ব্যস্ততার কারণে কলমে নীরবতা চলছে। এছাড়া কেমন যেন অলসতাও পেয়ে বসেছে। অলসতা কে দূরে ঠেলে কলমটা হাতে নিলাম। যে বিষয়টি নিয়ে খুব লিখতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু জানিনা কতটুকু ভাব প্রকাশ করতে পারবো। বিষয়টি হচ্ছে – সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পাঠকের মন্তব্য। আমার কাছে মনে হচ্ছে, পৃথিবীতে যদি কিছু সস্তা থেকে থাকে তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করা। পাঠক বলতে পারেন, আপনি কি তার বাইরে। না আমিও তার বাইরে নই। কারণ আমিও যে আপনাদেরই একজন। আমার এ লেখায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আগেই মার্জনা পেশ করছি।
বেশ কিছুদিন আগে একটি লঞ্চ থেকে ১০/১২ বছরের একটি ছেলে নদীতে পড়ে যায়। সেই সংবাদের জের ধরে কোন এক পাঠক লিখেছেন- বাপ- মায় কি গাঞ্জা খাইতেছিল বাচ্চা পরলো কেমনে। মূল সংবাদ না পড়ে শিশুটির বাবা-মাকে গালি দিয়ে অসংখ্য মন্তব্য ছুড়ে দেয়া হলো। অথচ শিশুটি ছিল এতিম।
এখানে শুধুমাত্র একটি বিষয় তুলে ধরা হলো। এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন পাঠক পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে তার মন্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে। প্রযুক্তির কল্যাণে হাতের মুঠোয় বিশ্ব। নিমিষে সব খবর চলে আসছে। সে খবরগুলো পাঠক পড়বে মন্তব্য করবে এটাই স্বাভাবিক। যে কোন বিষয়ে সমালোচনা হবে গঠনমূলক। পাঠক পড়ে তার মনোভাব প্রকাশ করবেন। সেখানে ইতিবাচক মন্তব্য হতে পারে আবার নেতিবাচক ও হতে পারে। তবে ভাষার ব্যবহারে শালীনতা অবশ্যই কাম্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মন্তব্য গুলো দেখলে মনে হয় সেখানে পরচর্চা আর পরনিন্দা ছাড়া আর কিছুই নেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মুক্তচর্চার কেন্দ্র। সেখানে আপনার দেয়া মন্তব্যগুলো আরও অনেক পাঠক দেখছে এবং পড়ছে। সে পাঠকের তালিকায় আপনার সন্তান বা আপনার কোন প্রিয়জন থাকতে পারে। একবার ভেবে দেখেছেন কি আপনার মন্তব্য আপনাকে কোথায় নিয়ে দাঁড়া করাবে। প্রশংসার যোগ্য না হলে প্রশংসা করবো না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অশালীন কথার ভাগারে পরিনত না করি।
১৩টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
কথা ঠিক। মাঝে মাঝে আমিও এ কাজটি করি। রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে অনেকসময় এটা সেটা মন্তব্য করে বসি। তবে অবশ্যই আমাদের এটা করা উচিত। আরও আরও লিখুন, অনেক রেষ্ট হয়েছে। শুভকামনা অশেষ।
হালিমা আক্তার
লিখতে তো হবেই। কতো কিছু লিখতে ইচ্ছে করে। সময় কোথায়। সময়ের গহ্বরে লেখা হারিয়ে যায়। শুভ কামনা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
আপা সহজ কথায় প্রাঞ্জল বর্ণনায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি লেখা উপহার দিলেন।
এখন আঁতেল লেখক যেমন ভুরি ভুরি তেমনি অর্বাচীন পাঠকের ও অভাব নেই।যে যেভাবে পারছে নিজেকে উগরে দিচ্ছে। সৌজন্যবোধ হারিয়ে যেতে বসেছে।
কবি নজরুল বলেছিলেন আঘাত করলেও ফুল দিয়ে করতে হয়।
ধন্যবাদ আপা
হালিমা আক্তার
তোমার চমৎকার মন্তব্য লেখার মাধুর্য বাড়িয়ে দিল। গঠনমূলক নেতিবাচক মন্তব্য করা যায়, ভাষা সুন্দর করলে কি হয়। কবি নজরুল ভালোবাসার কবি, তাই ফুল দিয়ে আঘাতের কথা বলেছেন। যারা মাথা ফাটাতে চায়, তারা ফুলের আঘাত এর মর্ম বুঝবে না। শুভ কামনা রইলো।
ফারজানা তৈয়ূব
সময়োপযোগী লেখা লিখেছিস দোস্ত, ধন্যবাদ তোকে।
হালিমা আক্তার
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
যেখানে যাচাই-বাছাই বিনেই
খবর প্রকাশিত হয়
সেখানে এহেন মন্তব্যে সারি অসম্ভব কিছুই না!
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
হালিমা আক্তার
খবরে যাচাই-বাছাই নাই। আবার না পড়েও নেতিবাচক মন্তব্য করি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
আলমগীর সরকার লিটন
সমাজে বহু পাঠ আছে সঠিক পাঠ বিচার করার কঠিন তারপরও এভাবেই চলছে সমাজ পরিবার অনেক কিছু
ভাল থাকবেন কবি আপু—————
হালিমা আক্তার
সঠিক পাঠ বিচার করা কঠিন, কিন্তু নোংরা মন্তব্য পরিহার করা কঠিন কিছু নয়। শুধু সুস্থ মানসিকতার প্রয়োজন। অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
হালিম নজরুল
ইদানিং আমরা কেউ কারো লেখা পড়তে চাই না। কিন্তু মন্তব্যে ওস্তাদ। পৃথিবী প্রস্তরযুগে ফিরে যাক।
হালিমা আক্তার
একদম সত্যি বলেছেন। যেমন উল্টা পাল্টা রিপোর্ট হচ্ছে, তেমন মন্তব্য করছে। কারো কোন দায়বদ্ধতা নেই। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
মোঃ খুরশীদ আলম
আসুন গুজব থেকে দূরে থাকি, সুস্থ থাকি। ধন্যবাদ।