মুনিয়া প্রজাতির গণ বা বংশ হচ্ছে Lonchura। পৃথিবীতে ৩৯ প্রজাতির মুনিয়া পাখি পাওয়া যায়। এই Lonchura গণে আবার ৩৯টি প্রজাতি আছে। আমাদের দেশে যে প্রজাতি মুনিয়া পাখি দেখা যায় তার বৈজ্ঞানিক নামগুলি পাঠকদের বলছি।
Lonchura Amandava বাংলা নামঃ লাল মুনিয়া,
Lonchura striata বাংলা নামঃ সাদা কোমর মুনিয়া,
Lonchura punctulata বাংলা নামঃ তিলা মুনিয়া,
Lonchura atricapilla বাংলা নামঃ সাদা গলা মুনিয়া,
Lonchura atricapilla বাংলা নামঃ কালো মাথা মুনিয়া,
Lonchura malacca বাংলা নামঃ তিন রঙা মুনিয়া।
পৃথিবীর সব প্রজাতি মুনিয়ার খাবার, প্রজনন বা বংশ বৃদ্ধি, বাসা বানানোর ধরন, অভ্যাস ও ছানাদের পরিচর্যা থেকে শুরু করে জীবন যাত্রায় কোন প্রার্থক্য নেই। প্রার্থক্য শুধু বংশে বা গণে। এরা এক গণ থেকে অন্য গণের সঙ্গে প্রজনন করে না। তবে এক সাথে দলবেঁধে ঝাঁকেঝাঁকে উড়ে বেড়ায় ও খাবার খায়। প্রতিটি গণের প্রজননকাল প্রায় কাছাকাছি। আগষ্ট মাস থেকে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত এদের প্রজননকাল। বাংলাদেশে যে প্রজাতি আছে তারা সেপ্টম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী মাস মপর্যন্ত প্রজনন করে থাকে এবং বাচ্চা ফুঁটিয়ে প্রকৃতিতে উড়ে বেড়ায়।
Red Avadavat. বা লাল মুনিয়া।
আমাদের দেশে ৬ (ছয়) প্রজাতির মুনিয়া পাখি দেখা যায়। এরা আমাদের দেশীয় বা আবাসিক পাখি। এই প্রজাতির সবগুলি পাখির ছবি তোলার জন্য আমাকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুঁটে যেতে হয়েছে। এমনও হয়েছে যে, কোন জেলায় একবার যেয়ে পাখিটির ছবি তুলেছি। একটি মাত্র শট পেয়েছি বা বৈরী আবহাওয়ার কারনে তেমন ভালো ছবি হয়নি। পরে আবার গিয়েছি নির্দিষ্ট সেই পাখিটির ছবি তোলার জন্য।
মুনিয়া পাখির এক প্রজাতির ছবি তোলার জন্য আমাকে কাপ্তাই ন্যাশনাল ফরেষ্টের বড়ছড়ায় দুইবার যেতে হয়েছিল । তার কারন প্রথমবার আলোর স্বল্পতার জন্য তেমন ভাল ছবি হয়নি। একেবারে শেষ মহুর্তে পাখিটির দেখা পাই। যার কারনে ২য় বার যেতে হয়েছিলো ভালো মানের একটি ছবির জন্য। এমন ঘটনা বহুবার হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতি পাখির বেলায়। তাতে খরচের ব্যয়ও বেড়েছে লাগামহীন।
শুধু মাত্র এতটুকু জেনে রাখুন. বার্ড ফটোগ্রাফী খুবই ব্যায়বহুল একটি শিল্প। শুধু মুনিয়া পাখিগুলি সংগ্রহের জন্য প্রায় ৪০ হাজার টাকার উপরে খরচ হয়েছে। শুধু শখ পূরনের জন্য এই অর্থ ব্যায় করেছি। আমরা যারা বার্ড বা ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফী করি তাদের কারো বানিজ্যিক চিন্তা ভাবনা নেই।
White-rumped Munia বা সাদা কোমর মুনিয়া।
আমাদের দেশে এখনও বণ্যপ্রানী ফটোগ্রাফী বানিজ্যিক ভাবে গড়ে উঠেনি। ফটোগ্রাফীর এই ক্যাটাগরীতে অর্থ আয়ের কোন সুযোগ নেই। তাছাড়া সরকারী কোন পৃষ্ঠপোষকতাও নেই এবং সরকার থেকে কোন ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতাও পাওয়া যায় না। বরঞ্চ আরো উদ্ভট পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়। আমার মতন যে ছেলেরা বার্ড ফটোগ্রাফী করে তারা এই বিড়ম্বনাকে জয় করেই ছবি তুলে।
আমি শখের ছবিয়াল বলে শুধুমাত্র আমার শখটাই পূরন করছি।
পাঠকদের সম্যক ধারনার জন্য আমার কিছু ব্যাক্তিগত তথ্য আপনাদের সঙ্গে ভাগ করলাম। কারন বার্ড ফটোগ্রাফী যে, কত কঠিন ও অন্যান্য ক্যাটগরী থেকে কষ্টকর তা নিজে ফটোগ্রাফী না করলে বুঝা যাবে না।
যাহা হোক, আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত সব প্রজাতিই অঞ্চল ভেদে দেখা যায়। এদের প্রজনন বা আবাস এখনও তেমন বিপদজ্জ্বনক হয়ে উঠেনি। বার্ড কনজারভেশন নিয়ে কাজ করার সময় আমরা লক্ষ্য করেছি বর্তমানে এরা ধীরে ধীরে হুমকির মুখে পড়ছে। এখন থেকে যদি মানুষকে আমরা ও যারা গবেষনায় আছি তারা সচেতন করে গড়ে তুলতে না পারি তবে এক সময় পাখিগুলি আমাদের দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আজ থেকে ৫০ বছর আগে মুনিয়া পাখির যে সংখ্যা আমাদের দেশে ছিলো তাহা বর্তমানে দিন দিন কমে আসছে।
Scaly-breasted Munia. তিলা মুনিয়া।
চলুন দেখে নেয়া যাক কেন পাখিগুলি এক সময় বিলুপ্ত হবে?
পাখিগুলি মাঠ-প্রান্তর বা খোলা জমি, কাঁশবন বা ছন ও বাড়ির আঙিনার ঝোপ-ঝাড়ে বাটির মতন বাসা বানিয়ে ডিম পাড়ে। প্রতিটি প্রজাতির বাসা বানানোর সময় তাদের খুব কাছে জলাশয়, ডোবা, পুকুর বা পানির ব্যাবস্থা থাকাটা অপরিহার্য। কারন এরা ভেঁজা শরীরে ডিমে তা’ দেয়। নইলে ডিম নষ্ট হয়ে যায়। তা’ দেয়া ডিম কোন অবস্থাতে উম্মুক্ত রাখা যাবে না। উম্মুক্ত হলে ডিম নষ্ট হবে। তাই মেয়ে পাখিটা ডিম থেকে তা’ ছেড়ে দেবার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভেঁজা শরীরে পুরুষ পাখিটা তা’ দেবার জন্য বসে। পানির ব্যাবস্থা দূরবর্তী হলে ভেঁজা শরীরে উড়ে আসার সময় শুকিয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। আমরা গবেষনায় তাদের প্রজননকালীন চরিত্রটি এমন করেই লক্ষ্য করেছি।
গ্রামে অধিকাংশ ঘর-বাড়ি কাঁচা বাঁশের ও ছনের। এমনকি ঘরের চালেও তারা ছন ব্যাবহার করে। তাই গৃহস্থরা প্রতি বছর বর্ষার পর শীতের শেষে তাদের ঘরের চাল ও বেড়া মেরামত করে। আর এই মেরামতের মূল উপাদান হচ্ছে কাঁশবনের ছন। যখন পাখিগুলির ডিম ফোঁটা শুরু করে বা বাচ্চা ফোঁটে তখন গৃহস্থরা সেই কাঁশবন বা নাড়া কাটা শুরু করে। পরবর্তীতে ফসলের জন্য কেটে আনা নাড়ায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পাখিগুলি ছনের ভিতর মাটির একফুট উচ্চাতায় বাসা বানায়। ছন কাটার সময় পায়ের চাপে অধিকাংশ বাসার ডিম বা বাচ্চা নষ্ট হযে যায়। কোন ভাবে পায়ের আঘাত থেকে রক্ষা পেলেও নাড়ায় আগুন ধরিয়ে দেবার কারনে ডিম ও বাচ্চা মারা যায়। আবার কিছু কিছু পাখির ডিম ও বাচ্চা ইঁদুর,বিড়াল ও কুকুরের শিকার হয়। মোট কথা প্রকৃতিতে এরা কষ্ট করেই বংশবৃদ্ধি করে। যার জন্য সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে।
Indian Silverbill Munia সাদা গলা মুনিয়া।
আমি বার্ড বাংলাদেশ কনজারভেশনের (চলতি দায়িত্ব) মহাসচিব থাকায় বেশ কয়েক বছর যাবত অক্টোবর থেকে জানুয়ারী পর্যন্ত আমার টিম সহ কাঁশবন এলাকার ঘুরে ঘুরে মানুষদের সচেতন করে আসছি। এদের বংশবৃদ্ধিতে সহযোগিতা করার জন্য। মাঠের যে প্রান্তে মুনিয়া পাখির বাসার সন্ধান মিলে সেই জায়গাটায় লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়। তারা অনেক সময় মেনে চলে আবার অনেক সময় তার ব্যাত্যয় ঘটে। এই ভাবে আমরা মুনিয়া পাখিগুলির বংশ বৃদ্ধির জন্য যানপরনাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পাখিগুলি যেন সংরক্ষন হয়। সবার সহযোগিতা ও সচেতনতা ছাড়া শুধুমাত্র কনজারভেশনে যে কোন পাখিকে রক্ষা করা যাবে না। তাই আমাদের সবার উচিত যার যার অবস্থান থেকে পাখিগুলিকে রক্ষার দায়িত্ব নেয়া। তাতে সব পাখি সংরক্ষণ করা সম্ভব।
আগামীতে দেশীয় ও পরিযায়ী পাখির উপর তথ্যসহ একটি বই বের করার ইচ্ছা ও স্বপ্ন আছে। যদিও অনেক কিংবদন্তী ফটোগ্রাফারদের পাখির উপর লেখা বাজারে অনেক বই আছে। তারপরও একটু ভিন্ন আঙ্গিকে বাচ্চাদের জন্য বইটি প্রকাশে ইচ্ছা রাখছি। দেশের ৬৪টি জেলা সদরে সরকারী প্রাথমিক প্রাইমারী বিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে-
”আমি প্রকৃতিকে ভালবাসি, তোমরাও ভালবাসো” শিরোনামে পাখির উপর সচিত্র লেখা আমার বইটি বিতরনের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
দোয়া করবেন, এই স্বপ্নটি পূরন করে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে আমার পরিশ্রম ও কাজের যেন স্বীকৃতি পেতে পারি।
সবাই ভাল থাকুন।
Chestnut Munia. কালা মাথা মুনিয়া।
In our country,Six (6) species of “Munia” are available. All these Six (6) species are now under in my hand.
Six (6) species of Munia
1. Red Avadavat. বা লাল মুনিয়া।
2. White-rumped Munia বা সাদা কোমর মুনিয়া।
3. Scaly-breasted Munia. তিলা মুনিয়া।
4. Indian Silverbill Munia সাদা গলা মুনিয়া।
5.Chestnut Munia. কালা মাথা মুনিয়া।
6. Tri-coloured Munia. তিন রঙ্গা মুনিয়া।
Tri-coloured Munia. তিন রঙ্গা মুনিয়া।
ছবিগুলি দেশের কাপ্তাই,ঢাকার উত্তরা, ময়মনসিংহ, পূর্বাচল থেকে তোলা।
আমি নিজেকে ধন্য মনেকরি আপনাকে ব্লগ ও ফেইসবুকে। আপনার প্রতিটি লেখা খুবি মনযোগ সহকারে পড়ে থাকি।
ছয় জাতের মুনিয়া পাখিকে নিয়ে এত সুন্দর তথ্য দেওয়ার জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি দাদা।
মুনিয়া পাখির গায়ের রঙ খুবি সুন্দর।
আরেকটা বিষয় জেনে ভালো লাগলো আগামীতে দেশীয় ও পরিযায়ী পাখির উপর তথ্যসহ একটি বই বের করার ইচ্ছা ও স্বপ্ন আছে।
দেশের ৬৪টি জেলা সদরে সরকারী প্রাথমিক প্রাইমারী বিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে-
”আমি প্রকৃতিকে ভালবাসি, তোমরাও ভালবাসো” শিরোনামে পাখির উপর সচিত্র লেখা আমার বইটি বিতরনের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
আপনার সফলতা কামনা করছি দাদা।
এটা খুবি ভালো উদ্যোগ।
প্রকৃতি সম্পর্কে মানুষ জানুক।
ভাইয়া আপনার সব স্বপ্ন পূরণ হোক। আমরা আপনার বইয়ের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি। ওয়াইল্ড ফটোগ্রাফী অনেক ব্যয়বহূল। অবশ্য ফটোগ্রাফী মানেই ব্যয়বহুল। লাল মুনিয়া টা বেশী সুন্দর লাগছে। আপনার এই ভালোবাসার কারণে এদের সম্পর্কে জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
আপনার সকল প্রচেষ্টার সার্থকতা কামনা করি।
একটি ছবির জন্য এমন পরিশ্রম (টাকা বাদ রাখলাম) বাইরে থেকে বোঝা বা বোঝান প্রায় অসম্ভব। মায়া নিয়ে কাছে থেকে কেউ
পর্যবেক্ষণ করলেই শুধু জানা/বোঝা সম্ভব। মুনিয়ার এত প্রজাতি হয় এই-ই জানলাম। আসলে পাখি/প্রকৃতির প্রতি আমরা একটুও সচেতন নই।
আপনার এ কঠিন প্রচেষ্টা আমদের পরবর্তী প্রজন্মকে সচেতন করে তুলবে এ আশা রাখি।
পাখির ছবি তোলা কঠিন অনেক। নির্দিষ্ট একটি পাখির ছবি তুলবো- এটি আরো কঠিন। আপনার লেখা পড়ে বুঝলাম কতটা কষ্ট করেন পাখির ছবি তুলতে। সময়, অর্থ, কষ্ট সব কিছুই ব্যয় করছেন এর পিছনে। মানুষের বৈরী আচরন তো আছেই। সম্পূর্ণ শখের বসেই যে এটি করছেন তা বুঝি আমি।
মুনিয়া পাখিটি যেন আমাদের দেশ থেকে বিলুপ্ত না হয়ে যায় তার দিকে সবার দৃষ্টি রাখা উচিৎ।
আপনার বই প্রকাশের স্বপ্ন যেন বাস্তব হয় ভাই, এই আশাবাদ ব্যক্ত করি।
এত ধরনের মুনিয়া পাখি আমাদের দেশে আছে তা জানতাম না,
জানানোর জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
অপেক্ষা করবো আপনার আগামী পোস্টের জন্য।
শুভ কামনা।
অবশ্যই ভাইজান বই একটি আপনি বিনামূল্যে পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন। আর কালো কি সব সময় শোকের হয়? রোদের তীব্রতাকে প্রশমিত করার জন্যও কালো ব্যাবহার সবচেয়ে বেশী। হা হা হা।
এখানে ব্যাকগ্রাউন্ড কালো দেবার কারন ৬ প্রজাতি মুনিয়ার গল্প লেখাটা সাদা। তাই সাদাটাকে হাইলাইট করা। ভাল থাকবেন ভাইজান।
এত ধরনের এত সুন্দর মুনিয়া আমাদের দেশে আছে আপনার এই লেখা না পড়লে জানতামই না ভাই। আমি মাত্র দুটি প্রজাতি দেখেছি। পাখির দোকানে যেভাবে এত এত মুনিয়া বিক্রি হয় ভয় হয় একসময় না বিলুপ্ত হয়ে যায়।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। পাখির দোকানে মুনিয়া বিক্রি হবার কারন পাখিগুলি খুব সূলভে দোকানীরা পায় যা চড়া দামে বিক্রি করে। আর বাচ্চাদের কাছে মুনিয়া খুব পছন্দের পাখি। আমি যত জেলায় গিয়েছি একসময়। তখন গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে বাচ্চাদের নিয়ে একটা অনুষ্ঠান করতাম স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও উপস্থিতিতে। শিশু শ্রেনী থেকে তৃতীয় শ্রেনীর বাচ্চারা মূলত সেই অনুষ্ঠানের দর্শক ছিলো। তাদের দেশীয় পাখি দেখাতাম। বলতাম পাখির নাম জানে কিনা? এর জন্য দুইটা দিক ছিলো আমার। এক হলো তাদের পাখি পরিচিতি করা। আর দ্বিতীয়টা হলো পাখির আঞ্চলিক নামগুলি পেয়ে যেতাম অঞ্চল ভেদে। তাদেরকে যখন প্রশ্ন করতাম তোমরা কি পাখি পছন্দ করো। সবার এক উত্তর মুনিয়া পাখি।
২৬টি মন্তব্য
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমি নিজেকে ধন্য মনেকরি আপনাকে ব্লগ ও ফেইসবুকে। আপনার প্রতিটি লেখা খুবি মনযোগ সহকারে পড়ে থাকি।
ছয় জাতের মুনিয়া পাখিকে নিয়ে এত সুন্দর তথ্য দেওয়ার জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি দাদা।
মুনিয়া পাখির গায়ের রঙ খুবি সুন্দর।
আরেকটা বিষয় জেনে ভালো লাগলো আগামীতে দেশীয় ও পরিযায়ী পাখির উপর তথ্যসহ একটি বই বের করার ইচ্ছা ও স্বপ্ন আছে।
দেশের ৬৪টি জেলা সদরে সরকারী প্রাথমিক প্রাইমারী বিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে-
”আমি প্রকৃতিকে ভালবাসি, তোমরাও ভালবাসো” শিরোনামে পাখির উপর সচিত্র লেখা আমার বইটি বিতরনের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
আপনার সফলতা কামনা করছি দাদা।
এটা খুবি ভালো উদ্যোগ।
প্রকৃতি সম্পর্কে মানুষ জানুক।
শামীম চৌধুরী
দাদা ভাই আমি নিজেই ধন্য আপনার মতন একজন গুনীজন ও লেখক আমার বন্ধু হওয়ায়। শুভ কামনা আপনার জন্য। ভাল থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভাইয়া আপনার সব স্বপ্ন পূরণ হোক। আমরা আপনার বইয়ের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি। ওয়াইল্ড ফটোগ্রাফী অনেক ব্যয়বহূল। অবশ্য ফটোগ্রাফী মানেই ব্যয়বহুল। লাল মুনিয়া টা বেশী সুন্দর লাগছে। আপনার এই ভালোবাসার কারণে এদের সম্পর্কে জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
শামীম চৌধুরী
অসংখ্য কৃতজ্ঞ দিদিভাই।
ইঞ্জা
যেহেতু আগেই পড়েছি তাই বেশি কমেন্ট করবোনা, শুধু বলে রাখি, মুনিয়া এবং ফিঞ্চ পাখি আমার বেশ পছন্দের।
শামীম চৌধুরী
দুটাই একই পরিবারের।
ইঞ্জা
তাই, আশ্চর্য হলাম ভাই।
সুরাইয়া নার্গিস
সবমিলিয়ে চমৎকার লাগলো লেখাটা।
শুভ কামনা রইল ভাইয়া।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ আপু। ফেবুতে অনুরোধ গ্রহন করে নিয়েছি। ভাল থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সকল প্রচেষ্টার সার্থকতা কামনা করি।
একটি ছবির জন্য এমন পরিশ্রম (টাকা বাদ রাখলাম) বাইরে থেকে বোঝা বা বোঝান প্রায় অসম্ভব। মায়া নিয়ে কাছে থেকে কেউ
পর্যবেক্ষণ করলেই শুধু জানা/বোঝা সম্ভব। মুনিয়ার এত প্রজাতি হয় এই-ই জানলাম। আসলে পাখি/প্রকৃতির প্রতি আমরা একটুও সচেতন নই।
আপনার এ কঠিন প্রচেষ্টা আমদের পরবর্তী প্রজন্মকে সচেতন করে তুলবে এ আশা রাখি।
শামীম চৌধুরী
ভাইজান,একবার চলেন আমার সাথে পর্যবেক্ষনও হবে সাথে পরিশ্রমটা কেমন করি সেটাও জানা হবে। আর খাওয়া দাওয়া তো আছে। ধন্যবাদ ভাই। শুভ কামনা রইলো।
কামাল উদ্দিন
আমার বাড়ির ঠিক সামনের তালগাছটায় মুনিয়াদের কয়েকটা সংসার আছে। আমি ওদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করি। এখানে টোকা দিয়া দেখতে পারেন ভাই “তালগাছ ভাবনা”
শামীম চৌধুরী
কামাল ভাই টোকা দিয়ে দেখলাম। খুব ভাল লাগলো পাখিগুলি দেখে। ধন্যবাদ ভাই। শুভ কামনা রইলো।
জিসান শা ইকরাম
পাখির ছবি তোলা কঠিন অনেক। নির্দিষ্ট একটি পাখির ছবি তুলবো- এটি আরো কঠিন। আপনার লেখা পড়ে বুঝলাম কতটা কষ্ট করেন পাখির ছবি তুলতে। সময়, অর্থ, কষ্ট সব কিছুই ব্যয় করছেন এর পিছনে। মানুষের বৈরী আচরন তো আছেই। সম্পূর্ণ শখের বসেই যে এটি করছেন তা বুঝি আমি।
মুনিয়া পাখিটি যেন আমাদের দেশ থেকে বিলুপ্ত না হয়ে যায় তার দিকে সবার দৃষ্টি রাখা উচিৎ।
আপনার বই প্রকাশের স্বপ্ন যেন বাস্তব হয় ভাই, এই আশাবাদ ব্যক্ত করি।
এত ধরনের মুনিয়া পাখি আমাদের দেশে আছে তা জানতাম না,
জানানোর জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
অপেক্ষা করবো আপনার আগামী পোস্টের জন্য।
শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ ভাই। শুভ কামনা রইলো।
দোয়া করবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
ছয় জাতের মুনিয়া পাখিকে নিয়ে এত সুন্দর তথ্য দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভাইজান।
মুনিয়া পাখির গায়ের রঙ খুবি সুন্দর।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ দাদভাই। শুভ কামনা রইলো।
ফয়জুল মহী
অনন্য, অপূর্ব l লেখা পড়ে মোহিত হলাম।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ ভাই। শুভ কামনা রইলো।
হালিম নজরুল
আপনার এই চমৎকার বর্ণনাযুক্ত ও ছবি সম্বলিত বই পেতে চাই।
প্রথম ছবিটির ব্যাকগ্রাউন্ড (দেশীয় ৬ প্রজাতি মুনিয়ার গল্প) কালো কেন জানতে চাই।
শামীম চৌধুরী
অবশ্যই ভাইজান বই একটি আপনি বিনামূল্যে পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন। আর কালো কি সব সময় শোকের হয়? রোদের তীব্রতাকে প্রশমিত করার জন্যও কালো ব্যাবহার সবচেয়ে বেশী। হা হা হা।
এখানে ব্যাকগ্রাউন্ড কালো দেবার কারন ৬ প্রজাতি মুনিয়ার গল্প লেখাটা সাদা। তাই সাদাটাকে হাইলাইট করা। ভাল থাকবেন ভাইজান।
তৌহিদ
এত ধরনের এত সুন্দর মুনিয়া আমাদের দেশে আছে আপনার এই লেখা না পড়লে জানতামই না ভাই। আমি মাত্র দুটি প্রজাতি দেখেছি। পাখির দোকানে যেভাবে এত এত মুনিয়া বিক্রি হয় ভয় হয় একসময় না বিলুপ্ত হয়ে যায়।
ভালো থাকুন ভাই। মুনিয়া নিয়ে বিস্তারিত জানতে পেরে ভালো লাগছে। চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
শামীম চৌধুরী
অনেক ধন্যবাদ ভাই। পাখির দোকানে মুনিয়া বিক্রি হবার কারন পাখিগুলি খুব সূলভে দোকানীরা পায় যা চড়া দামে বিক্রি করে। আর বাচ্চাদের কাছে মুনিয়া খুব পছন্দের পাখি। আমি যত জেলায় গিয়েছি একসময়। তখন গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে বাচ্চাদের নিয়ে একটা অনুষ্ঠান করতাম স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও উপস্থিতিতে। শিশু শ্রেনী থেকে তৃতীয় শ্রেনীর বাচ্চারা মূলত সেই অনুষ্ঠানের দর্শক ছিলো। তাদের দেশীয় পাখি দেখাতাম। বলতাম পাখির নাম জানে কিনা? এর জন্য দুইটা দিক ছিলো আমার। এক হলো তাদের পাখি পরিচিতি করা। আর দ্বিতীয়টা হলো পাখির আঞ্চলিক নামগুলি পেয়ে যেতাম অঞ্চল ভেদে। তাদেরকে যখন প্রশ্ন করতাম তোমরা কি পাখি পছন্দ করো। সবার এক উত্তর মুনিয়া পাখি।
তৌহিদ
বাহ! এটি চমৎকার আইডিয়া কিন্তু। স্কুল গুলোতে এ ধরনের কালচার চালু করা উচিত। জ্ঞান বাড়বে নিশ্চিত।
আরজু মুক্তা
আমার বাসার সাথেি জাম গাছ। ওখানে লাল মুনিয়া আসে। দেখি গানের সময় পর ঠোঁটটা নড়ে
শামীম চৌধুরী
জ্বী আপু।এখন পর্যন্তও দেশের সব জায়গায় মুনিয়া পাখি দেখা যাচ্ছে।