছু ভুলে গিয়েছিল মানুষ।তুমি মানুষকে সবকিছু ভুলে গিয়ে আবারও এক লাইনে দাঁড় করিয়েছো।সাম্যের দলে নামিয়ে এনেছো। মানবতার সারিতে সাজিয়েছো। একজন মানুষের মধ্যে যা যা থাকা আবশ্যক ।
মানুষ পাপ কাজ থেকে বিরত আজ। মানুষ অসহায়দের সহযোগিতা করতে ব্যস্ত আজ ।মানুষ তার কর্মযোগে ব্যস্ত দুটি হাত কে সকল ব্যস্ততা ফেলে রেখে তোমার দুয়ারে তুলে ধরতে নিযুক্ত আজ। তুমি মহান খেলোয়াড় তোমার খেলার বাজিতে পৃথিবীর কারো সাধ্য নেই।
সবাই মনে করছেন স্রষ্টার নিকট ধরা দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।স্রষ্টা ছাড়া আর কোন রক্ষা নেই। তাই তো ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে আজ গোটা পৃথিবীর মানুষ তোমার দিকে তাকায় আছে।সবাই মনে প্রাণে তার স্রষ্টাকে স্মরণ করছে। এখন মনে হয় স্রষ্টা একজন আছেন।
স্রষ্টার বিধান অমান্য করলে তিনি সহজে কিছু করেন না; কিন্তু তিনি যখন কিছু করেন তখন তা মানুষের সাধ্যের বাহিরে চলে যায়।
স্রষ্টা তোমার প্রতি এখন করজোড়ে মিনতি সবার, আমাদেরকে রক্ষা কর। তুমি জিতে গেছ তোমার খেলায়। তুমি এখন বিজয়ের বেশে আবারো মানুষের অন্তরে বাস কর।
১৪টি মন্তব্য
হালিম নজরুল
স্রষ্টাই শ্রেষ্ঠ
নিরব সাগর
অবশ্যই, এতে কোন সন্দেহ নেই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বিধাতা সব পারেন। প্রকৃতি আর সময় সবকিছু ফিরিয়ে দেয় এটা অনেকেই মানেন নাই তারাই আজ দেখছে। প্রকৃতির উপর অন্যায় অত্যাচার কিভাবে আজ একমূহূর্তে বন্ধ করে দিল। নিজেরাই বাঁচতে চেয়েছিলো প্রকৃতির সম্পদ নষ্ট করে। ঈশ্বর আছেন আর সবই তিনি হিসাব রাখছেন। ভালো থাকুন শুভ কামনা রইলো
নিরব সাগর
পৃথিবীবাসী নিজেদেরকে অনেক উপরে তুলে ধরতে চেয়েছিল। সৃষ্টিকর্তা সেখান থেকে নামিয়ে তার জায়গাতে অবস্থানের ব্যবস্থা করলেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
ছোট্ট ছোট্ট মশা দিয়ে নমরুদ বাহিনীকে ধ্বংস করেছিলেন যিনি তিনিই অদৃশ্য করোনার সৃষ্টিকর্তা। বিশ্ব জগতের সমস্ত সৃষ্টি মালিক তিনি। তিনি ক্ষমাশীল এবং ন্যায় বিচারক। তার মতন কে আছেন, যিনি তার সৃষ্টির প্রতি সবচেয়ে ধৈর্যশীল? ইনশাআল্লাহ মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের এই দূর্যোগ থেকে রক্ষা করবেন।
সুন্দর লিখেছেন।
শুভ কামনা 🌹🌹
নিরব সাগর
ধন্যবাদ প্রিয় সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।
সুপায়ন বড়ুয়া
স্রষ্টা আজ সবাইকে রক্ষা করবে
এই কামনা করি।
শুভ কামনা।
নিরব সাগর
স্রষ্টায় পারে সবাইকে রক্ষা করতে এবং তিনিই রক্ষা করবেন ।
ফয়জুল মহী
সুকোমল ভাবনার অসাধারণ লেখা।
নিরব সাগর
ধন্যবাদ প্রিয় সুন্দর প্রশংসা করার জন্য।
সুরাইয়া পারভীন
চমৎকার লিখেছেন
একমাত্র তিনিই পারেন সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করতে।
নিরব সাগর
ধন্যবাদ লেখিকা প্রশংসা করার জন্য। আপনার প্রতি শুভ কামনা রইলো ।
এস.জেড বাবু
স্রষ্টার নিকট ধরা দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।স্রষ্টা ছাড়া আর কোন রক্ষা নেই। তাই তো ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে আজ গোটা পৃথিবীর মানুষ তোমার দিকে তাকায় আছে।সবাই মনে প্রাণে তার স্রষ্টাকে স্মরণ করছে। এখন মনে হয় স্রষ্টা একজন আছেন।
বেশ লিখেছেন-
তিনি আছেন- এবং তিনিই রক্ষা করবেন।
নিরব সাগর
তিনি মহাপরাক্রমশালী। শেষ সময়ের সহায়