
সকালে ঘুম থেকে উঠে হাই নিতেই দেখি মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ভয়ে কলিজা শুকিয়ে নড়বড়ে হয়ে গেলো। তাহলে কি পেটের ভিতর দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে? সন্দেহের বেড়াজালে পেঁচিয়ে ঘোলাটে মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষের ভাবনায় তবুও বাথরুমে ঢুকে গেলাম।
বাথরুমের ট্যাব ছাড়তেই দ্রুত গতিতে পানি এসে ভিজিয়ে দিয়ে গেলো। সাথে সাথেই প্রসাবের জ্বালা যন্ত্রণার হা-হুতাশে খুব কঠিন যন্ত্রণার কাতরানির সম্মুখীন হতে হলো। তারপর আর কি করা? অবশেষে…।
উমা! সত্যিই তো। ১০০০০% হাঁচা কথা। পেটের মধ্যে সত্যি সত্যি দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। নইলে এতো ধোঁয়া…।
চিন্তায় শরীর ঘেমে যাওয়ার উপক্রম। কি করবো? কি করবো? ভেবে ভেবে শরীরের মাংসপেশি থেকে শুরু করে হাড্ডিগুস্ত চিন্তায় নেতিয়ে পরেছে। অবশেষে গোসল করার পরিকল্পনাটা মাথায় এলো।
শরীরে পানি ঢালতেই আচমকা চিৎকার করে কখন যে বাথরুমের বাইরে চলে এসেছি সেটাও ঠিক মতো ঠাউর করতে পারছি না। শুধু মনে মনে বকছি, ‘শালার ফাইজলামির একটা সীমা থাকা দরকার। এতো সকালে বাথটবে বরফ মিশালো কে?’
চিৎকার শুনে নিমাই এসে হাজির হতেই বলতে শুরু করে কি রে তুই ল্যাংটা কেন?
‘ আর বলিস না। কোন শালা জানি বাথটবে বরফ ঢেলে দিছে। পানি এতো ঠান্ডা যে চিৎকার করার সময় কখন যে গামছা খুলে গেছে আমি নিজেও জানি না।’
নিমাই হাসতে হাসতে বললো, ‘শালা, এখন শীতকাল’।
৯টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভিন
সকালে ঘুম থেকে উঠে হাই নিতেই দেখি মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ভয়ে কলিজা শুকিয়ে নড়বড়ে হয়ে গেলো। তাহলে কি পেটের ভিতর দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে?
হা হা হা হা হা
দারুণ লিখেছেন
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ কবিবর। ভালো লাগলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চমৎকার লিখেছেন তো। খুব মজা পেলাম। হায়রে শীতকাল! শুভ কামনা
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয়, আপনার লেখা এখনো পড়া হয়নি। সময় করে পড়ে। একটু ব্যস্ত থাকায় সোনেলা ব্লগে সময় দিতে পারছি না।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া
মনির হোসেন মমি
হা হা হা খুব হাসালেন।এমনি হয়।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয়
জিসান শা ইকরাম
শীতে এই অবস্থা !
নৃ মাসুদ রানা
সত্যি, এই রকমই।