
কিছুদিন আগে ঘটে যায় একটি অপ্রীতিকর ঘটনা।আওয়ামীলিগের সাংসদ রনি গ্রেফতার।যে দিন সে গ্রেফতার হন সে দিনের আগের রাতে একটি টক শোতে সে সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা এমন কি যে কথা কইতে মানা গুরুজনে কয় নিজ অন্নদাতার সমালোচনা করতে নেই।সে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও সমালোচনা করে।সেই রাতেই বুঝে ছিলাম রনি সাহেবের অবস্হা কাহিল।পরদিন সে গ্রেফতার হন সাংবাদিক পিটানোর মামলায়।সাংবাদিক কারা তালাশ টিমের কমী`রা।তারা সালমান এফ রহমানের সময় টিভির সাংবাদিক।রনি গ্রেফতারের ঘটনা আমরা কমবেশী সবাই জানি।সে গ্রেফতার হয়নি হয়েছিল তার প্রতিবাদী কিছু ঘটনা।আমাদের রাষ্ট্র ব্যাবস্হার অন্ধকার দিকটি সে দেখাতে চেয়েছিলেন কিন্তু বুঝতে পারেনি ঐ দিকটা এতই অন্ধকার যে যিনিই আলো দেবার চেষ্টা করবে তাকে সেই অন্ধকার গ্রাস করে ফেলবে।বুঝতে পারেনি রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাবেদারদের দৌড়াত্ত্বা।
এখানে দেশমাতৃর টান রয়েছে সকলেই বক্তিতায় ,বাস্তবে নয়। অনেকগুলো শেয়ালের সাথে এক মানব নগণ্য।সেখানে চলে জোড় যার মুল্লুক তার নীতি।নীতি কথার আমার আপনার কোন স্হানই সেখানে নেই।তার পরও অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্চর ছিল সে।যার পরিনিতী রোজার ঈদ করতে হয়েছে জেলে।
সবার ধারনা সব কিছুরই একটা সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত।কিন্তু আপনি দূনি`নীতি করলেন আমাকে চুপচাপ দেখতে হবে,,,আপনি জনগণের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি করবেন আমাকে না দেখার ভান করতে হবে,,,,আপনি জনগণের টাকায় বেতন নিবেন আর জনগণের উপর গুলি মারবেন আমাকে প্রতিবাদহীন ভাবে মৃত্যু বরণ করতে হবে,,,,,
এটাইতো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ?তাইনা?
এটাইতো শহীদ জিয়ার বাংলাদেশ?তাই না?
আর কত বয়সতো কম হলোনা।এ বয়সে কমতো টাকা রোজগার করেননি?আর কত টাকা হলে আপনাদের টাকার নেশার সমাপ্ত হবে।জীবন চালাতে কত টাকার প্রয়োজন? এক বারো কি মনে দাগ কাটেনা আপনি যেভাবেই টাকা রোজগার করেন অন্তরজামী ঠিক যায়গা মত প্রত্যকটা টাকার পাইটু পাই হিসাব নিবেন।তখন ক্ষমা চাইলো ক্ষমা পাবেন না।কারন আল্লাহ ততক্ষন ক্ষমা করবেন না যতক্ষন না যাকে বা যাদের ঠকিয়ে এই ক্ষনস্হায়ী প্রাসাদ গড়েছেন সে আপনাকে ক্ষমা করবে।
আসছে জাতীয় ইলেশন। আমরা এমন অভাগা জাতি যে পাকিস্হানের হাতে শোষিত আবার স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রের হাতেও শোষিত হচ্ছি।আজও আমরা পারলামনা কি ভাবে জাতীয় ইলেকশন হবে তা নিদিষ্ট করতে।স্বৈরাচারত্তোর গনতণ্ত্রের গণতন্ত্র কি তা আজও বুঝতে পারলাম না।গণতন্ত্রের নাম যদি হয় স্বাধীন ভাবে কথা বলাকে স্তব্ধ করা,গণতন্ত্রে মানি যদি হয় গণমাধ্যম বন্ধ করা,গণতন্ত্র যদি হয় পূলিশী হয়রানী ,গণতন্ত্রের ভাষা যদি হয় হরতালের নামে ভাং চুড় আর অগ্নি সংযোগ ,তাহলে সেই গণতন্ত্রের মূখে আগুন দিয়ে চিরতরে নিঃষেশ করে দেয়াই শ্রেয়।আজ আমরা রাজনিতীবিদদের ধিক্কার জানাই তাদের কারনে সেই ‘৬৯,’৭১,’৯০ এর জনগণের অধিকার প্রতিষ্টার লড়াইয়ে যারা আন্দোলন করেছিল সেই সব মহান নেতাদের আদশে`র বা নীতি ধারে কাছেও নেই।তাদের সংগ্রাম ছিল অকুতভয় জনতার কল্যানে আজকের নেতাদের মত পিঠ বাচাতে বিদেশে অন্য এক বাংলা গড়ে তুলেনি তারা।তাদের আন্দোলনে ছিল সততা,খেটে খাওয়া এদেশের আমজনতার ভাগ্য উন্নতির তরে কেউ নিজ সহ পরিবারকে বলি দিয়েছে কেউবা একা সাকি`ট হাউসে শহীদ হয়েছিল ।আজকের নেতাদের মত বিপদ এলেই বিদেশ পাড়ী দেয়নি।আজ হয়তো রাজনিতী আর ক্ষমতার জন্যে ঐ দুই মহান নেতাকে নিয়ে কুৎসিত রচনায় একে অন্যে ব্যাস্ত কিন্তু সত্য হলো দু জনেই যার যার অবস্হান থেকে প্রকৃত দেশ প্রেমিক তা বলাবাহুল্য।কিন্তু আমরা যতই সত্যকে লুকায়িত করিনা কেনো সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই।
ফেলানী!একটি মানবিধীকার লঙ্গনের প্রতিক।ছবিটি দেখে আপনি কি বলবেন,তাবে শুধু গুলি করে হত্যাই করেনি তাকে কাটা তারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রেখেছিল তখন মনে হয়েছিল এ ফেলানী নয় এ যেন পূরো বাংলাদেশটাকে পাশের পরম বন্ধু রাষ্ট্র ভারত ঝুলিয়ে দিয়েছে।যাকে আমরা স্বাধীনতার পক্ষের বলি ,তারা আমাদের কাছ থেকে এভাবেই মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার পুরস্কার নেবে ভাবতে অবাক লাগে।এভাবে শুধু এক ফেলানী নয় তিস্তার পানি চুক্তি ,সুন্দর বন ধ্বংসের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র ,সমুদ্র সীমানা,শহীদ জিয়ার স্বপ্নের তাল পট্টি,এ রকম প্রধান প্রধান বাংলার বিভিন্ন ইস্যুতে তারা দেশটাকে ঝুলিয়ে রেখেছে তার পরও তাদের আমরা বন্ধু বলি।
ফেলানী বিচারের ভারত প্রমান করল তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তার এনাম নিচ্ছে।যে বি এস এফ গুলি করে হত্যা করল সে বেকুসর খালাস,তাহলে কাটা তারে ঝুলে থাকা লাশটি কি সাজানো পুতুল?কোথায় আজ সত্যের জয়?মিথ্যের কাছে সত্যের পরাজয় ।ছিঃ!লজ্জা লাগে নিজেকে সৃষ্টির সেরা জীব ভাবতে।
সত্যি বলে কি জোড় যার মুল্লুক তার”বিশ্ব আজ এই সূত্রেই চলে।গরীবের পৃথিবীতে বেচে থাকার কোন অধিকার নেই।নতুবা আমাদের পররাষ্ট্রনিতী ফেলানী বিচারে এতটা নিশ্চুপ ছিল কেনো?নাকি তার জাত ভাই ভারত বলে।যাই হোক এক গরু দুবার কোরবানী দেয়ার মত আবার বিচারে সুবিচার পাবার আশা পেলাম।
৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
লেখায় কিছু বিতর্ক থাকলেও সেদিকে গেলামনা আর —
চেস্টাটি ভালো আপনার —
ফেলানীর প্রতি সহানুভূতি এবং ভারতকে ধিক্কার এই অপরাধের কারনে।
খসড়া
কোন বিতর্কে যাব না। যার যার মত তার নিজস্ব। ফেলানি প্রসঙে কিছু বলাও এখন ধৃষ্টতা। ফেলানির মৃত্য অন্যান্ত অমানবিক। তবু বলি সে গিয়েছিল ভারত অবৈধ ভাবে। এই ভাবে বর্ডার পার হয়ে যারা যায় তারা যতই যা বলিনা কেন ওরা চোরাকারবারি। বর্ডার এলাকায় যারা বাস করি তারা এই স্ত্য খুব ভাল করেই জানি। আপনি বর্ডার দেখতে যেয়ে ঘুরে আসুন তারা আমরা সবাই ভালই থাকি। কিন্তু এই দেশের মানুষ যায় ই ফেন্সিডিল,চিনি, কাপড়,শাড়ি, পিতল্রর বাসন, স্টিলের বাসন ,মসলা লবন, সাবান, প্রসাধন সামগ্রি এই সব স্মাগ্লিং এর জন্য। এরা গুলিতে মরে নির্যাতিত হয় ট্রেনে কাটা পরে মরে। হিলি স্টেশনে যেয়ে দেখবেন ওপাড়ে এপাড়ে কেউ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নেই সিবাই কুজো। অদের কাছ থেকে মাল নিয়ে এপাড়ের মানুষ ট্রেনে উঠে আর পুরা ট্রেন জুড়ে বিশাল নেট্ব্যার্ক। ফেলানি রা কেন যায় ওদের প্রশ্ন যদি এই হয়। উত্ত্র যখন খুজে পাওয়া যায় স্মাগলিং তখন তাদের আইন কি আমাদের মনের মত হবে।আমাদের দেশের মানুষদেরই যাওয়া বন্ধ করতে হবে যেমন ওরা আসে না এদের হাতে মালামাল দিয়ে দেয়।
আদিব আদ্নান
আপনার সচেতনতার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার কিছু মতের সাথে আমি এক মত ।
দেশাত্মবোধ হৃদয়ে পুরোপুরি ধারন না করা পর্যন্ত বঞ্চনার থেকে রেহাই নেই ।
লীলাবতী
ফেলানীরা আছে বলেই কিছু নেতা বেচে আছেন ।
ছাইরাছ হেলাল
সুবিধাবাদ ও নৈতিকতা বিহীন রাজনীতি নামক ব্যবসা যতদিন চালু থাকবে
ততদিন সাধারণেরা অপাঙ্ক্তেয় হয়েই থাকবে ।
তৌহিদ
শুধু এক ফেলানী নয় তিস্তার পানি চুক্তি ,সুন্দর বন ধ্বংসের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র ,সমুদ্র সীমানা,শহীদ জিয়ার স্বপ্নের তাল পট্টি,এ রকম প্রধান প্রধান বাংলার বিভিন্ন ইস্যুতে তারা দেশটাকে ঝুলিয়ে রেখেছে তার পরও তাদের আমরা বন্ধু বলি।