
এমনি করেই একদিন মানুষ পালাতে শিখে যায়…দুপুরের অলস সময়টায় চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে না আর চেনা অভ্যাসের অপ্রাপ্তিতে… শূন্যস্থানগুলো অপরিচিত কাজে-অকাজে-বাস্তবতার যোগানে ভরাট হয়ে যায়…ভাঙা হাড়ের ক্যালসিয়ামের কঠিন পড়তের মত প্রায় ইস্পাত কঠিন খোলসে মুড়ে অতীত পালিয়ে যায়।
মানুষ বাঁচতে শিখে যায়!
মানুষ পালাতে শেখে –
নিঃশূন্য চরাচর পরে থাকে একা, শূণ্য বোতামঘরের একাকীত্ব নিয়ে। বদলে ফেলতে চাওয়া নিজের ভেতর ডুব দেয়া মানুষ , যে খোলসে বন্দী হয় ,তা ভাংগার সাধ্য তার নিজেরই থাকেনা । মানুষদের পালিয়ে বাচঁতে হয়।
ছুটির নিমন্ত্রণ –
কেউ ডাক পায় ,কেউ পায় না। কেউ কেউ শোধ করে দেয় জীবনের ঋণ, একলা শিমুল পড়ে থাকে ধুলায় । শীতার্ত ,বেদনার্ত ।
ঘুমাও রজনীগন্ধা –
এক বরষার অলোখঝরায় ডুবে যায় প্রান্তের ,প্রান্তিক উষ্ণতা আসে অলিখিত সুঘ্রাণ নিয়ে – অথচ প্রয়োজন কোন আইন মানেনা । জীবনের প্রয়োজন, সমাজের । নিজের চেয়ে অন্যের প্রয়োজনে বেশী বেঁচে থাকি।
বিস্মৃত ভালোবাসা পাশফিরে ঘুম , দুঃখ পালংকে ঘুমায় রাধা ।
২১টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
* বদলে ফেলতে চাওয়া নিজের ভেতর ডুব দেয়া মানুষ,যে খোলসে বন্দি হয়, তা ভাঙার সাধ্য তার নিজেরই থাকে না। মানুষদের পালিয়ে বাঁচতে হয়,,
মানুষের জীবন শুরুই হয় খোলসের মাঝে, বিধাতা সব কিছু বোঝা / ভাঙার ক্ষমতা হয়তো অনেককেই দেন কিন্তু খোলস ভাঙার ক্ষমতা কাউকেই দেননি। যখনই কেউ নিজ খোলস ভেঙেছে তখনই প্রকৃত তাকে অন্য খোলসে আবৃত করেছে। নিয়ম ভাঙার ছলে নতুন নিয়মের বেড়াজালে আটকে পড়া মানুষের সাধ্য নেই পালিয়ে বাঁচার।
* অথচ প্রয়োজন কোনো আইন মানে না,, ধ্রুব সত্যি।
আইন তৈরি হয় প্রয়োজনে কিন্তু সব প্রয়োজন সারাক্ষন আইনে আবদ্ধ হয় না। নিত্ত নতুন চাহিদার আবরনে আইনকেই ফাঁসিরজ্জুতে ঝুলতে হয় বারবার।
আপনার লেখা আরো পড়তে চাই, অনেক কিছু শেখার আছে আপনার লেখা ও ভাবনা-উপলব্ধি থেকে। আশা করছি লিখবেন, নিজের আনন্দে, আমাদের জন্যেও। ভালো থাকুন, শুভকামনা।
আগুন রঙের শিমুল
যে জীবন দোয়েলের শালিকের তার সাথে মানুষের দেখা হয়নাতো – অথচ বদলে গিয়ে সেই জীবনের সাথেই দেখা হবার কথা।
প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সেই জীবন খুঁজে যাওয়াই কেবল স্থির, বাকিটুকু ধোঁয়াশা।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধোঁয়াশা- কুঁয়াশার আড়ালেই হাস্যজ্বল সূর্যের আলোকিত কিরণ মেলে, কুঁয়াশা হাসে ভোরের শবনম হয়ে, ধোঁয়াশা কেটে যায় প্রখর রৌঁদে। 🙂
মায়াবতী
এই সব কবি রা কি কঠিনা কঠিনী শব্দগঠন করিয়া বেড়ায় তাহা বোধগম্য হইতে হইতে হৈমন্তির মৃত্যু ক্ষণ ঘনিয়া আসিলো 🙁
ইঞ্জা
ভাউ, মাথাডা ঘুরান্টি দিতাছে, এমুন লেহা কই থিক্কা লেহেন?
আগুন রঙের শিমুল
😲😲 ঘুরান্টি দিলে চলবেনা, স্থির হইতে হইবে 😁
ইঞ্জা
😂😃😅😀
আগুন রঙের শিমুল
😋😎😎
মাহমুদ আল মেহেদী
শিখতে চাই, আরো পড়তে চাই।
আরকিছু বলার যে নাই।
আগুন রঙের শিমুল
পড়তে চাইলে ঠিক আছে, শিখতে চাইলে ঠিক নাই
শুন্য শুন্যালয়
কী চমৎকার এক একটা পঙক্তি।
মানুষ বাঁচতে শেখেই কোন না কোন ভাবে, তবে নিজের ভেতরের খোলস কিন্তু ভাংগা যায়না। ওটাকে বাঁচা বলে কিনা কে জানে!
যারা অন্যের প্রয়োজনে বাঁচে, তারাই বেঁচে থাকে। নিজের জন্য বেঁচে থাকার একটা লাইন আছে, ওপাড়ে গেলেই মরে যায় সবকিছু, কেমন করে বেঁচে ছিলো তাও অজানা থাকে।
আসলে সব কয়েকটা লাইনই এতো ভেতরে টানলো যে আলাদা করে মন্তব্য দেয়া কঠিন।
আপনার লেখা মিস করি শিমূল ভাই। নিয়মিত হবেন এখন থেকে প্লিজ।
আগুন রঙের শিমুল
হয়তো মানুষ বেঁচে থাকে বলেই মানুষ, হয়তো বেঁচে থাকাই সার্থকতা। তাই অভিযোগ করবার বোকামি না করাই ভালো 🙂 যঃ পলায়তি, সঃ জীবতি
প্রহেলিকা
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম, সেই আগের মতোই এতটুকুও মলিন হয়নি। লেখা নিয়ে আর কি বলবো। ছবিটাও মন কেড়েছে।
আগুন রঙের শিমুল
❤❤ থ্যাঙ্কিউ ভাই
তৌহিদ
চমৎকার সব উপমা দিলেন। মানুষ যেভাবেই হোক বাঁচতে চায়, এটা হয়তো প্রকৃতিগত।
আপনার লেখা নিয়ে মন্তব্য করা কঠিন ভাইয়া। অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম।
আগুন রঙের শিমুল
ধারকরা জীবন নিয়ে বোনাস বেঁচে থাকাটাও একটা আনন্দময় অভিজ্ঞতা 😃
ধন্যবাদ ভাই
জিসান শা ইকরাম
মানুষ বেঁচে থাকতে চায়,
নিজের জন্য বা পরের প্রয়জনে, যেভাবেই হোক।
দুঃখের, বিষাদেরও সুখ আছে, আনন্দ আছে। নইলে আপনার লেখা পড়ে এত সুখ পায় কেন মন! শব্দগুলো বুকের গভীরে নাড়া দেয়।
শুভ কামনা প্রিয় শিমুল ভাই।
আগুন রঙের শিমুল
মানুষ লোভী দাদা 😁😁
জীবনের লোভ এতো বেশী না হইলেও পারতো 😏
ভালোবাসা জানবেন দাদা
মায়াবতী
আগুনের পরশ মনি ছোঁয়াও প্রাণে… এ জীবন পুণ্য করো…. ধন্য করো… ভাই আপনার সব লেখায় আগুন রঙের শিমুল ফুটে ওঠে, জানেন তো 🙂
মেহেরী তাজ
আপনার ব্লগর ব্লগর ও এতো ভালো হইলে তো সমস্যা।
মানুষ বাচার জন্য খোলসে আবৃত হয় কি না জানি না তবে জীবন দশার সব সময় একটা আলাদা খোলস তারা গায়ে জড়িয়ে রাখে এটা ঠিক।
রিতু জাহান
চমৎকার কিছু শব্দমালা।
আসলেই তাই। আমরা জীবন থেকেই শিখি কি করে প্রতিটি জিনিস থেকে একটু একটু করে অক্সিজেন নিয়ে বাঁচতে হয়।
অন্যের জন্য বেঁচে থাকতে থাকতে কখন যেনো মরে যাই বুঝতেই পারি না।
আবারও বেঁচে উঠি।
একলক শিমুল যতোই ধুলোয় পড়ে থাককু। তাকে দেখে অন্য চোখের তৃষ্ণা মেটে। এটা সৌন্দর্যের অক্সিজেন গ্রহণ।
এটাও বা কম কিসে! শিমুল তো পেরেছে তার সে অক্সিজেনটুকু দিতে।
শেষের লাইনটা অসাধারণ লেগেছে।
অনেক দিন পর লিখলেন,,,,