বড় কষ্টের ছোট ঝর্ণা…….

কামাল উদ্দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, ০৮:৫৭:১৪অপরাহ্ন ভ্রমণ ২৪ মন্তব্য

মাংসন সাইতার বা মাসংন ঝর্ণাটা বান্দরবানের রোয়াংছড়ির রোনিন পাড়ায় অবস্থিত। রোয়াংছড়ি থেকে পাইক্ষ্যাং পাড়া হয়ে রোনিন পাড়া ৮ ঘন্টার মতো পাহাড়ি পথ। আর রোনিন পাড়া থেকে মাংসন সাইতার যেতে আরো এক ঘন্টার দুর্গম পথ। আর আমি সব সময়ই বলি দূর্গমতাই এ্যডভেঞ্চারের ভালো রসদ। তবে অসময়ে যাওয়ার কারণে এই ঝর্ণাটার যৌবন দেখা হয়নি। ঝর্ণায় পানি ছিল নিতান্তই কম, তবে এ্যডভেঞ্চারে কিন্তু কোন কমতি ছিল না। তবে এই ছোট ঝর্ণাটা দেখতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল বলেই তো বললাম, “বড় কষ্টের ছোট ঝর্ণা”। তো আসুন দেখে আসি মাংসন সাইতার নামক ঝর্ণাটি।


(২) রোনিন পাড়া থেকে যখন আমরা মাংসন সাইতারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই তখন গ্রামের আকাশে ছিল ঘন কাল মেঘ।


(৩) পাড়া থেকে বেড়িয়েই এমন চিকন সর্পিল পথ ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে চলে গেছে মাংসন সাইতারের দিকে।


(৪) যাওয়ার পথে এমন আরো কিছু পাহাড়ি গ্রাম পড়বে পথে।


(৫/৬) বাড়িগুলো থেকে উৎসুক হয়ে কেউ কেউ আমাদের দেখছিল।


(৭/৮) কিছু বাড়িঘর একেবারে ছবির মতোই সুন্দর।


(৯/১০) এক সময় আমাদের নেমে যেতে হয় এমন পথে। পাহাড়ি ঝর্ণাগুলো দেখতে এমন সব পথের বিকল্প সাধারণত থাকে না।


(১১) এক সময় দেখলাম পানি থেকে উঁকি দিচ্ছে এমন চমৎকার সৌন্দর্য্য।


(১২/১৩) তারপর আমাদের ট্রেইল ও নেমে এল পানিতে। ভীষণ ভয়ে ভয়ে ছিলাম এই সময়টা।


(১৪) কিছু পথ ছিল অতি ঝুঁকি পূর্ণ।


(১৫) তবে ঝর্ণাটা দেখে অত্যন্ত চমৎকার মনে হয়েছিল, আর আফসোসটা থেকেই গেল পানি দেখতে না পারার।


(১৬) তিন দিক দিয়ে পাহাড় ঘেরা অত্যন্ত চমৎকার ভাবে অনেক উঁচু থেকে পানি লাফিয়ে পড়ছিল নিচের কালো পাথবে, অতপর গড়িয়ে নেমে যাচ্ছিল জলাশয়ে। আর সেই জলাশয়ের পানি নেমে যাচ্ছিল এমটা ক্ষুদে পাহাড়ি নদীর সৃষ্টি করে। মানে আমরা যে পথে এসেছিলাম এবং ফিরে যাবো।


(১৭) ফিরে এসে ক্লান্তি দূর করতে এমন পাহাড়ি রসালো আনারসের বিকল্প কোথায়?


(১৮) অন্য দিকে রাতের খাবার তৈরীর সুবাস তো ক্ষিদেটাকে বাড়িয়েই চলছিল।

৯৫৬জন ৮৪৩জন
0 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ