শুভ্র পরী ( ১ )
এখনো কোন বিড়ালের মিউ মিউ শুনলে হার্টবিট বেড়ে যায় । দেহের মাঝে রক্তের তুমুল প্রবাহ শুরু হয়ে যায় । চারদিক থেকে কালো কুয়াশা ঘিরে ধরে থাকে । দম বন্ধ হয়ে আসে । জীবন স্থির হয়ে যায় ।
নাবিলা আমার ছোট বোনের বেস্টেস্ট ফ্রেন্ড । প্রথম প্রথম যখন বাসায় আসত , কোলে করে সাদা ফুটফুটে একটা বিড়াল নিয়ে আসত । কিছুদিন পর থেকে এসেই আগে আমার খাটের উপর বিড়ালটাকে রেখে চলে যেত আমার ছোট বোনের কাছে । আমি পশু প্রেমিক ছিলাম না । আধো ঘুমে মাঝে যখন হঠাৎ করে বিড়ালটাকে দেখতাম তখন ঘৃণা এবং রাগে বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠতাম । চিৎকার করে আমার বোনকে ডেকে ওইটাকে সরাতে বলতাম । আর পাশের রুম থেকে নাবিলার খিল খিল হাসির শব্দ শুনে মেজাজ আরো বিগড়ে যেত । সেই রাগ ঝারতাম আমার বোনের উপর ।
৯ টার মধ্যে আমি বাসা থেকে বেড় হতাম । বাসা থেকে ক্যাম্পাস বেশি দূর না । হেটে গেলে ১৫-২০ মিনিট লাগে আর রিক্সায় গেলে ৮-১০ মিনিট । মেজাজ খারাপ থাকলে আমি হাটা শুরু করতাম , যত হাটতাম তত রাগ বেশি হইত । আমি রাগ বাড়াইতে ভালবাসতাম । ২ মিনিট হাটতেই ঠাশ করে সামনে নাবিলা এসে পড়ল । আমি আরো রেগে গেলাম । বললাম..…
– এই ফাযিল মেয়ে ! দেখে হাটতে পারো নাহ !
– দেখেই তো হাটছি ।
– তাহলে আমার সামনে কেন ?
– ইচ্ছা করে ।
– এইটা কোন টাইপের ফাইযলামি !
– আচ্ছা , আপনি সবসময় এত রেগে থাকেন কেন ?
– সবসময় রেগে থাকি না । তোমাকে দেখলেই আমার রাগ লাগে , তাই ।
– কেন ? আমি দেখতে কি খুব খারাপ !
– না না । তুমি অনেক সুন্দরি । আর সুন্দরি মেয়ে দেখলেই আমার রাগ লাগে ।
– কেন ?
– কারণ আমি দেখতে অনেক খারাপ । জেলাস লাগে ।
তখন আবার নাবিলা খিল খিল করে হেসে উঠল । তার সেই হাসিতে আমি বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম । পরিচিত কেউ দেখে ফেললে কেলেঙ্গারী হয়ে যাবে । তাই আমি বললাম..……
– এই মেয়ে সরে দাড়াও । আমি যাব ।
– ভাইয়া , আমার নাম নাবিলা ।
– তো ?
– আমিও যাবো আপনার সাথে ?
– হুট ফাযিল মেয়ে । খুব পাখা গজিয়েছে তাই না !
– হুম অবশ্যই । আমার বন্ধুরাতো আমায় শুভ্র পরী বলে ডাকে । আর পরীর পাখা থাকবে এটাই স্বাভাবিক ।
– হুম ! খুব কথা বলতে পারো দেখছি ! তোমায় আসলে সাদা বিড়াল ডাকা উচিৎ । আমি আজই আন্টিকে তোমার কথা বলে দিব । :@
– আচ্ছা ভাইয়া । ঠিক আছে । আমার আর কিছু করার থাকল না ।
– কি করার থাকল না !
– আপনি যে মতি ভাইয়ের দোকানের পিছনে স্মোকিং করেন সেটা কি আন্টি জানে ?
– কিহ !!! তুমি আমায় ফলো কর ?
– আমার আর কাজ নাই নাকি ! রিক্সায় যাচ্ছিলাম , তখন দেখতে পেয়েছি ।
– বিরক্তিকর ! এই তুমি থাকো তো । আমি গেলাম , আমার লেট হয়ে যাচ্ছে ।
এরপর আমি হাটা ধরলাম । পিছন থেকে নাবিলার খিল খিল হাসি শুনতে পাচ্ছিলাম । কেন জানি না , সেই হাসি শুনে আমার রাগ লাগার বদলে হাসি পেয়ে গিয়েছিল ।
( চলবে..…..…..…। )
২২টি মন্তব্য
ছন্নছাড়া
এ গল্প থামার নয় …………………………।।
গল্পের নাবিলার এই হাশি ………… আপনার জীবনে মুক্তা হয়ে ফুটে উঠুক (y)
তার ছেঁড়া
আমিও তাই চাই আফা । এর আফনের দুয়াও চাই ।
ছন্নছাড়া
আপনার চাওয়ার পুন্নতা পাক …………
এটাই চাই ……………।।
ধন্যবাদ …… আমাকে আফা বানানোর জন্য …………।।
লীলাবতী
পিছন থেকে নাবিলার খিল খিল হাসি শুনতে পাচ্ছিলাম । কেন জানি না , সেই হাসি শুনে আমার রাগ লাগার বদলে হাসি পেয়ে গিয়েছিল । :p এবং তারপরে তারপরে (3 । বুঝি বুঝি :p আন্টিকে জানাতেই হবে। পরের পর্বের অপেক্ষায় ।
তার ছেঁড়া
মাফ চাই , দোয়াও চাই । তাও আমার মায়েরে কিচু কইয়েন না । -:-
খসড়া
চলুক পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
তার ছেঁড়া
আমিও অপেক্ষায় । :D)
নীলকন্ঠ জয়
মতি ভাইয়ের দোকানের পিছনে স্মোকিং করতে পারেন আর একটা মেয়ের পিছনে হাঁটতে রাগ লাগে??? :p
ছন্নছাড়া
ভাই গো এইডারেই কয় ভালোবাসা …………………
বুঝেও ক্যান এই কথা বলেন জয় দাদা ……………
তার ছেঁড়া
নিজের ফাট আছে নাহ ! :p
ছাইরাছ হেলাল
অভিনন্দন আপনাকে এখানে লেখার জন্য ।
লিখতে থাকুন নাবিলা কথন , আমরা অপেক্ষা করছি ।
তার ছেঁড়া
ধন্যবাদ । 🙂
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় স্বাগতম -{@
মিস্টি একটি প্রেমের গল্পের দারুন সুচনা পর্ব পড়লাম ।
সংলাপ গুলো অত্যন্ত আকর্ষণীয়
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ায় থেমে যেতে হয়নি কোথাও ।
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি ।
শুভকামনা ।
তার ছেঁড়া
ওয়েলকাম মি । :p ইকরাম ভাই , সময় নষ্ট করে লেখাটা পড়ার জন্য কৃতজ্ঞ ।
রাতুল
সোনেলা তে স্বাগতম প্রথমেই। গল্প চলতে থাকুক :p :p মজা পাইতেছি :p
তার ছেঁড়া
আমিও পাইতাছি বাটুল বাই । 😀
শুন্য শুন্যালয়
প্রথম গল্পই এতো সুন্দর !!! খুব ভালো লেগেছে.
পরের পর্ব শিগ্রই দিন.
ও হ্যাঁ, সোনেলায় আপনাকে সুস্বাগতম -{@
তার ছেঁড়া
পুলকে ফুলকিত হইয়া গেলুম আফা । (3
স্বপ্ন নীলা
সুন্দর লিখেছেন,,,,,,,,,,,,,,
তার ছেঁড়া
থেঙ্কু থেঙ্কু । :p
হতভাগ্য কবি
(y) (y) (y) 🙁 🙁
তার ছেঁড়া
(y) 🙂