সত্যের সন্ধানে ক্ল্যু খুজতেঁ বের হয়েছেন সাংবাদিক রায়হান আহম্মেদ।সাংবাদিক রায়হান আহম্মেদ তাহার নিজ এলাকা প্রেস ক্লাবের কার্যকরী সদস্য।সে সমাজ সেবক গরীব দুঃখীদের কষ্টের গল্পের ভাগিদার এবং যাহা সত্য তাহাই লিখি এমন সব সূত্রে বিশ্বাসী রায়হান আহম্মেদ।সে বেশ কয় দিন যাবৎ কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে তার এক নিকট আত্ত্বীয়র বাসায়।সেখানে সে কর্তব্যের প্রয়োজনে একটি সত্যের সন্ধানে।
তার এলাকার আলমাছ সাহেব স্বল্প আয়ের একজন সহজ সরল ব্যাক্তির এক মাত্র কন্যা ফুলীঁকে বছর খানেক পূর্বে বিয়ে দেন কুমিল্লার চৌদ্দ্যগ্রামের এক মোটামুটি অবস্হাশীল পরিবারে প্রভাবশালী রশিদ মোল্লার ছেলে আকমল নামক একটি ছেলের সাথে।দুই বছরের মাথায় মেয়ে তার শশুর বাড়ী হতে আজ অব্দি নিখোজঁ।লেখক ভেবে এলাকার অনেকেই তার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ।রায়হান যখন ফুলীঁর বরের বাসায় গেলেন তখন তার শশুর শাশুড়ী সবাই যেন বাহিরে মহা খুশি ভিতরে আতংক নিয়ে কথা বলছেন সাংবাদিক রায়হান সাহেবের সাথে।রায়হান সাহেবকে বাড়ীর উঠোনে বসতে দিল ফুলীঁর প্রভাশালী শশুর মশাই।
-কেমন আছেন তালুই মশাই?
-আল হামদুল্লিাহ্ তোমাদের দোয়ায় ভালো।
-হুম!
কিছুক্ষণ চুপ চাপ।
-কিছু কি বলবা বাবা?
-হুম!তাই ভাবছি কি ভাবে যে শুরু করি?
-ভয় নেই, নির্ভয়ে বলে ফেলো।…..তুমি যা জানতে চাইবে তা এ দু’বছরে প্রায় প্রায় এসে থানার দারোগাও বলে যায়।
রায়হানের হঠাৎ সন্দেহ হলো থানার দারোগা প্রায় প্রায় আসেন তার মানে কি?নিশ্চয় এখানে কোন ঘাবলা আছে।
-কি বাবা কি ভাবছো,ভাববার কিছুই নেই খাওয়া দাওয়া করো রেষ্ট নাও তার পর দেখা যাবে নে,যাই… আযান পড়ে গেছে নামাজটা পড়ে আসি।
শশুড় মশাই নামাজে চলে গেলেন রায়হান বসে আছেন, ফুলীর দেবর ঘর থেকে বের হয়ে তার পাশে বসলেন।একটু দূরে বাড়ীর উঠোনে পাচ ছয় বছরের ছোট একটি মেয়ে তার খেলার সাথীদের নিয়ে খেলা করছেন।হঠাৎ সে খেলা রেখে লেখকের সামনে আসেন।খুব চঞ্চল মেয়েটি এসেই লেখককে আপন করে নিলেন লেখকও সাথী হিসাবে তাকে আদরে কোলে নিলেন।
-কি নাম তোমার?
-পিংকি…বাবার নাম জারু আহম্মদ,বাড়ী কুমিল্লা।
-বাহ্ তুমিতো দেখছি সব বলতে পারো,…চলো আমাকে তোমাদের গ্রামটা একটু ঘোরে দেখাবে।
লেখক গ্রাম দেখার জন্য মেয়েটিকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লেন।
“কি অপরূ বাংলা আমার এই বুঝি
রূপের নেই যেন শেষ
সকাল সন্ধ্যা রূপের ঝিলিক ছড়ায়ে
রাতে চন্দ্রিমার আলোতে সূখ খুজিঁ”…..লেখক চেয়ে দেখল এক রাখাল বালক কিছু গরু নিয়ে মেঠো পথ ধরে হেটে যাচ্ছেন আর আনমনে গেয়ে যাচ্ছেন পল্লীগীতির সূরে।সত্যিইতো কি না আছে আমাদের সোনার বাংলায়।লোক মুখে জানা কোন এক ভিন দেশী এসেছিলেন এ দেশে সে এসে অবাক হন এ দেশের মাটির উর্বরতা দেখে তাদের দেশে যাকে দুর্বা ঘাস বলে চিনি সেই দুর্বা ঘাস তাদের ইনপুট করতে হয় বিভিন্ন দেশ থেকে আর আমাদের দেশে তা এমনি এমনিই হয় কোন পরিচর্যাও করতে হয় না।গ্রামে হাটতে হাটতে সে সময় তার মুত্রের বেগ আসে স্বদেশীরা তাকে ঝোপ ঝাড়ে যেতে বললে সে সেখানে গিয়ে উর্বর দুর্বা ঘাস দেখে মুত্র ত্যাগ না করেই চলে আসেন।
লেখক মেঠোপথ দিয়ে হাটছেন সাথে ছোট ছয় সাত বছরের শিশুটি।একটি জায়গায় এসে শিশুটি হঠাৎ থেমে যায়।চিৎকারে সূরে বাচ্চা মেয়েটি লেখকের মনে ভয় লাগিয়ে দেয়…..।
-এ কি করছেন ওখানে পা দেবেন না।
লেখক সে স্হান থেকে ঝটকায় সরে আসেন।
-কেনো খুকী…এখানেতো পা না রাখার কিছুই দেখছি না?
-এখানে আমার নতুন চাচীর কবর।
-মনে কি?
-ও আপনিতো জানেন না,আব্বু আম্মু কাক্কু ফুপি এখানে চাচ্চিকে ঘুম পেড়িয়ে রেখেছেন,আমাকে বলেছে চাচ্চী আমার জন্য দুর দেশ থেকে সুন্দর পুতুল নিয়ে আসবে……এই আল্লাহ আমাকে তো কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করেছিল আব্বু ,কাউকে বলে দিলে চাচ্চী রাখ করবেন আর ফিরে আসবেন না আর আমার জন্য পুতুলও আনা হবে না।
লেখকের মনে খটকা লেগে গেল মনে হচ্ছে ক্লু খুজে পেয়ে গেছেন।খুকীকে কোলে তুলে স্হানটিকে নির্ধারন করে পাশে একটু হেটে গেলেই গ্রামীন হাট সেখানে গিয়ে দেখেন বাৎসরিক মেলা জমেছে।মেলায় একটি পুতুলের স্টলে গিয়ে খুকীর জন্য একটি পুতুল কিনলেন।
খুকীকে নিয়ে মেলা থেকে বাসায় ফিরছিলে এদিকে লেখককে খোজতে খুকীর বাবা সে দিকেই যাচ্ছিলেন পথে দেখা।
-কোথায় চলে গেলেন বিকেল হয়ে গেল কিছু খাওয়া দাওয়া করবেন না,চলেন বাড়ীতে চলেন…
মেয়েকে উদ্দ্যেশ্য করে।
পাজী মেয়ে তোমার পা অনেক লম্বা হয়েছে
মেয়ের হাতের পুতুলটি দেখে
এটা কোথায় পেয়েছ?
শহুরের সাব মেলা থেকে কিনে দিয়েছে….আব্বু আমি কিছু বলিনি
কথার মাঝে লেখক কথা কাটেন
আপনার মেয়েটি খুব ভালো সারা রাস্তায় গল্প বলতে বলতে হেটেছি কোথাও কোন ঝামেলা করেননি।শুধু এক জায়গায় পা ফেলতেই সে আমাকে বারন করল।
কোথায়?
আপনাদের বাড়ীর পশ্চিম দিকে…ঐ যে বাশ ঝাড়ের কাছে ছোট একটি পুকুর ঘাটের সাথে।
-ও আচ্ছা…ও কিছু না মাইডা একটু চঞ্চল আর মানুষকে ভয় দেখানোর কাজে ওস্তাত।চলেন তো একটু জলদি হাটি বেলা পড়ে গেল যে…..
চলেন….।
চলবে…..
২৩টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
দেখি কোথায় থামে উত্তর চলবে
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ মজিবর ভাইয়া ছোট গল্প লেখার ব্যার্থ চেষ্টা মাত্র তবে ঘটনাটি জেনেছি গত ঈদের পর ঘটনা ঘটেছিল আরো দু’বছর পূর্বে।
মোঃ মজিবর রহমান
আমাদের দেশে এরকম অনেক ঘটে কিন্তু কেউ খোজ নেই না। মোড়লের ভয়ে।
গ্রামের মানুষ ও মাথা তলেনা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সহমত তবে সবাই এক নয়।
ছাইরাছ হেলাল
সাথে থাকলাম।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ সাথেই থাকুন।
স্বপ্ন
ভালো লিখেছেন পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ আপনাকে সাথে থাকুন।
বনলতা সেন
আমিও অপেক্ষা করতে চাই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম ধন্যবাদ আপনাকেও
লীলাবতী
গল্পের আরম্ভটি খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া।
# সন্ধ্যান > সন্ধান , ক্লো > ক্ল্যু
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বিশেষ ধন্যবাদ লীলা আপু কারেকসন করে দেয়ায় এ ভাবে সবাই যদি ভূলগুলো ধরিয়ে দিত তবে ভালই হত।সাথে থাকুন এভবেই মাটির মমতায়।
শুন্য শুন্যালয়
বেশ চমৎকার শুরু। দেখি এরপর কি হয়…
টপিক্স টাও বাস্তবসম্মত হয়েছে। অপেক্ষায় রইলাম।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম ধন্যবাদ সাথে থাকুন আপু।
জিসান শা ইকরাম
দারুন লিখছেন আজকাল।
চলুক
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ ভাইয়া সাথেই থাকুন।
অলিভার
চরম রহস্যঘন গল্পের আরম্ভ, বেশ অনেকেই জড়িত আছে মনে হচ্ছে। অনেকে জেনেও ব্যাপারটাকে ধামাচাপা দিচ্ছে।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষাতে থাকলাম।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হ্যা অনেকেই জানেন অথচ অজানা আতংকে কেউ মুখ খুলেন না।ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রজন্ম ৭১
অনেক দিন পরে আপনার লেখা পড়লাম। অনেক অনেক ভালো লিখছেন এখন। অপেক্ষা পরের পর্বের জন্য।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ আপনাকে হ্যা আমি মিছ করেছি “বীরাঙ্গনা’য়” আপনার কমেন্টস কোথায় ছিলেন এত দিন আমাদের এতিম করে।যেখানেই থাকুন যেভাবেই থাকুন ভালো থাকুন সবসময় এই কামনা স্রষ্টার কাছে।
সঞ্জয় কুমার
বরাবরের মতই সুন্দর লেখা । পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
বন্য
শ্রদ্ধেয় মনির ভাইয়া, আশা করছি খুব ভালো একটি গল্প পড়তে পারবো , আপনি এগিয়ে নিয়ে যান একটু সতর্ক হয়ে, এই গল্প আমাদের সকলের পাশেই আছি।
ব্লগার সজীব
শুরুটা বেশ ভালো। অপেক্ষায় থাকলাম।