
টাকলা দাদু যাবেই রেগে করছে মনে পণ,
সকাল থেকে ঘুরছে সে তাই রৌদ্রতে বনবন।
ভাবে মাথা গরম হলেই আসবে ছুটে রাগ,
চলবো আমি দর্পে তখন যেমন ফুঁসে নাগ।
ভর দুপুরে বললো দাদী সোহাগ ঝরা স্বরে,
রাগ তো করা অনেক হলো এবার চলো ঘরে!
চোখ করে লাল শুধায় দাদু ‘সস্তা এ পণ অতি?’
ফিরবো না যাও রাগ না এলে হোক সে আমার ক্ষতি!
খবর পেয়েই চাচ্চু এলো সব ফেলে কাজ তার,
বললো বাবা ভাত তো খাবে এইটুকু আবদার!
তারপর না হয় আবার ঘুরো ইচ্ছে মতো বেশ,
দাদু বলে তোর কথা হোক এ পর্যন্তই শেষ!
বাজার থেকে ফিরে জেঠু বললো বাবা এ কি!
স্নান না করে ঘুরলে তোমার থাকবে কি আর নেকী?
চলো হেঁটে যাই দু’জনে ধলুর পুকুর ঘাটে,
দূর হয়ে যা বললো দাদু সূর কি গেছে পাটে?
বিকেল বেলা ইস্কুল থেকে নাতি ফিরে কয়,
কও তো দাদু আমি আপন ভাই কি তোমার নয়?
আজ দু’নে ওই বটগাছের ছায় গাইবো সুখে গান,
দাদু শুধায় কোথায় গেছে বল তোর অভিমান?
এমনি ভাবেই দিন হলো শেষ আসলো ফিরে রাতি,
জ্বাললো জোনাক ঝোপ-ঝাড়ে ফের আগের মতো বাতি।
দাদু দ্যাখে রৌদ্র তো নেই আর ভাবি ক্যান যা-তা,
রাগ সে কি আর আসবে নাকি ঠাণ্ডা হলে মাথা!!
ছবিঃ নেট থেকে।
৬টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ছন্দময় ছড়া কবি ভাল থাকবেন
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অশেষ ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল কবি দা!
সুস্থ থাকুন খুব ভালো থাকুন।
মোঃ মজিবর রহমান
ঘরের ঘুঞ্ছুটি বেশ মজার করে সুন্দর সুন্দর উপমায় কাব্যময়ে প্রকাশ মুগ্ধ করল। ধন্যবাদ বোরহান ভাই।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
নিরন্তর ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল মজিবর ভাই!
সুস্থ থাকুন খুব ভালো থাকুন।
হালিমা আক্তার
চমৎকার। দাদুর অভিমান অবশেষে ভাঙ্গল। খুব ভালো লাগলো।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অনুপ্রাণিত হলাম!
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন সতত!
সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।