
মাংসন সাইতার বা মাসংন ঝর্ণাটা বান্দরবানের রোয়াংছড়ির রোনিন পাড়ায় অবস্থিত। রোয়াংছড়ি থেকে পাইক্ষ্যাং পাড়া হয়ে রোনিন পাড়া ৮ ঘন্টার মতো পাহাড়ি পথ। আর রোনিন পাড়া থেকে মাংসন সাইতার যেতে আরো এক ঘন্টার দুর্গম পথ। আর আমি সব সময়ই বলি দূর্গমতাই এ্যডভেঞ্চারের ভালো রসদ। তবে অসময়ে যাওয়ার কারণে এই ঝর্ণাটার যৌবন দেখা হয়নি। ঝর্ণায় পানি ছিল নিতান্তই কম, তবে এ্যডভেঞ্চারে কিন্তু কোন কমতি ছিল না। তবে এই ছোট ঝর্ণাটা দেখতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল বলেই তো বললাম, “বড় কষ্টের ছোট ঝর্ণা”। তো আসুন দেখে আসি মাংসন সাইতার নামক ঝর্ণাটি।
(২) রোনিন পাড়া থেকে যখন আমরা মাংসন সাইতারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই তখন গ্রামের আকাশে ছিল ঘন কাল মেঘ।
(৩) পাড়া থেকে বেড়িয়েই এমন চিকন সর্পিল পথ ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে চলে গেছে মাংসন সাইতারের দিকে।
(৪) যাওয়ার পথে এমন আরো কিছু পাহাড়ি গ্রাম পড়বে পথে।
(৫/৬) বাড়িগুলো থেকে উৎসুক হয়ে কেউ কেউ আমাদের দেখছিল।
(৭/৮) কিছু বাড়িঘর একেবারে ছবির মতোই সুন্দর।
(৯/১০) এক সময় আমাদের নেমে যেতে হয় এমন পথে। পাহাড়ি ঝর্ণাগুলো দেখতে এমন সব পথের বিকল্প সাধারণত থাকে না।
(১১) এক সময় দেখলাম পানি থেকে উঁকি দিচ্ছে এমন চমৎকার সৌন্দর্য্য।
(১২/১৩) তারপর আমাদের ট্রেইল ও নেমে এল পানিতে। ভীষণ ভয়ে ভয়ে ছিলাম এই সময়টা।
(১৪) কিছু পথ ছিল অতি ঝুঁকি পূর্ণ।
(১৫) তবে ঝর্ণাটা দেখে অত্যন্ত চমৎকার মনে হয়েছিল, আর আফসোসটা থেকেই গেল পানি দেখতে না পারার।
(১৬) তিন দিক দিয়ে পাহাড় ঘেরা অত্যন্ত চমৎকার ভাবে অনেক উঁচু থেকে পানি লাফিয়ে পড়ছিল নিচের কালো পাথবে, অতপর গড়িয়ে নেমে যাচ্ছিল জলাশয়ে। আর সেই জলাশয়ের পানি নেমে যাচ্ছিল এমটা ক্ষুদে পাহাড়ি নদীর সৃষ্টি করে। মানে আমরা যে পথে এসেছিলাম এবং ফিরে যাবো।
(১৭) ফিরে এসে ক্লান্তি দূর করতে এমন পাহাড়ি রসালো আনারসের বিকল্প কোথায়?
(১৮) অন্য দিকে রাতের খাবার তৈরীর সুবাস তো ক্ষিদেটাকে বাড়িয়েই চলছিল।
২৪টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এতো দূর্গম পথ। সত্যি কঠিন ট্র্যাকিং করা। অসাধ্য সাধ্য করাই মানুষের ধর্ম। সেটা আপনার ছবি ব্লগের মাধ্যমে বুঝলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো
কামাল উদ্দিন
এ্যডভেঞ্চারের নেশা থাকলে সবই সম্ভব হয় আপু। শুভ কামনা জানবেন।
নিতাই বাবু
১১নং ছবি দেখেই এমন দুঃসাহসিক ভ্রমণ মন থেকে দূর করে দিলাম, দাদা। আমি এটিকে খুবই ভয় পাই! যদি আসা-যাওয়ার পথে এঁদের দেখা মেলে, তাহলে আমি অনায়াসে সেই পথ নিজে থেকে চেঞ্জ করে ফেলি। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে, আমি এঁদের কতটাই ভয় পাই?
তবে আপনার সব পোস্টেই কিন্তু বাজিমাত! শুভকামনা সবসময়।
কামাল উদ্দিন
সাপকে ভয় পায়না এমন মানুষ দুনিয়াতে খুবই কম আছে, আমিও চরম ভয় পাওয়া পাবলিকদের একজন…….শুভ কামনা জানবেন দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
এত বড় সাপটাই মনে করে দিচ্ছে
দুর্গম পাহাড়ের ভ্রমনটা ভারী কষ্টের ছিল।
শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
কষ্টেরই না শুধু আনন্দেরও ও ছিল দাদা, কষ্টকে জয় করে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছার আনন্দ।
আরজু মুক্তা
ডিম ভাজা অমৃত।
কামাল উদ্দিন
সকালে ভাপ উঠা গরম ভাতে এমন একটা ডিমের স্বাদই আলাদা…..শুভ কামনা জানবেন আপু।
শাহিন বিন রফিক
পূর্বে একবার পড়েছি তবুও খুব ভাল লাগল। একজন ভ্রমন প্রিয় মানুষ হিসাবে ভ্রমন কাহিনী কতটুকু ভাল লাগে তা মনে হয় আপনাকে বলা লাগবে না, প্রিয় ইবনে বতুতা।
কামাল উদ্দিন
জ্বী ভাই, আপনি তো পুরানা পাপী 😀
সঞ্জয় মালাকার
১১নং ছবি দেখেই এমন ভ্রমণের আনন্দভুরে গিয়েছি।
ছবি ও লেখা অসাধারণ,
আপনান জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
আপনার জন্য হবে দাদা
কামাল উদ্দিন
যতোবার পাহাড় ট্রাকিং এগিয়েছি ওনাদের সাথে দেখা হয়েছেই দাদা। ভালো থাকুন সব সময়।
হালিম নজরুল
আমিও একবার গিয়েছিলাম এই দুর্গম যাত্রায়। ভীষণ ভয় পেয়েছি কয়েকবার।বাকীটা চমৎকার সব অভিজ্ঞতাপূর্ণ।
কামাল উদ্দিন
কোথায় গিয়েছিলেন নজরুল ভাই?
ফয়জুল মহী
মনোরম
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো বলেই খালাস! এ্যাডভেঞ্চার!
এই পিচ্ছিল পাথুরে পথ দেখলেই আত্মা-রাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার যোগার !
অদের বাড়ীগুলো দেখতে সত্যিই ছবির মতন।
কামাল উদ্দিন
কার হয়না সেটা বলেন? সাপ দেকার পর সেই পাথে পা চালানোটা যে কতো কঠিন হয়ে যায় ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন, ধন্যবাদ বড় ভাই।
আলমগীর সরকার লিটন
সেই গনধ পেলাম
প্রিয় কামাল দা
কামাল উদ্দিন
পরিচিত গন্ধ, কি বলেন?
জিসান শা ইকরাম
মাংসন সাইতার ঝর্নার কথা এই প্রথম জানলাম।
আমাদের মত বুড়োদের আর এই ঝর্না দেখা হবে না।
ছবি এবং ভ্রমন ব্লগ ভাল হয়েছে ভাই।
কামাল উদ্দিন
পাহাড়ের চিপায় চাপায় অমন অনেক ঝর্ণা রয়েছে, কটারই বা খবর আরা জানি ……ভালো থাকবেন ভাই।
ইসিয়াক
বাবা আপনি পারেন ও বটে কামাল ভাই। আর যাই হোক সাপে আমার খুব ভয়।
আচ্ছা ওটা কি সাপ ছিলো ? মানে সাপটার নাম কি?
শুভকামনা
কামাল উদ্দিন
ইসিয়াক ভাই, সাপটাকে তার নাম জিজ্ঞাসা করার সময় পাইনি। ভয়ে দ্রুত পা চালাইয়া সামনে এগিয়ে গিয়েছিলাম।