প্রিয়তমা, রুনা
আজ দশবছর পর তোমাকে চিঠি লিখছি ! জানো আমি অণ্য অন্য ছেলেদের মতো ছলনা করতে জানি না । মেসেছ ফোনে ন্যাকামি করতেও পারি না । শুধু দূর থেকেই ভালোবেসে গেছি !তোমার খোলা চুল ,টানা টানা চোখ শরীরের যৌবনের চাউনি সবটাই আমি কাছ থেকে অনুভব করি । আমি শুধু যৌনতা বা শারীরিকভাবে তোমাকে কোনোদিন পাব না কিন্তু মনের গন্ধ দিয়ে ,প্রেম দিয়ে তোমার সবকিছু সারাজীবন ধরে রাখতে পারব । আমার বাড়ির বারান্দার সামনে দঁাড়িয়ে একদিন স্নান করছিলে আমার তখন ছাব্বিশ তোমার আঠারো তুমি জানতে না আমি ছিলাম –তোমাকে কোনদিন জানতেও দি নি — সে কথা না হয় তোমার কালো টিপের আড়ালেই থাক ¡

তুমি সারাজীবন ভালো থাক খুব ভালো থাক সেই কামনাই করব । দূর থেকে দেখে যাব তোমার ছোটোবেলা তোমার কৈশোর তোমার যৌবনের অস্তিত্ব ! তবে তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে গেলে কখনো তোমার চোখ ভালোভাবে দেখিনি –চাউনি র উন্মাদনা দুষ্টুমি দেখেছি –ভেবেছি –বুঝেছি –বলতে সাহস হয় নি —দূরের তারাগুলো যখন ডুবে যেত তখন চুপিচুপি তোমার কানে কল্পনায় বলতাম –তুমি শুনতে পেয়েছিলে কিনা তা আজও জানতে পারলাম না–

ভগবান তোমাকে ভালো পরিবার দিক দাম্পত্যজীবনে খুব সুখী হও । কিন্তু আমার দেওয়া উপহার গুলো ছিঁড়ে ফেলো সবকিছু মুছে ফেললেও ফিলিংস মুছতে পারবে না? পারবে না আমার গাওয়া কিশোর কুমারের আবেগ কে ছিঁড়তে –পারবে না আমার বুকের মাঝের হৃৎপিন্ডটাকে উপড়ে ফেলতে –?

পাশাপাশি বাড়িতে থেকে আমরা একে অপরের পরিপূরক পড়শী । তুমি কখনো দাদা বলে ডাকোনি আমি কখনো বোন বলে ডাকতেও পারব না? শুধু অলক্ষ্যে চোখের জল ফেলতে পারব । তোমার বিয়ের দিনে তোমাকে হাসিমুখে সাজাতেও পারব । তুমি চিন্তা করোনা রুনা তোমার ভালোবাসা স্বার্থপর নয় যে তোমাকে আমার জন্য বলি হতে হবে–¡

হয়তো এই বারান্দায় দুই বাড়ির উঠোনে তোমার ছেলে আমার মেয়ে খেলবে ! দেখো রুনা তোমার ছেলেটা ঠিক আমার দুষ্টু না–¡ পরের জন্মে তুমি অণ্য কোথায় জন্ম নিও । পড়শি হয়ে নয় । আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসতেই যেন জন্মাই তোমার পাশের গ্রামে । শুধু বিয়ের দিন ই দেখা হবে ,,আর কথা হবে ফুলশয্যায় –?

ইতি
অরুণ

১১৭৫জন ১১৭৫জন
0 Shares

৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ