‘বিড়ালের আড়াই পা’করতে না পারার অপরাধে
মস্তিষ্ক বিকৃতি কুরুচিপূর্ণ মেধাশূন্য অমানুষদের কুদৃষ্টি পড়া
ক্ষণিক যে সময়গুলিতে ভাগ্য দীনহিন ও অধমুখী হয়
সে ভাগ্যকে দুর্বাক্য শুনিয়ে যাই,
কেনো এই মহা দুর্দশা ও ঘোর অমঙ্গল?
মুহ্যমান দাঁড়িয়ে থাকি দু’কদম দূরে সু-শীতল এক বৃক্ষতলে
বাষ্প কন্ঠ ডুকরে ওঠে।
দুর্ভাগ্যের সে দশা পূর্ণ হতে দেয়না সে বটবৃক্ষ।
সে উপলব্ধি তখন এমন,
শৈশব কৈশরে চৈত্রের দুপুরে হেঁটে যাওয়া বড় ক্লান্ত ধুলোময় পথ ধরে,
দূরে দৃষ্টির সীমানায় এক বটবৃক্ষের ছায়ার শীতল পরশের স্পর্শ।
দুরাত্মা সে তাপদাহকে প্রবল যুদ্ধে পরাস্ত করে সে শীতল পরশ।
অথবা,
গ্রীষ্মের রোজায় রোজাদার পিপাসায় জীবন যখন অস্থির
রোজা ছেড়ে দেবার ক্ষণিক ইচ্ছা,
পরক্ষণে চিন্তা, ইফতারিতে সে পানের তৃপ্ততা পাওয়া তো তবে পুরাই বৃথা।
পূণ্যের সে প্রাপ্তির তৃপ্তি।
কিন্তু!
সে দুঃসময়ের ভাগ্য যদি সুপ্রসন্ন না হতো
নিদারুন সব শব্দ দূষণের কোলাহল ছেড়ে
ক্ষত বিক্ষত হয়ে, চির অভিমানে
অবক্র সে পথ ধরে ঈঙ্গুদী বন অবধি হেঁটে যেতাম
অন্ধকার নেমে আসায় সে অরণ্যে তখন
মেধাশূন্য জন্তু জানোয়ারের ঝিল্লিরব, বাঘের গর্জন, সিংহের নাদ, হস্তির বৃংহিত
কখনও বা বাঘ আক্রান্ত হরিণের করুণ আর্তনাদ।
আত্মহত্যা মহাপাপ থেকে নিষ্কৃতি পেতে মৃত্যুর অপেক্ষায় কেটে যেতো দিন থেকে দিন রাত থেকে রাত।
,,,,রিতু,,,,,
১৭..৭.১৮. কুড়িগ্রাম।
১৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
সমস্ত অমংগল দূর হোক,
ভাল আর সৎ মানুষের কাছ থেকে অমংগল দুরেই থাকে।
সারাক্ষন শুভকামনা -{@
মৌনতা রিতু
কেনো যে হয় এমন! জীবন তার সহজ পথে কেনো চলে না?
বলতে ইচ্ছে করে, এই তো ভালো আছি।কেটে যাচ্ছে দিন। ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
এত ব্যাথা মনের প্রাণে
প্রাণের গহিন বনে,
ফুৎকারে উড়িয়ে দেব
শুকনো যত পাতা;
বসন্ত-বৃক্ষ এই এলো বলে!!
মৌনতা রিতু
বসন্ত আসতে আসতে শুকনো তৃণখন্ডের মতো যদি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাই? আমার সে ব্যাথার খবর বাতাস থেকে বাতাসে মিলাবে।
এই যে ভরসাটুকু, এতে বড় প্রশান্তি।
ভালো থাকুন প্রিয় কবি।
মোঃ মজিবর রহমান
সবই সৃষ্টিকর্তার দান,
মানুষ হয়ে হিংস্ব থাবা
মানুসেরি বুকে খাম্বা।
কষ্ট আর কষ্ট
মোরে করে সিক্ত।
বেশি ব্যাথা নিয়েন না ভালো থাকুন।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ মজিবর ভাই। ভালো থাকবেন আপনিও।অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
পথ ভেঙ্গে পথ তৈরী হয়, সুখ ভেঙ্গে দুখ। এটাই তো জীবন।
কবিতা নয়, যেনো জীবনের বিছানায় পেতে রাখা চলমান মুহূর্ত।
ভালো লিখেছো শান্তসুন্দরী আপু।
ভালো রেখো নিজেকে। (3
মৌনতা রিতু
ঠিক বলেছো নীলাআপু। নিত্য চলমান পথে কতো কতো তার রঙ! নতুন নতুন সব পথের সৃষ্টি হয়।
ভালবাসা নিও আপু। তুমিও ভালো থেকো সব সময়। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
তুমিও ভালো থেকো আপু। 🌺
শুন্য শুন্যালয়
বাপ্রে, এতো কঠিন করে লেখা তুমিও শিখে গেলে!
একটা দাঁত পড়েই গেছে আগে, বাকিগুলোর কি হয় এবার কে জানে!
লোকের কথায় নিজের সময় নষ্ট করে যারা, তারা বোকা।
আর মানুষকে নিয়ে মানুষের কথা বলা, এটা কিন্তু মানুষেরই ধর্ম,
বেশি রসিয়ে বলতে পারলে, বেশি তৃপ্তি 🙂
শীতল পরশে শান্ত হও। ভালো হয়েছে লেখা।
মৌনতা রিতু
ঠিক বলেছো নীলাআপু। নিত্য চলমান পথে কতো কতো তার রঙ! নতুন নতুন সব পথের সৃষ্টি হয়।
ভালবাসা নিও আপু। তুমিও ভালো থেকো সব সময়। -{@
মৌনতা রিতু
তুমি এতো শব্দ নিয়ে খেলো, আর তোমার দাঁত ভেঙ্গে গেছে, মাইর খাবা।
ইদানিং রেগে যাই শুন্য মানুষের এমন আচরনে। সব থেকে বড় কথা, নিজে যখন এমন আচরন করে বসি তখন আরো বেশি রাগ হয়। ছোটো জীবনে কতোকিছু দেখে যেতে হয়!
ভালো থেকো শুন্য ছোটো এ জীবনটায়। অনেক ভালো থেকো। বেঁচে থাকো তুমুলভাবে। অনেক দোয়া রইলো। বেঁচে গেছো তোমরা এ ছোটো মানসিকতার দেশটাতে নেই।
মায়াবতী
অরে বাপ্রে কি কঠিণ সব শব্দ রে ভাই ! বাংলা ডিকশেনারী নিয়ে পড়তে হয়েছে বুঝছো , এতো সুন্দর যার মন তার শব্দ ভান্ডারকে আরো স্নিগ্ধ করা যায় না কি ? -{@ অনেক অনেক ভাল লিখেছো তুমি , মাশাল্লাহ । ভাল থাক সোনা (3
মৌনতা রিতু
এত্তগুলা আদর নিও আপু।
তুমি কষ্ট করে পড়েছো বলে। শোনো তাইলে হেলাল ভাইর কবিতার কথা কি বলবা ^:^ আমারতো চুল পড়ে গেছে প্রায় অর্ধেক পড়তে গিয়ে।