
গল্প কবিতা উপন্যাসের পাতায় পড়া “লাশের মিছিল” শব্দটি আজ নিজের বুকে হাতুরীপেটা করছে।
মুসলমান মৃত্যুবরণ করলে আমার চেতনার দন্ড দাঁড়িয়ে যায়। নীল অশ্রুতে প্লাকার্ড লিখে খালিপায়ে দৌড়ঝাঁপ করি তপ্ত পিচের এপারে ওপারে।
হায়! মানবতা এখন ধর্মের শৃঙ্খলে আবদ্ধ। যতদিন তাকে ধর্মের বেড়াজাল থেকে বন্ধন মুক্ত করতে চেয়েছি, আমাকে কাফের বেইমান বেধর্মী তকমা মাথায় নিয়ে চুপ করে থাকতে হয়েছে!
তারা নাকি মুসলমান! আমার ভাই? কিভাবে পারলো এই লাশের মিছিলের আয়োজন করতে? কি লজ্জা!!
ইসলামে কোন দল থাকতে পারেনা। শান্তির বার্তা নিয়ে যে ধর্ম সাত আসমান থেকে শুরু করে ধরণী পর্যন্ত বিস্তৃত তাকে অপমান অপদস্থ করাই এসব দলের প্রধান লক্ষ্য।
মুসলমান কখনো জঙ্গি হতে পারেনা। বরং জঙ্গিরাই ইসলামের নাম ভাঙিয়ে আসছে সৃষ্টির আদি থেকে!
ইতিহাস সাক্ষী, যখনই যারা ইসলামের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করে ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তারাই ধ্বংস হয়েছে। তাদের মুন্ডু দ্বিখণ্ডিত হয়েছে জুলফিকারের আঘাতে।
গেঁয়ো সামাজিক রোশানল আর ধর্মের গ্যাঁড়াকলে, “মানবতা” নামক শব্দটিকে এখন আমি লিপিবদ্ধ করছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায় পাতায়….
২৪টি মন্তব্য
রিতু জাহান
প্রথম
তৌহিদ
অভিনন্দন!! 🌹
রিতু জাহান
জুলফিকারের আঘাত আসতে আর কতো দেরি?
আচ্ছা, আপাততঃ আমার ঘরের জুলফিকারকে জিজ্ঞেস করবনে।
আসলে কি জানেন, জঙ্গি সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই আসলে।
লাশের মিছিল সেদিন থেকে শুরু হইছে যেদিন থেকে মানুষ সাম্রাজ্য ও ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছে।
তৌহিদ
সেদিন চলে আসছে যখন কেউ হাতে জুলফিকার নিয়ে চিৎকার দিতে দিতে হায়েনাগুলোর দিকে এগিয়ে যাবে বীরদর্পে।
ঠিকই বলেছেন আপু। সম্রাজ্য আর ধর্মকে নিজের মত করে কখনওই ব্যবহার করা যায়না, করছে বলেই আজ এত অনাচার।
ধন্যবাদ জানবেন আপু।
প্রহেলিকা
“গেঁয়ো সামাজিক রোশানল আর ধর্মের গ্যাঁড়াকলে, “মানবতা” নামক শব্দটিকে এখন আমি লিপিবদ্ধ করছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায় পাতায়”
এরপর অবশ্য আর কিছুই বলার থাকে না। এই লাশের মিছিল যেমন দীর্ঘ হচ্ছে আমাদের চোখও যেন সয়ে নিচ্ছে সব!
তৌহিদ
এ চোখ আর বেশিদিন সইবেনা ভাই। হয়তো অন্ধত্ব বরণ করে নেয়াই শ্রেয়।
আরজু মুক্তা
সন্ত্রাসীদের ধর্ম নাই,মানবতা নাই!এদের ভাইবোনও নেই।তাই এদের মায়াও নেই!
তৌহিদ
অথচ ধর্মের নাম ভাঙিয়ে এরাই অরাজকতা করে বেড়ায়।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধর্মের নামে অপরাধ করার নাম হলো সন্ত্রাস-ধর্ম। পৃথিবীতে যতগুলো ধর্ম আছে, যত ধর্মের মানুষ আছে, সবাই এই ধর্মের দীক্ষা নিতে পারে। এই ধর্মে যোগ দিতে হলে অন্য সব ধর্ম বাদ দিতে হবে। কারন, অন্য সব ধর্মে মানুষ হওয়ার শর্ত থাকে। মানুষের কল্যানে আত্মনিয়োগ করার নিয়ম থাকে। সন্ত্রাস-ধর্ম গ্রহন করার শর্ত একটাই, তা হলো নিজেকে অমানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। যারা বলেন সন্ত্রাসীদের ধর্ম নেই, তারা আসলে সত্যটা স্বীকার করতে অনিচ্ছুক। সন্ত্রাসীদের ধর্ম সন্ত্রাস করা। ওদের ধর্মের নাম সন্ত্রাস।
তৌহিদ
সন্ত্রাসীদের ধর্ম সন্ত্রাস করা, এরপর আর কিছু বলার থাকেনা।
ধন্যবাদ আপু।
শুন্য শুন্যালয়
খুনীদের লাগে ছুতো, ভাগ্যিস তাদের জন্য ধর্ম নামের কিছু একটা ছিলো।
আমরা কিন্তু লাশে অভ্যস্ত হয়েই গেছি, আহা উহুর আগে জিজ্ঞেস করি ক’জন মরলো। কম মরলে এরকম তো রোজই হয়, বেশী মরলে দুএকদিন চিল্লানো জোস নিয়ে, শেষ।
বেশ ভালো বলেছেন, সামাজিক পাতার মধ্যেই একদিন মানবতা শব্দটা টিকে থাকবে।
তৌহিদ
খেয়াল করে দেখবেন সন্ত্রাসী কে? মুসলমান। মারলো কে মুসলমান। শান্তির বার্তায় কোন এক অশুভ শক্তি যেন উঠেপড়ে লেগেছে অশান্তি আনার জন্য।
এরাই ধর্মকে পুঁজি বানিয়ে এসব করছে।
মাহমুদ আল মেহেদী
আমাদের সয়ে যাবার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে চিন্তাযুক্ত আমি!!!
তৌহিদ
আমরা সবাই চিন্তিত ভাই, বিবেকবান মানুষ চিন্তিত হবেনই তো!!
ছাইরাছ হেলাল
এ মিছিলের শেষ দেখতে পাচ্ছি না।
তৌহিদ
বিশ্ব এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। লাশের মিছিলে হয়তো আমরাও শামিল হব!
জিসান শা ইকরাম
আমরা সবাই জানি এবং মানি যে সৃষ্টিকর্তা একজন,
অথচ কিছু উগ্র, জংলী, জঙ্গি তাদের কার্যকলাপে বুঝিয়ে দেয় যে সৃষ্টি কর্তা অনেক। নতুবা খৃষ্টান ধর্মের লোকদের এভাবে হত্যা করা কেন? তাদের কি অন্য কোন সৃষ্টিকর্তা তৈরী করেছেন? খৃষ্টান বা অন্য ধর্মের মানুষদের হত্যা করা ইসলাম ধর্মের কোথায় আছে?
ভালো লাগেনা এমন ভাবে মানুষের বিপর্যয়।
তৌহিদ
সবার জন্য সৃষ্টিকর্তা একজনই। আর কোন ধর্মেই মানুষ হত্যার বলা নেই।
নিরীহ মানুষ হত্যা করে প্রতিশোধ নেয়া ধর্মের কাজ হতে পারেনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
সত্যি বলতে কি এই ধর্মই আসলে অধর্মের মূল। মানবতা যে প্রধান ধর্ম, এ পৃথিবীর মানুষ ভুলেই গেছে। একেকটি মতকে আমরা ধর্ম বলি। অদেখা ঈশ্বরকে নিয়ে মারামারি, খুনোখুনি। নগর পুড়লে দেবালয়ও পোড়ে, সবাই জানে, কিন্তু জেনেও মানুষ ই মানুষকে মারে। কখনো মসজিদে, কখনো চার্চে, কখনো মন্দিরে। যদি এসব উপাসনালয় না থাকতো, যদি শুধুই মানবধর্ম থাকতো এসব হতো না। এমন কথায় অনেকেই আমাকে নাস্তিক ভাবতে পারে। ভাবুক। কিছু যায় আসেনা। সত্যি বলছি এখন ঘেন্না ধরে গেছে ধর্মের নামে মানুষ হত্যার রাজনীতি। আমরা যতোই বলি না কেন জঙ্গীদের কোনো ধর্ম নেই। আসলে ওদেরই ধর্ম আছে। ওরা একজোট হয়ে মারে আর আমরা লাফাই। আমরা মানুষ ই নই। অনেক ক্ষোভ জমে আছে। যাক আর কিছু বলতে চাই না।
তৌহিদ
সব ধর্মেই মানব ধর্মকে শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে বলেই জানি। কে কি ভাবলো সেটা জরুরি নয়, আপনার কাছে আপনি পরিষ্কার থাকলে তাহলেই ওকে আপু।
ধর্মের নামে যারা মানুষ হত্যা করে এরা নরকের কীট। নরহত্যা কোন ধর্মেই নেই। তারা যেটা করছে তা স্রেফ পুঁজিবাদীর ব্যবসা।
আমরা মানুষ হতে পারলামনা আসলেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক ভালো থাকুন তৌহিদ ভাই।
তৌহিদ
আপনিও ভালো থাকবেন আপু।
মোঃ মজিবর রহমান
যে বা যারাই করুক তারা কোন ধর্মের হতে পারেনা। তারা খুনি আর এই খুনের বিচার হয়া চাই।
তৌহিদ
আমিও এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিচার চাই, ন্যায় বিচার।
ধন্যবাদ মজিবর ভাই।