সংখ্যালঘু !

মোঃ মজিবর রহমান ৯ জানুয়ারি ২০১৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৬:৩৮পূর্বাহ্ন বিবিধ ১৬ মন্তব্য

আজ আমাদের দেশে ও বিশেষ করে সংখ্যালঘু নিয়ে খুব আলচনা ও সমালচনা হয়।

সংখ্যা লঘু মানে জনসংখ্যায় যারা কম বা বাহু বলে যারা দুর্বল। এখানে বাহুবলে দুর্বল বলছি এই কারনে যে যার বাহুতে শক্তি আছে তারা নির্যাতন হয় না। আমাদের দেশে মুস্লিম হিন্দু খ্রিস্তান চাকমা ও অন্যান্য জারাই বাস করি না কেন অর্থ ও বাহু বল থাকালে সহজে নির্যাতিত হইনা। এটা আমার একটু জানা আছে কিছু জায়গার ও দেশের কিছু অনুভুতি তুলে ধরব।

আমি কয়েকবার ভারতে গিয়েছি চিকিৎস্যা ও ভর্তি হতে। এমন কিছু অভিজ্ঞতার  স্বীকার হয়েছি। যা পরজায়ক্রমে তুলে ধরব।

প্রথমত ভর্তির জন্য একবার এক মহৎ হিন্দু ব্যাক্তির সম্মুখিন হলাম সে একটি পরামরশ দিল একটি কলেজে কংগ্রেসের মুস লিম ছাত্র  নেতার নিকট পাঠালেন জাতে আমি মুস্লিম হওয়াতে সুবিধা পেতে পারি। কিন্তু হায় খোদা সে চাদা না চেয়ে চাইল অনুদান কলেজের জন্য। ১০,০০০/= । এখানে উল্লেখ্য যে আমাদের পরিবারে জনসংখ্যা বেশি থাকলেও মারামারি বা দলবাজি নিয়ে কোন ঝামেলাই জাইনা। বা এগুলো আমাদের পছন্দনীয় নয়, অপছন্দ। আমার জিবনে এখন পর্যন্ত থানাই যাওয়া হইনি মামলা বাজির জন্য।

শিয়ালদহ ষ্টেশনে এক দাঁড়ী ওয়ালা মুসলিম দেখে সালাম দিয়ে রাস্তার খবর নেব ভেবে এগিয়ে গিয়ে যথারীতি সালাম দিলাম কোন উত্তর দেয়নি! তখন হতাশ হয়েই অন্যের দ্বারস্থ হয়ে রাস্তা ঠিক করেছিলাম।

১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালের দিকে আমাদের অঞ্জলে প্রচুর ভাবে দাঙ্গা, হাঙ্গামা ও কিডনাব হতো। এমন কি অঞ্চলের বাহিরে পড়া অর্থ সম্পদ শালী যারা, তাঁদের সন্তান লেখা পড়া করে গ্রামে গেলে কিদনাব করে চাদা দাবী করতো না দিলে মেরে ফেলার ভয় দেখাত। মোটা অংকের চাদা দাবী করা হতো। যার কারনে দেশান্তরির মত সিরধান্ত নিতে গিয়েছিলো আমার বড় ভাই কিন্তু টা আর হয়নি। জাসদের কাজি আরিফ সাহেব হত্যার পর আমাদের অঞ্জলে অর্থাৎ খুলনা বিভাগে ১৪০ টি পুলিশ ফাঁড়ি হয়্যেছে, তাঁর পর অনেকটাই ঐ ঝামেলামুক্ত, কিন্তু এখন বেড়েছে নিকৃষ্ট রাজনিতির খেলা।পুলিশের চাদাবাজি। আমাদের ইউনিয়নে তখন ৩ টি পুলিশ ফাঁড়ী দিয়েছে।

এইত কয়েক্ মাস পূর্বে এমন একজন ব্যাক্তির মোটর বাইক পুলিশ আটকাল যার নামে কোন ক্লেম নাই। বা তাঁর কিছু পড়ে থাকলেও কেউ নেবেনা। গ্রামের আওয়মিলীগ নেতা ছাড়াতে পারলনা, অবশেষে এক গাজাখর ছাড়িয়েছে, যা লজ্জা জনক।

 

তো ১৯৪৭ সালে আমাদের গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবার চলে গেছেন তাঁদের বাসায় গেছি, তারা সেখানেও অর্থ ও ফুল শিক্ষিত একটি পরিবার। তিনি একজন কাস্টমস কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর বড় ছেলে ও বউমা দুই জনই কেলেজের শিক্ষক এবং ছোট ছেলে ও ছোট বউমা দুইজনই ডাক্তার। তাঁর পরও তাঁদের উপর রিফিউজি বা বাহু বল কম হওয়াতে ইট পাটকেল পরত মাঝে মাঝে। তাঁদের সাথে গল্প ও আলাপ চারিতায় বুঝেছি।

ওখানে এক মুস লিম পরিবারে র এক সদস্যের সাথে আলাপ হয়েছে সেও বলেছে তাঁদের কোন ঝামেলা নাই।

তারা ঝামেলা মুক্ত।কারন তারা রাজনিতি ও বাহুবলে পক্ত।

তাহলে প্রশ্ন কারা নির্যাতিত বা নির্যাতনের শিকার?

প্রিয় কবির নজরুলের একটি বাক্য, ”এক জায়গায় দেখলাম কিছু নেড়ি কুকুর অন্য নেড়ি কুকুর কে কামড়াচ্ছে, আবার অন্য জায়গায় দেখলাম অন্য নেড়ি কুকুর আরেক নেড়ি কুকুরকে কামড়াচ্ছে।”

এথেকে অনুমেয় যে যার যেখানে শক্তি সে সেখানে ব্যাবহার করছে। গত কয়েক মাস আগে পত্রিকায় পড়েছিলাম গাইবান্ধায় সাবেক আর্মিকে জোর পূর্বক জামাত করতে বাধ্য করেছে। সে আওয়ামিলীগের সে জায়গার নেতা ছিল। আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় থাকতেই যদি এই হয় তবে ক্ষমতায় না থাকলে কি হবে?

আমি এক এন জি ও তে কর্মরত ছিলাম, এক অনুষ্ঠানে সমাজ কল্যান অধিদপ্তরের ডি জি এম বলেছিলেন, আমরা সবাই প্রতিবন্ধী। কারন ছিল,  প্রতিবন্ধীরা যখন আমাদের ভাষা বুঝতে পারএনা, আমরাও তো  প্রতিবন্ধীদের ভাষা বুঝতে পারিনা। সেক্ষেত্রে আমরাও প্রতিবন্ধী।

আজ আমার উপলদ্বি জাদের টাকা ও বাহুবল নাই তারাই নির্যাতন ও সংখ্যালঘু নয় কি? দেশের অনেক জায়গায় মুস লিম ও আছে যারা রাজনৈতিক, শক্তহীন ও অর্থনৈতিক ভাবে দুরবর তারা নির্যাতন ও আইন শালিশে ডাস্ট বিনে নিক্ষেপ হচ্ছে, তাই নয় কি?

সাধারন মানুষের এথেকে মুক্তির উপায় কি??????????

 

৮৩৬জন ৮৩৬জন

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ