গোলাপ কুঁড়ি,
কেমন আছ তুমি?
এই বিষাক্ত বাতাস ফুঁড়ে
প্রতি ভোরে আমার জানালায়
তোমার ফুরফুরে হাসি আর দেখিনা!
গোলাপ কুঁড়ি,
কোথায় আছ তুমি?
জন্মান্তরের তেপান্তর পার হয়ে,
এই নিষিদ্ধ বিষুবীয় প্রান্তে এসেও
তোমার টকটকে লাল আর খুঁজে পাইনা!
গোলাপ কুঁড়ি,
জানো? আমি একদম ভাল নেই!
ভেতরে ভেতরে বয়ে বেড়াই তাপ্পি মারা
অবাধ্য শিরা-ধমনীর দুর্বোধ্য জট।
প্রখর রৌদ্রেও শীতল শবদেহ নিয়ে,
হেঁটে বেড়াই একদল যন্ত্রমানবের ভীড়ে।
চেনামুখগুলো চিনিনা আজকাল! তবু,
দেখা হলে হাসি, কুশলও জানতে চাই!
অথচ এরকমটি হওয়ার কথা ছিলনা!
ইচ্ছে ছিল রোদ্দুরের গান মেখে গায়ে,
হেঁটে যাবো মেঘ বিছানো পথে!
প্রতিটা অমল ভোরের মুখে চুমু খেয়ে,
রাত্রির দরোজা থেকে নেব বিদায়!
একটা বিকেল পায়ে এসে পড়বে,
ঘাসফুলের রিমঝিম বৃষ্টি নিয়ে!
এসবের কিছুই হলোনা গোলাপ কুঁড়ি!
এখন আমার মৃত্যু আসে প্রতিদিন,
মুখোশের পেছনের ক্ষুধার্ত অন্ধকারে!
১৪টি মন্তব্য
অরণ্য
খুব ভালো লাগলো লেখাটি।
বেশি ভালো লাগলো এই দুই লাইন…
“ইচ্ছে ছিল রোদ্দুরের গান মেখে গায়ে,
হেঁটে যাবো মেঘ বিছানো পথে!” (y) 🙂
বোকা মানুষ
ধন্যবাদ! 🙂
ব্লগার সজীব
ইচ্ছেরা প্রায় সময়েই মরে যায়, এটিই নিয়ম।ভালো লেগেছে লেখা।
বোকা মানুষ
ইচ্ছেরা মরে যায়, কখনওবা মরে যেতে বাধ্য হয়! ধন্যবাদ!
ইমন
” এখন আমার মৃত্যু আসে প্রতিদিন,
মুখোশের পেছনের ক্ষুধার্ত অন্ধকারে! ” (9)
বোকা মানুষ
ভাল লাগেনি বলার জন্য ধন্যবাদ! 🙂 তবে অনেক সত্য অপছন্দ হলেও আমরা এড়াতে পারিনা! 🙁
জিসান শা ইকরাম
ভালো লিখেছেন জিয়া ভাই।
বোকা মানুষ
ধন্যবাদ ভাইজান! 🙂
লীলাবতী
এই যদি বোকা ভাইয়ার লেখা হয়,তবে বুদ্ধিমান ভাইয়ার লেখা কেমন হতে পারে !!!
বোকা মানুষ
সে তো বুদ্ধিমান ভাইয়েরাই ভাল বলতে পারবেন! :p
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতা এমনও হতে পারে!
ভালো লাগা রেখে গেলাম। 🙂
বোকা মানুষ
কবিতা কোথায়? এ তো নিজেকে হারিয়ে নিয়ত খুঁজে ফেরা এক বোকার প্রলাপ! ভাললাগার জন্য ধন্যবাদ!
শুন্য শুন্যালয়
দারুণ কবিতা ভাইয়া। আমি নিলাম তাপ্পি মারা 🙂
বোকা মানুষ
🙂 সব ফেলে ওটাই নিলেন! ধন্যবাদ!