যারা কারফিউ, জরুরী আবস্থা, লকডাউন কেন দেশে সরকার দিলো না মূলতঃ তাদের জন্যই লেখাটা লিখলাম।
বৈশ্বিক এই দূর্যোগে গোটা বিশ্বে যখন কোভিড-১৯ নামক ভাইরাসটি বিশ্ব ভ্রমন করছে তখন আমাদের দেশ এই ভ্রমনকারী ভাইরাস থেকে মুক্ত নয়। মার্চের ৮ তারিখে আমাদের দেশে এই ভাইরাসটির প্রথম অস্তিত্ব পাওয়া যায়। প্রাশ্চত্য বিশ্বে ভাইরাসটি যখন মহামারীর রূপ নেয় তখন থেকেই বাংলাদেশ সরকার তার বৃত্তের ভিতর থেকে দেশীয় সরঞ্জামাদি দিয়ে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় করোনা চিকিসার জন্য হাসপাতালে করোনা ইউনিট তৈরীর কাজ শুরু করে। যদিও এই ইউনিটগুলি আন্তর্জাাতিক মানের স্বাস্থ্য সেবা দেবার উপযুক্ত নয়।
এখানে একটি উদাহারন এমন করে দেয়া যেতে পারে।
ধরুন প্রাকৃতিক দূর্যোগে সরকারী ভাবে হুশিয়ার করা হলো আপনারা কেউ এই সময় ঘরের বাহিরে যাবেন না। উপকুলীয় বাসিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্রে থাকবেন। ইত্যাাদি ইত্যাদি। দূর্যোগটি আঘাত হানার পূর্বে হয়তো আপনি কোন জরুরী কাজে ঘরের বাহিরে। কাজটি সময় মতন শেষ করে ঘরে ফিরতে পারেননি। কিন্তু দূর্যোগের কালো থাবা আঘাত হানলো। আপনি কোন এক খোলা মাঠের মাঝখানে। কি করবেন?
নিশ্চয়ই দৌড়ে কোথাও আশ্রয় নিবেন। দেখা গেল দৌড়ে আপনি একটি বড় গাছের নীচে দাঁড়ালেন। সেই মুহুর্তে আপনার ভাবনায় নেই ঝড়ের তীব্রতা বা বাতাসের বেগ বেড়ে গেলে গাছের ডাল ভেঙ্গে আপনার মাথায় আঘাত করতে পারে । মূল কথা হলো আপনি আপনার সুরক্ষার পথটি তখন সেই মূহুর্তে এটাকেই উত্তম মনে করেছেন। ঠিক তেমনি করে সরকারও ভেবেছে আমাদের স্বল্পতা দিয়ে এই ব্যাবস্থায় আমরা জনগনকে সেবা দিতে পারবো।
এবার আসুন মূল কথায়ঃ
গত ২৬ মার্চ থেকে আমাদের দেশে সরকার সাধারন ছুটি ঘোষনা করেন। যা ৭ স্তরে বাড়িয়ে ৩০ মে’২০২০ শেষ হয়। আমাদের দেশে যখন সাধারন ছুটি ঘোষনা হয় তখন মৃত্যুর সংখ্যা ৫ জন। তেমন হারে সংক্রামিত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে নি। ফেব্রুয়ারী শেষ সপ্তাহে ইতালী থেকে প্রবাসীদের যে দলটি দেশে প্রবেশ করে তাদের কোয়ারিন্টিনে রাখার জন্য সরকারের উদ্দ্যোগ ভেস্তে যায়। তারা নিজ নিজ এলাকায় চলে যায়। প্রশাসন তাদের চিহ্নিত করে ১৪ দিন আইসোলেশনে রাখেন। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অর্থ
জরিমানাও হয়। তখন প্রবাসী সহ দেশের অনেক বুদ্ধিজীবিরা বলেছেন দেশের বিমানবন্দর বন্ধ করা হোক, বিদেশ থেকে যেন কোন মানুষ দেশে আসতে না পারে। ইত্যাদি ইত্যাদি। মানুষ যার যার অবস্থান থেকে সব কিছুই বলতে পারে। কিন্তু বাস্তবায়ন করতে হলে রাষ্ট্রকে ভেবে চিন্তে করতে হয়। বললেই বিমান বন্দর বন্ধ করা যায় না। আমেরিকায় যখন ভাইরাস প্রতিদিন গড়ে ২৫০০জন লোক মারা যাচ্ছে তখনও তাদের নাগরিকদেরকে বাংলাদেশ থেকে চাটার্ড বিমানে ফেরত নিয়ে গেছে। এটা যে কোন রাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার নিজ দেশে ফেরা।
দেশে সাধারন ছুটি চলাকালীন সময়ে তিনদিন পর্যন্ত জনগনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে ও ঘরে থাকতে দেখা গেছে। তারপর থেকেই সাধারন মানুষ বেপরোয়া চলাফেরা করেছে। কেউ বাধ্য হয়ে কেউ বা শখে। আস্তে আস্তে জনগনের কাছে সাধারন ছুটিটা ভ্রমন বা আনন্দের হয়ে উঠে। সরকারী আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে আড্ডা থেকে শুরু করে মিল কারখানায় কাজে যোগদান শুরু করে। যদিও এখানে সাধারন শ্রেনীর দিনমুজুররা জীবিকার ঝুঁকি বেছে নিয়েছে। তারপরও কাজটি সঠিক হয়নি। আর তখন প্রবাসী থেকে শুরু করে আবারো দেশের সুশীলরা চিৎকার শুরু করলো লকডাউন বা কারফিউ বা জরুরী অবস্থা ঘোষনা দিলে এমন হতো না। ইত্যাদি ইত্যাদি। সবাইকে নারায়নগঞ্জে নিয়ে যাচ্ছি। মনে আছে, নারায়নগঞ্জকে সম্পূর্ন লকডাউন ঘোষনার পরও কি জনগন ঘরে ছিলো? অথচ তখনও সরকারকে ঢালাও ভাবে দোষারূপ করা হয়েছে।
এবার আসুন সরকারের ব্যার্থতা কোথায় ছিলো?
প্রথমতঃ
সরকারের দোষ ছিলো এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কে বা কারা মহামারীতে নিবেদিত হয়ে সেবা দিতে পারবেন তাদের চিহ্নিত করা। শুধু ডাক্তারই যথেষ্ট নয়। সাধারন ছুটি ঘোষনা দেবার পূর্বেই সরকারের নীতিনির্ধারকদের নিয়ে একটা গাইডলাইন তৈরী না করা। নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবন ধারনের জন্য খাবারের ব্যাবস্থা না করা। সরকারী লোকজনের মাধ্যমে ত্রান বিতরন করা। সমাজের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের তালিকা তৈরীতে দলীয় লোকজনকে দায়িত্ব দেয়া। এমন বেশ কিছু ভুলের জন্য সরকারের ব্যার্থতাকে আমি দায়ী করবো।
দ্বিতীয়তঃ
যেহেতু ভাইরাসটি স্বাস্থ্যজনিত তাই দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপরই দায়িত্বটা বেশী। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এমন পরিস্থিতিতে কি ব্যাবস্থা নেয়া যেতে পারে তার কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় সরকারকে সঠিক চিত্র দিতে পারেনি। যার জন্য সরকার তাদের পরামর্শ যাচাই বাছাই না করেই তাদের মতন করে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা সাজানো ছিলো সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা। চিকিসকদের সুরক্ষার ব্যাবস্থা না করাটাও ছিলো ব্যার্থতা।
অথবা
স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত কর্মচারী বা মন্ত্রনালয়ের সাথে সরকারের দূরত্ব বা সমন্বয়হীনতা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপর শতভাগ নির্ভর করাটাও ছিলো সরকারের ব্যার্থতা।
সংক্রামন ছাড়ানোর জন্য জনগনই দায়ীঃ
মাত্র একটি মাস যদি আমরা ধৈর্য্য ধরে ঘরে থাকতে পারতাম তাহলে আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস এত ছড়াতে না। এখানে সরকারের কোন দোষ নেই। কারফিউ লকডাউন দিয়েও এদেশের মানুষকে ঘরে রাখা যেত না। বিশ্বের কোন দেশই পারেনি। বরঞ্চ যারা প্রবাসী তারা এই কারফিউ ও লকডাউন নিয়ে সরকারের সমালোচনায় ফেসবুকে ঝাড় তুলেছেন।কারফিউ বা লকডাউন যে সংক্রমন রোধ করা সম্ভব না তার একটি উদাহারন দিলাম।
সৌদি আরবে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭১৭, শুধু রিয়াদে ১৩১৭ এপর্যন্ত মোট কেস ১১২,২৮৮। আমার ফুপতো ভাই ডাঃ আরিফ একজন উচ্চ পদস্থ সৌদি কর্মকর্তাকে ফোনে জানতে চাইলেন,
ঘটনা কি?
এত কারফিউ এত লকডাউন,
এতো টেস্ট,
কেস বাড়তেছে কেন?
তার জবাব শুনে ফুপতো ভাই আক্কেল গুরুম।
সৌদি বললেন-
“ইয়া আখী কুল্লু সাবাব মিন হারিম হাগগেনা।
অর্থাৎ এর কারণ হচ্ছে আমাদের নারীগন। তারা বাপের বাড়ী যাবে, ভাইয়ের বাড়ী যাবে লক ডাউনে বেড়াতে। কেমন করে বন্ধ হবে? আমি ভাবছিলাম তিনি বলবেন, বিদেশিদের কারণে বেড়ে যাচ্ছে।
যারা প্রবাসে বাস করেন তারা ভাবেন যে, আসমানে বসে আছেন। নীচে দেশের দিকে তাকিয়ে দেখছেন সারা দেশ করোনাময়। আর সরকারকে তুলা-ধূনা করে যার যার ফেসবুক পেইজে পোষ্ট দিচ্ছেন-
“আর কত লাশ দেখবো”
“করোনা নিয়ন্ত্রনে সরকার ব্যার্থ”।
“ আমাদের পরিবারের সদস্যদের কি হবে”?
“টেষ্টের সংখ্যা বাড়ছে না কেন”?
ইত্যাদি ইত্যাদি।
সেই সবসপ্রবাসীদের বলছি, আপাততঃ এসব সমালোচনামূখর কবিতা রচনা ও দেশ বিশ্লেষক না হয়ে বহিঃবিশ্বের খোঁজ রাখুন। স্বচ্ছ কাঁচের মতন সব পরিস্কার দেখবেন। তখন না হয় সরকারকে তুলা-ধূনা করবেন।
সব মানলাম ভাই শুধু একটি কথা ছাড়া, আপনি আমেরিকার লাল কুত্তা ট্রাম্পের দেশের উদাহরণ দিলেন যেখানে ট্রাম্প নিজেই বেয়াক্কেল বলেই সব খুলে রেখেছিলেন, কিন্তু ফিলিপাইন, নিউজিল্যান্ডের উদাহরণ আনেন না কেন?
ওরা তো সব বর্ডার সিল করে দিয়েই দিব্বি কন্ট্রোল করেছে, তাহলে কি আমাদের সরকার কি পারতোনা বলেন?
অবিবেচক ভাবে হাজার হাজার মানুষ আসছেই তো আসছেই, তাহলে করোনা কেন আসবেনা, এসেছেই।
আগের কারফিউর উদাহরণ দেখেন, কঠিন ভাবে কারফিউ দিলে কারও বাপের সাধ্যি আছে কারফিউ ভঙ্গ করে, প্রতিদিন সকালে এক দুই ঘন্টা সময় দিতো জরুরী কাজ সারার, তারপর কারফিউ চলতো এক মাস, তাহলে কি সম্ভব হতো করোনার বাপেরও ছড়াতে?
গার্মেন্টস খুলে দিলো, বর্ডার খুলে দিলো কেন, এক দুই মাস কি সরকারের ক্ষমতা ছিলোনা দেশের স্বার্থে জনগণকে খাওয়াতে?
আর কি বলার থাকে ভাই?
সহমত পোষণ করলাম দাদা।
আমাদের গোঁড়ায় গণ্ডগোল হয়ে গিয়েছে।
করোনা গ্রামেগঞ্জে, অলিগলি চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলছে। আমি মনেকরি নিজনিজ জায়গায় সচেতন থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই আমাদের।
গার্মেন্টস খুলে দিলো, বর্ডার খুলে দিলো কেন, এক দুই মাস কি সরকারের ক্ষমতা ছিলোনা দেশের স্বার্থে জনগণকে খাওয়াতে?
নিশ্চয় পারতো দাদা।
এখন আর কোনকিছু দিয়েও কাজ হবে না যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
বাকিটুকু আপনার, আমার,আর সৃষ্টিকর্তার কাছে!
ইন্জা ভাই নীচে বিস্তারিত মন্তব্য করলাম।
নিউজিল্যান্ডের জন্য এলাম আপনার ধারে।
২৮৪ হাজার বর্গমাইল আয়তনের ৫০ লক্ষ সচেতন মানুষের জন্য অনেক কিছু করা যায়
যারা এক বার্গার খেয়ে দিন কাটায়।
আর আমি ভাবি আমার চাকরীটা না থাকলে অনেক পরিবার বিপদে পড়বে। আমিতো পড়বোই।
ধন্যবাদ।
ভাইজান,প্বার্শবর্তী দেশে ভারতেও কারফিউ দিয়ে কোন সমাধান হয়নি। তার মূল কারন জনগণ কারফিউয়ের মধ্যেও বের হয়েছে। সচেতনতা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। আর সচেতন হতে হবে জনগণকে কোন সরকারই কানে ধরে সচেতন করাতে পারবে না। আর নিউজিল্যান্ডের অধিবাসী হলো আমাদের ঢাকার চার ভাগের এক ভাগেরও কম। সুতারাং এত অল্প সংখ্যক লোক নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। যেমনটি আমাদের উপজেলা লেবেলে গ্রাম বা ইউনিয়নে হয়েছে। যার জন্য গ্রামে সংক্রমন কম।
ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য
সচেতন হবে না। তবে আমাদের দেশের মানুষদের সচেতন হওয়া উচিত নিজের জন্য পরিবারের জন্য ও দেশের জন্য। নইলে মাশুল গুনতে হবে। এটা শুধু করোনা জন্য না। সবক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। তবেই মাথা উচু করে বাঁচতে পারবো।
আসলে এদেশের প্রেক্ষাপট উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেকটাই ভীন্ন। না বুঝেই অনেকেই অনেক কথা বলছেন কিন্তু বাস্তবতা মেনে নিতেই হবে। আবার কিছু জায়গায় আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কালক্ষেপণ করতে হয়েছে। আবেগে গা ভাসিয়েছি আমরা।
যারা কারফিউ লকডাউনের কথা বলে তারা
বাঙ্গালী চরিত্র না বুঝেই বলে।
আমেরিকার এক জর্জ ইষ্যুতে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে
কেন জানেন ? মানুষ বিপদে পড়লে তার প্রতি সহানুভুতিশীল হতে হয় কঠোর নয়।
আর আমরা না খেয়ে মরবো আপনি খাদ্য মজুদ করে আয়েসে থাকবেন তা হবে না। যারা প্রতিদিন মরে তাদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে আপনাকে মারবে এটাই বাস্তব।
লকডাউন করবেন? ভাবেন অক্সিজেন মজুদ করছে ?
এটাই বাঙালীর চরিত্র।
মহামারীতে ও খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ রাখতে হয়।
নাহলে ওরা ক্ষুদায় মরবে আপনাকে করোনায় মারবে।
ভালই লাগলো। সাফল্য ব্যর্থতা ভবিষৎ নিরধারন করবে।
চিকিৎসা ব্যবসায়ীরা হাত গুটিয়ে বসে আছে। কপালে বড় দু:খ আছে।
মৃত্যুর সারি বাড়বে কারন তারা বাঁচতে চায় কিংতু তারা ও মরবে কারন মানুষের প্রতি অবিচার সইবে না।
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
কারফিউ দিয়ে এদেশের লোকজন ঘরে রাখা যাবে না। আর এই কারফিউতে প্রশাসন বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কোন মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিবে পারবে না। আর যদি কোন দূর্ঘটনা্ ঘটে তবে আরেকটা ইনডিমিনিটি বিল পাশ করতে হবে। সব কিছু বিবেচনায় কারফিউ দাবী অযুক্তিক। নিজে সচতেন না হলে নিজের ও জাতির কপালে দূর্ভোগ বাড়বে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের দেশের অনেক মানুষেরই সচেতনতা কম।হয়তো আমিও তাদের একজন।কর্মক্ষেত্রে থেকে দেখে দেখে যা বুঝেছি এই করোনা গত হলেও অনেকেরই বিচার বিবেচনা তৈরি হবে না।লকডাউন,কারফিউ নিছক ভয় তৈরি করবে কিন্ত তাদের মধ্যে বোধের সৃষ্টি করবে না হয়তো।
ভালো লাগল আপনার তথ্যপূর্ণ লেখনি।
আমরা যতটা বাস্তবে দেখে শিখি তার অর্ধেকও শুনে শিখি না। এটাই সত্যি। মানুষ এখন লকডাউন/ কার্ফিউর ভয় পাচ্ছে না। ভয় পায় অসুস্থ হতে, কারণ এখন আগেরমতো অসুখে ভুগলে ডাক্তার/ওষুধ কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। আমি মনে করি আমাদের দেশের মানুষের মাঝে প্রথম দিকে নাহলেও এখন সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিকট জনদের মৃত্যুসংবাদ আর প্রতিদিনের মৃত্যুর সংখ্যা সবার মনে ভয় ধরিয়ে দিতে সক্ষম হচ্ছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন মানুষ নিজেরাই নিজেদের নিখোঁজ বানিয়ে রাখবে।
সমসাময়িক নিয়ে খুবই ভালো পোস্ট দিয়েছেন শামীম ভাই। আপনার কাছ থেকে এমন পোস্ট নিয়মিত আশা করছি।
২৯টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভালো লাগলো ভাইয়া ।আরো সচেতন হবার দরকার ছিল কিন্তু আমরা তা করিনি। আমরা অন্যের দোষ ধরতে সর্বদাই প্রস্তুত। শুভ কামনা রইলো
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ দিদিভাই।
ইঞ্জা
সব মানলাম ভাই শুধু একটি কথা ছাড়া, আপনি আমেরিকার লাল কুত্তা ট্রাম্পের দেশের উদাহরণ দিলেন যেখানে ট্রাম্প নিজেই বেয়াক্কেল বলেই সব খুলে রেখেছিলেন, কিন্তু ফিলিপাইন, নিউজিল্যান্ডের উদাহরণ আনেন না কেন?
ওরা তো সব বর্ডার সিল করে দিয়েই দিব্বি কন্ট্রোল করেছে, তাহলে কি আমাদের সরকার কি পারতোনা বলেন?
অবিবেচক ভাবে হাজার হাজার মানুষ আসছেই তো আসছেই, তাহলে করোনা কেন আসবেনা, এসেছেই।
আগের কারফিউর উদাহরণ দেখেন, কঠিন ভাবে কারফিউ দিলে কারও বাপের সাধ্যি আছে কারফিউ ভঙ্গ করে, প্রতিদিন সকালে এক দুই ঘন্টা সময় দিতো জরুরী কাজ সারার, তারপর কারফিউ চলতো এক মাস, তাহলে কি সম্ভব হতো করোনার বাপেরও ছড়াতে?
গার্মেন্টস খুলে দিলো, বর্ডার খুলে দিলো কেন, এক দুই মাস কি সরকারের ক্ষমতা ছিলোনা দেশের স্বার্থে জনগণকে খাওয়াতে?
আর কি বলার থাকে ভাই?
প্রদীপ চক্রবর্তী
সহমত পোষণ করলাম দাদা।
আমাদের গোঁড়ায় গণ্ডগোল হয়ে গিয়েছে।
করোনা গ্রামেগঞ্জে, অলিগলি চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলছে। আমি মনেকরি নিজনিজ জায়গায় সচেতন থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই আমাদের।
গার্মেন্টস খুলে দিলো, বর্ডার খুলে দিলো কেন, এক দুই মাস কি সরকারের ক্ষমতা ছিলোনা দেশের স্বার্থে জনগণকে খাওয়াতে?
নিশ্চয় পারতো দাদা।
এখন আর কোনকিছু দিয়েও কাজ হবে না যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
বাকিটুকু আপনার, আমার,আর সৃষ্টিকর্তার কাছে!
ইঞ্জা
তাই তো, সরকার চাইলে অবশ্যই পারতো।
সুপায়ন বড়ুয়া
ইন্জা ভাই নীচে বিস্তারিত মন্তব্য করলাম।
নিউজিল্যান্ডের জন্য এলাম আপনার ধারে।
২৮৪ হাজার বর্গমাইল আয়তনের ৫০ লক্ষ সচেতন মানুষের জন্য অনেক কিছু করা যায়
যারা এক বার্গার খেয়ে দিন কাটায়।
আর আমি ভাবি আমার চাকরীটা না থাকলে অনেক পরিবার বিপদে পড়বে। আমিতো পড়বোই।
ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
দাদা এইসবই বুঝি আমি,চের জন্য চাইলে সরকার নিজেই কঠিন উদ্যোগ নিতে পারতো, আমি এসবে সরকারের ব্যার্থতায় বেশি দেখি।
শামীম চৌধুরী
সহমত আপনার সাথে।
শামীম চৌধুরী
ভাইজান,প্বার্শবর্তী দেশে ভারতেও কারফিউ দিয়ে কোন সমাধান হয়নি। তার মূল কারন জনগণ কারফিউয়ের মধ্যেও বের হয়েছে। সচেতনতা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। আর সচেতন হতে হবে জনগণকে কোন সরকারই কানে ধরে সচেতন করাতে পারবে না। আর নিউজিল্যান্ডের অধিবাসী হলো আমাদের ঢাকার চার ভাগের এক ভাগেরও কম। সুতারাং এত অল্প সংখ্যক লোক নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। যেমনটি আমাদের উপজেলা লেবেলে গ্রাম বা ইউনিয়নে হয়েছে। যার জন্য গ্রামে সংক্রমন কম।
ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য
ইঞ্জা
ভাই আপনার কি মনে হয় এই দেশের মানুষ সচেতন হবে?
হবে তাও খুব অল্প।
শামীম চৌধুরী
সচেতন হবে না। তবে আমাদের দেশের মানুষদের সচেতন হওয়া উচিত নিজের জন্য পরিবারের জন্য ও দেশের জন্য। নইলে মাশুল গুনতে হবে। এটা শুধু করোনা জন্য না। সবক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। তবেই মাথা উচু করে বাঁচতে পারবো।
ছাইরাছ হেলাল
শত শত অপূর্ণতার পর ও আমরা আমাদের জায়গা থেকে
অনেক দায়িত্ব হেলায় পায়ে ঠেলেছি।
এখন আল্লাহ ভরসা।
শামীম চৌধুরী
আল্লাহ ভাল জানেন।
সুরাইয়া নার্গিস
সুন্দর পোষ্ট ভাইজান।
আমাদের সচেতনাই আমাদের মৃত্যুর কারন, আরো সচেতনতা বাড়ালে হয়ত মৃত্যু ঝুঁকি কমবে।
আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন।
শুভ কামনা রইল সবার জন্য।
শামীম চৌধুরী
সচেতনতাই বড় শক্তি এই ভাইরাস থেকে যতটুকু সম্ভব মুক্ত থাকা।
হালিম নজরুল
স্যালুট আপনাকে। চমৎকার লিখেছেন প্রিয় ভাই আমার।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ প্রিয় কবি ও ভাই।
তৌহিদ
আসলে এদেশের প্রেক্ষাপট উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেকটাই ভীন্ন। না বুঝেই অনেকেই অনেক কথা বলছেন কিন্তু বাস্তবতা মেনে নিতেই হবে। আবার কিছু জায়গায় আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কালক্ষেপণ করতে হয়েছে। আবেগে গা ভাসিয়েছি আমরা।
বিশ্লেষণমূলক লেখাটি ভালো হয়েছে ভাই। ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
শামীম চৌধুরী
খুব খুশী হয়েছে তৌহিদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য। শুভ কামনা রইলো।
তৌহিদ
আমি সবার লেখাই পড়ি ভাই, ব্যস্ততার জন্য মন্তব্য করতে সামান্য দেরী হয় আর কি!
শামীম চৌধুরী
সেটা আমরা ও আমি জানি তুমি ব্লগের একজন নিবেদিত প্রাণ।
সুপায়ন বড়ুয়া
যারা কারফিউ লকডাউনের কথা বলে তারা
বাঙ্গালী চরিত্র না বুঝেই বলে।
আমেরিকার এক জর্জ ইষ্যুতে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে
কেন জানেন ? মানুষ বিপদে পড়লে তার প্রতি সহানুভুতিশীল হতে হয় কঠোর নয়।
আর আমরা না খেয়ে মরবো আপনি খাদ্য মজুদ করে আয়েসে থাকবেন তা হবে না। যারা প্রতিদিন মরে তাদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে আপনাকে মারবে এটাই বাস্তব।
লকডাউন করবেন? ভাবেন অক্সিজেন মজুদ করছে ?
এটাই বাঙালীর চরিত্র।
মহামারীতে ও খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ রাখতে হয়।
নাহলে ওরা ক্ষুদায় মরবে আপনাকে করোনায় মারবে।
ভালই লাগলো। সাফল্য ব্যর্থতা ভবিষৎ নিরধারন করবে।
চিকিৎসা ব্যবসায়ীরা হাত গুটিয়ে বসে আছে। কপালে বড় দু:খ আছে।
মৃত্যুর সারি বাড়বে কারন তারা বাঁচতে চায় কিংতু তারা ও মরবে কারন মানুষের প্রতি অবিচার সইবে না।
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
কারফিউ দিয়ে এদেশের লোকজন ঘরে রাখা যাবে না। আর এই কারফিউতে প্রশাসন বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কোন মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিবে পারবে না। আর যদি কোন দূর্ঘটনা্ ঘটে তবে আরেকটা ইনডিমিনিটি বিল পাশ করতে হবে। সব কিছু বিবেচনায় কারফিউ দাবী অযুক্তিক। নিজে সচতেন না হলে নিজের ও জাতির কপালে দূর্ভোগ বাড়বে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ফয়জুল মহী
ভীষণ ভালো লাগলো লেখা ।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ মহী ভাই। শুভ কামনা রইলো।
পার্থ সারথি পোদ্দার
আমাদের দেশের অনেক মানুষেরই সচেতনতা কম।হয়তো আমিও তাদের একজন।কর্মক্ষেত্রে থেকে দেখে দেখে যা বুঝেছি এই করোনা গত হলেও অনেকেরই বিচার বিবেচনা তৈরি হবে না।লকডাউন,কারফিউ নিছক ভয় তৈরি করবে কিন্ত তাদের মধ্যে বোধের সৃষ্টি করবে না হয়তো।
ভালো লাগল আপনার তথ্যপূর্ণ লেখনি।
শামীম চৌধুরী
সচেতন না হলে নিজের ও জাতির ভাগ্যে মন্দা আসবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমরা যতটা বাস্তবে দেখে শিখি তার অর্ধেকও শুনে শিখি না। এটাই সত্যি। মানুষ এখন লকডাউন/ কার্ফিউর ভয় পাচ্ছে না। ভয় পায় অসুস্থ হতে, কারণ এখন আগেরমতো অসুখে ভুগলে ডাক্তার/ওষুধ কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। আমি মনে করি আমাদের দেশের মানুষের মাঝে প্রথম দিকে নাহলেও এখন সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিকট জনদের মৃত্যুসংবাদ আর প্রতিদিনের মৃত্যুর সংখ্যা সবার মনে ভয় ধরিয়ে দিতে সক্ষম হচ্ছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন মানুষ নিজেরাই নিজেদের নিখোঁজ বানিয়ে রাখবে।
সমসাময়িক নিয়ে খুবই ভালো পোস্ট দিয়েছেন শামীম ভাই। আপনার কাছ থেকে এমন পোস্ট নিয়মিত আশা করছি।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা 🌹🌹
শামীম চৌধুরী
কৃতজ্ঞ আপা। ভাল থাকুন। শুভ কামনা রইলো।