শুভ বাংলা নব বর্ষ ১৪২৩

মনির হোসেন মমি ১২ এপ্রিল ২০১৬, মঙ্গলবার, ১১:৫৩:২৪পূর্বাহ্ন বিবিধ, সমসাময়িক, সাহিত্য ১৪ মন্তব্য

120px-Colors_of_Celebration!-4‘মৈমনসিংহ গীতিকা’
“আইল নতুন বছর লইয়া নব সাজ, কুঞ্জে ডাকে কোকিল-কেকা বনে গন্ধরাজ”
সবাইকে নব বর্ষের শুভেচ্ছা সহ ভাল থাকার কামনা।

eb3ad30b3522e8166f9271378b2330f7বলা চলে বাংলা ভাষা ভাষীদের প্রানের উৎসব পহেলা বৈশাখ।যেখানে মিশে আছে বাঙ্গালীদের ঐতিহ্য আচার-ব্যাবহার হাসি কান্না সুখ দুঃখ।একটা সময় এই উৎসবটাই ছিল বাঙ্গালী জাতির জন্য মুল উৎসব এই উৎসবকে ঘিড়ে সারা বছরের কর্ম প্লানের দিকে এগিয়ে যেত।সম্ভবত আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়।তারপর ১৯৩৮ সালেও একই কর্ম কান্ড দেখতে পাওযা যায়।
পহেলা বৈশাখ রাত ১২ টা থেকে শুরু না সূর্যোদয় থেকে শুরু এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত ছিল,ঐতিহ্যগত ভাবে সূর্যোদয় থেকে বাংলা দিন গণনার রীতি থাকলেও ১৪০২ সালের ১ বৈশাখ থেকে বাংলা একাডেমী এই নিয়ম বাতিল করে আন্তর্জাতিক রীতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে রাত ১২.০০টায় দিন গণনা শুরুর নিয়ম চালু করেন।
অনেকেই এটাকে হাজারো বছরের ঐতিহ্য ইতিহাস বলেন কিন্তু গণিতের ভাষায় দেখুনতো কোথায় তার সত্যতা!৯৬৩ হিজরী সাল হতে বাংলা সাল গণনা শুরু হয় তাহলে ১৪২৩-৯৬৩=৪৬০ বছর।
(y) (y) সৃষ্টির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
এক সময় বাংলা বার মাসই ঋতুভেদে ভিন্ন ভিন্ন ইমেজ নিয়ে অনেক কাল আগ থেকেই এমন উৎসব পালিত হতো।সৌর পঞ্জিকার শুরু হতো গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় হতে।হিন্দু সৌর বছরের প্রথম দিন বঙ্গ, কেরালা, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা,পাঞ্জাব,তামিল নাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হত। এখন যেমন নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, এক সময় এমনটি ছিল না।তখন নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ আর্তব উৎসব তথা ঋতু ধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত। তখন এর মূল তাৎপর্য ছিল কৃষি কাজ কারণ প্রাযুক্তিক প্রয়োগের যুগ শুরু না হওয়া পর্যন্ত কৃষকদের ঋতুর উপরই নির্ভর করতে হত।
ভারত বর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত।কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না।এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন।সে মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার অর্ডার দেন।
সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতি র্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম নীতি তৈরী করেন।মুলত ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়।তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় সম্রাট আকবরের সিংহাসন বসার সময় ৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬ থেকে।প্রথমে এই সনের নাম ছিলো ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।
সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকত,অনেকে সময় মতো খাজনা দিতে না পারলে অত্যাচারিত হতো।এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন।এক সময় উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে।তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা।
-{@ বঙ্গাব্দের বারো মাসের নামকরণ করা হযেছে নক্ষত্র মন্ডলে চন্দ্রের আবর্তনের বিশেষ তারার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে।
নামগুলি হচ্ছে:
(y)  জ্যৈষ্ঠ – জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
(y) বৈশাখ – বিশাখা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
(y) আষাঢ় – উত্তর ও পূর্ব আষাঢ়া নক্ষত্রের নাম অনুসারে
(y) শ্রাবণ – শ্রবণা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
(y) ভাদ্র -উত্তর ও পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্রের নাম অনুসারে
(y) আশ্বিন – অশ্বিনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
(y) কার্তিক – কৃত্তিকা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
(y) অগ্রহায়ণ(মার্গশীর্ষ) – মৃগশিরা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
(y) পৌষ – পুষ্যা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
(y) মাঘ – মঘা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
(y) ফাল্গুন – উত্তর ও পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
(y) চৈত্র – চিত্রা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
বাংলা সন অন্যান্য সনের মতোই সাত দিনই হয় এবং এ দিনের নামগুলো অন্যান্য সনের মতোই তারকা মন্ডলীর উপর ভিত্তি করেই করা হয়েছে।
-{@ শুক্রবার হচ্ছে শুক্র গ্রহের নাম অনুসারে
-{@ শনিবার হচ্ছে শনি গ্রহের নাম অনুসারে
-{@ রবিবার হচ্ছে রবি বা সূর্য দেবতার নাম অনুসারে
-{@ সোমবার হচ্ছে সোম বা শিব দেবতার নাম অনুসারে
-{@ মঙ্গলবার হচ্ছে মঙ্গল গ্রহের নাম অনুসারে
-{@ বুধবার হচ্ছে বুধ গ্রহের নাম অনুসারে
-{@ বৃহস্পতিবার হচ্ছে বৃহস্পতি গ্রহের নাম অনুসারে
\|/ \|/  \|/  \|/ দেশ বিদেশে যুগে যুগে পহেলা বৈশাখ
(y)  (y) বাংলাদেশ:
LKNLK
নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়ি ঘর পরিষ্কার করা হয় এবং মোটা মুটি সুন্দর করে সাজানো হয়। বিশেষ বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে।
কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার।মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানা রকম পিঠা পুলির আয়োজন। অনেক স্থানে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে যদিও এর কোন বাধ্য বাধকতা নেই।এই দিনের একটি পুরনো সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তি একসময় প্রচলিত ছিল।বাংলাদেশে এ রকম কুস্তির সবচেয়ে বড় আসরটি হয় ১২ বৈশাখ, চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে, যা জব্বারের বোলি খেলা নামে পরিচিত।
-{@ মঙ্গল শোভাযাত্রা
th
ঢাকার বৈশাখী উৎসবের একটি আবশ্যিক অংশ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখের সকালে এই শোভা যাত্রাটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। শোভাযাত্রায় সকল শ্রেণী-পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রার জন্য বানানো হয় বিভিন্ন রঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি। ১৯৮৯ সাল থেকে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখ উৎসবের একটি অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
-{@ ঢাকায় রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা
ঢাকায় পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানের কেন্দ্র বিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের সঙ্গীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান করা। পহেলা বৈশাখ সূর্যোদয়ের পর পর ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরকে আহ্বান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ।১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
-{@  -{@ বউমেলা:
LJLKHL
সোনারগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে যার নাম বউমেলা, এটি স্থানীয়ভাবে “বটতলার মেলা” নামেও পরিচিত।জয়রামপুর গ্রামের মানুষের ধারণা, প্রায় ১০০ বছর ধরে পহেলা বৈশাখে শুরু হওয়া এই মেলা পাঁচ দিনব্যাপী চলে।প্রাচীন একটি বট বৃক্ষের নিচে এই মেলা বসে, যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সিদ্ধেশ্বরী দেবীর পুজোর জন্য এখানে মিলিত হন।বিশেষ করে কুমারী, নব বধূ, এমনকি জননীরা পর্যন্ত তাঁদের মনস্কামনা পূরণের আশায় এই মেলায় এসে পূজা-অর্চনা করেন। সন্দেশ-মিষ্টি-ধান দূর্বার সঙ্গে মৌসুমি ফলমূল নিবেদন করে ভক্তরা।পাঁঠা বলির রেওয়াজও পুরনো।বদলে যাচ্ছে পুরনো অর্চনার পালা।এখন কপোত-কপোতি উড়িয়ে শান্তির বার্তা পেতে চায় ভক্তরা দেবীর কাছ থেকে।
\|/ ঘোড়ামেলা:
সোনারগাঁ থানার পেরাব গ্রামের পাশে আরেকটি মেলার আয়োজন করা হয়।এটির নাম ঘোড়া মেলা লোকমুখে প্রচলিত যামিনী সাধক নামের এক ব্যক্তি ঘোড়ায় করে এসে নব বর্ষের এই দিনে সবাইকে প্রসাদ দিতেন এবং তিনি মারা যাওয়ার পর ঐ স্থানেই তাঁর স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয়।প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে স্মৃতিস্তম্ভে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা একটি করে মাটির ঘোড়া রাখে এবং এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। এ কারণে লোকমুখে প্রচলিত মেলাটির নাম ঘোড়া মেলা এ মেলায় কৃর্তন চলে সারা রাত।
220px-CelebratingPohelaBoisakhCtg(y) চট্টগ্রামে বর্ষবরণ
চট্টগ্রামের ডিসি হিল প্রাঙ্গনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ডিসি হিল পার্ক। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে প্রতিবছর এখানে পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করার জন্য দুইদিনের অনুষ্ঠানেরআয়োজন করা হয়ে থাকে। মুক্ত মঞ্চে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকে নানা গ্রামীণ পন্যের পশরা। এছাড়াও থাকে পান্তা ইলিশের ব্যবস্থা।এখানে গ্রুপ থিয়েটারদের পালাক্রমে নাটক মঞ্চস্থ করেন।
-{@ আদিবাসীদের বর্ষবরণ
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি ক্ষুদ্র খাগড়াছড়ি1জাতিসত্তা রয়েছে যাদের প্রত্যেকেরই বছরের নতুন দিনে উৎসব আছে।ত্রিপুরাদের বৈশুখ, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব। বর্তমানে তিনটি জাতিসত্তা একত্রে এই উৎসবটি পালন করে। যৌথ এই উৎসবের নাম বৈসাবি উৎসব।এই উৎসবের নানা দিক রয়েছে, এর মধ্যে একটি হলো মার্মাদের পানি উৎসব।
-{@ পশ্চিমবঙ্গ
বঙ্গাব্দের প্রথম দিনটি হতেই বিপুল উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সাথে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে থাকে সমগ্র পশ্চিম বাংলায়। বাংলার গ্রামীণ এবং নাগরিক জীবনের মেলবন্ধন সাধিত হয়ে সকলে একসূত্রে বাঁধা পড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আনন্দে।সারা চৈত্র মাস জুড়েই চলতে থাকে বর্ষবরণের প্রস্তুতি।
চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তি বা মহাবিষুবসংক্রান্তির দিন পালিত হয় চড়ক পূজা অর্থাৎ শিবের উপাসনা এদিন গ্রামবাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে আয়োজিত হয় চড়ক মেলা।শারীরিক কসরৎ প্রদর্শন করে মানুষের মনোরঞ্জন করে থাকে অংশগ্রহনকারীরা।এছাড়া বহু পরিবারে বর্ষ শেষের দিন টক এবং তিতা ব্যঞ্জন ভক্ষণ করে সম্পর্কের সকল তিক্ততা ও অম্লতা বর্জন করার প্রতীকী প্রথা ছিল।পরের দিন অর্থাৎপয়লা বৈশাখ প্রতিটি পরিবারে স্নান সেরে বয়ঃজ্যেষ্ঠদের প্রণাম করেন। বাড়িতে বাড়িতে এবং সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে মিষ্টান্ন ভোজন।সেখানে সারা মাস ব্যাপি মেলার আয়োজন থাকে।
-{@  -{@ অন্যান্য দেশে পহেলা বৈশাখ
বাংলাদেশ এবং ভারত ছাড়াও পৃথিবীর আরো বিভিন্ন দেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়ে থাকে।
-{@ অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে যেমনঃ সিডনি, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাতে বৈশাখী মেলার মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়।বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নাচ-গান-ফ্যাশন শো-খাবারের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতির এ ধারাকে আনন্দময় করে তোলে।প্রবাসী বাঙ্গালীরা এ মেলাগুলোর আয়োজক।এছাড়া সুইডেন,ইংল্যান্ড লন্ডন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয় বেশ ঘটা করেই।

12923256_1159965847355957_3312528904512223815_nপ্রতিবারের ন্যায় এবারো আমাদেশে জাকজমক ভাবে পালিত হবে পহেলা বৈশাখ কুসংস্কারে নিধন হবে হাজারো ইলিশ,মা ইলিশ যা বঙ্গ সংস্কৃতিতে কোন কালেই নিয়ম ছিল না অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় ইলিশ ছাড়া যেন পহেলা বৈশাখ পালন করা জায়েজ নয় তাই এপার ওপার সব বাঙ্গাালীরা বৈশাখ এলেই ইলিশ নিধনে উঠে পরে লাগেন।এক শ্রেনী অসাধু ব্যাবসায়ী ডিমওলা ইলিশ ধরে লক্ষ লক্ষ ইলিশের প্রজনন ধ্বংস করেন যা আমাদের কাম্য নয় মনে রাখা দরকার এই ইলিশ হচ্ছে আমাদের জাতীয় মাছ এর ধ্বংস মানে বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার সামিল।

-{@ …………………………………………………………………………………. -{@
ধন্যবাদ সবাইকে
কৃতজ্ঞ:উকিপিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন সাইট
ছবি: অনলাইন

১৩৫৫জন ১৩৫৪জন
0 Shares

১৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ