রাজাকারদের বাচাতে ইসলামের দোহাই দিয়ে জামায়াত শিবিরসহ অন্যান্য মৌলবাদী ইসলামী দলগুলো সরাদেশে তান্ডব চালিয়েছে চালাচ্ছে। অজুহাত তুলছে নাস্তিকতার। কিন্তু মুল লক্ষ্য ওদের দেশের মানবতাবিরোধীদের রক্ষায় ধর্মের নামে অধর্মের কাজ করা। জনতা দাবী তুলছে দেশের সকল ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার। এরা ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে নিজেদের ব্যক্তিগত আখের গোছাচ্ছে। এরা জনমনে বিভ্রন্তিকর তথ্যের শ্লোগান, অরাজকতা কিংবা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি অপচেষ্টায় লিপ্ত। ধর্মের নামে ভন্ডামী করছে ধর্ম ব্যবসায়ীরা। ধর্মের নামে শান্তি শৃঙ্খলার বিপরীতে অশান্তিকর পরিবেশ কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। মৌলবাদী ইসলামী দলগুলো দেশকে অন্ধকারে রেখে তালেবানী স্টাইলে ধাবিত করতে ইতিহাসের বর্বরোচিত মিশনে রয়েছে। এসব ধর্ম ব্যবসায়ীরা দেশপ্রেমিকদের সহ্য করতে পারে না। পারে না মুক্ত চেতনার মানুষগুলোর চেতনাকে সহ্য করতে। কারন মুক্ত চেতনার মানুষরা শান্তির পক্ষে অশান্তির বিপক্ষে। একদিকে মানবতা। আরেকদিকে মানবতাকে রুদ্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে ধর্ম ব্যবসায়ীরা। ধর্মের জাল বিস্তার করে সাধারন নারী পুরুষকে ধর্মীয় সুরসুড়ি জাগিয়ে জঙ্গিবাদী করে তুলছে। সচেতন মহল সকল ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ এনে বিচারের কাঠ গোড়ায় দাড় করানোর দাবী তুলেছেন।
বরিশালের সংগ্রামী নারী বিসিসির সাবেক কমিশনার নিগার সুলতানা হনুফা জানান, তরুন প্রজন্মের রাজাকারমুক্ত দেশ গড়ার আন্দোলনকে প্রতিবন্ধকতা কিংবা নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় বা চাচ্ছে তারাও রাজাকার। তিনি জানান, সকল প্রকার ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
সবমিলিয়ে দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের বিকল্প নেই মন্তব্য মানবকল্যানধর্মী মানুষদের। ধর্ম যার যার দেশ সবার। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি সভ্য সমাজে অসভ্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এহেন অসভ্যতার বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো দেশের সকল ধর্ম বর্ণ বা সকল শ্রেনী পেশার মানুষদের অগ্রনী ভুমিকায় থাকাটা দেশপ্রেমিকের পরিচয়। জামাত-শিবির,যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিহত করতে মফস্বলে স্কুলে-কলেজে জাগরণের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে দেই। গর্জে উঠুন। ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করুন জামাত শিবির। সাহসের সাথে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। কোন অপপ্রচার , জিহাদী কার্যক্রম,আমাদের থামাতে পারবে না। গর্জে উঠুন বাংলার মানূষ, । ৭১ এ আমরা পরাজিত হইনি, ২০১৩ তেও হবনা। …………………………….
জয় বাংলা .
৫টি মন্তব্য
বনলতা সেন
‘ তরুন প্রজন্মের রাজাকারমুক্ত দেশ গড়ার আন্দোলনকে প্রতিবন্ধকতা কিংবা নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় বা চাচ্ছে তারাও রাজাকার। তিনি জানান, সকল প্রকার ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।’ ………. একমত এই বক্তব্যের সাথে । ধর্ম ব্যবসায়ীরা ১৯৭১ থেকেই ধর্মের আড়ালে তাদের অপকর্ম করে যাচ্ছে। এর অবসান হওয়া প্রয়োজন। ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিৎ।
লেখাটি ভালো লাগলো ।
শিশির কনা
সত্যি কথা লিখেছেন ভাইয়া। এদেরকে রুখতে হবেই।
জিসান শা ইকরাম
অত্যন্ত যুক্তি পূর্ণ এবং সমসাময়িক লেখার জন্য ধন্যবাদ।
এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের মুখোশ খুলে দিয়ে এদেরকে ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি করার সুযোগ বন্ধ করে দিতে হবে।
যাযাবর
এই হায়েনাদের চলার পথ মসৃণ করে দিয়েছি আমরাই। এখন এদের নির্মূল করা কঠিন। তবে নির্মূল করতেই হবে।
নীহারিকা
ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতির অবসান চাই। সুন্দর লেখা।