
দূরত্ব তৈরি হবার পরে…
বিষণ্ন সময়ে কেন মনে পড়ে তোমাকে? ভালোবাসার বৃষ্টিতে ভিজিয়ে দিও আমাকে…
-এখন যে বৃষ্টি ঝরছে তা ভালোবাসার নয়। এ বৃষ্টিতে ভিজানো যাবে না তোমায়।
-কিসের বৃষ্টি ঝরে এখন?
-কি লাভ আর কারণ খুঁজে? মূল্যবান সময়ের অপচয় হবে শুধু। তার চেয়ে এই ভালো যা ঝরছে ঝরতে দাও।
-ভালোবাসতেই চেয়েছিলাম তোমাকে কেবল
দু’চোখে ঝরে পড়ে বিরহ অনল!
-ভালোবাসায় বিরহ থাকবে না তাই কি কখনো হয়? বিরহের অনলে জ্বলবো বলেই তো ভালোবেসেছিলাম তোমায়!
-অনেকদিন পর আজ তোমাকে দেখতে মনটা বেশ ছটফট করছিল। শহরের আনাচে কানাচে ঘুরেছি, তবু দেখা মিলেনি!
-এখন আর আমার শহরে যাবার খুব একটা দরকার পরে না। আগে একটা কারণ ছিলো, কাউকে দেখার ব্যকুল বাসনা ছিলো। এখন আর নেই।
-ভেবেছিলাম ফোন দিব, দিইনি পাছে ইগনর করো সে ভয়ে!
-ভালো করেছো ফোন দাওনি।
-এতটাই পর করে দিয়েছ?
-পর তাকেই করা যায় যে আপন থাকে। তুমি তো কখনও আপন ছিলেই না আমার তবে পর করবো কি করে?
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে…..
-কেমন আছো?
-এই তো আছি
-ফোন নম্বর চেঞ্জ করেছো? কয়দিন থেকে কল দিচ্ছি বন্ধ পাচ্ছি। নম্বর চেঞ্জ করলে নতুন নম্বর দিতে হয়।
-হঠাৎ আমার ফোন নম্বর দরকার পড়ছে কেনো?
-না এমনিই একটু খোঁজ খবর নিতাম।
-কী দরকার বলুন তো?
-আচ্ছা না দিতে চাইলে থাক।
-আমি আর ফোন ব্যবহার করি না।
-তোমার মতো করে আর কেউ ভালোবাসতে পারেনি আমায়।
-তাই বুঝি! আমি ভালোবাসতে পারি?
-হুম পারো। তবে খুব বেশি অহংকার তোমার। বড্ড বেশি উপেক্ষা করেছো আমাকে।
-আমি এখন আরো বেশি অহংকারী। আর বলেই তো ছিলাম আমি সব সইতে পারি, কিন্তু অবজ্ঞা নয়। কিন্তু আপনি সেটাই করেছেন প্রতিনিয়ত। ব্যস্ততার অজুহাতে খুব অবজ্ঞা করেছেন আমাকে।
-আমি কখনো ভাবতে পারিনি তুমি এভাবে আমাকে সবার কাছে ছোট করবে।
-সেজন্য আমি সত্যিই দুঃখিত। তবে দোষ আমার একার ছিলো না নিশ্চয়ই? প্রতিনিয়ত আপনার অবজ্ঞা আমাকে বাধ্য করেছে এমন নৃশংস আচরণ করতে।
-দোষ আমরা কেউ করিনি। সময়ের কাছে হেরে গেছি আমরা দুজনেই।
-হ্যাঁ আমরা এটা করতে ওস্তাদ। নিজেদের কৃতকর্মের দায় সময়ের কাঁধে চেপে দিয়ে আমরা হই ধোঁয়া তুলশী পাতা।
-অবশ্য তোমার উপর আমার আর কোনো রাগ নেই। তবে মায়াটা এখনও আছে। আর তা আজীবন হয়তো থাকবে।
-হুম।
-আমি ভাবিনি তুমি বদলে যাবে। তোমাকে নিয়ে কত গর্ব করে বন্ধুদের বলেছিলাম ও সব মেয়েদের মতো নয়। সবার সাথে কথা বলে না।
-আপনি চলে যাবার পর নীল বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। ওর কেয়ারিং আমাকে মুগ্ধ করেছিল। আমি ওকে উপেক্ষা করতে পারিনি বরং আকড়ে ধরেছি শক্ত করে।
-তুমি/তোমরা ভালো আছো জেনেই এতো দিন দূরে থেকেছি। হঠাৎ মনটা ক্যামন যেনো করে উঠলো। মনে হচ্ছিল তুমি ভালো নেই। তাই…
-বাহ্ আপনার মন আমার জন্য ক্যামন করে উঠে? জানতাম না তো।
-সে যা হোক। তোমার নীল কই?
-আছে,ছিলো আর থাকবেও।
-আচ্ছা ভালো থেকো তোমার।
-আপনিও ভালো থাকবেন।
১৭টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কিছু তেতো, কঠিন কথা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। “নিজেদের কৃতকর্মের দায় সময়ের কাঁধে চেপে দিয়ে আমরা হই ধোঁয়া তুলশী পাতা।” এটি খুব ভালো লেগেছে। ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন দিদি
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
ফয়জুল মহী
ভালো লাগলো। আল্লাহ আমাদের সুস্থ রাখো।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
সুপায়ন বড়ুয়া
সত্যি কথা সবসময় অপ্রিয় হয়।
সাহস করে তবু বলতে হয়।
খুব ভালো লেগেছে।
ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন দাদা
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
ইঞ্জা
অপ্রিয় হলেও মাঝে মাঝে সত্য বলতে হয়।
চমৎকার লিখেছেন আপু, বেশ ভালো লাগলো।
ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা অফুরান আপু।
ছাইরাছ হেলাল
সময়ের কাঁধ কিন্তু অনেক অনেক চওড়া!
বলা যায় না এখন কার মায়া কোথায় কী ডেকে আনে।
সুরাইয়া পারভীন
মায়া বড্ড বেশি যন্ত্রণাদায়ক, বিষাক্ত। একবার কারো উপর পড়লে,কিছুতেই আর সেই তা থেকে বের হওয়া যায় না।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
জিসান শা ইকরাম
এমনই হয় হয়তো, প্রায় সবাইই সময়ের কথা বলে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে নিজের দোষ, দুর্বলতা।
দূরত্ব তৈরী হবার পরে, এবং সম্পর্কে ভেঙ্গে যাবার পরের অবস্থা সুন্দর ভাবেই উপস্থাপন করলেন।
মায়া সহজে যায় না, লেগে থাকে।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
হালিম নজরুল
অপ্রিয় হলেও সত্য বলার অভ্যাস গড়ে তোলা সত্যিই জরুরি
সুরাইয়া পারভীন
হুম একদম
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
তৌহিদ
ভালোবাসার কথোপকথনে মাঝেমধ্যে অপ্রিয় তেতো সত্য এসেই যায় সামনে।
ভালো লিখেছেন।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়