বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের হৃদয় বিদারক একটি দৃশ্য ফুটে উঠেছে যশোরের আঞ্চলিক এই কবিতার মধ্য দিয়ে। কবির নাম জানা নেই ।অনুরোধ রাখছি কারো জানা থাকলে জানাবেন।
শিরোণামঃ যুদ্ধ-নছিরণ আর আমি।
আবৃত্তিকারঃ দেবব্রত ঘোষ।
জুদ্দই যাবার সুমায় নছিরণরে পাজাড়ে ধরে কয়ে গিলাম,
ফিরে আসে ওরে আমি ঘরে নেব।
জুদ্দর ফাএ ফাএ আমি ওরে দেখতাম,
বুহির মদ্যি মাজে মাজে ফুকফুকাইতো-
কিরাম এট্টা অতো আমার।
ওর গা হাত পা চোখ মুক নাক
আমার চহির উপর ভাসে ভাসে ঊটতো।
পাঞ্জাবীগের সাথে জুদ্ধ সেই কবে শেষ;
তাএনো গোলাগুলির শব্দতো থামেনা,খিদেও কমেনা।
কিন্তুক চারিদিহিরে লাল,নীলে পতাকা ওড়ে,
পাচো ভাই,মাজে ভাই হাটে খদ্দের নিয়ে যায়;
আমি বেল-বেলান্ত ব্যসে থাহি,
আমারে কেউ কয় না হাটে জাতি।
আমার এহন কিচ্চু বালো লাগেনা-
শফি ভাই, “কতি পার?তুমি কতি পার?
আমার নছিরন এহন কনে?”
কিছু কথাঃ
মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোর ছিলো ৮ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভূক্ত। সেক্টর কমান্ডার মেজর মঞ্জুর। তাঁর অধীনে ছিলেন ক্যাপ্টেন আবু ওসমান চৌধুরী ও ক্যাপ্টেন নাজমূল হুদা। এই ফ্রন্টেই ৫ সেপ্টেম্বর প্রাণ উৎসর্গ করেন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ। জগন্নাথপুরের যুদ্ধটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট ছিল বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।উল্লেখ্য বাংলাদেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোর।মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন এই জেলাতেই।
এমনি হাজারো প্রেমিক হারিয়েছিলেন তার নছিরণকে। হাজারো মায়ের বুক হয়েছিলো খালি। লুট হয়েছিলো মা-বোনের সম্ভ্রম। শ্রদ্ধা সকল শহীদদের প্রতি,সকল ত্যাগী মানুষের প্রতি।
স্বাধীনতার চেতনায় ভরে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাক আমাদের প্রিয় সোনার বাংলাদেশ।
১৪টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
অনেক স্পর্শকাতর … ধন্যবাদ শেয়ার এর জন্য…
স্বাধীনতার চেতনায় ভরে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাক আমাদের প্রিয় সোনার বাংলাদেশ।
এগিয়ে যাক…
নীলকন্ঠ জয়
আপনাকেও ধন্যবাদ শুন্য। স্বাধীনতার চেতনা সমুজ্জ্বল হোক আরোও।
জিসান শা ইকরাম
এই প্রথম শুনলাম কবিতাটি –
প্রানটি হু হু করে উঠলো —
কবে যে এই সব ঘটনার জন্য দায়ী রাজাকারদের বিচার হবে , তাই ভাবি।
নীলকন্ঠ জয়
ঘাতকদের বিচারে আমাদের সবার আন্তরিকতা থাকতে হবে। বলতে দ্বিধা নেই বর্তমান সরকার ছাড়া আর কেউ এই বিচার করবে না। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
আদিব আদ্নান
এমন কত শত অজানা-জানাকে হারিয়ে পাওয়া আমাদের এ রক্তাক্ত স্বাধীনতা এখন
ব্যঙ্গ বিদ্রুপের স্বীকারে পরিণত হয়েছে ।
নীলকন্ঠ জয়
ঠিক বলেছেন আদিব। স্বাধীনতার সম্মান আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
লীলাবতী
অসাধারন ।
নীলকন্ঠ জয়
ধন্যবাদ লীলাবতী দি।
সীমান্ত উন্মাদ
অসাধারন একটা কবিতা।
শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতঙ্ঘতা। শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
নীলকন্ঠ জয়
আপনিও শুভ কামনা জানবেন সীমান্ত।
খসড়া
স্বাধীনতার চেতনায় ভরে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। মাথা উঁচু
করে এগিয়ে যাক আমাদের প্রিয় সোনার বাংলাদেশ।
সোনার বাংলাদেশ। রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ।
নীলকন্ঠ জয়
সোনার বাংলাদেশ রাজাকার মুক্ত হবেই হবে। জয় বাংলা।
প্রিন্স মাহমুদ
শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতঙ্ঘতা। শুভকামনা জানবেন
নীলকন্ঠ জয়
শুভ কামনা আপনার জন্যও প্রিয় প্রিন্স ভাই।