
আহারে ফ্রাইডে গুলাতে মর্নিং এ ক্লাস এতো বিরক্তির আর এতো দুঃখের হয়!
গতকাল মর্নিং এ আমি ক্লাস শেষ করে দুপুর ২ টায় বাসায় আসছি। আর তারপর থিকা মরার মতন ঘুমাইতেছিলাম। ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখি আমার বান্ধবী সাইকা আইসা আমারে কইতেছে, ” এখনো হাতে অনেক টাইম আছে। তুই তারাতারি রেডি হ। আমার রিসিপশন অনুষ্ঠান তো রাত্রে।” আমি ওরে কইলাম, ” আচ্ছা! তাহইলে আমি তারাতারি রেডি হই। মেকাপ নেওয়া, শাড়ি পড়া সবমিলাইয়া আমার ৩ ঘন্টা টাইম লাগব। তুই চিন্তা করিস না। আমি টাইমমত চইলা আসমু মনিরে নিয়া। বাট গিফট কেনার তো টাইম পাইলাম না। তোদের গিফট আমি পরে দিমু নে।” তারপর আমি আলমিরা থিকা আমার প্রিয় নীল শাড়িটা বাইর করলাম। বাট স্বপ্নে শাড়ির ব্লাউজটা চেন্জ হইয়া টিয়া কালার ব্লাউজ হইয়া গেল। আমি অবাক হইয়া সেই ব্লাউজের দিকে তাকাই আছি। এমন সময় আমার ছোট বইন মনি আমারে ডাইকা আমার স্বপ্ন এবং ঘুম দুইটায় ভাঙ্গায় দিল। উইঠা দেখি ঐ এক মগ দুধ চা হাতে নিয়া দাড়াই আছে। তখন আমার মনে পড়ল, আমি তো ইউনিভার্সিটি থিকা আইসাই বিছনায় শুইয়া পড়ছি। আর তারপর থিকাই মরার মত ঘুমাইতেছিলাম।
হায়রে ঘুম😥
গতকাল আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সাইকার রিসিপশন। অথচ আমি যাই নাই। গত সপ্তাহে ওর গায়ে হলুদ ও বিয়া গেছে। ওগুলাতেও আমি যাই নাই। না যাওয়ার বড় কোন কারণ না থাকলেও ছোট কারণটাই আমার কাছে এখন অনেক বড় কারণ হইয়া গেছে । আমার অল্পতে ক্লান্ত হইয়া যাওয়াই আমার বড় কারণ। ভিতরে ভিতরে আমি অসুস্থ ফিল করতেছি। বাসায় যতক্ষণ থাকি ততক্ষণ বিছনাই আমার প্রধান আশ্রয় প্রশ্রয়ের স্থল। এবং আমি চেষ্টা করি বাসার থাকার পুরাটা টাইমই ঘুমাইয়া কাটাইতে। আমি মেকাপ নেয়ার, শাড়ি পড়ার, আর জার্নি করার রিস্ক নিতে পারতেছি না।
ভিষণ ক্লান্ত আমি ভিষণ🙄
ক্লান্তি আমায় ক্ষমা কর….
ক্ষমা কর ……
মুক্তি দাও ……
তাই এবার আমার বসন্তবরণ আর হলো না। ভেলেন্টাইন্স ডে পালন হলো না। বইমেলায় যাওয়া হলো না। আমার আর কিছুই হলো না।
সবাইকে ঋতুরাজ ফাল্গুনের শুভেচ্ছা ❤
১২টি মন্তব্য
হালিম নজরুল
জীবনে বড় হবার অধিকাংশ পথই বিরক্তিকর
মুক্তা মৃণালিনী
একদম সঠিক বলেছেন ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নিতাই বাবু
হায়রে স্বপ্ন! কতকিছুই- না দেখায়। আমি ঘুমের ঘোরে সময় সময় দেখি আমেরিকা চলে গেছি! ঘুম থেকে ওঠে দেখি শরীরের উপরে কম্বলটাও নেই! এই হলো ঘুমের ঘোরে স্বপন দেখা। তবে কথ্যভাষায় লেখা পড়ে ভালো লেগেছে। ফাল্গুনের বসন্তী শুভেচ্ছা!
মুক্তা মৃণালিনী
হাহা। দাদা তারাতাড়ি আমেরিকা যান আর আমাদের জন্য বেশি করে চকোলেট পাঠান। আপনাকেও ফাল্গুনি শুভেচ্ছা দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
স্বপ্নের অপমৃত্যু কারো কাম্য নয়
ভালো থাকুন সবসময়।
মুক্তা মৃণালিনী
অশেষ ধন্যবাদ আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
স্বপ্নে যা ভাবি তাই দেখি অনেক সময়। সেটা বাস্তবে রূপ দেয়াটা সম্ভব নাও হতে পারে। ভালো থাকুন শুভ কামনা রইলো
মুক্তা মৃণালিনী
আমার স্বপ্ন অনেকটাই সত্যি হয় আপু। আসলে আপু স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেয়াটা অনেক সময় আমাদের নিজেদের উপরই নির্ভর করে। কাল আমি ঘুম থেকে উঠে ইচ্ছে করলেই যেতে পারতাম। বাট ইচ্ছেটাই করল না। আপনিও ভাল থাকুন আপু। শুভ কামনা রইল।
ফয়জুল মহী
খুব ভালো
সুরাইয়া পারভীন
মাঝে মাঝে ক্লান্তি এসে ভর করে আমাদের
তখন ক্লান্ত-শ্রান্ত অবসন্ন দেহ নিয়ে বাইরে বের হতে ইচ্ছে করে না।
শুভ কামনা রইলো আপু আপনার জন্য
মনির হোসেন মমি
যে স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন সেই লেখা পড়াটা যেন ভাল ভাবে শেষ সেই কামনাই করছি। জীবনে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাক। লেখাটা খুব ভাল হয়েছে।
ইসিয়াক
ভালো লাগলো।