
প্রচণ্ড উত্তেজনা নিয়ে কল দিল শায়ন। টেনশনে ঘেমে ঘেঁটে একসার। রাজ্যের অদ্ভুত সব চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে শায়নের মাথায়। মনে মনে ভাবছে সুনয়না কী আমার ফোন রিসিভ করবে? আবার নিজে নিজেই বলছে কেনো করবে না? ও তো আর জানছে না এটা আমারই নম্বর। আগে ফোন রিসিভ করুক তারপর না হয়…
ফোন বেজে বেজে কেটে গেলো। ফোন রিসিভ হলো না দেখে শায়ন অস্থির হয়ে পড়লো। তবে কী সুনয়না বুঝতে পারলো এটা শায়নের নম্বর! কিন্তু কী করে বুঝবে? আগে তো কথা হয়নি।
শায়ন কাঁপা কাঁপা হাতে আবার একবার ফোন দিল। এবার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ফোন রিসিভ হলো। ওপাশ থেকে ভেসে এলো নারী কন্ঠস্বর…
-আসসালামুয়ালাইকুম, কে বলছেন?
এবার শায়ন থমকে গেলো। ভাবছে বলবো কী সুনয়নাকে আমি শায়ন? বলা ঠিক হবে? আজ যে ভাবে পালিয়ে এসেছে আমি বললে হয়তো ফোনটায় বন্ধ করে দেবে।
ফোনের ওপাশ থেকে আবার দরাজ কন্ঠে আওয়াজ এলো
-হ্যালো! কে বলছেন, কাকে চাইছেন, কি হলো কথা বলেন না কেনো?
-ওয়ালাইকুম সালাম! আপনি কী সুনয়না ম্যাম বলছেন?
-জ্বী, বলুন কেনো ফোন করছেন?
-ম্যাম আমি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ফোন করেছি। আপনার নামে একটা পার্সেল আছে।
আমার নামে পার্সেল! মনে মনে ভাবছে সুনয়না। এতো গুলো বছর তো কোনো পার্সেল এলো না।
-রেখে দিন, আমি সময় করে নিয়ে আসবো।
-ম্যাম আপনাকে কষ্ট করে আস্তে হবে না। আমাদের লোক দিয়ে আসবে আপনি শুধু আপনার এ্যাড্রেসটা দিন
-মানে কী? কুরিয়ার সার্ভিস থেকে হোম ডেলিভারি দেয় জানতাম না তো!
-জ্বী ম্যাম। এটা নতুন চালু হয়েছে। আপনাদের সুবিধার্থে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপনি এ্যাড্রেসটা বলুন নোট করছি।
-জ্বী লিখুন….
-ওকে ম্যাম থ্যাঙ্ক ইউ। খুব শীঘ্রই আপনার পার্সেল পৌঁছে যাবে।
শায়ন মনে মনে ভাবছে এবার তুমি কী করবে সুনয়না। কীভাবে পালাবে? আমি কখনোই ছালনার আশ্রয় নেইনি/নিতে চাইনি। সে-ই কলেজ লাইফ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। এইভাবে তুমি আমাকে বুঝবে, আমার ভালোবাসা বুঝবে। তুমি বোঝনি কোনোদিন ই বোঝেনি। এতো গুলো বছর পর যখন তোমাকে দেখতে পেলাম আবার হারিয়ে যেতে দেই কী করে আমার সব প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে? তাই এই ছলনা করতেই হলো। আই এম সরি সুনয়না। আমি আসছি শীঘ্রই আসছি সুনয়না। তোমার কাছে আসছি…
১৫টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
দেখি কে কাকে ফাঁদে ফেলে কতদূর নিয়ে যেতে পারে !!
সুরাইয়া পারভীন
তবে তাই হোক
দেখি চেয়ে চেয়ে
কে কার ফাঁদে পড়ে
কৃতজ্ঞতা অশেষ ভাইয়া
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার হচ্ছে পারভীন আপু————-
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকুন সবসময়
আরজু মুক্তা
দারুণ কৌতূহল রাখলেন। আমরা অপেক্ষা করছি, পরের পর্বের।
ভালো হচ্ছে গল্প।
শুভকামনা
সুরাইয়া পারভীন
খুব শীঘ্রই দেবো আপু পরের পর্ব
কৃতজ্ঞতা সহ আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
শামীম চৌধুরী
ফাঁদ পাতা ভুবন। কে যে কার ফাঁদে পড়ে সেটা গল্পকারিনী ভাল জানে। আবার রহস্যময় হতে পারে। যাক, আগের পর্বের চেয়ে এই পর্ব আরো ম্যাচিউর হয়েছে। ভাল লাগছে আমার কাছে। শুভ কামনা রইলো।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা অশেষ দাদাভাই
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাহ্ এই পর্বটা খুব ভালো লেগেছে, শায়নের বুদ্ধির তারিফ করতেই হয়। বাকিটা লেখকের উপর ভরসা। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
সুরাইয়া পারভীন
কৃতজ্ঞতা অশেষ দিদি
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
তৌহিদ
শায়নতো মিথ্যে বললো ঠিকানা যোগাড়ের জন্য। তবে আমার মনে হয় পরিচয় দিলেই ভালো করতো। মিথ্যে দিয়ে শুরু কোন সম্পর্ক ভালো হতে পারেনা। সুনয়না যখন জানবে কি রিয়াক্ট করবে তাই ভাবছি।
ভালো থাকুন আপু।
সুরাইয়া পারভীন
এটা না করলে হয়তো আর কখনো যোগযোগই হতো না। কারণ সুনয়না চায় না শায়নের মুখোমুখি হতে, কিন্তু শায়নের যে অনেক কিছু জানার আছে।
সেগুলো জানার জন্যই এই ছলনার আশ্রয়
কৃতজ্ঞতা অশেষ ভাইয়া
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
নিতাই বাবু
দেখা যাক শাওন’র কুরিয়ার সার্ভিস থেকে সুনয়না’র জন্য কী নিয়ে যায়! সুনয়না’র ঠিকানামতো যেতে হলে সাথে করে কিছু-না-কিছু নিয়ে যেতে হবেই। দেখার অপেক্ষায় থাকলাম!
শুভকামনা থাকলো।
সুরাইয়া পারভীন
অবশ্যই কিছু থাকতেই হবে সাথে
সুনয়নাও যে কম যায় না। এতো সহজেই কী ধরা দেবে।
ধন্যবাদ অশেষ দাদা
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
নিতাই বাবু
নাম-ই-তো সুনয়না। মানে সেয়ানা। ধরা কী আর সহজে খায়?