লিখাটা গতকালই লিখেছিলাম কিন্তু পোস্ট করা সম্ভব হয়নি।
আমার বর্তমান সময়ের ১০-৬টা অফিসটাইম ছাড়া দিনের বাকী সময়টুকু কাটে আম্মাকে ঘিরেই। আম্মা অসুস্থ, শয্যাশায়ী। এখন সে সন্তানদের কাউকে না কাউকে পাশে চায়। বাসায় থাকাকালীন আমার প্রতিটা মুহুর্তই এখন তাঁর জন্য বরাদ্দ। মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে, শরীরে তেল ম্যাসেজ করে দিলে, শরীর-হাত-পা টিপে দিলে, চুল আচড়িয়ে দিলে আমি অনুভব করি সে ভীষণ শান্তি পায। হ্যাঁ, তাঁর জন্য নিয়োগকৃত পরিচর্যাকারী মেয়েটাও তাঁকে এই সেবাগুলো যথেষ্টই দেয়, তবে তা আমার অনুপস্থিতিকালে। আমি যতোক্ষণ বাসায় থাকি ততোক্ষণ এই কাজগুলোতে সে যেমন আমাকে আশা করে, আমার মাধ্যমে হলে আনন্দ পায়; তেমনি আমিও অন্যরকমের এক তৃপ্তি অনুভব করি। নিজের হাতে ঔষধ খাইয়ে দেয়া, ভাত খাইয়ে দেয়া, রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করিয়ে, মাউথওয়াস দিয়ে কুলকুচি করিয়ে তারপর নেবুলাইজার দেয়া, ধরে ধরে ওয়াসরুমে নিয়ে যাওয়া। তারপর মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া এগুলো এখন আমার নিত্যদিনের কাজ। একাজগুলো আমার মনে মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। এর মধ্য দিয়েই আমি একটু একটু করে দেখতে পাই ’মা’ কি করে আস্তে আস্তে হাঁটার শিশু থেকে প্রথম হাঁটতে পারা, তারপর আস্তে আস্তে কোলের শিশু থেকে বিছানার শিশু হয়ে যাচ্ছেন। গতদিন অফিসের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁকে বলতে গিয়েছি, আমাকে বলে “যাও, আমার জন্য কি আনবে?” জিজ্ঞেস করলাম, ”কি আনবো?” বলে, ”আচার আর কাঁচা আম।” সিরোসিসের প্যাশেন্টদের বমেটিং ভাব একটু বেশি কাজ করে। আরেকদিন তেমন করে নাস্তা খাওয়ানোর সময় বলেছিলো, ”আগে চিপস এনে দাও।” আজকে নাস্তা খাইয়েছি ফ্রিজে সংরক্ষনে থাকা কাঁচা আম বের করে রসুন-ধনেপাতা দিয়ে ভর্তা বানিয়ে তা খাওযার লোভ দেখিয়ে।
অইদিন আমাকে বলছিলো, তোমরা কেউ একজন কাছে থাকলে আমার মনে হয় আমার সব আছে। কথাটা শুনে আমার বড়বেশি অসহায়বোধ জেগেছিলো মনে। জীবনের প্রয়োজনে আমরা সন্তানেরা বৃদ্ধ মা-বাবাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারি না। আমার মায়ের পাঁচ সন্তানের পাঁচজনই তাঁর জন্য নিবেদিতপ্রাণ। দিনে আমি অফিস করি বলে অই সময়টা মেজোবোনের তত্বাবধানে থাকেন। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে দুপুরের গোসল করানো এবং খাওয়ানো সে নিজহাতেই করে। ছোটবোনটা এসে মাঝেমাঝে কিছুদিন করে থেকে যায়। আর ভাই তো এসময়টাতে প্রতি বৃহশপতিবারেই অফিস করে সরাসরি চলে আসে। মা’য়ের সবচেয়ে প্রিয় সন্তান সে। সে আসবে শুনলেই মা অপেক্ষায় থাকেন, তাঁর মধ্যে এক ধরনের পুলকিতভাব জাগে। ছোটভাইটা দেশের বাইরে থাকলেও স্কাইপে মা-ছেলের সংযোগ প্রায় প্রতিদিনই ঘটে। এর মধ্যে আবার আম্মা’র সবসময় চেন্সও ভালো থাকে না। শরীরের বিভিন্ন অরগানগুলো এখন ঘনঘন ডির্স্টাব করে। বেশিরভাগ সময় যন্ত্রণাকাতর থাকেন।
আমার মাঝেমধ্যে মনে হয় আমরা সন্তানরা বড়বেশি স্বার্থপর। একটা মা, তাঁর বাচ্চার প্রয়োজনে কতোটা স্যাক্রিফাইস করে! অথচ অই এক(!) মায়ের জন্য আমরা পাঁচ পাঁচটা সন্তান সেরকম কিছু করতে পারছি না। বাস্তবতার প্রয়োজনে আমাদের দৌড়াতেই হয়।
সকালে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গাড়ীতে উঠেই নেট অন করেছি কিছু লিখবো বলে। প্রসঙ্গ মা এবং ব্লগে সরব উপস্থিতি কমে যাওয়া। লিখা অসম্পূর্ণ, তাই পোস্ট না দিয়েই অফিস শুরু করি। এরই মধ্যে দুপুরে জানতে পেলাম, যে ডাক্তারের তত্বাবধানে আমার মা গত দেড়/দুই বছর যাবত ভালো আছেন, সে ডাক্তারই নাকি গত দুদিন আগে স্ট্রোক করে পিজিতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
’এক সেকেন্ডের নাই ভরসা’ গানটি শেষ হওয়ার সাথে সাথে মৃত্যূর কোলে ঢলে পড়া ফিরোজ সাঁই’র সেই গানটি এই মুহুর্তে খুব মনে পড়ছে।
ডাঃ গোলাম মোস্তফা, সহযোগী অধ্যাপক, লিভার, গেস্ট্রো ও মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
অসম্ভব ভালো একজন ডাক্তার, রোগীর প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। কোন পেশাদারী মনোভাব নয়, রোগীকে সেবা দেয়াই মূখ্য। লিভারের প্যাশেন্ট আমার মা’কে কিভাবে পরিচর্যার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ভালো রাখা যায়, পর্যাপ্ত সময় নিয়ে তিনি কলাকৌশল বলে দিতেন। যে কারনে আম্মাকে নিয়ে ঘনঘন ডাক্তারের চেম্বারে দৌড়াতে হতো না। অনেক তো দেখলাম, আজকালকার পেশাদার ডাক্তারদের। এমনটা তো কেউ করেনই না বরং চেম্বার থেকে রোগী বের হবার আগেই পরবর্তী রোগীকে ডাকতে কলিংবেল চেপে বসেন। এই ডাক্তারের তত্বাবধানেই আজ মা’কে ভর্তি করিয়ে ব্লাড আর এলবুমিন দেয়ার কথা ছিলো। যোগাযোগ করতেই খবরটা জানতে পারলাম। বিস্তারিত আর কিছু জানা সম্ভব হয়নি। পরিপূর্ণ সুস্থ-সবল, শক্ত গোছের একজন মানুষ তিনি। দোয়া করি তিনি দ্রুত সেরে উঠুন। আর আরো কিছু অসুস্থ মানুষ এরকম একজন নিবেদিতপ্রাণ ডাক্তারের সেবা পাবার সুযোগ পাক।
আজ ১৬ই মার্চ। ঠিক একমাস আগে গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী নির্ধারিত হাসপাতালে সীট না পাওয়ায় ডাঃ গোলাম মোস্তফার রেফার করা অন্য এক হাসপাতালে মা’কে ইমারজেন্সীতে নিয়ে গেলে ডাক্তার প্রয়োজনীয় চেক আপ শেষে বলে বসলো প্যাশেন্টের অবস্থা ক্রিটিক্যাল, আপনারা আত্মীয়স্বজনকে খবর দেন, দেখে যাক। দীর্ঘ রোগে ভোগা মা’কে নিয়ে আমাদের মানসিক প্রস্তুতি থাকলেও কথাটা শুনে মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়েছিলো। আল্লাহর অশেষ কৃপায় পরেরদিন থেকে মা ধীরে ধীরে রেসপন্স করতে শুরু করেন।
আজ একমাস হলো। আম্মা এই ভালো তো এই খারাপ মিলিয়ে মোটামুটি আছেন।
জন্মিলে মৃত্যু অবধারিত জেনেও আমরা প্রিয়জনদের হারাতে চাই না। ভালো মানুষগুলো হারিয়ে গেলে কষ্ট পাই। আমার মা’র অবস্থা টালমাটাল, তাই প্রার্থনা করি যতোদিন বেঁচে থাকেন যেনো সুস্থভাবে বাঁচেন। আর রোগীর প্রতি সহানুভূতিশীল সেই ডাক্তার গোলাম মোস্তফা, তিনি শক্ত গোছের মানুষ; বেঁচে ফিরলে অনেক মানুষ তাঁর সেবা পাবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে। কামনা করি তিনি সুস্থভাবে ফিরে আসুন।
দু’জনের জন্যই সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী।
বিঃদ্রঃ অনেকদিন যাবত সোনেলা’য় লিখালিখির মাধ্যমে সহব্লগারদের সাথে যোগাযোগ নেই, তাই আজকের এই পোস্ট।
আর পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলা, মায়ের প্রতি সন্তানের দায়বদ্ধতা অনেক কিন্তু আমরা কতটুকুনই বা তা করতে পারি! পাঠকদের তা ভেবে দেখা উচিৎ।
২৭টি মন্তব্য
ইলিয়াস মাসুদ
মা”কে নিয়ে কিছু লিখতে অথবা পড়তে গেলে আমার অনেক কষ্ট হয়,আমি এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলতে পারি না,একটা একটা অক্ষর কিভাবে এত আবেগি শব্দ হয় তা ভেবে ভেবে পড়ি।
মায়ের সন্নিকটবর্তী থাকার জন্য ছেলেদের থেকে মেয়েরা বেশি ভাগ্যবান,আবার মাকে সরাসরি যত্ন করার ক্ষেত্রেও মেয়েরাই এগিয়ে,এ কথা গুলো বল্লাম আমার বাস্তবতা থেকে,আমার বোনেরা নিজ হাতে মাকে যন্ত করার প্রচুর সময় পান,আমারো তেমন ই ইচ্ছা করে,বহু বছর মাকে ছাড়া প্রবাশে একা থাকার পরে মাকে নিয়ে এলাম কাছে,ইচ্ছে করে সকাল থেকে রাত শুধু মায়ের কাছেই থাকি, কিন্তু পারিনা,খুব সকাল করে চলে যেতে হয় কাজে রাত করে ফিরতে হয়, মন টা পড়ে থাকে ঘরে মা কি করছে,স্ত্রী মাকে যত্ন করে কিন্তু মায়ের মনের ভেতর হয়ত জড়তা থেকেই যায় যেটা আমি থাকলে হতো না,মা যখন এখানে ছিল না তখন পথ থেকে কফি স্নাক্স নিয়ে চলে যেতাম কাজে,এখন খুব সকালে উঠে মায়ের জন্য নিজ হাতে নাস্তা বানিয়ে,মায়ের প্রিয় ডিম পোষ্ট করে খাওয়ায়ে তার পর কাজে যায়,কখুনো কখুনো বিশ্রী গন্ধের আম্লা তেল মায়ের মাথায় দিয়ে দি,মা চোখ বন্ধ করে আরাম নেয়,আমার বুকের ভেতর দারুণ আনন্দ খেলে যায়,সেই তেলের গন্ধ গোলাপের চেও সৌরভ ছড়ায় মনের মাঝে……….
এমন ভাল ডাক্তার ও মায়ের অনেক অনেক দোওয়া রইল ..
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনেক আবেগ নিয়ে লিখলেন। আফসোস করবেন না। ছেলে আর মেয়ে বলে কথা নয়, বয়সকালে মা-বাবারা সন্তানের স্পর্শ, মা-বাবার প্রতি সন্তানের আনুগত্যটাই বেশি আশা করেন। যতোটুকু সম্ভব সেটাই করুন, নিজেও শান্তি পাবেন, মাও পুলকিত হবেন; আনন্দ পাবেন।
শুন্য শুন্যালয়
কি বলবো এই লেখায় আপু? হুমায়ূন আজাদের মা’কে নিয়ে সেই লেখা মনে পড়লো, কেঁদেছিলাম সেই কবিতা পড়ে সেদিন।
“আমরা ছোট ছিলাম, কিন্তু বছর বছর আমরা বড় হতে থাকি,
আমাদের মা বড় ছিলো, কিন্তু বছর বছর মা ছোটো হতে থাকে।
ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ার সময়ও আমি ভয় পেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরতাম।
সপ্তম শ্রেনীতে ওঠার পর ভয় পেয়ে মা একদিন আমাকে জড়িয়ে ধরে।”
———–কি অদ্ভূত কিছু লাইন।
মা’কে এভাবেই যত্ন করে আগলে রাখুন আপু। দোয়া করছি, তার চোখেমুখে সন্তানদের ঘিরে এমন প্রশান্তি বিরাজ থাকুক। সবাই পারেনা আপনার মতো, কিংবা করে না। সন্তানদের দায়বদ্ধতা কি করে সবাই ভুলে যায়, কে জানে।
ডাঃ গোলাম মোস্তফার জন্যও প্রার্থনা রইলো, এমন আকালে এমন একজন ডাঃ পাওয়া সৌভাগ্যের, উনি ফিরে আসুক সুস্থ্য হয়ে, শ্রদ্ধাভাজন হয়ে থাকুক সবার।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, মা-বাবারা বয়স বাড়ার সাথেসাথে শিশু হতে হতে একেবারে ছোট্ট হতে থাকেন। চোখের সামনে মা’কে এমনিভাবে দেখছি। সারাদিন পর অফিস থেকে ফিরলে মনে হয় সে যেনো অপেক্ষা করে ছিলো! তাঁর এক ধরনের আহ্লাদী বেড়ে যায়! কখনো কখনো অভিমান!
দোয়া করবেন আমার মায়ের জন্য।
মোঃ মজিবর রহমান
অফিসে এসেই এই মাকে নিয়ে পড়া পড়লাম।
কি বলব কি লিখব ভেবে পাইনা।
মা মা মা অন্তর আত্বায় মা।
আমি মা এবং মহৎপ্রাণ ডাক্তারকে অন্তর আত্মা থেকে কামনা করি দ্রত সুস্থ হয়ে উঠুক।
আসলেই আমরা বেশি স্বার্থপর।
মাকে বাপকে সময় দিতে পারিনা। মা যতক্ষন আছে সেবা দিয়ে যাওয়ার স্বামরথ আল্লাহ আপনাকে দিক সেই কামনাও করি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ মজিবুর ভাই। শুধু সামর্থ্য নয়, ধৈর্যশক্তিও যেনো বজায় থাকে সে দোয়াও করুন। শুনেছি, মানুষ বেশিদিন শয্যাশায়ী থাকলে কাছের লোকজন আস্তে আস্তে ধৈর্যহারা হয়ে উঠে। আল্লাহ না করুক, আমার মায়ের ক্ষেত্রে যেনো এমনটা না ঘটে।
অনিকেত নন্দিনী
একটা সময়ে মায়েরা নিঃস্বার্থভাবে আমাদের যত্ন করে বড় করে তোলেন আর আমরা বড় হয়ে এতোটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে তাদের জন্য একটু সময় বের করে তাদের সাথে থাকতে পারিনা অথচ এই আমাদেরই হবার কথা মায়ের শেষ বয়সের আশ্রয়। 🙁
অনেক কিছুই বলার ছিল আপু, গুছিয়ে বলতে পারছিনা। 🙁
মারজানা ফেরদৌস রুবা
প্রতিটা মানুষেরই মনে রাখতে হবে, মা যেমন সন্তান লালন পালনের সময় কোন ফাঁক রাখেন না, তেমনি সন্তানেরও মায়েদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কোন ফাঁক রাখা উচিৎ নয়। এটা তাঁদের প্রাপ্য অধিকার।
অরুণিমা
এটা ভালো।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অবশ্যই। সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করা উচিৎ।
ছাইরাছ হেলাল
মায়ের প্রতিদান হয়ত দেয়া সম্ভব না, তবুও যা সম্ভব তাও দিচ্ছি বলে মনে হয় না।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
চেষ্টা করা উচিৎ যদিও মায়ের ঋণ শোধ করা কিছুতেই সম্ভব নয়।
খসড়া
আমি এত কথা বলতে পারি না। এখানে মন্তব্য করার জন্য তিনবার এলাম আর চলে গেলাম। আমার লেখা পোস্টটাকেই নষ্ট করে না দেয়।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আপু, এটা হচ্ছে আপনার আবেগ। অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হওয়ার কারনে এমনটা হয়েছে।
শুধু দোয়া করবেন।
ব্লগার সজীব
মা এর সেবা করতে পারা প্রতিটি সন্তানের অবশ্য কর্তব্য এবং ভাগ্যের বিষয়। কত সন্তান আছেন ইচ্ছে থাকলেই মাকে দেখতে পাচ্ছেন না। প্রবাসী সন্তানদের কথা ভাবুন। আপনার অনেক সৌভাগ্য যে আপনি মা এর সেবা করতে পারছেন।
আপনার মা এবং ডাঃ গোলাম মোস্তফার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সজীব, আপনার কথার প্রেক্ষিতে একটা কথা বলতেই হয়। আমার এই সৌভাগ্য অর্জনের পেছনে রয়েছে আমার কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা। গত প্রায় ৮/১০ বছর যাবত আমি নামাজে দাঁড়ালে দুটো প্রার্থনাই করতাম।
১। মা-শ্বাশুড়ীর শেষ দিনগুলোতে আমি যেনো তাঁদের সাপোর্ট দিতে পারি।
২। আমার দ্বারা যেনো কোন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বা আঘাতপ্রাপ্ত না হয়।
ক্যান্সার আক্রান্ত শ্বাশুড়ীর শেষ দিনগুলোতেও আমি সাপোর্ট দিতে পেরেছি। যখন থেকে এই প্রার্থনায় মনোনিবেশ করি তখন আর বাপ-শ্বশুর বেঁচে নেই।
এই একটা ব্যাপার থেকেই আমি ঈশ্বরকে অনুভবে উপলব্ধি করি আর তার শুকরিয়া আদায় করি। এ বিষয়ে আমার একটা লেখা (১০.০৫.২০১৫) ব্লগে আছে।
ব্লগার সজীব
আল্লাহ্ আপনার প্রার্থনা কবুল করেছেন আপু।
জিসান শা ইকরাম
মায়ের সেবা করায় যে মানসিক প্রশান্তি তা অন্য কিছুতে পাওয়া যায় না
আপনার ভাগ্য অনেক ভাল যে আপনি মায়ের সেবা করতে পারছেন।
পরিবারের একজন অসুস্থ্য থাকলে স্বাভাবিক জীবনেরই ছন্দ পতন হয়
মা অসুস্থ্য- ব্লগে নিয়মিত হবেন কিভাবে?
মাকে সময় দিন।
আপনার মা এবং ডাঃ গোলাম মোস্তফার রোগ মুক্ত জীবনের জন্য আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করছি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনেক ধন্যবাদ জিসানভাই। দোয়া করবেন।
অরুনি মায়া
এমন লেখায় কি মন্তব্য দেওয়া উচিত জানিনা আপু | শুধু জানি মায়ের ঋণ শোধ হয়না জেনেও তাঁর সেবা করা আমাদের কর্তব্য | এখনি সময় ভালবাসা কিছুট স্বাক্ষর রাখার |
আল্লাহ আপনার মাকে দ্রুত সুস্থ করে দিক এই দোওয়া করি আপু |
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ মাতৃঋণ কখনো শোধ হয়না জেনেও আমরা অনেকেই সে ব্যাপারে উদাসীন।
সময় গেলে সাধন হবে না। সবাই তৎপর থাকুন।
আবু খায়ের আনিছ
আপু, মায়ের কথা বলে শেষ করা সম্ভব নয়।
বাড়ি থেকে আসার সময় মা – দাদী দোয়া পড়ে ফুঁ দিয়ে দেয় তারপর বের হই। একটা সময় খুব বিরক্ত লাগত বিষয়টা কিন্তু এখন, অপেক্ষা করি বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এটাই নাড়ীর অনুভব। সময়ের সাথেসাথে আরও প্রবল হবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
মা-বাবা এই আশ্রয়টুকু হারিয়ে গেলে, বিশেষ করে মেয়েরা সবচেয়ে অসহায় হয়ে পড়ে।
মা বেঁচে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ নীলাপু।
লীলাবতী
বাবা-মা’র সেবা করতে পারাও ভাগ্যের ব্যাপার। এটা যদি সব সন্তানরা বুঝতো। আন্টি এখন কেমন আছেন আপু? আর ডাঃ গোলাম মোস্তফা?
আপনার মতো যত্নশীল সন্তান সব বাবা-মা’র ই কাম্য। আপনি সুস্থ থেকে সবাইকে ভালো রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করুন, শুভকামনা আপু।
ইকবাল কবীর
বিগত সাত বছ্র হল আমি জীবনের তাগিদে দেশে দেশে ঘুরছি। মা” কে খুব মিস করি আর চেস্টা করি অন্তত তিন চার মাস পর পর একবার দেশে যেতে। মাঝে মাঝে মনে হয় আমি ঠিক মত মায়ের সেবা করতে পারছিত? ভালো থাকুক পৃথিবীর সব মায়েরা। আপনার মায়ের জন্য দোয়া রইল। আর দোয়া রইল সেই ডাক্তারের জন্য।