
Times of India সংবাদের “কুপন দুনিয়া” ফিচারের লেখক নেহা ভারতী আজ লিংকডইন এ ইনবক্স করেছেন যে আমি লেখালিখির জন্য কত চার্জ নেই এবং তার ফিচারের জন্য কলাম লিখে দিতে পারবো কি না?
মেসেজ পেয়ে আশ্চর্যান্বিত আমি প্রায় দুই মিনিট ঝিম মেরে বসেছিলাম। তাঁর মতন এত বড় মাপের একজন লেখক এই সামান্য অধমকে খুঁজে পেয়ে Times of India খবরের কাগজে লেখার অফার করেছেন!
আমি বলেছি ম্যাম, লেখালিখি আমার প্রফেশন নয় প্যাশন। শুধুমাত্র নিজের টাকায় বই ছাপতে হবে বলে আমি আজও কাউকে পাণ্ডুলিপি দেইনি এবং বাংলাদেশের নামকরা লেখকদের ভীড়ে আমার মত অধমের লেখা কেউ সংবাদপত্রেও ছাপতে চায় না। কিন্তু আপনি কেন আমার লেখা চাইছেন?
তার উত্তর – তোমার ব্লগ দেখলাম (সোনেলা ব্লগ+ ব্যক্তিগত ব্লগ- যেখানে সোনেলায় প্রকাশিত পূর্বের লেখাগুলোই প্রকাশ করি) এবং আমি অভিভূত! তোমার লেখার শব্দচয়নে একধরনের শিশুসুলভতা আছে যা আমাকে আকৃষ্ট করেছে তৌহিদ এবং অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এটি আমার ফিচারের পাঠকরা পছন্দ করবে নিশ্চিত। আমি তোমাকে সুযোগ দিতে চাই, আমাকে ভেবে জানিও।
আমি জানি আমার উত্তর সেই না ই হবে। আরো সমস্যা আছে, তাদের ফিচার পুরোটাই ইংরেজিতে লিখতে হয়। হয়তো পারবো তবে ইংরেজিতে টুকটাক কথা বলা, লেখা আর পুরো একটি ফিচার লেখার মধ্যে অনেক তফাৎ। অন্যদিকে লেখা পছন্দ হলে তারা সম্মানী ছাড়া কারো লেখাই গ্রহণ করেন না।
ব্যক্তিগত কিছু রাগ ও অভিমান থেকে লেখালিখিকে আমি আগেও টাকার সাথে মিলিয়ে ফেলিনি, ভবিষ্যতেও ফেলবোনা। এটা আমার অহংকার, আত্মসম্মানবোধ।
হয়তো বড় সুযোগ হারালাম তবে টাকাই জীবনের সব নয়। তবে এটি আমার জন্য উৎসাহের। আলেয়ার আলোকে সত্যরুপে পাবার আকাঙ্ক্ষায় জোনাকির ছুটে চলার মতন ধ্রুব।
সোনেলায় লিখে যে আত্মতৃপ্তি মনে আসে আর অন্যকোথাও তা পাইনা। আত্মঅহমকে সঙ্গী করে আমৃত্যু পরাজিত করতে চাই মায়াবী আলেয়াকে।
(কথোপকথন ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করে দিলাম)
[ফিচার ছবি সংগৃহীত]
১০টি মন্তব্য
পপি তালুকদার
বিশাল ব্যাপার তো ভাইয়া।অভিনন্দন এধরণের সুযোগ প্রাপ্তিতে।লেখালেখি চালিয়ে যান সাফল্য অবধারিত।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই।
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা জানবেন।
বন্যা লিপি
আমি শখ করে বাগান গড়ি, গড়তে গড়তে ভরে যায় আমার আঙিনা, আমার যত্ন আর সাহচর্যে বেড়ে ওঠে বাগানের পরিধী। নজর পরে ব্যাপারীর। কিনতে চায় দাম দিয়ে বৃক্ষ চারা ন্যায্যমূল্যের দামে। আমি অমত করি, বিক্রিত নহে হে সওদাগর, যা আমার যত্নে লালিত্য তারো আমি বিকাই এমন মূল্য কোথা আছে?
এখানেই বোধহয় ঠিকঠাক অহমটা ধরে রাখা সন্মানের। যে, আমার প্যাশন আমার অহংকার। বিনিময় মূল্য নির্ধারনের জন্য নয়।
সাধুবাদ ভাই। শুভ কামনা।
তৌহিদ
আমার আমিত্বই আমার অহংকারই। কোন কিছুর বিনিময়ে তাকে বিসর্জন দিতে পারিনা।
আপনার মন্তব্যের গভীরতায় প্রীত হলাম আপু। শুভকামনা জানবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
শুভকামনা ভাইয়া। তবে সুযোগ ছাড়তে নেই।
ভেবে দেখবেন।
তৌহিদ
সব সুযোগ সবসময় গ্রহণ করতেও নেই আপু। সাময়িক লাভ হলেও কিছু ব্যত্যয় থাকেই এটাও ভাবছি। ধন্যবাদ অশেষ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনি আপনার জায়গায় একদম ঠিক আছেন। বন্যা আপুর মন্তব্যের রাশ টেনেই বলতে হয় শখের কোনো মূল্যায়ন হয় না, করা যায় না। যাকে আমি অতি যতনে লালন-পালন করছি সন্তানের মতো তাকে কিভাবে বিক্রি করবো? স্যালুট জানাই আন্তরিক ভাবে। আপনার লেখার আমিও অনেক বড় এডমায়ার। ইংরেজী আমাদের মাতৃভাষা নয় তাই ইংরেজীতে লেখালেখি একটু কঠিনই বটে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন শুভকামনা রইলো
তৌহিদ
মন্তব্যে প্রীত হলাম আপু। শুভকামনা জানবেন।
আরজু মুক্তা
অভিনন্দন।
তবে আপনার মতামতকে স্যালুট।
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা আপনার জন্যেও।