আহা….এ তল্লাট ছেঁড়ে আর যাব কোথা? একটা নয়, হাজারো প্রশ্নবোধক চিহ্ন কপালে সেঁটে নগরীর যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে গেছি, যখন যেমন পেরেছি।
কপট চক্ষুর নিকৃষ্ট ক্রোধাণল ঠিকরোতে ঠিকরোতে কপাল ঢেকে গ্যাছে ধুসর রঙা ছাইয়ে;
ক্রমাগত উত্তরের কাছে রোজ ভেজে শুকনো পাতার দল: ভেজে, আবার শুকায়! আবার দাঁড়িয়ে যায় কংক্রিটের গাঁথুনী।
যত্র তত্র মিছিল এগোয় ধীরে,, অতি ধীরে…. কোথাও ভাগবাটোয়ারা হয়ে যাচ্ছে স্বল্পায়ু সম গোটা একটা জীবন! ক্ষুধার্ত কাক, চিল, শকুনের লাইন বাড়ছে একটু একটু করে,,
কয়েকটা ঘর দেখি, দেখি জাদুঘরের মত জমা পড়ে আছে শখের সব সাজানো গোছানো থরে বিথরে চাহিদার উপকরন।
ঘরের দেয়াল দেয়ালে ও টানানো ছিলো ডুবতে থাকা সাম্পানের পালতোলা মাস্তল!
ঘরগুলো এখন স্মৃতী।
আহা!! আমাদের কোথাও যাবার নেই, নেই তাড়া একটা বিকেলকে রাঙিয়ে দিয়ে বলে দেয়া, আমার পরিচয় এখানেই রাখা।
কী সব এলোমেলো বকে যাই!!
শুধুই ফেরার তাড়া,
কথা ছিলো সময় পেলে ফিরব’
এখন, শুধুই ফেরার তাড়া!!
শতকের পর শতক কাটিয়ে লালনীল বাতির শহর ফেরত দেয় কতগুলো রঙিন পাথর……একেকটা রঙে একেক রঙের নামচা,
আমরা…… এখানেই থেকে যাই….. আমাদের আর কোনো স্বপ্ন দেখার সাহস নেই….
১৪টি মন্তব্য
সৌবর্ণ বাঁধন
অসাধরণ শব্দে, বাক্যে আমাদের সমসাময়িক জীবনের গ্রাফিতি আঁকালেন যেন। শুভেচ্ছা।
বন্যা লিপি
অসংখ্য ধন্যবাদ, দেখে ভালো লাগলো যে, আপনি অন্যের লেখাও পড়ার সময় বের করতে পেরেছেন। শুভ কামনা।
আশরাফুল হক মহিন
চমৎকার লেখা প্রিয় কবি
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
আমরা অসহায়। মৃত্যুর মিছিল কবে যে থামে? ধূসর ও বিভীষিকাময়। অস্তিত্ব ও প্রাণের টানাটানি
বন্যা লিপি
আমাতের যাবতীয় অধিকারের সৎকার। মূল ভাবার্থ এটাই বোঝাতে চেয়েছি। মৃত্যু তো মানুষের দেহের হচ্ছে! আপাত দৃষ্টিতে জিবীত ক’জন আছে বেঁচে? এটা আমার বোধ বলে। আমরা কি করছি বলতে পারেন? আমাদের হাতে কলম আর চোখের সামনে সাদা পৃষ্ঠা। কলম ঠেঁসে ধরলে কাগজের বুকে কালির দাগ পড়ে। একেকটা অক্ষর সাজিয়ে শব্দ দিয়ে কতকিছু লিখে যাচ্ছি, ক্রোধ, প্রতিবাদ, চাহিদা, বৈপরিত্ত, দুর্নিতী, অনিয়ম, দুঃশাসনের কড়চা! কিন্ত হচ্ছেটা কী? হয় কী এত এত লিখে? “আহা….. এ তল্লাট ছেড়ে আর যাব কোথা?” আমাদের স্বপ্ন দেখার সাহসও মৃতদের মিছিলে সামিল……..
হালিমা আক্তার
স্বপ্নের পাতাগুলো সব এক এক করে ঝরে পড়ছে। বিবর্ণতা গ্রাস করে নিচ্ছে ধরনীর সবুজ পল্লব। এ গ্রহণ কতদিন থাকবে কে জানে।
বন্যা লিপি
তাবৎ ভাবনার তমসায় আলো জ্বলুক। শুভ কামনা সহ ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
যেওনা গো কোথাও, থাকো এখানেই,
এই অবারিত নগর
হঠকারী কোলাহল
উন্মাদনায় আকুল শব্দ-মিছিল ছেড়ে যাবে কোথায়!
ক্রোধ! সেতো এক চুটকি স্ফুলিঙ্গ!
বুক-পাঁজরে দেবে রাখা দাবানল নিভিয়ে দাও
এক সাগর নোনা জলে..
ভালোটা ফিরে এসেছে ভালোয় ভালোয়!
শান্তি….শান্তি
বন্যা লিপি
লোপা মুদ্রার একটা গান শুনেছো? গতকালই একজন প্রিয়জন আমাকে গানটা ইনবক্সে গিফট করলো। আজ সারাদিন ওই গানটা শুনেছি। ” তোমার মতন আর কেউ নাই” তোমার মন্তব্য দেখার পরে ওই গানটাই মনে পড়লো। ব্যাপারটা হলো, এই স্কিল বোঝার কিছু নেই, তবে যে যার মতো ভাবতেই পারে। সঠিক নিরুপণ হয়ত কেউ কেউ করতে পারে। তাঁদের মধ্যে তুমি শীর্ষে। এটা অবশ্যই আমার জন্য শান্তি’র। এখন আর তোমার কাছে আমার লেখা কঠিন লাগেনা। এটা ভাবতেই ভালো লাগছে।
তৌহিদুল ইসলাম
মায়ার বাঁধনে সুন্দর এ পৃথিবী ছেড়ে কোথাও যেতে মন নাহি চায়। অমোঘ সত্যকে কি করে ডিঙ্গানোর সাধ্যি যে কারোরেই নেই। সবারই যেতে হবে, কেউ আগে আর কেউ পরে।
আবেগাপ্লুত হলাম অনুভূতি পড়ে। ব্যস্ততার জন্য ব্লগে আসতে দেরী হচ্ছে ইদানিং আপু। ফেসবুকে স্ক্রল করি আর কিছুই ভালো লাগেনা। দমবন্ধ গুমোট পরিবেশ চারপাশে।
ভালো থাকুন আপনিও।
বন্যা লিপি
আমাদের সাধ সাধ্য মিলিয়ে ঝিলিয়ে আমরা বড্ড সীমাবদ্ধতায় বেঁচে যাই আমাদের নির্ধারিত গন্ডির আওতায়। সেখানে থরে বিথরে সাজানো থাকে আমাদের জৈবিক, মৌলিা চাহিদার তালিকা। আমরা প্রতিনিয়ত শুন্য পাঞ্জায় জল আটকাবার চেষ্টায় তৎপর থাকি। আমরা কখন কোন ফাঁকে বাঁচতে ভুলে যাই নিজেরাও জানিনা।
ভালো থাকবেন ভাই সর্বোত।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মৃত্যুর মিছিল দেখে দেখে বধির হয়ে যাচ্ছি, অসহায়ের মতো চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই যে। যেতে নাহি চাই তবুও যেতে দিতে হয়। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন শুভকামনা নিরন্তর
বন্যা লিপি
ভালো থাকবেন আপনিও সতর্কাবস্থায় যেখানেই থাকুন যেভাবেই থাকুন।