গাছের গুঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে গড়িয়ে চলে সময়
এক সময় পৃথিবীর শেষ প্রান্তে চলে যাব
যেখানে রাত দিনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই
আছে উলটে পরা সাগরের ওপিঠে ধুধু মরু পাহাড়।
ছেঁড়া ছেঁড়া বেগুনী আকাশে ওড়ে
ক্রিস্টাল পাখি। পাখিনীর খোঁজে, ক্লান্তিতে থামে
যেখানে নিঃসঙ্গতা হাটুগেড়ে বসে আছে।
মরুপাহাড়ের সিঁড়ি বেয়ে এঁকেবেঁকে উঠে যাওয়া সুক্ষ আলো
দু’হাতে বেঁধে আকাশের বুকে লবনাক্ত ছুঁতেই
আঁজলা ভরে নেমে এলো মেঘালয়ের মেঘ ফুল।
সেদিন আমি বড্ড একা,আনমনে শুন্য প্রহরের ভাঁজে
রেখেছিলাম ঢলে পড়া গোধুলীর লালিমা।
কথা ছিল আসবে….
জিন্সের বাঁ পকেটে হাত দিতেই, হাতের সাথে জড়িয়ে আসে
গতকালের বিকাল। কোথায় গেলে তুমি প্রিয় ?
আজও পাখিনীর খোঁজে, দু’ডানার ভেতর বকুলের ঘ্রাণ নিয়ে
উড়ে পাখি।এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।
আকাশের চাঁদ তিনকোনা ফুল হয়ে রক্ত ঝরায়
শরীরের গভীর থেকে দরজা খুলে বেড়িয়ে পরে উষ্ণতা।
প্রিয়, তোমার ত্বকের ঘ্রাণ এখনো ছড়িয়ে আছে মরুপাহাড়ের
বাঁকে বাঁকে।নাভিমুলে অজানা স্পর্শ নিউরোন ছুঁয়ে
ঢলে পরে রক্তিম আভায়। ধীরে ধীরে পা ফেলে আয়না ঘরে
ছোট হয়ে আসে সব আকাংক্ষা,না পাবার কষ্ট
নীল নীল জমে যাওয়া চোখ খুঁজে না আর উষ্ণতা
জ্বলন্ত আগুনে আর জ্বলে উঠে না মন।
২৬টি মন্তব্য
ভোরের শিশির
কবিতা-বিরহে ভুগছি তাই কবিতায় ডূবতে পারছি না। তবে একটি শব্দ নিয়ে জানার ছিলো-
‘পাখিনী’ বলে কি বুঝাতে চাইলেন? এমন শব্দ জানা নেই আমার।
আপনার নিয়মতি উপস্থিতি কামনা করছি এবং সবার সাথেই সোনেলাতে পাবো আশা রাখি।
শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ। -{@
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
‘পাখিনী’ রুপক শব্দ।লেখার প্রয়োজনে এখানে পাখিকে নর এবং পাখিনীকে নারী হিসাবে ব্যবহার করেছি। 😀 আমার পোষ্টে আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালোলাগছে। শুভেচ্ছা জানবেন।
ভোরের শিশির
কিছু কিছু শব্দে নর আর নারী বিভাজন বাহুল্য লাগে। লেখক তার পুরো বাক্যে বা ভাবনাতে বা লেখায় নিজেকেই নর অথবা নারী হিসেবে উপথাপন করেন অর্থাৎ যে বলছে বা যাকে নিয়ে বলা হচ্ছে। সেখানে অন্য কিছুকে একেবারে স্ত্রীলিঙ্গে প্রকাশ করলে তখন সেটা বাহুল্য হয়ে যায় কেননা প্রকাশ স্বত্বাটিই ধারণা দেয় পাখী কোন লিঙ্গের হবে।
পাঠক হিসেবে অনুভূতির অভিমত জানালাম মাত্র।
শুভেচ্ছা নিবেন আবারো। -{@
মরুভূমির জলদস্যু
-{@ আকাশের চাঁদ তিনকোনা ফুল হয়ে রক্ত ঝরায়
শরীরের গভীর থেকে দরজা খুলে বেড়িয়ে পরে উষ্ণতা। -{@
এভাবেও বলে ফেলা যায়।
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাকে নতুন কিছু দিতে পারলাম ভেবে ভালোলাগছে বেশ। সাথেই থাকুন -{@
ছাইরাছ হেলাল
এতোটা জমাট নিস্তব্ধতা পাঠকের জন্য কঠিন বৈকি।
সত্যি বলছি, অসাধারণ লেখা।
আর একটু নিয়মিত হোন, তা কিন্তু মনে প্রাণেই চাই।
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
ধন্যবাদ 😀 নিয়মিত হবার চেষ্টা করছি যাতে আপনার মনোবাসনা পুর্ণ হয় -{@
জিসান শা ইকরাম
আনমনে নিজের সাথে কথা বলার মতই মনে হলো
ভালো লেখেন আপনি……
শুভ কামনা।
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
এখানেই লেখকের সার্থকতা যখন পাঠক একটা লেখা মন দিয়ে পড়ে।আপনি অনেক ভালো পাঠক মানতেই হচ্ছে 😀
শুভেচ্ছা জানবেন।
মেহেরী তাজ
আসেন আপু আপনার সাথে পরিচিত হই! মেলা দিন হলো আপনি সোনেলায়! কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আমি ছিলাম না! 🙁 এবার যখন সুযোগ টা পাইছি তখন…… :p
আমি সোনেলার তাজ!
খুব ভদ্র একটা মেয়ে বরাবর!
নওগাঁয় থাকি!
সারাক্ষণ মজা করি!
কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে খুব কষ্টে আছি! 🙁 🙁 ;(
মেহেরী তাজ
ও হ্যা আপনার লেখা তো (y)
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
লেখা পড়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ!
ভোরের শিশির
কি কষ্ট আমাদের তাজা ভূতের!!!!!!!!!! 😮
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
মেয়েরা কি ভুত হয় নাকি, হয় ভুত্নী? ব্যাকারন দেখি অকারনেই আপনার কানের পাশ দিয়ে অন্য রাস্তা ধরে হাটা ধরল দাদা \|/
মেহেরী তাজ
নীতেশদা আমার চেয়ে ছোট কাওকে আমার এখন আপু ডাকতে হবে!
জুঁথী আমার ছোট বোনের নাম কিনা! ;(
ভোরের শিশির
আমি তো এখানের সবাইকেই আপু ডাকি যেমন তাজাপু :D)
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
আমার হাতটা বাড়িয়ে দিলাম। আসেন পরিচিত হই….এখন বুঝলাম, হঠাৎ করে সোনেলাতে এত আলো ছড়ালো কোথা থেকে ;?
আপনার মাথায় হিরা মানিক খচিত তাজ ছুঁয়ে ব্লগবাড়ি আলোকিত।এভাবেই আলো ছড়িয়ে থাকেন সবার মনে -{@
শুভেচ্ছা জানবেন!
মেহেরী তাজ
আচ্ছা আপনি কি ইলাস্টিক গার্ল? বাংলাদেশ এর বাইরে থেকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন মানে!?
:D) :D)
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
মানে ইয়ে মানে…কাম রুপ কামাক্ষায় শেখা প্রথম যাদুর বলে আমি সব জাগায় বিচরন করতে পারি। আমি না, ওরা বলে! ওরা মানে সেই ওরা। সে যাই হোক,সেদিন নৈশভ্রমনে গিয়েছিলাম হেরেমের রুপসীদের সাথে রোম থেকে ব্যাবিলনের পথে :D।
বিশ্বাস হলো না!? এই দেখেন অদৃশ্য বোর্ডিংপাশ :D) \|/
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
আমার হাতটা বাড়িয়ে দিলাম। আসেন পরিচিত হই….এখন বুঝলাম, হঠাৎ করে সোনেলাতে এত আলো ছড়ালো কোথা থেকে ;?
আপনার মাথায় হিরা মানিক খচিত তাজ ছুঁয়ে ব্লগবাড়ি আলোকিত।এভাবেই আলো ছড়িয়ে থাকেন সবার মনে -{@
শুভেচ্ছা জানবেন!
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর লেখা ভাল লাগলো
সোনেলা একটি আনন্দ মেলায়
যেথায় সবাই মনের খোজে
একে অপরকে হাসিয়ে থাকে।
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
শুনে বেশ আনন্দিত হলাম \|/ ভালো থাকবেন।
অরুনি মায়া
সুন্দর লিখেছেন |
মন ছুঁয়ে গেল | -{@
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
কারোর মন ছুঁয়া সহজ কাজ নয়, সেই কঠিন কাজটা করতে পারলাম তবে? 😮 \|/
নীলাঞ্জনা নীলা
রাত-দিন এক সময়ে যাবার ঢের বাকী আছে। বরং আবেগের যন্ত্রণায় দিন-রাতের উপাখ্যানের গল্প হোক।
গত সময়ের উপন্যাসের চরিত্রের বিশ্লেষণে মনে মনে ধাক্কা খাওয়া
আর অজস্র পাগলামীতে ভরে থাকা ঋতুর খেলায়
তুলো তুলো তুষারের মধ্যে আবেগ ওড়ানোর চিন্তা শুরু হোক।
কেউ কোথাও যায়নি,
হারায় সময়, মানুষের মুখ
নতূন আসবে বলেই ভোর হয় রাত্রিকে ঘুম দিয়ে।
সবসময়ই আমি তোর লেখার ভক্ত। মনের সাথে এতো মিলে যায় কথাগুলো, ভালোবেসে ফেলি তখুনিই। -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
আরেক চমৎকার লিখিয়ে পেলাম আমরা।
জিন্সের বাঁ পকেটে হাত দিতেই, হাতের সাথে জড়িয়ে আসে
গতকালের বিকাল। কোথায় গেলে তুমি প্রিয়? শব্দরা গানের সুরে গান হয়ে নাঁচে, কবিতাতেও ঝংকার হয়, তা কিছু কিছু লেখকের কাছ থেকে জেনেছি এই সোনেলাতেই। খুব ভালো লেগেছে আপু। -{@