
মনোভাব প্রকাশের বিভিন্ন মাধ্যমের একটি হলো লেখা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মনোভাব প্রকাশের উন্নত মাধ্যম হিসেবে সোস্যাল মিডিয়া অন্যতম। এখানে খুব সহজে ব্যক্তি তার মনোভাব লেখেন ও নিকট/দূরবর্তী মানুষের সাথে নিজের মনোভাব শেয়ার করেন। মিডিয়া হিসেবে ফেইসবুক, টুইটার বা অন্যান্য সোস্যাল প্লটের মধ্যে ব্লগ একটি। এ সমস্ত স্থানে লেখক ও পাঠক একই অবস্থানে থাকা হেতু খুব সহজেই একে অপরের মনোভাব, পাঠ প্রতিক্রিয়া মন্তব্য দিয়ে ব্যক্ত করেন।
অন্যান্য জায়গায় লেখালেখি করার চাইতে ব্লগে লেখার একটি ভিন্ন গুরুত্ব ও প্রভাব থাকে। ব্লগে নানারকম নানান রুচির মানুষ থাকেন। তাদের মন্তব্য বা পাঠ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া অনেক সময়েই লেখকের লিখিত ভাবের সাথে মিলে না। ফেইসবুক বা অন্যান্য ব্যক্তিগত সাইটে লেখার ক্ষেত্রে লেখক যেমন ঠিক করে নিতে পারেন কে মন্তব্য দিতে পারবে আর কে পারবে না ব্লগে তেমনটি করা যায় না। কারন ব্লগ বেশিরভাগ সময়েই সকলের জন্যেই উন্মুক্ত থাকে। এখানে লেখক পাঠক উভয়েই স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন।
গল্প/কবিতা ইত্যাদিতে ব্লগ পাঠকরা খুব বেশি সাড়া না দিলেও সামাজিক ও বিভিন্ন প্রতিকূলতা নিয়ে লিখলে পাঠক দ্রুততার সাথে সাড়া দেয়। বিশেষ করে কোনো ঘটিত অপরাধ, আইন ব্যবস্থা, ভাইরাল হওয়া প্রতিবেদন বা অমিমাংসিত ঘটনা যার সাথে ধর্ম, সমাজ, রাষ্ট্র, জন সাধারণ জড়িত থাকেন। ঐ বিষয়ের উপর লেখা-লেখি কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। তার থেকেও বেশি চ্যালেঞ্জিং ব্যপার হলো এর পাঠপ্রতিক্রিয়াকে মোকাবেলা করা। মন্তব্যের উত্তর ও প্রতিউত্তরকে সঠিক ভাবে আয়ত্বে রাখা। এটা ঠিক মতো পরিচালনা করা খুবই জরুরী, নয়তো লেখকের লেখাটি বিফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা লেখকের অভিপ্রায় নয়। উন্মুক্ত প্লটে যারা লেখালেখি করেন তাদের মাথায় এটা রাখতে হবে। এখানে নানা ধরনের মন্তব্য আসে ,অনেক মন্তব্য রীতিমতো আক্রমনাত্মক রূপ নেয়। অনেকের জীবনও চলে যায়।
আমাদের সোনেলা একটি স্বনামধন্য ব্লগ। এখানে ব্লগাররা নিজেদের ব্লগার খেতাব না দিয়ে নিজেকে লেখক বা পাঠক উপাধি দিতে বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কারন এটি ব্লগ হলেও এটি একটি পরিবারের মতো। এখানে একে অপরকে সম্মান, ভালোবাসায় সিক্ত রাখা হয়। উৎসাহিত করা হয় নিজের মনোভাব অকপটে নির্দিধায় লেখার জন্যে, বলার জন্যে। সোনেলা ব্লগকে একটি পরিচ্ছন্ন উঠোন বলা হয়।
সোনেলা পরিবারের একজন হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি।
১৪টি মন্তব্য
রিতু জাহান
হুম ঠিক বলেছো। ধন্যবাদ তোমাকে।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভালোবাসা প্রিয়। ভালো থেকো। ❤❤❤❤❤
মাহমুদ আল মেহেদী
সত্যি কথা । ধন্যবাদ ।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনাকেও ধন্যবাদ মেহেদী ভাই।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সোনেলা পরিবারের একজন হতে পেরে আমিও গর্বিত।ব্লগের লেখাগুলোতে মন্তব্য পাল্টা মন্তব্য থাকবেই।এক জনের মতের বা লেখার সাথে অন্য জনের দ্বিমত থাকতেই পারে তার জন্য মন্তব্য করতে হবে সাবলিল ভাষায় পয়েন্ট ধরে।তাতে যদি লেখকের চিন্তাধারা ভুল হয়ে থাকে তা সহজেই ধরতে পারবেন। সহজে এ ভুল ধারনার ধরাটাকে লেখককেও অপমান না ভেবে সহজেই মেনে নিতে হবে।তাহলে জ্ঞানের দিক দিয়ে লেখককের যেমন লাভ হবে তেমনি মন্তব্যকারীরও।
এক সময় দেশে অসংখ্য ব্লগ ছিলো।ছিলো অসংখ্য ব্লগার।সামু নামক দেশের বৃহত্তর ব্লগে এক সময় দৈনিক পোষ্টের সংখ্যাই ছিলো হাজার পঞ্চাশের উর্ধে যা এখন হাজার পেরিয়ে।একমাত্র ব্লগার মাঝে অযথা ক্যাচালে দেশের অসংখ্য লেখক ব্লগ বিমুখ হন।সে সময় একমাত্র এই সোনেলা ব্লগের পরিবেশ ছিলো ঠিক যেন একটি সূখী পরিবার যা আজো স্ব-সন্মানে সেই অবস্থানেই আছে।এর জন্য কৃতজ্ঞ ব্লগ কর্তৃপক্ষের নিকট।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি লেখা পোষ্ট দেয়ার জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
অনেক ধন্যবাদ মমি ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্য থেকে আরো বেশি জানতে পারলাম। আপনার ব্লগ পর্যবেক্ষন ও অভিজ্ঞতা অবশ্যই বেশি। আশা করবো আগামী কোনো পোষ্টে বিস্তারিত ভাবে লিখবেন।
সোনেলা নিঃসন্দেহে বাংলা ব্লগ জগতে উজ্বলতার সাথেই বিরাজ করেছে , করবে। এই জন্যে ব্লগ কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ। সোনেলার সার্বিক সফলতা কামনা করি।
জিসান শা ইকরাম
ব্লগ একটি উন্মুক্ত লেখার প্লাটফরম। একজন ব্লগারের ব্লগ একান্তই তার নিজস্ব। একজন ব্লগারের সমসাময়িক বিষয়াবলি নিয়ে লেখা ভবিষ্যত জাতিকে উপকৃত করে। যা আমরা হয়ত এই মুহুর্তে উপলব্দি করতে পারব না।
একজন ব্লগারের লেখা সমালোচিত হওয়া সে লেখার সার্থকতা প্রমান করে। সমালোচনা হয়না ফেইসবুকে, কারন সেখানে সব বন্ধু হিসেবে থাকে। ব্লগে একটি লেখার সমালোচনা লেখকের শক্তি বৃদ্ধি করে, তিনি আরো ভালো মান সম্পন্ন লেখায় উৎসাহিত হন।
সোনেলা পরিবারের একজন সদস্য হয়ে আমিও গর্বিত।
সাবিনা ইয়াসমিন
ব্লগ, ব্লগার, আলোচনা, সমালোচনা সবকিছু মিলিয়েই একটি পূর্ন ব্যবস্থাপনা। এখানে যিনি লিখছেন তিনি লেখক এবং যিনি মতামত দিচ্ছেন তিনিও লেখক। তাই লেখায় আলোচনা-সমালোচনা ইতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে ব্যতিক্রম হতে পারে।
সমালোচনা একজন লেখকের শক্তি বৃদ্ধি করে। সহমত।
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
অপার্থিব
অল্প কথায় ভালই লিখছেন। আসলে মনোভাব প্রকাশও এক ধরনের বুদ্ধি বৃত্তিক চর্চা। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের রুটি রুজির ব্যস্ততা , কর্ম ও সামাজিক ক্ষেত্রে নানা রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা , ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম ইত্যাদী কারনে মানুষের হাতে এখন অবসর সময় খুবই কম। এই সামান্য অবসর সময়ে সে বিনোদন চায় কিন্ত তথ্য দিয়ে ভারাক্রান্ত হতে চায় না। চায় সে বহুমাত্রিক বিনোদন, অর্থাৎ এক টিকিটে অনেক ছবি। ফেসবুকের মত সামাজিক মাধ্যমগুলো এই ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছে । এখানে মানুষের মনস্তাত্বিক বিনোদনের মাত্রাটা অনেক বেশি বহুমাত্রিক। ফেসবুকে আপনি বিশ্বায়নের প্রভাব, টেরেসা মের সরকার টিকবে কিনা তা নিয়ে বিশাল জ্ঞানগর্ভ লেখা লিখতে পারেন, আবার একই সঙ্গে বউ/হাজবেন্ডের সঙ্গে রস গোল্লা খাওয়ার মনোমুগ্ধকর ফটোখানাও পোষ্ট করতে পারেন, কারো মনের খোরাক মেটাবে বিশ্বায়নের প্রভাব আবার কারো মনের খোরাক মেটাবে আপনার সাধের রসগোল্লা অর্থাৎ দুই ক্ষেত্রেই আপনি আপনার ফলোয়াদের কাছে পৌছাতে পারছেন। প্রতিটা লেখকই চায় তার লেখার স্বীকৃতি, সোজা বাংলায় পাঠক। কাজেই, বুদ্ধি বৃত্তিক চর্চার মাধ্যম হিসেবে ব্লগ একদিন পরাজিত হবে ফেসবুকের কাছে ( অলরেডি হয়ে গেছে) কিংবা যদি টিকেও থাকে তবে সেটা হবে খুব সামান্য পরিসরে।
সাবিনা ইয়াসমিন
ফেইসবুক নিয়ে যা বলেছেন তাতে আপনার সাথে সহমত। সেখানে এক টিকিটে ( আইডি ) শতাধিক বিনোদন ব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যায়। এবং তর্ক-বিতর্ক সমালোচনা নিয়ন্ত্রিনে রাখা হয়। যার কারনে ফেইসবুক জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করে। তবে মজার ব্যপার হলো যখন কেউ সমসাময়িক বা দৈনন্দিন খবর থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার বছর আগের ইতিহাস জানতে ইচ্ছা করেন তখন তাকে ব্লগের সরনাপন্ন হতে হয়। কারন যেকোন নিউজ বা প্রবন্ধ কোনো না ব্লগেই সংরক্ষিত থাকে।
আমি ব্লগ সমন্ধে খুব বেশি জানি না। যতটুকু বুঝতে পেরেছি তা থেকেই লেখার চেষ্টা করেছি। ফেইসবুক থেকেই মুলত ব্লগে প্রবেশ করেছি। দুটোর মাঝে পার্থক্য কিছুটা বুঝতে পারছি।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ। আপনার উপস্থিতি নিয়মিত কামনা করছি।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
ব্লগ মানি ও কিছুটা জানি, ব্লগেই শুরু, বোধকরি ব্লগেই শেষ।
ফেসবুক জানতে পারিনি তাই মানাও হয়নি, তবে শুনতে পাই সেখানে ম্যালা ব্যবস্থাদি বিদ্যমান।
আপনার মুল্যবান উপলব্ধি জেনে ভাল লাগল।
লেখালেখি বিষয়ান্তরে নিয়ে গিয়েছেন দেখে আরও আনন্দিত বোধ করছি,
বসন্ত প্রকোপ! তা কিন্তু বলছি না। চলুক এবং চলুক।
সাবিনা ইয়াসমিন
ফেইসবুক জানতে পারেননি, নাকি জেনে জানা বাদ দিয়েছেন সেটা কিন্তু জানতে চাচ্ছি না। তবে ম্যালা ব্যবস্থাদি থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখাটা ঠিক হচ্ছে না। মনেরও তো চোখ-দাঁত থাকে। তারাও দেখতে-হাসতে চায় !
কৃতজ্ঞতা মহারাজ। আপনার অমূল্য মন্তব্য আমাকে কতটুকু আনন্দিত করে তা প্রকাশে আনার শব্দ জানা নেই।
বসন্ত নিজ পথে চলতে থাকুক, চলুক। শুভ বসন্ত।
তৌহিদ
আমি লিখি নিজের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। মন্তব্য পেলে উৎসাহ পাই, নিজের লেখাকে শোধরানোর চেষ্টা করি। সোনেলা আমার ভালোবাসা।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমিও লিখি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যেই ভাই। এইযে পড়ে মন্তব্য দেন তা দেখেই লেখার আগ্রহ বেড়ে যায়।
সোনেলাকে ভালোবাসি। শুভ কামনা রইলো।