ভালো নেই বাংলাদেশ

ইঞ্জা ২৩ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার, ০৯:৪৫:০১অপরাহ্ন সমসাময়িক ৩৬ মন্তব্য

কিভাবে ভালো থাকবে বাংলাদেশ, এক দিকে করোনার থাবা, অন্যদিকে অবিবেচক রাজনীতির কবলে এই দেশ, করোনা আক্রান্ত দেশ আজ লুটেরাদের কবলে, যে যেদিকে পারছে লুটে চলেছে।

করোনা রুগী পর্যন্ত ওদের ব্যবসার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।

মহানুভব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য উনার দানের হাত খুলে দিয়েছেন, কিন্তু সেই দান সঠিক ভাবে মানুষের দুয়ারে পাঠানোর দ্বায়িত্বে যারা তাদের প্রায় সবাই তা লুঠে চলেছে, তাদের কারণে মানুষ আজ না খেয়ে মরছে কিন্তু তাতে তাদের কি বা আসে যায়, তাদের তো দরকার লুঠের মাল বা ভাগ।

ওদিকে করোনা রুগীরা সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত, কেন বলছি তা খুলে বলি।

শুনছি নামকরা ডাক্তারগণ ঘরে বসে টেলি মেডিসিন, লাইভ চিকিৎসা দিচ্ছেন আর ছোটো খাটো ডাক্তার ইন্টার্ন সব সামনের কাতারে করোনা যুদ্ধের সৈনিক, মরবে ওরা তাতে কারো কোন গা নেই, বড় বড় প্রফেসর, এসিস্টেন্ট প্রফেসর যে অনলাইনে, উনাদের করোনা হলে দেশ উদ্ধার করবে কে, তাই উনারা বেশ আছেন ঘরে অনলাইনে, কি বেশ মজা না? 

আরেকটা ঘটনা বলি যা পত্রিকাতে এসেছে, কোনো ডাক্তারই করোনা রুগীদের আসেপাশেই যাচ্ছে না, এমন কি নার্সরাও যাচ্ছেনা, তাহলে ওরা চিকিৎসা কিভাবে পাচ্ছে?

রিসেন্টলি করোনা রোগে মৃত প্রিন্স গার্মেন্টসের মালিক যখন মারা গেলো তখন জানা গেলো উনাকে ভর্তির পর উনার আসেপাশেই কোনো ডাক্তার নার্স যায়নি, উনি সারাদিন অভুক্ত ছিলেন, উনি কখন টয়লেটে মরে পড়ে আছেন তাও জানতোনা তারা।

পরে জানা যায়, যে রুমে করোনা রুগী রাখা হয়,ভতার আসেপাশেই তেনারা যান না, রুগীদের ঔষধপত্র দরজার সামনে রাখা হয়, রুগীরা কেউ একজন গিয়ে তা নিয়ে সবার কাছে পোঁছে দেন, রুগী যদি বেশি সিরিয়াস হয়ে যায়, তখন তেনারা গিয়ে সেই রুগীকে অক্সিজেন দেন, ব্যাস এরপরে যা দেখার অন্য রুগীরা দেখে, বুঝেন অবস্থা।

এদের কারণেই যেসব রুগীকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়, তারা আর মুক্ত বাতাসের দেখা পাননা, কারণ জমের দুয়ারে গেছে, সে কি আর ফিরে আসে?

আবার এ নিয়ে আমাদের জানের জান পরাণের আধখান মন্ত্রী মহোদয় প্রতিদিন বক্তিমা দেন মরহুমদের আত্মার শান্তি কামনা করে, এ বা কম কিসে?

আমার একটা জিজ্ঞাসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে কি সবেধন নীলমনি এই একটাই মন্ত্রী আছে, যিনি স্বাস্থ্যের কিচ্ছুই জানেন না আর তিনিই স্বাস্থ্য মন্ত্রী?

কেন উনার জায়গাতে তো আমাদের শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি কম কিসে, ভাবুন তো একবার। 

দেশের এই দূর্দিনে সাধারণ ছুটি চলছে, ঘরের বাহিরে কেউ না যাওয়ার আহবান, কিন্তু সাধারণ মানুষ খাঁটি বাঙ্গালীরা তো এইসব বুঝেনা, তারা কিভাবে সারাক্ষণ ঘরে বসে থাকবে, তাই তো মাঠে ঘাটে, পাড়া মহল্লায়, চায়ের দোকানে, বাজারে, দোকানে মানুষ ঘুরে বেড়ায়, আবার জিজ্ঞেস করলে “কেন বাইরে এসেছেন” জিজ্ঞেস করলেই দাঁত বত্রিশটি বের করে বলে ” ঘরে ভালো লাগেনা,চতাই বেড়িয়েছি “, ও মর জ্বালারে।

এইখানেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার জিজ্ঞাসা, কেন এই সাধারণ ছুটি যেখানে সোস্যাল ডিস্টেন্স মেনটেইন হচ্ছেনা, চাইলেই তো কারফিউ দিয়ে এই ডিস্টেন্স মেইনটেইন করাতে পারতেন, যদি তাই পারেন তাহলে ছুটি দেওয়ার কি দরকার, খুলে দিন সব, মানুষের অবাধ মেলামেশা হোক, দেখা যাক কে মরে, কে বাঁচে?

এইতো চলছে নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী?

এইভাবে অবাধ মেলামেশার কারণে সত্যি এই বাঙ্গালী বাঁচবেনা, করোনা সে মৃতুদূত, সে কাউকে ছাড়বেনা।

যেখানে দেশের পলিসি মেকাররা ঠিক না, সেই দেশের মানুষ বাঁচবে কি করে?

যেখানে ইউরোপ আমেরিকার সকল ডাক্তার নার্স করোনা যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে ঝাপিয়ে পড়েছে, সেইখানে আমাদের ডাক্তারগণ অনলাইনে মেডিসিন প্রেসক্রাইভ করে, সেই জায়গায় ইউরোপ আমেরিকার একটা ডাক্তারও যদি বলে আমি চিকিৎসা দেবো, তাকে সাথে সাথে লাইসেন্স ক্যান্সেল সহ বড় ধরণের জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে আর আমাদের ডাক্তারগণ আরাম ফরমাই।

কি কিউট না। 

এই জন্যই বলছি, ভালো নেই বাংলাদেশ, আর ভালো হবেই না, কারণ এই জাতিটাই যে কুলাঙ্গার, নির্লজ্জ, বেহায়া জংলি। 

 

সমাপ্ত।

ছবিঃ গুগল।

১৬৪৬জন ১৪১৭জন

৩৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ