দুপুরের ভাতঘুম বড় আরামপ্রিয় অনেকের।
একটা সময় ছিলো আমিও ব্যতিক্রম ছিলাম না।অনেক অনিয়মের মধ্যে এখন এটাও এক অনিয়ম হয়ে গেছে। অনেক ক্লান্ত হলে ইউটিউব দেখতে দেখতে কোনো কোনোদিন ঠিক ঘুমিয়ে পড়ি।
মাঝে মাঝে ছোট ছেলে জোড় ধমকে শোবার ঘরে ঠেলে পাঠিয়ে দেয়…. ‘ যাও, এখন একটু ঘুমাও’।নিজেই বায়ান্দার গ্লাস টেনে পর্দা টেনে, বোতলে পানি ভরে, জানালা টেনে দিয়ে, রুমের দরজা চাপিয়ে দিয়ে ঘুমাবার জন্য আয়োজন ঠিকঠাক করে দিয়ে যাবে। এত আয়োজনের পরেও যদি চোখে ঘুমের হদিস না থাকে তো….. অজুহাত খুঁজি সময়টা কিভাবে কাবার করা যায়! একচিলতে বারান্দা আামার মহা প্রশান্তির জায়গা। একই টাইপ কিছু গাছপালা নিয়ে আমি বার বার চোখের তৃপ্তি মেটাই। গত কয়েকবছরে আমি ভীষন খারাপ প্রতিবেশির ভূমিকায় রোল প্লে করে যাচ্ছি। কোনো প্রতিবেশির ঘরে নিজে আগ বাড়িয়ে পরিচিত হবার মত মানসিকতা কোনোকালে হয়নি আমার। এতে অনেকেই আমাকে অহেতুক অহংকারি ভাবে। আমার এদের ব্যাপারে কিছু বলার নেই। আবার যারা নিজে থেকেই পরিচিত হতে আসেন তাদের সাথে একটা সময়ে আপনাত্মিয়ের মত বড্ড গাঢ় সম্পর্ক হয়ে যায়। এমন দৃষ্টান্ত এখনো ধারন করে চলছি। তারাও জানেন ” শিফার’ মা আসলে কেমন!” । এখনো তারা চলে আসেন মাঝে মাঝে! তারপর একচোট ঝাড়েন আমাকে।” আপনি যাননা, আমরাই শুধু আসি, আপনার কথা মনে পড়ে খুব। ‘ আমি বলি আমার অপরাগতার কথা। হাসি মুখে মেনে নেই তাদের সব অভিযোগ।
প্রায় দুবছর হয়ে এলো যে ফ্লাটে ভাড়া আছি, আজও পর্যন্ত কারো কোনো ফ্লাটের বাসিন্দার সাথে আমার পরিচয় বা দেখা সাক্ষাৎ কিচ্ছু নেই।
নতুন আসার পরে দুজন ভাবি এসেছওছিলেন ঠিক পরিচিত হতে। তাও ভুল করে। অষ্টম ফ্লোরের স্থলে সপ্তম ফ্লোরের লিফট বাটন প্রেস করে 8’c ফ্লোরের কলিংবেল টিপে দিয়ে তারা হয়ত লজ্জায় পরে গিয়েছিলেন। সেদিন আমি ঠিকই ক্লান্তি অথবা অতি প্রশান্তির কারনে দুপুরের ভাতঘুমে বিভোর ছিলাম। কাঁচা ঘুম ভেঙে গেলে আমার মেজাজ চরম খারাপ হয়। আমার বাচ্চারা ছোটবেলা থেকে এ ব্যাপারে ভীষণ সতর্ক, একান্ত জরুরী না হলে আমাকে ডাকার সাহস করে না এরা। মোটামুটি মেজাজ খারাপ নিয়েই হাজির হলাম কলিংবেলের আওয়াজ পাবার পর। দুজন ভদ্র মহিলা সহ একজন কলেজ পড়ুয়া টিন এজ মেয়ে। এসেছে। ছালাম আদান প্রদানের পরে। জানালেন আসলে তারা নয় তলা(অষ্টম ফ্লোর) যেতে গিয়ে আট তলায় নেমে পড়েছেন। ভাবলেন, এই ফ্লোরেও তো নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে, তো পরিচিত হয়েই যাই! একই সাথে বললেন কে কততম ফ্লোর থেকে এসেছেন।
সাধারনত আমি মানুষের সাথে মিশুক প্রকৃতির মানুষ বলেই নিজেকে মনে করি। তারপরও কিছু ব্যাপার সতর্কতার সাথে খেয়াল করার চেষ্টা করি। কারো আচরনে স্পষ্ট’ সো অফ ‘ জ্বল জ্বল করতে থাকে। এখন যদি এই ‘ সো অফ’ শব্দ আমি খাঁটি বাঙলায় প্রস্ফুটিত করে লিখতে যাই! ব্যাপারটা অতটা জম্পেশ লাগবে না। ওই যেমন আমরা গালাগালি করার সময়ে খাঁটি ইংরেজি শব্দ ডিকশনারি ছাড়াই ঝেড়ে কেচে দেই, ঠিক সেরকম।
হিনমন্যতায় ভূগি না বললে মিথ্যাচার করা হবে। আদতে, এই শব্দটার (হিনমন্যতা)আভিধানিক সঠিক তাৎপর্য বুঝতে আমার অর্ধেক বয়স পেরিয়ে গেছে। কেউ মানলে মানলো, না মানলে, আমার ঠ্যাকা নাই জোড় করে মানাতেই হবে আমার। আমার ‘সো অফ’ করার মত কিছুই নাই, তাইলে অন্যের ‘ সো অফ’ দেখার আমার ঠ্যাকা পরছে? অন্তত এই ব্যাপারটা তো ঠিকঠাক বুঝি।
পরিচিত হতে এসে প্রতিবেশি ভাবি যখন খুটিয়ে খুটিয়ে গৃহসজ্জার দিকে চোখ ট্যারা করে নিরুপন করতে থাকেন, আমার তখন মনে এই তথাকথিত আত্মজন বিষেশায়নে বিষেশায়িত হলেও হতে পারত, প্রতিবেশির প্রতি করুনা জাগে। ‘ ওওওও… ভাবি আপনি, এই ছোট সিলিন্ডার ব্যাবহার করেন? আমরা বড়টা ব্যাবহার করি তাইনা রিমি! ‘
আমার তো ধারনাই নাই বাসা বাড়িতেও গ্যাস বেলুনে গ্যাস দেবার মত গ্যাস সিলিন্ডার ব্যাবহার করে মানুষজন। সিরিয়াসলি!! : বড় সিলিন্ডার মানে ভাবি? — প্রতিবেশি ভাবিঃ আছে তো! ৩৫/৩৬ লিটারের সিলিন্ডার। : ও আচ্ছা।
আমার অজ্ঞতা প্রকাশ করতেও লজ্জা পাচ্ছি বলে ব্যাপারটা এখানেই চেপে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ বলে গ্যাসের চুলায় তৎক্ষনাৎ চায়ের পানি বসিয়ে দেয়াটা সন্মানজনক মনে হলো। দ্বিতীয় ভাবি তখন শুরু করলেন তার নিজের গুনগান। সো পিসে’র মত ঠোঁট জুড়ে হাসি ঝুলিয়ে রাখা যে কী পরিমান কপালের শিরায় টান পরা!!! এটা বলে বা লিখে ব্যক্ত করার যথেষ্ঠ শব্দের মজুদ নেই আমার।- জানেন ভাবি,…. আচ্ছা আগে বলেন আপনার নাম কী? ‘ এই একটা জায়গায় আমার বেশ ভালো লাগে। সাধারনত এইসব প্রতিবেশি ভাবিরা কেউ কখনো নিজেদের নাম বলেন না বা মনেই করতে চাননা বলে আমার মনে হয়। এটা অনেককাল আমি লক্ষ করেছি। এক সময়ে আমি নিজেই নাম জানতে চাই। অনেকেই যেন হঠাৎ করে ধাক্কা খান দেখেছি।
এমনও হতে পারে, সাংসারিক, পারিবারিক,আত্মিয় স্বজনকৃত সম্বন্ধিয় সম্পর্কের ডাকাডাকির কোনো এক পর্যায়ে আমরা নিজদের নাম বেমালুম ভুলে গিয়ে থাকি। সোহোৎসাহে আমি আমার নাম বলার পরে দ্বিতীয় প্রতিবেশি ভাবি নিজের নামটাও বললেন। তিনি কতটা সজ্জন প্রতিবেশির ক্ষেত্রে ; তা সবিস্তারে বর্ননা করে চলেছেন। শুনতে ভালো লাগছিলো বলব না ইংরেজিতে যাকে বলে Irritating হচ্ছিলো লিখব বুঝতে পারছি না। একটা কথা খুব ঘাড় শক্ত করে, আঙুল নেড়ে নেড়ে বললেন, যেন আমাকে কটাক্ষ করার মোক্ষম অস্ত্র ছুড়ে মারার একটা উপযুক্ত সুযোগ পেয়েছেন ভেবে।
: দেখেন ভাবি, আমি আপনার বাসায় দুদিন আসব, তারপর দেখব আপনি একদিনও এলেন না, আমি তো আর আপনার বাসায় আসব না। এক বিল্ডিংয়ে থাকি, অথচ কেউ কারো সাথে যোগাযোগ রাখব না, এটা কেমন কথা!!
আমিঃ না ভাবি, আমি অবশ্যই যাব আপনাদের বাসায়। আমি নিজেও মনে করি,প্রতিবেশি হলো সবচে কাছের আত্মিয়, বিপদ আপদে সবার আগে প্রতিবেশিরাই তো সবচে আগে দৌড়ে আসে।
দুপুর ঘুম বড় আরামপ্রিয়….. সেই ঘুম বরবাদ করে যখন এমন সব প্রতিবেশির আগমন ঘটে! তখন আমার চান্দিতে তেলের অভাব টের পাই।
: আপনার ছেলে মেয়ে কী করে?
সন্তষ্টজনক প্রতিউত্তরের আশায় চোখ তাদের অবিশ্বাসের দোলায় দোলে। আমি বেকুবের মত গড়গড় করে নিপাট সত্য বলে যাই। তারা অহেতুক বিফল মনোরথে চড়তেই থাকেন। ছেলে মেয়ে কোন স্কুল থেকে পড়ে বেরিয়েছে, কোন ভার্সিটিতে পড়ছে, সিজিপিএ কার কত? মেয়ে বিয়ে দেননি? দিয়েছেন? জামাই কী করে? জামাইএর বাড়ি কই? ওহ্…. অমুক জেলার ছেলে? ওই জেলার মানুষ আসলে ভালো না। তারপর শুরু একেকটা কেচ্ছা কাহিনী।
আমি আজ পর্যন্ত বুঝে পাইনা, দেশ বলতে যে একটাই মানচিত্র! তার বিভাগ সহ জেলা ভেদে মানুষের ভালো মন্দের তারতম্য ওঠানামা বা বিচারিক দাঁড়িপাল্লায় মাপামাপি আবিষ্কারক কে বা কারা? বরিশাল,নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা,চট্টগ্রাম,চাঁদপুর,বগুরা,পাবনা,ঈশ্বরদী,আখাউড়া,কুষ্টিয়া,খুলনা,সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, সিলেট,রংপুর….. ওরে বাবা, এত এত জেলার নাম কী আর সব মনে থাকে নাকি!! প্রতিটি অঞ্চলের মানুষই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য ধারন করে চলে/ চলবে এটাই স্বাভাবিক। বিষেশ কোনো অঞ্চলের মানুষ মানেই সব সুদ্ধা খারাপ, এটা বিচার করার ক্ষমতা আমাকে কে দিলো? হুদাকামে তর্কে যাব কার লগে? চিরায়ত স্বভাব বলে মানুষ কিছু প্রকৃতিগত অভ্যাস ধারন করে চলে। আরো আছে শিক্ষাজনিত মনোজগৎ আলো করা কিছু বৈশিষ্ট্য। মানুষ বিচার এক দুইটা প্রসঙ্গে সম্ভব হয় কী করে? যৎামান্য জ্ঞান নিয়ে যেমন ডুব দেয়া যায়না অথৈ জ্ঞানের সাগরে! তেমনি দু এক বিষয়ে জেনে সার্বিক বিচার করাটাও কী জ্ঞানপাপীর পরিচায়ক নয়?
আচ্ছা এসব কেন বলছি? আমি নিজেও জানিনা, কেন বলছি বা লিখছি।
দুপুরের ভাতঘুম শব্দাবলী ও শিখেছি বলা চলে সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস গল্প পড়তে পড়তে। বিয়ের আগে একটা সময় ছিলো ডায়নিং টেবিল থেকে সোজা ঝাপিয়ে পড়তাম বিছানায়। কী চমৎকার শোয়া মাত্র নির্ধিদ্বিধায় ঘুম চলে আসত তখন! মাঝে মধ্যে তখনো কোনো না কোনো বান্ধবি হঠাৎ এসে বেমক্কা চড় থাপ্পড় দিয়ে – ‘ কিরে! এখনো ঘুমাও? সন্ধ্যা হয়ে গেছে দেখছো? মাসুমা প্রায়ই আসতো এরকম। তখন রাগ হত না, খুশি হতাম। আমি যখন তখন কোথাও যেতে পারি না, ওরা কেউ কেউ যখন আসত, আমার ভালো লাগত। দুপুর ঘুম নস্যাৎ হবার আরেকটা উপসর্গের নাম টেলিফোন বা মোবাইল রিং টোন। ওহহো!!! সে এক মহা বিরক্তিকর ঝঞ্ঝাট। মানব জীবনে দুই টাইম ফোন বেজে ওঠা আতংকের।
১| গভীর রাত বা খুব ভোরে।
২| বিকেলের ভাতঘুম।
ছেলে মেয়ে তখন স্কুল কলেজ ভার্সিটির নিত্য নিয়মিক ছাত্র ছাত্রী’! মোটা এক সময় ধরে বাসার বাইরে। আমি একা ঘরে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। হাতের কাজ গুছিয়ে টিভি দেখতে দেখতে কখন ঘুমিয়ে পড়তাম টেরও পেতাম না। বাটন ফোনটা পাশেই রাখা থাকত, দৈবাৎ আমাকে কখনো সখনো জ্বালাত। বেশি সময় চুপচাপ নিশ্চুপ থাকে মোবাইল। আমাকে কল করা মানুষের সংখ্যা নেহাত হাতে গোনা। বে টাইমে কল করা মানুষজন নেই বললেই চলে। এখানে একটা গল্প বলতে ইচ্ছে করছে……
বলবো! না আগামী পর্বে বলবো ভাবছি…..!!!
১৩টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
মানুষের এইসব আদিখ্যেতা বেড়েছে। নিজের কি আছে কি নাই? তার থেকে অন্যের হাঁড়ি ঘেটে মজা। চাকরীর সুত্রে এমন আমারও পড়শীর বাড়ি যাওয়া হয় না। ওর বাবা এরা নিয়ে বলে। আমি বলি ওদের সাথে কথা বনবে না। ওদের শাড়ি গয়না। আর আমার গল্পোর কিছু নেই।
ভালো ই লাগলো।
বন্যা লিপি
” ভালোই লাগলো”….. আমার ভালো লাগেনি। এটা না লিখে মন্তব্য শেষ করা যেত।
শুভ কামনা।
স্বপ্নীল মেঘ
বাস্তবভিত্তিক কিছু তেঁতো কথা। তেঁতো একারণেই বললাম যে যারা এসব ন্যাকামো তে লিপ্ত তারা অবশ্যই এ কথাগুলো পজিটিভ নিবেনা। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, রিছেন্ট সোসাইটি তে এসব আজ খুব সহজ হয়ে উঠেছে। শহরের গন্ডি পেরিয়ে আজ গ্রামেও এরকম মানুষের আনাগোনা। এভাবে এরকম ফোর্স করলে হয় কি! অকারণেই নিজের বা পরিবারের দুর্বলতা গুলো পীড়াদায়ক হয়ে উঠে তখন ভুক্তভোগী মানুষ গুলো নিজেকে অসহায় অনুভব করে এবং আলগা ফ্রাস্টেটেড হয়ে পড়ে ইভেন বেশী আবেগী মানুষ গুলো সুইসাইড পর্যন্ত এগোয়।
এরকম আদিখ্যেতা পূর্ণ বৈষম্য দূর হবার নয়। এগুলো কে পারলে প্রতিহত করা উচিৎ।
দারুন লিখেছেন বুবু। ভালো থাকুন।
বন্যা লিপি
” যারা এসব ন্যাকামো তে লিপ্ত তারা অবশ্যই এ কথাগুলো পজিটিভ নিবেনা। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, রিছেন্ট সোসাইটি তে এসব আজ খুব সহজ হয়ে উঠেছে। শহরের গন্ডি পেরিয়ে আজ গ্রামেও এরকম মানুষের আনাগোনা। এভাবে এরকম ফোর্স করলে হয় কি! অকারণেই নিজের বা পরিবারের দুর্বলতা গুলো পীড়াদায়ক হয়ে উঠে তখন ভুক্তভোগী মানুষ গুলো নিজেকে অসহায় অনুভব করে এবং আলগা ফ্রাস্টেটেড হয়ে পড়ে ইভেন বেশী আবেগী মানুষ গুলো সুইসাইড পর্যন্ত এগোয়।”
আমার কী আছে না আছে, সে নিয়ে আমার ফ্রাস্টেশন নেই। আমি বরং যুক্তি খুঁজি – আমার যা আছে তা ক’জনার আছে? আয় রুজিতে সততা,আদর্শবাদিতা, কঠোর পরিশ্রমের পর মাসকাবারি নির্দিষ্ট একটা বেতনে গর্বের সাথে যাপিত জীবন। এমন করে সবাই চিন্তা করাটা নেই হয়ে গেছে বলেই ফ্রাস্টেড এবং অসততা বাড়ছে ভয়ানকরূপে। আমার আপনার করে যদি সংখ্যা বাড়াতে পারি সন্তষ্টির জায়গায়! তো আসুন…. আজ থেকেই শুরু করি নিজেদের এমন সনৃতষ্টির জায়গাটাকে বর্ধিত করতে।
শুভ কামনা।
স্বপ্নীল মেঘ
আপনার মানুষিকতাই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক বুবু।
শুভকামনা।
জিসান শা ইকরাম
এই ধরনের মানসিকতার প্রতিবেশীর সংখাই বেশি।
আজাইরা প্যাচাল দিয়ে নিজকে জাহির করে এরা।
কত বছর ভাত ঘুম দেই না, আহা ভাত ঘুম।
চমৎকার হইছে লেখা।
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করি।
শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
আপনি বহুদিন পরে….।
হ্যাঁ, আপনি বহুকাল দপুরে ভাতঘুম থেকে বঞ্চিত।নিজের খেয়াল রাখবেন। পরের পর্ব নিয়ে আসব শীগ্রই।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রতিবেশীরাই আসল আত্মীয় কিন্তু মাঝে মাঝে এইসব ভাবী/আপাদের বেলায় এই থিউরি মানা যায় না। মাথা নষ্ট করা সব প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে মনে হয় কেউ আমাকে একঘরে করে দিক!
তবে, প্রিয়জন সব সময়ের জন্যেই স্বাগতম 🙂
পরের পর্বও দিবে নাকি?
আচ্ছা দিও, পড়বোনে
বন্যা লিপি
অবস্থান ভেদে প্রতিবেশী ভাবিদের এইরকম উচাটন মার্কা জবাব দেবার চেয়ে আমি বরং কষ্ট করে ঠোঁটের কোনায় হাসি ঝুলাইয়া রাখি😊😊
নাহ্….. আর বেচাকেনার ইচ্ছা নাই। লকডাউনে থাকি তারচেয়ে আরামে। বাজার মন্দা।
সাবিনা ইয়াসমিন
এই গরমে তোমার মাথাটাই মনে হয় গেছে, নয়তো ঠিক ঠিক মনে থাকতো অনলাইনে লকডাউন নাই। আর বেচাকেনার কথা বলছো, এখনই বাজার হিট।
নাও এবার শিগগির ঝাঁপি খুলে দেখাও 🙂
বন্যা লিপি
ঠিকই ধরেছো…. মাথা বিকলের কারনেই ঝাঁপি ঝুঁপি সব লকডাউনে। ইয়াস বিরাজ করতিছে মাথার মধ্যি😓😓
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রতিবেশিরা যে বিপদের সাথী এটা অনেকটাই ম্রিয়মান এইসব আদিখ্যেতার ন্যাকামির কারনে। পরনিন্দা, পরচর্চাই কিন্তু এদের একমাত্র আড্ডার বিষয়বস্তু হয়ে থাকে। কোনো সমস্যায় এদের যতটা না কাছে পাবেন তারচেয়ে এসব আড্ডায় বেশি পাবেন। দুপুরে খাবার পর ঘুমাই না ঘুমাই চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকা, একটু এপাশ ওপাশ করাটাই অনেক আরামদায়ক। অফুরন্ত শুভকামনা রইলো
বন্যা লিপি
আমার এরকম প্রতিবেশী কিন্তু আছে। যারা এখনো আমাকে মনে করে/ আসে আমার কাছে।আমি সময় পেলে যাই। আমিও মাঝে মাঝে দুপুরে বিশ্রাম নেই। ঘুম হলে হলো, না হলে নাই।
ভালো থাকবেন দিদি।