
এতদিন পর্যন্ত বিবেকের তাড়নাকে চেপে রেখে অনিচ্ছুক মনে হলুদ সাংবাদিকতা শব্দটিকেও আমরা নিজেদের সাথে মানিয়ে নিচ্ছিলাম। কিন্তু মুনিয়া ইস্যুতে গণমাধ্যমের কিছু ব্যক্তির নির্লজ্জতা হলুদ সাংবাদিকদের ইজ্জতকেও ফালুদা বানিয়ে ছেড়েছে।
এদেশ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে থাকা জোচ্চোর, লুটেরা, নারী ইজ্জতহরণকারী, আত্মহত্যায় প্ররোচিতকারী এবং তাদের পক্ষপাতদুষ্ট লোকেদের দেশ নয়। এদেশ আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা মজলুম জনতার দেশ।
এদেশ সম্মুখ সমরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বুলেটের আঘাত প্রতিহতকারী অকুতোভয় যোদ্ধাদের দেশ। এদেশের সাধারণ জনগণের কন্ঠ আজপর্যন্ত কেউ রুখতে পারেনি। আমরা তা হতে দেইনি আর ভবিষ্যতেও দেবোনা।
গণমাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলে বলে আনভীরকে হাইড করার যে প্রবণতা দেখেছি এর তীব্র নিন্দা জানাই। সেইসাথে যারা ভিকটিম মেয়েটিকে নিয়ে অসভ্য অশালীন মন্তব্য করেছে তাদের নিন্দা জানাই।
আমরা মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনাকারী কিংবা হত্যাকারীর বিচার চাই। আমরা গণমাধ্যমে মুনিয়াকে নিয়ে নেতিবাচক খবর চাইনা। আমরা চাইনা আনভীরকে ধোয়া তুলশীপাতা বানিয়ে গণমাধ্যমে পরিচয় করানো হোক।
ইতিহাস সাক্ষী, স্বাধীনতার চল্লিশবছর পরে হলেও দেশের মা-বোনদের ঈজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি করার শাস্তি আমরা ফাঁসিরমঞ্চে কার্যকর করেছি। আনভীরও গ্রেফতার হবে, এদেশে তার বিচারও হবে।
৯টি মন্তব্য
পপি তালুকদার
বিচার কি হবে? এখন পর্যন্ত এধরণের হত্যার বিচার কি হয়েছে! টাকা দিয়ে সব মিটমাট করে নেবে।
আমাদের আসলে লজ্জা নেই তাই চুপচাপ দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাই।
হালিমা আক্তার
মুনিয়া কাহিনী কয়দিন আর থাকবে জাগ্রত। জাতির বিবেক জাগ্রত হবে, মুনিয়া হত্যার বিচার হবে এটাই কামনা।
আরজু মুক্তা
মমিনুলকে তো ধরলো। এখন আইনের হাত কতো লম্বা তা দেখা যাক। নারীরা যেনো নিভৃতে চোখের পানি না ফেলে
রোকসানা খন্দকার রুকু
বিচার করলে এতোদিন তাকে ধরতো। তাকে ধরবেও না বিচারও হবে না কারন এরাই সরকার চালায়। এই শুধু দাডিঅলাদেরই বিচার হবে, ফাঁসি হবে সামান্য দোষে। এটার অবশ্য ভালো দিকও আছে- আজকের সাংবাদিক বহুকালের মিথ্যুক। বাহবা পেয়ে পেয়ে তারা এতোদুর! চলুক দেখি।
তৌহিদুল ইসলাম
“দাড়িঅলাদেরই বিচার হবে, ফাঁসি হবে সামান্য দোষে।” কাদের কথা বললেন আপু?
যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের কথা নাকি ইনানিংকালের মামুনুল সহ যেসব বক্তা ওয়াজে উস্কানি দিচ্ছে তাদের কথা? এরা দুজনাই ঘৃণ্য অপরাধী কিন্তু।
সেদিন এক স্বনামধন্য সাংবাদিক গর্ব করে বলছে সে সাংবাদিক বলে গর্বিত। অথচ বসুন্ধরার মালিকের ছেলের বিষয়ে তিনি নীরব! এরা সবাই একই গোয়ালের গরু।
শুভকামনা আপু।
মনির হোসেন মমি
এ ক্ষেত্রে আনভীরের আর কিছুই হবে না ভাই।সব টাকা ক্ষমতায় ধুইয়া লাইবো।
সাবিনা ইয়াসমিন
মুনিয়া ইস্যুতে গণমাধ্যমের ভূমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সাংবাদিকতা পেশার মাঝে যেসব নির্ভরশীল মহত্বের কথা এতদিন শুনে এসেছি তার অন্ধকার দিক প্রকট হয়ে গেছে। আর কিছু সাংবাদিক এর নিউজ পড়ার পর মনে হয়, তারা এখন পাড়ার আন্টি হয়ে গেছে। পাড়ায় যা-ই ঘটুক দোষ সব মেয়েটার।
শেষে এটাই চাই,সব অপরাধীর শাস্তি হোক অপরাধের উপর ভিত্তি করে, তার সামাজিক অবস্থান দেখে নয়।
ছাইরাছ হেলাল
চাওয়া ও পাওয়ার মাঝে দুস্তর ব্যবধান, মুক্তির উপায় জানি না।
নার্গিস রশিদ
সঠিক বিচার কি হবে?