
ওরা সারাদিন আশেপাশে ঘুরে। কাছে আসতে চায়। একটু আদর ভালোবাসার বড় কাঙ্গাল। আমার কাছে তখন এক চিমটি সময় থাকে না হাতে। আমার ব্যস্ততা ওদের দুরে সরিয়ে রাখে। কাজের ফাঁকে বলা হয় না ডেকে। এখন না অবসর সময় তোরা আসিস। হবে জম্পেশ গল্প আডডা। সারাদিন পর যখন অবসর মেলে। তখন কাছে ডাকি ওদের। রাতের নিরবতা নেমে আসে প্রকৃতির কোলে। আকাশের বুকে জমে উঠে চাঁদ তারার সভা। তখন আমি ও ক্লান্ত দেহটা এলিয়ে অপেক্ষা করি। শব্দের বুননে যদি দু একটা ফোড় দেয়া যায়। ঘুম পরীরা ওদের চোখে চুম্বন এঁকে দিয়েছে। অনেকটা অভিমান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়া শব্দেরা আর উঠে না জেগে। যত্নের অভাবে শুষ্ক চারা গাছের মতো ওদের সতেজতা হারিয়ে যেতে থাকে। একদিন হয়তো এভাবেই হারিয়ে যাব।খাতার পাতা গুলো কালির আঁচড় বিহীন পড়ে রবে।
৮টি মন্তব্য
বোরহানুল ইসলাম লিটন
কবিতা হারায় না
জেগে থাকে চরাচরে চঞ্চলা ধারে।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
হালিমা আক্তার
সত্যি বলেছেন। কবিতারা হারায় না।তবে যত্নের অভাবে ঝিমিয়ে পড়ে। শুভ কামনা রইলো।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ঐ একটা ভাবনার প্রকাশ কবি আপু ভাল থাকবেন
হালিমা আক্তার
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
সৈকত দে
বস্তুতঃ আমরা কেউ কারো নয় আবার আমরা সবাই সবার।আসলে আমরা তো মহাকালের গহ্বরে থাকা মহাকাব্যর এক একটি অংশ মাত্র।একদিন প্রত্যেক কিছুই বিলীন হয়ে যাবে।
হালিমা আক্তার
সুন্দর বলেছেন। তবুও হারিয়ে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হয়। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো। শুভ রাত্রি।
ছাইরাছ হেলাল
শব্দদের এমন বুনন হারিয়ে যেতেই পারে-না,
ব্যস্ততার শতেক বেড়াজালে-ও।
হালিমা আক্তার
যাক আশার বাণী পেলাম। শব্দ হারিয়ে যেতে চাইলেও হারাতে থিবো না। অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো। শুভ রাত্রি।