
একটুকরো বিকেল।
রোদের আলোয় হাসিছে কচি কচি ধানের গুচ্ছ।
তারি উপর দিয়ে উড়ে বেড়ায় একঝাঁক বক।
তাদের ডানায় ভর করে সূর্য দিগন্ত ছোঁয়।
অশ্বত্থ, হিজল সেসবের ডাল জুড়ে পাখিদের আবাসন।
মেঘমুক্ত আকাশ।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে গ্রামীণ হাট।
মহিষের কাঁধ চড়ে রাখাল বালকের ঘরে ফেরা!
সূর্য যত পশ্চিমে এলিয়ে আসে নদী তখন ক্লান্তির অবসান কাটে। সারাদিন ঢেউ আর গতি মন্থর ভুলে গিয়ে একটুখানি সে সুখ খোঁজে।
নদীর বুকে ঢেউ কাটিয়ে গ্রাম্য বালিকা জল আনে।
সে বিকেল ফুরিয়ে যায় এক অজানায়।
নদী সারাদিনের গল্প জমিয়ে রাখে বালিকার কাছে।
একসময় সন্ধ্যা নামে শিশিরের মতো।
কবিতার কোলাহলে।
পাখিদের ডাকে।
নববধূর কঙ্কণে।
আমি তো চাই সে বিকেল,
যে বিকেলে তুমি নামক মানুষটা খুব কাছের হবে।
আমি তো চাই সে সন্ধ্যা,
যে সন্ধ্যায় তোমার কঙ্কণে বেজে ওঠে সংগীত!
তুমি ফিরে এসো,
যেখানে ভোরের ঝড়ে পড়া ফুল, কচি কচি ধানের গুচ্ছ, আর নদীর তীর শিশিরে শিশিরে ঢাকা থাকে।
তুমি এসো আরেকবার,
অত্যন্ত আমার হয়ে।
তুমি সবচেয়ে সুন্দর প্রাণবন্ত এক রমণী।
তুমি কবিতার নির্যাস।
তুমি কার্তিকের রোদ্দুর মাখা বিকেলবেলার রূপসী।
তুমি প্রতি পূর্ণিমার ষোড়শী।
৬টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর উপমায় তাঁকে চাওয়া পুর্ণ হোক প্রদীপ দা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
প্রকৃতি ও প্রেম মিলেমিশে একাকার। সবাই এমন প্রকৃতিময় কবিতা লিখতে পারে না। ভালো লেগেছে।।
অনন্য অর্ণব
প্রচণ্ড প্রেমাতুর আহ্বান। ফিরে আসুক পৃথিবীর সব অভিমানী প্রেম তার আপন ঠিকানায়। শুভকামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুব মিষ্টি, আবেগময় অনুভূতি। আপনার লেখায় প্রকৃতির সিন্গ্ধতা ছুঁয়ে যায় অবিরাম। অবিরাম শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
হালিমা আক্তার
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। তার সাথে প্রেমের চমৎকার আহ্বান। শুভ কামনা রইলো।
নার্গিস রশিদ
কবিতা বর্ণনায় চোখের সামনে দৃশ্য গুল দেখতে পাচ্ছি। শুভ কামনা।